কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “কৃষি খাতের অগ্রগতি টিকিয়ে রাখতে গবেষণার বিকল্প নাই। গুণগত গবেষণা করে ফলাফল কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।”

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নবনির্মিত মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধন ও পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষি সচিব ড.

মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

আরো পড়ুন:

ঝুঁকি নিয়ে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক 

কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত: কৃষি উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, “কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প নেওয়ার সময় কৃষি জমি রক্ষার বিষয়ে ভাবতে হবে। কোনোভাবেই যেন স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে কৃষি জমি নষ্ট না হয়।”

উপদেষ্টা কৃষি খাতের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, “স্বাধীনতার পর হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত কৃষি খাতই সবেচেয়ে সফল। জমি আর বাড়বে না কিন্তু জনসংখ্যা বাড়তেই থাকবে, তাই কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।”

উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের তেল, ডাল, ছোলা প্রভৃতি আমদানি করতে হয়। দেশে উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমাতে হবে। কৃষক যে ফসলে লাভ বেশি পান সে ফসল চাষ করেন। অপ্রচলিত কিন্তু প্রয়োজনীয় ফসল চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।”

উপদেষ্টা পার্বত্য এলাকায় ফলজ গাছ লাগানের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “বনায়নের সাথে সাথে ফলজ গাছও লাগাতে হবে।” 

বাজারে সবজির দাম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “যখন মৌসুম থাকে না ও এক মৌসুম থেকে অন্য মৌসুম গ্যাপে ট্রানজিট সময়ে সবজির বাজার চড়া থাকে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে শাক সবজি ফলমূল সংরক্ষণের জন্য স্বল্প ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হিমাগার তৈরি করা হচ্ছে।”

উপদেষ্টা কৃষি খাতের অবদানের তুলনায় স্বীকৃতি ও পুরস্কার কম উল্লেখ করে বলেন, “কৃষি ও কৃষকের কথা বলতে হবে, এ খাতকে স্বীকৃতি দিতে হবে।”

এর আগে উপদেষ্টা নব নির্মিত মৃত্তিকা ভবনের উদ্বোধন করেন। 

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষ মন ত র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় শুরু হচ্ছে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বগুড়া জেলা প্রশাসনের সহায়তায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করছে।

১৪ এপ্রিল (সোমবার) পহেলা বৈশাখের দিন শহরের পৌর উদ্যানে এ মেলার উদ্বোধন করা হবে। মেলায় শিশুদের জন্য নানা ধরনের রাইড থাকছে। সেই সঙ্গে হরেক রকমের দোকানপাট বসছে।

প্রতিদিন মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আয়োজন থাকবে।

মেলা কমিটির সদস্য সচিব জেলা জাসাসের সভাপতি ওয়াহিদ মুরাদ বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মেলা চলবে। এখানে শিশুরা বিনোদন উপভোগ করবে। বড়দেরও নানা বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে।

এদিকে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে বৈশাখের পোশাক বেচাকেনা হচ্ছে। শহরের নিউ মার্কেট এলাকার শাড়ি হাউসের প্রোপাইটার জাহিদ হাসান বলেন, কয়েককদিন আগে ঈদের কেনাকাটা শেষ হলো বিধায় বৈশাখের কেনাকাটা বেশি জমেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ