সার, সেচ ও ফসল সংরক্ষণ নিয়ে সংকট কেন
Published: 8th, February 2025 GMT
বোরো মৌসুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন কৃষক। তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী সারা পাচ্ছেন না, যাও পাচ্ছেন, সেটা আবার সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজি ৩ থেকে ৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।
প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির সরকার-নির্ধারিত মূল্য ২৭ টাকা, ডিএপির মূল্য ২১ টাকা ও এমওপির মূল্য ২০ টাকা হলেও সমকাল-এ প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে কৃষককে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৯-৩৩ টাকা, টিএসপি ৩০-৩৫ টাকা, ডিএপি ২৫-৩৫ টাকা ও এমওপি ২৫-৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। (‘ধান আবাদের সুসময়ে চাষির দুঃসময়’, সমকাল, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)
বীজ, কীটনাশক, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যে এমনিতেই কৃষক সংকটে রয়েছেন। সরকার-নির্ধারিত সারের মূল্যও বেশি। কারণ, আগের সরকারের আমলে ২০২২ সালের আগস্টে ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে সব ধরনের সারের দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়। এভাবে উপর্যুপরি মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা এমনিতেই চাপে রয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল সারের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা। সেটা তো তারা করছেই না, উল্টো সরকার-নির্ধারিত দামেও সার বিক্রি নিশ্চিত করতে পারছে না। বোরো থেকে দেশের চালের জোগানের একটা বড় অংশ আসে।
এ সময় সারের সংকট হলে এবং নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করতে না পারলে শুধু যে কৃষকই সংকটে পড়বেন, তা নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, এমনিতেই বাড়তি খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।
এটা শুধু যে বোরো মৌসুমে ঘটছে, তা না। এই মৌসুম শুরুর আগে রবিশস্য চাষ করতে গিয়েও কৃষক চাহিদামতো এবং সরকার-নির্ধারিত মূল্যে সার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
■ বিগত সরকার যতই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি করুক, বাস্তবতা হলো বাংলাদেশকে বছরে এক কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। ■ সারের সংকট হলে এবং নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করতে না পারলে শুধু যে কৃষকই সংকটে পড়বেন, তা নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ■ কৃষকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে আমলাতান্ত্রিক উপায়ে নলকূপ চালানোর সময় বেঁধে দিলে সংকট ঘনীভূত হয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম আরও বেড়ে যেতে পারে। ■ কৃষি খাতে যতটুকু প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেওয়া হয়, সেটাও প্রকৃত কৃষকের ভাগ্যে জোটে না। এসব সমস্যা সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।আলু, সবজি, ডাল ও তেলবীজ চাষের জন্য প্রসিদ্ধ উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় খোঁজ নিয়ে প্রতিটিতেই চাহিদা অনুযায়ী সারসংকটের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। কোথাও কোথাও সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি বস্তা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি আদায়েরও অভিযোগ করেছিলেন কৃষক। এখনকার মতো সে সময়ও সারসংকট ও উচ্চমূল্যে বিক্রির সমস্যাটি অস্বীকার করেছিল কৃষি মন্ত্রণালয়। (‘সারসংকটে নাকাল কৃষক, মানতে নারাজ মন্ত্রণালয়’, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪)
অথচ সরকারের উচিত ছিল সারসংকটের বিষয়টি অস্বীকার না করে সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। বিগত সরকার যতই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি করুক, বাস্তবতা হলো বাংলাদেশকে বছরে এক কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। কাজেই খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ রকম অবস্থায় সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উপকরণের বাড়তি মূল্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সারসংকটের সমাধানের জন্য সরকার দেশের ভেতরে রাসায়নিক সার কারখানাগুলোয় গ্যাসের সরবরাহ বাড়িয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে পারত। সেই সঙ্গে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য জৈব সার উৎপাদনে পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারত। কিন্তু সরকারের দিক থেকে অতিপ্রয়োজনীয় এসব বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা গেল না।
সেচ নিয়ে বিপদে কৃষকশুধু সার নয়, সেচ নিয়েও বিপদে আছে কৃষক। এমনিতেই উজানে ভারত কর্তৃক নদীর পানি প্রত্যাহার এবং দেশের মধ্যে নদী ও জলাশয় দখলের কারণে কৃষকের সেচের পানির প্রাপ্যতার সংকট রয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থাপনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে দেশের ভেতরে গড়ে তোলা সেচ প্রকল্পের সুবিধাও কৃষকেরা পুরোপুরি পান না।
উদাহরণস্বরূপ কুষ্টিয়ায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের তিনটি পাম্পই নষ্ট থাকার কারণে গত বছর কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার কয়েক লাখ কৃষক বোরো মৌসুমে জিকে প্রকল্প থেকে সেচের পানি পাননি। এ বছর একটি পাম্প মেরামত করা হলেও দুটি পাম্প এখনো নষ্ট। তা ছাড়া পদ্মায় রয়েছে প্রয়োজনীয় পানির সংকট। ফলে এবারও কৃষক জিকে প্রকল্পের সুফল কতটা পাবেন, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। (‘খুঁড়িয়ে চলছে জিকে সেচ প্রকল্প, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক’, সমকাল, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)
অন্যদিকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) হঠাৎ এক সিদ্ধান্তের কারণে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের মধ্যে সেচের পানির প্রাপ্যতা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সমকাল-এ প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, বিএমডিএ এবার বোরো চাষের জন্য পানিসংকটাপন্ন এলাকায় সেচঘণ্টা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর আট উপজেলায় বোরো মাঠে পানি দেওয়ার জন্য এবার ৯৮০ ঘণ্টার বেশি কোনো গভীর নলকূপ চালানো যাবে না। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এই নিয়মে সেচ দিতে হবে। আর সারা বছর ১ হাজার ৯৬০ ঘণ্টার বেশি গভীর নলকূপ চালানো যাবে না। (‘ধান আবাদের সুসময়ে চাষির দুঃসময়’, সমকাল, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)
বরেন্দ্র অঞ্চলে এমনিতেই সেচের পানির সংকট রয়েছে। রয়েছে পানিসংকটকে কাজে লাগিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। সময়মতো সেচের পানি না পেয়ে কৃষকদের বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে এ অঞ্চলে।
এই সংকটের সমাধান না করে, কৃষকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে আমলাতান্ত্রিক উপায়ে ওপর থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নলকূপ চালানোর সময় বেঁধে দিলে সংকট ঘনীভূত হয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম আরও বেড়ে যেতে পারে। স্থানীয় কৃষকদের আশঙ্কা হলো, নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে গভীর নলকূপের পানিতে এক-তৃতীয়াংশ বোরো মাঠেও সেচ দেওয়া যাবে না।
বেড়েছে হিমাগারের ভাড়াএদিকে বাজারে কৃষক যখন আলুর দাম পাচ্ছেন না, তখন কোল্ডস্টোরেজ বা হিমাগারের মালিকেরা হঠাৎ আলুর সংরক্ষণের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজশাহীর আলুচাষিরা মহাসড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন চলতি মৌসুমে কেজিপ্রতি ভাড়া ৮ টাকা নির্ধারণ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষকদের বক্তব্য হলো, গত বছর কোল্ডস্টোরেজে ৭০ কেজির আলুর বস্তা রাখার ভাড়া বাবদ ২৮০ টাকা খরচ করতে হয়েছে তাঁদের। এ বছর তাঁদের একই পরিমাণ আলু রাখার জন্য খরচ দিতে হবে ৫৬০ টাকা। (‘কোল্ডস্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহাসড়কে আলু ফেলে কৃষকদের প্রতিবাদ’, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড অনলাইন, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)
এমনিতেই উৎপাদন মৌসুমে কৃষকেরা আলুর যথাযথ দাম পান না। আলু যত দিন কৃষকের হাতে থাকে তত দিন বাজারে আলুর দাম থাকে কম। আলু যখন কৃষকের হাত থেকে ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের হাতে চলে যায়, তখন আস্তে আস্তে আলুর দাম বাড়তে থাকে।
হিমাগারের ভাড়া রাতারাতি দ্বিগুণ করে দেওয়ার কারণে কৃষকেরা যদি হিমাগারে পর্যাপ্ত আলু রাখতে না পেরে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন, তাহলে আলুর বাজারে মজুতদারদের আধিপত্য আরও বাড়বে, যা পরে আলুর বাজারকে আরও বেশি অস্থির করে তুলবে। কাজেই সরকারের উচিত হিমাগারের যৌক্তিক ভাড়া বেঁধে দেওয়া, যেন হিমাগারের মালিকদের সিন্ডিকেট কৃষকদের বঞ্চিত করতে না পারে।
সেই সঙ্গে সরকার নিজেও ন্যায্যমূল্যে আলু কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারে। যার মধ্য দিয়ে এক দিকে কৃষক আলুর ন্যায্যমূল্য পাবেন, অন্যদিকে সংকটকালে আলু বাজারে ছেড়ে দিয়ে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু এদিকে সরকারের কোনো মনোযোগ দেখা যাচ্ছে না।
কৃষকের সমস্যা গুরুত্ব পাচ্ছে না কেনআসলে সার, সেচ থেকে শুরু করে উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের বিষয়ে কৃষকের যেসব সমস্যা, সেগুলো গুরুত্ব না পাওয়ার মূল কারণ হলো, দেশের রাজনীতিতে কৃষকের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, সত্যিকারের অংশীদারত্বও নেই। খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের জন্য কৃষি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেশের রাজনীতি-অর্থনীতিতে কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর এমন আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, দেশের নীতিনির্ধারকদের কাছে কৃষকদের স্বার্থ তেমন একটা প্রাধান্য পায় না। এমনকি রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেড় দশকের স্বৈরশাসনের অবসানের পরও অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই।
দেশে কত রকমের সংস্কারের কথা হচ্ছে, কাজ করছে কত কমিশন, কিন্তু কৃষি সংস্কারের কোনো আলোচনাই নেই কোথাও! অথচ কৃষি খাত বহু কাঠামোগত সমস্যায় জর্জরিত। সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ সব কৃষি উপকরণের ওপর বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে এসব উপকরণ কৃষককে চড়া দামে কিনতে হয়।
অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলের এমন একটি বিপণনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যার ওপরও কৃষকের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে উৎপাদিত ফসল তাঁকে বিক্রি করতে হয় সবচেয়ে কম দামে। কৃষিপণ্য সংরক্ষণব্যবস্থা কৃষকবান্ধব নয়, গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত কৃষিভিত্তিক শিল্প। ফলে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য যত দিন কৃষকের হাতে থাকে, তত দিন তার দাম থাকে কম। আর যখন কৃষকের হাত থেকে ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের হাতে যায়, তখন তার দাম হয় চড়া।
কৃষি খাতে যতটুকু প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেওয়া হয়, সেটাও প্রকৃত কৃষকের ভাগ্যে জোটে না। এসব সমস্যা সমাধানের দিকে আগের সরকারগুলোর মতো এই সরকারের দিক থেকেও কোনো উদ্যোগ নেই।
এ দেশের যাঁরাই ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা সব সময় উদ্যোক্তা তৈরির কথা বলেন, উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলেন। অথচ তাঁরাই দেশের সবচেয়ে বড় উদ্যোক্তা শ্রেণি কৃষকদের অবহেলা করেন। তাঁরা ব্যক্তি খাতের বিকাশের কথা বলেন, কিন্তু নীতিনির্ধারণের বেলায় দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তি খাত কৃষির কথা তাঁদের মনে থাকে না।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিতে যাঁদের অনেক আগ্রহ, কৃষক যে রক্ত-ঘাম-পুঁজি বিনিয়োগ করেন, তা তুলে আনা ও বিকাশের পরিবেশ নিয়ে তাঁদের কোনো মাথাব্যথা থাকে না।
আসলে দেশের রাজনীতিতে যত দিন কৃষি ও কৃষক প্রান্তিক হয়ে থাকবেন, তত দিন কৃষকের সার-বীজের দাম ও প্রাপ্যতা, সেচের পানি কিংবা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য জাতীয় সমস্যা হিসেবে যথাযথ গুরুত্ব পাবে না।
●কল্লোল মোস্তফা লেখক ও গবেষক
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র ন র ধ র ত উৎপ দ ত ফসল নলক প চ ল ন ন শ চ ত কর আল র দ ম আরও ব ড় র সরক র সরক র র প রকল প এমন ত ই ক ষকদ র ব যবস থ চ ত করত র র জন র জন য সমক ল সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালাও-পোড়াও কোনোভাবেই কাম্য নয়: কায়সার কামাল
ফাইল ছবি