স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শিল্পাঞ্চল সাভারে বহুদিন ধরেই গার্মেন্টস সেক্টরের অস্থিরতা নিয়ে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। এখন কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখানে শিল্প পুলিশ, থানা-পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, তবে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’

ঢাকার সাভারের রাজালাখ এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারে কৃষকের শীতল ঘর-মিনি কোল্ড স্টোরেজ কার্যক্রম ও ‘খামারি’ অ্যাপসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন জনসংখ্যার চেয়ে কৃষিজমির পরিমাণ বেশি ছিল। কিন্তু এখন কৃষিজমি কমেছে, জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। এরপরও কৃষকেরা ভালো উৎপাদনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে একটি সন্তোষজনক পর্যায়ে রেখেছেন। মিনি কোল্ড স্টোরেজের মাধ্যমে কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো। ফসলের উৎপাদন বেশি হলে এবং মূল্য কমে গেলে কৃষক কোল্ড স্টোরেজে কিছুদিন সংরক্ষণ করতে পারবেন।’

কৃষিজমি ধ্বংস করে ইটভাটায় মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইটভাটায় কৃষিজমির মাটির উপরিভাগের অংশ কেটে নিয়ে কৃষিজমি ধ্বংস করা হচ্ছে। এ জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

ফসল উৎপাদন পরামর্শক হিসেবে ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপটি জিওস্পেশাল প্রযুক্তিনির্ভর একটি স্মার্ট কৃষি অ্যাপ, ফলে কৃষক নিজ জমিতে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেই জমির জন্য উপযোগী ফসল, সার সুপারিশসহ অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন। খামারি অ্যাপটি বাংলায় প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি ট্যাব ও মুঠোফোনে ব্যবহার করা যাবে এবং অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর এবং ম্যাক অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম, টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তালহা জুবাইর মাসরুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সানফ্রানসিসকোতে গান শোনালেন অণিমা রায়, পেলেন সংবর্ধনাও

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ড. অণিমা রায়। দীর্ঘদিন পর যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন তিনি। এটা তার পারিবারিক ভ্রমণ হলেও এবারের যাত্রায় নিউইয়র্ক, ডালাসসহ বেশ কিছু রাজ্যে সংবর্ধিত হলেন তিনি। ১৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিসকো শহরে একটি অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ড. অণিমা রায়কে সংবর্ধনা জানানো হয়।

সানফ্রানসিসকোর ফ্রিমন্ট এলাকার একটি অডিটরিয়ামে আয়োজিত মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে বিশেষ সংবর্ধনা দেন বায়স্কোপ ফিল্মসের কর্ণধার রাজ হামিদ ও নওশাবা রুবনা রশীদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিল্পী নন্দিতা ইয়াসমিনসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শায়লা জামান দিনা ও রাজশ্রীর গানের পর মূল পরিবেশনায় ১৫টি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে শোনান কণ্ঠশিল্পী ড. অণিমা রায়।

আয়োজন প্রসঙ্গে শিল্পী অণিমা রায় বলেন, ‘আমার এবারের ভ্রমণ একেবারেই ব্যক্তিগত। একজন শিল্পী এই ভালোবাসা কুড়াতেই গান করেন। সেখানে নিউইয়র্ক, ডালাস ও সানফ্রানসিসকোতে যে সম্মানটুকু পেলাম তা সত্যিই অনেকদিন আরো ভালো কিছু গান করার শক্তি জোগাবে। কৃতজ্ঞতা ক্যালিফোর্নিয়ার দর্শকদের প্রতি।’

অনুষ্ঠানের একটি অংশে ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’ পরিবেশনা অণিমা রায়ের গানের সাথে রাজ হামিদের আবৃত্তি ও নওশাবা রুবনা রশীদের ক্লাসিকাল নৃত্য অনুষ্ঠানে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।

বায়স্কোপ ফিল্মসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে শিল্পী অণিমা রায়ের পরিবেশনায় ছিল আকাশ ভরা সূর্যতারা, এরা সুখের লাগি, গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ, কতবারো ভেবেছিনু, প্রাণ চায় চক্ষু না চায়সহ একাধিক রবীন্দ্রসঙ্গীত ও তিন কবির গানের পরিবেশনা।

এই আয়োজন প্রসঙ্গে রাজ হামিদ বলেন, ‘শিল্পী অণিমা রায় নিজেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। এমন একজন গুণী শিল্পীকে আমরা আমাদের শহরে সম্মান জানাতে পেরে সত্যিই গর্বিত। অনুষ্ঠানটি সকলেই মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেছেন। এই আয়োজনের এটিই সার্থকতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ