2025-03-03@09:39:57 GMT
إجمالي نتائج البحث: 296
«ইউক র ন র»:
ইউক্রেন যুদ্ধের আলোকে ইউরোপ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছে। এই সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আলোচনার নেতৃত্ব নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার একে ‘ইতিহাসের মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সেই সঙ্গে শুধু আলোচনা নয়, বরং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান স্টারমার। ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির এক কৌশল নির্ধারণের চেষ্টা করেছেন। এই চেষ্টা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ঘটে যাওয়া কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রতিক্রিয়ায় ত্বরান্বিত হয়েছে। মার্কিন ও ইউক্রেইন প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তীব্র ভাষায় জেলেনস্কিকে আক্রমণ করেন। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় নেতারা নিজেদের ভূমিকাকে আরও সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেন। স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এবং আরও কয়েকটি ইউরোপীয়...
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়ার হাত থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় চার দফা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। স্টারমার জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং অন্য দেশগুলোর একটি জোট (কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং) গড়ার মাধ্যমে তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করবে এবং ইউক্রেনের প্রতি তাদের এই সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবে। সোমবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আরো পড়ুন: জেলেনস্কিকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিলেন স্টারমার ট্রাম্পের সঙ্গে ঝড় তুলে লন্ডনে জেলেনস্কি, যুদ্ধের পরিণতি কী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার (২ মার্চ) লন্ডনে ইউরোপের ১৮ জন নেতা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে এক সম্মেলনের পর স্টারমার বলেন, “আজ আমরা ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে আছি।” জেলেনস্কি বলেন, “সম্মেলনে ইউরোপের অতি উচ্চ স্তরের এক ঐক্য দেখা গেছে যা দীর্ঘদিন দেখা যায়নি।” এতে ইউক্রেন ‘শক্তিশালী...
হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে গত শুক্রবার শেফরা ব্যস্ত হাতে প্লেটে খাবার সাজাচ্ছিলেন। ওই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠক করছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।বৈঠক শেষ হলেই রাষ্ট্রীয় অতিথিদের পরিবেশন করা হবে খাবার। শেফরা তাঁদের আয়োজন প্রায় গুছিয়ে এনেছেন। অতিথিদের জন্য তৈরি হয়ে গেছে রোজমেরি চিকেন, সেলেরি রুট পিউরি ও কোলার্ড গ্রিন।হঠাৎই ওভাল অফিসের পরিবেশ পাল্টে যায়। সেখানে বৈঠকে বসা নেতাদের উচ্চকণ্ঠে বাগ্বিতণ্ডার আওয়াজ তখন বাইরেও ভেসে আসছিল।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। জেলেনস্কিও পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন, পাল্টা কথা বলছিলেন।ইউক্রেনের সমর্থকদের জন্য ওই সময়টি ছিল দারুণ বিপর্যয়কর। দুই একগুঁয়ে নেতা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সব আয়োজন ভণ্ডুল করে দিয়েছিলেন।প্লেটে সাজানো রোজমেরি চিকেন, সেলেরি রুট পিউরি, কোলার্ড গ্রিন তেমনই পড়ে রইল।আরও...
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এক মাসের আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিচ্ছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য।তবে এই যুদ্ধবিরতির আওতায় স্থলযুদ্ধ পড়বে না। আকাশ, সমুদ্র ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার ক্ষেত্রে এই যুদ্ধবিরতি প্রযোজ্য হবে।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ গতকাল রোববার ফরাসি দৈনিক লে ফিগারোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।মাখোঁ বলেন, যুদ্ধবিরতি হলে তা মানা হচ্ছে কি না, সেটি যাচাই করাটা খুব কঠিন হবে। কারণ, রণক্ষেত্র এত বড় যে তা প্যারিস থেকে বুদাপেস্ট পর্যন্ত দূরত্বের সমান।ইউক্রেনে শান্তি পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আহ্বানে গতকাল লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের একটি সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে যোগ দেন মাখোঁ। সম্মেলনের পর এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এক মাসের আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য দিচ্ছে বলে সাক্ষাৎকারে জানান মাখোঁ।আরও পড়ুনলন্ডন সম্মেলনে ইউক্রেনের পক্ষে চার বিষয়ে মতৈক্য১২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট...
ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল রোববার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে জড়ো হয়েছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা। সম্মেলনটির আয়োজক ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।সম্মেলনে ঘণ্টা দুয়েকের আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার পদক্ষেপ নিতে ইউরোপের নেতারা একমত হয়েছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়েই এ কাজ করতে চান। আর এ লক্ষ্যে চার দফা পরিকল্পনা করা হয়েছে।চার দফা পরিকল্পনায় আছে—ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা চালু রাখা। রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো অব্যাহত রাখা।স্থায়ী শান্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেকোনো শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে অবশ্যই রাখা।শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ প্রতিরোধে কিয়েভের প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বাড়ানো।শান্তি চুক্তি রক্ষাসহ পরবর্তী সময়ে শান্তির নিশ্চয়তা দিতে ইচ্ছুকদের নিয়ে জোট গঠন করা।সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে ইউরোপীয় নেতাদের নেওয়া সিদ্ধান্তকে আপাতত স্বস্তি হিসেবে দেখা...
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি করতে ইউক্রেন এখনো রাজি বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (মার্চ ৩) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, ‘‘খনিজ চুক্তিটি মন্ত্রীদের (উভয় দেশের) সইয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমরা এটি সই করতে প্রস্তুত।’’ এর আগে, গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এর জেরে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে চলে যেতে বলা হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। বিতর্কিত এই ঘটনার পরে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ‘গঠনমূলক সংলাপ’ করতে ইচ্ছুক বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “আমরা চাই, আমাদের পার্টনাররা মনে রাখুক; যে এই যুদ্ধে আক্রমণকারী কে।”...
ইউরোপ এখন বড় সংকটের মুখে। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে দেশগুলো নিজেদের স্বার্থই আগে দেখে। আন্তর্জাতিক জোট, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা চুক্তিগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও, যদি এগুলো সময়ের চাহিদা মেটাতে না পারে, তাহলে তা উপেক্ষিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সেই সংকটে পড়েছে।গত শুক্রবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যেভাবে অপমান করেছেন, তা দেখে সবাই একমত যে ট্রাম্প ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, রাশিয়ার প্রতি অস্বাভাবিক সমর্থন দেখিয়েছেন এবং ইউরোপকে বলেছেন, নিজেদের প্রতিরক্ষা তারা নিজেরাই সামলাক। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এতে সমাধান দ্রুত করতে হবে।এই সংকটে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার ও নেতারা নিজেরাই নেতৃত্ব নিচ্ছেন। ইইউ কমিশন এবং কিছুটা হলেও ন্যাটোকেও তারা একপাশে ঠেলে দিচ্ছেন।দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প প্রশাসন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ইইউর প্রতি বেশি বিদ্বেষ দেখাচ্ছে।...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি সই করতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ল্যাংকেস্টার হাউসে গতকাল রোববার ইউক্রেন সংকট নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলন শেষে বিবিসিকে এ কথা বলেন জেলেনস্কি। এদিন তিনি যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে একটি চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। সেই মোতাবেক ওয়াশিংটনে যান জেলেনস্কি। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।ইউরোপ কি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করতে পারবেআরও পড়ুনইউরোপ কি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করতে পারবে৩ ঘণ্টা আগেকিন্তু শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি সই হয়নি। বৈঠকে ট্রাম্প–জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর পর দুই নেতার যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল হয়। হোয়াইট হাউস ছাড়তে বলা হয়...
ট্রাম্প-জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগ্বিতণ্ডার পর ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে তৎপর হয়েছে ইউরোপ। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়েই এটা করতে চান তাঁরা। এ লক্ষ্যে চার দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল রোববার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে এক সম্মেলনে বসেছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।আরও পড়ুনলন্ডন সম্মেলনে ইউক্রেনের পক্ষে চার বিষয়ে মতৈক্য৪ ঘণ্টা আগে‘সিকিউর আওয়ার ফিউচার’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা সম্মেলন চলে। সেই আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন ব্রিটিশ...
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকটি কিয়েভের জন্য বিপর্যয়কর হয়েছে। এরপর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা করছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রোববার এই ঘোষণা দেওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে যে রাশিয়ার অব্যাহত শত্রুতা ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ইউক্রেনে শান্তি কি আসলে সম্ভব এবং হলেও তা কী কী শর্তে হতে পারে।বর্তমান পরিস্থিতিতে কি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব?ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশই যুদ্ধ শেষ করার কথা বললেও দেশগুলো এখনো চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেক দূরত্বে অবস্থান করছে।ক্রেমলিন এখনো ইউক্রেনের ওপর আধিপত্য বজায় রাখতে চায়। রাশিয়া ইউক্রেনের বিপুল এলাকা দখল করে আছে। ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ দিতে না পারে সেটা তাদের চাওয়া। অন্যদিকে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়ছে ইউক্রেন এবং...
ইউক্রেন সংকট নিয়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চারটি পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেন, চারটি পদক্ষেপ ইউক্রেনের পক্ষে নেওয়া হয়েছে। রোববার লন্ডনের ল্যাংকেস্টার হাউসে সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য নতুন যেকোনো চুক্তি অবশ্যই জোরালো হতে হবে। আর সব দেশকে নিজেদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের দায়িত্ব নিতে হবে এবং নিজেদের দায়িত্ব বাড়াতে হবে। সম্মেলনে ঐকমত্য হওয়ার চারটি পদক্ষেপ হলো—যুদ্ধ চলাকালে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করতে হবে; স্থায়ী শান্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং যেকোনো শান্তি আলোচনার টেবিলে ইউক্রেনকে অবশ্যই রাখতে হবে; শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে কাজ করতে...
ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আয়োজিত সম্মেলন শেষে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ রোববার লন্ডনের ল্যাংকেস্টার হাউসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও জোটের নেতাদের পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অংশ নেন। বৈঠক শেষে উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ইউরোপের জন্য তারা আরও বড় পরিসরে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে ইউক্রেনকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং দেশটি যেন নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। সত্যিকার অর্থে আমাদের বিশাল পরিসরে অগ্রসর হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ব্যয় বাড়ানো। সবচেয়ে খারাপ কিছুর জন্য...
ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চারটি পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আজ রোববার লন্ডনের ল্যাংকেস্টার হাউসে সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। চারটি পদক্ষেপই ইউক্রেনের পক্ষে নেওয়া হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য নতুন যেকোনো চুক্তি অবশ্যই জোরালো হতে হবে। আর সব দেশকে নিজেদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের দায়িত্ব নিতে হবে এবং নিজেদের দায়িত্ব বাড়াতে হবে।স্টারমারের ভাষ্য অনুযায়ী, সম্মেলনে ঐকমত্য হওয়ার চারটি পদক্ষেপ হলো—যুদ্ধ চলাকালে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করতে হবে; স্থায়ী শান্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং যেকোনো শান্তি আলোচনার টেবিলে ইউক্রেনকে অবশ্যই রাখতে হবে; শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে কাজ করতে হবে...
ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে আয়োজিত সম্মেলন শেষ হয়েছে। এ সম্মেলনে ‘ভালো ও খোলামেলা আলোচনা’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ রোববার লন্ডনের ল্যানচেস্টার হাউসে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও জোটের নেতাদের পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অংশ নেন। বৈঠক শেষে উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ইউরোপের জন্য তাঁরা আরও বড় পরিসরে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে ইউক্রেনকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং দেশটি যেন নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে।ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। সত্যিকার অর্থে আমাদের বিশাল পরিসরে অগ্রসর হতে হবে।’...
রাশিয়া যেমনটি চেয়েছে, বিগত সপ্তাহটি ঠিক সেভাবেই কেটেছে। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রকাশ্যে বিতণ্ডায় জড়ানোর দৃশ্যটি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে উপভোগের বিষয় ছিল। তবে আজ রোববার ইউরোপের নেতারা যে সম্মেলনে বসেছেন, তাতে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা রয়েছে। এ ছাড়া কূটনৈতিক সংকটের একটি সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টাও রয়েছে। এসব বিষয়ের ওপর নজর রাখছে ক্রেমলিন। কারণ, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে ভাঙনকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে তারা।আজ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ তাঁর বক্তব্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ৫০০ বছর ধরে বিশ্বে ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনাগুলোর সবগুলো হয় ইউরোপ থেকে সৃষ্টি হয়েছে অথবা ইউরোপীয় নীতির কারণে ঘটেছে। লাভরভ এটাও বলেছেন, কোনো সংঘাত উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করেনি যুক্তরাষ্ট্র।বছরের...
ছবি: এএফপি
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গত শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রকাশ্য বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। মূল্যবান খনিজ নিয়ে চুক্তি ও ভবিষ্যৎ রুশ হামলা ঠেকাতে ট্রাম্পের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ ও মার্কিন সহায়তা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর কোনো চুক্তি ছাড়াই আকস্মিকভাবে বৈঠকটি শেষ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প ও ভ্যান্স। পরবর্তী সময়ে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন।ক্ষমা চাইতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওযুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই ঘটনার জন্য জেলেনস্কিকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘এভাবে বৈঠক শেষ করে আমাদের সময় নষ্ট করার জন্য (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের) ক্ষমা...
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ইউক্রেন সংকট নিয়ে সম্মেলন শুরু হয়েছে। রোববার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের এক ডজনের বেশি নেতা অংশ নিয়েছেন। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়ার সংকট সমাধানের উদ্দেশে সম্মেলন শুরুর আগে কিয়ার স্টারমার বিভিন্ন দেশের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কেউ দেখতে চায় না। স্টারমার বলেন, এখন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি শান্তির দিকে এগোতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্স এবং সম্ভবত আরও এক–দুটি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য। লন্ডনের সম্মেলনে ফ্রান্স ও ইতালি ছাড়াও জার্মানি, ডেনমার্ক, তুরস্ক, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড ও পোল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে...
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “এটি ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য বিরল মুহূর্ত। কারণ ইউক্রেনের জন্য একটি ভালো ফলাফল পাওয়া কেবল সঠিক বা ভুলের ব্যাপার নয়; এটি এখানকার প্রতিটি জাতির এবং আরো অনেক দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” রবিবার লন্ডনে ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। স্টারমার তার বক্তৃতায় জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে চান যেখানে “মার্কিন...
ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ রোববার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের এক ডজনের বেশি নেতা অংশ নিয়েছেন।তিন বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চলছে। এই সংকট সমাধানের উদ্দেশে সম্মেলন শুরুর আগে কিয়ার স্টারমার বিভিন্ন দেশের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কেউ দেখতে চায় না।গণমাধ্যমকে স্টারমার বলেন, ‘আমরা তিন বছর ধরে চলমান একটি সংঘাতের মধ্যে রয়েছি। এখন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি শান্তির দিকে এগোতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্স এবং সম্ভবত আরও এক–দুটি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য। পরে ওই পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করা...
হোয়াইট হাউসে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেই দুষছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। বৈঠকে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে জেলেনস্কি যে কথা তুলেছিলেন, তা নিয়ে পরে আলোচনা করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারপরও বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে জোরাজুরি করেছিলেন জেলেনস্কি।শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি সম্পর্কে জানাশোনা আছে—এমন ব্যক্তিরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের ভাষ্য, সেদিন বৈঠকের আগে ইউক্রেনের কমকর্তাদের মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রী পর্যায়ে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তিতে সই করতে চান ট্রাম্প। এ সময় দুই পক্ষের সহকারীরা ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে বিস্তারিত কাজ করবেন।যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ সম্পদ চুক্তিকে দুই দেশের বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছিলেন ট্রাম্প। তিনি সহকারীদের বলেছিলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে কার্যকরভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে যাচ্ছে, তা ওই চুক্তির মাধ্যমে...
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগ্বিতণ্ডার ঘটনাটি ঘিরে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এই উদ্বেগের কারণ ট্রাম্পের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার চেষ্টা বলেন বিবিসির সাংবাদিক জেরেমি বোয়েন। ইউক্রেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভ্লাদিমির ফেসেঙ্ক এএফপিকে বলেছেন, ইউক্রেনকে নিয়ে মার্কিন মনোভাব কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ভালো কিছু হবে, এটা ধারণা করাও ঠিক হবে না। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডার পর...
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে আলোচনার পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ‘সম্ভবত আরও এক বা দুইজন’ যুদ্ধ বন্ধে কিয়েভের সাথে কাজ করবে। এই সম্মত শান্তি পরিকল্পনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করা হবে। রবিবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। এর পরেই জেলেনস্কি যুক্তরাজ্যে ছুটে যান ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে। স্টারমার বিবিসিকে বলেছেন, “আমি মনে করি আমরা সঠিক দিকে একটি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের...
হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার বৈঠকে উত্তেজনা যত বাড়ছিল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখের হাসি ততোই চওড়া হচ্ছিল। খুশিতে হয়তো তিনি বগলও বাজিয়ে থাকতে পারেন। কারণ ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এতোটা অপদস্থ কখনোই হতে হয়নি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। ওই বৈঠকের পর কিয়েভকে সামরিক সহয়তা ওয়াশিংটন বন্ধ করে দিতে পারে বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের সূত্র। রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তার পাশাপাশি আনুমানিক ৬৪ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে। জার্মান গবেষণা সংস্থা কিয়েল ইনস্টিটিউটের মতে, ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে মোট মার্কিন সাহায্য ১১৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে। অথচ একই সময় মোটি ইউরোপীয় অবদানের...
ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধিরা হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান। কীভাবে তাঁরা এমন পরিস্থিতিতে উপনীত হন, তা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ।দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গত শুক্রবার এক বৈঠকে ওই বাগ্বিতণ্ডা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ নিয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।তিনি (জেলেনস্কি) নিজের আচরণ দিয়ে সবার সময় নষ্ট করেছেন।মার্কো রুবিও, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসেদিন বৈঠকের শুরুটা ভালোই ছিল। বিতণ্ডার সূত্রপাত হয় যখন জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলতে শুরু করেন, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মস্কোর সঙ্গে একটি চুক্তির যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেখানে নিরপেক্ষ ভূমিকায় না থেকে ট্রাম্পের উচিত কিয়েভকে আরও বেশি সমর্থন করা।তখন ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের...
১৯৪১ সালের আগস্টে পার্ল হারবারে জাপানের হামলার প্রায় চার মাস আগে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ও উইনস্টন চার্চিল নিউফাউন্ডল্যান্ডের প্লাসেনশিয়া উপসাগরে যুদ্ধজাহাজে বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা আটলান্টিক চার্টারে সম্মত হন—একটি যুগান্তকারী ঘোষণা, যেখানে বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো যুদ্ধপরবর্তী পৃথিবীর জন্য ‘সাধারণ নীতিমালা’ নির্ধারণ করেছিল।চার্টারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মূলনীতি ছিল, কোনো রাষ্ট্র অন্যের ভূখণ্ড দখল করবে না, যারা স্বাধীনতা হারিয়েছে, তাদের সার্বভৌম অধিকার ও স্বশাসন ফিরিয়ে দেওয়া হবে, মানুষ ভয় ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবে, সমুদ্রপথ থাকবে স্বাধীন এবং সব দেশ সমান শর্তে বাণিজ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুযোগ পাবে।এই চার্টার ছিল আমেরিকার কূটনৈতিক দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিন্তু শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বিশ্ব দেখল তার বিপরীত দৃশ্য। ইউক্রেনের বিপর্যস্ত নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে এসেছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট রাখতে চাইছিলেন। তাঁর দেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ছাড়া সবকিছু...
ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একত্রিত হচ্ছেন ইউরোপীয় দেশের নেতারা। স্থানীয় সময় আজ রোববার লন্ডনে এ গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার এই সম্মেলন আহ্বান করেন। ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন নিয়ে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ও কানাডিয়ান নেতারা সম্মেলনে যোগ দিবেন। খবর বিবিসির বিস্তারিত আসছে...
ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একত্রিত হচ্ছেন ইউরোপীয় দেশের নেতারা। স্থানীয় সময় আজ রোববার লন্ডনে এ গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার এই সম্মেলন আহ্বান করেন। ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন নিয়ে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ও কানাডিয়ান নেতারা সম্মেলনে যোগ দিবেন। খবর বিবিসির বিস্তারিত আসছে...
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে শুক্রবার এক ঐতিহাসিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, আপনি আজ বেশ সাজগোজ করে এসেছেন। ট্রাম্প মূলত ইঙ্গিত করছিলেন জেলেনস্কির সামরিক ধাঁচের কালো সোয়েটশার্টের দিকে, যা ইউক্রেনের জাতীয় প্রতীক ‘ত্রিশূল’ চিহ্নিত ছিল। ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে জেলেনস্কি সরকারি বৈঠক, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, এমনকি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সময়ও স্যুট-টাই বাদ দিয়ে এই সামরিক পোশাকই বেছে নিয়েছেন। জেলেনস্কির মতে, এটি ইউক্রেনের যোদ্ধাদের প্রতি সংহতি প্রকাশের একটি প্রতীক। তবে দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন ডানপন্থি সমালোচকদের মধ্যে এটি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। আর শুক্রবারের বৈঠকে সেই বিতর্ক যেন নতুন মাত্রা পেল। বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হলে কট্টর রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম রিয়েল আমেরিকা’স ভয়েস-এর প্রধান হোয়াইট হাউস প্রতিবেদক ব্রায়ান গ্লেন...
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে গত শুক্রবারের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।এ ঘটনা প্রমাণ করে, ভ্যান্স তাঁর কিছু পূর্বসূরির মতো নিজেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে না রেখে একজন আক্রমণকারীর ভূমিকা নিতে নির্ভীক।আরও পড়ুন১০ মিনিটের উত্তাপে কীভাবে ট্রাম্প-জেলেনস্কির আলোচনা ভেঙে গিয়েছিল১৮ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসের বৈঠকে জেলেনস্কির ওপর আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভ্যান্স। এরপর আক্রমণে যোগ দেন ট্রাম্প।বৈঠকটি ততক্ষণ সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল, যতক্ষণ ভ্যান্স ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসার প্রসঙ্গ তোলেন।জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘জেডি (ভ্যান্স), কী ধরনের কূটনীতির কথা আপনি বলছেন?’ওয়াশিংটন-মস্কোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার সমালোচক জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আপনি কী বলতে চান?’জবাবে ইউক্রেনীয় নেতাকে কড়াভাবে ভ্যান্স বলেন, ‘আমি এমন কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশ ধ্বংসের ইতি ঘটাতে চলেছে।’আরও পড়ুন‘কেন স্যুট পরে আসেননি’, সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লন্ডনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে তিনি জেলেনস্কিকে বলেন, আমরা আপনার ও ইউক্রেনের সঙ্গে আছি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে স্টারমার ইউক্রেনের প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানান। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার যুক্তরাজ্যে পা রাখার পর জেলেনস্কিকে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে উষ্ণ আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাজ্যের অটল সমর্থনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “পুরো যুক্তরাজ্য আপনার সাথে আছে। যতদিন প্রয়োজন, আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব।” আরো পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে ঝড় তুলে লন্ডনে জেলেনস্কি, যুদ্ধের পরিণতি কী তুরস্কে রুশ-মার্কিন বৈঠক, ‘গা জ্বলছে পশ্চিমা এলিটদের’ স্টারমার আরো জানান, লন্ডনে সাধারণ মানুষও জেলেনস্কির প্রতি...
ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিটে এক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এভাবেই আশ্বস্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।জবাবে স্টারমারকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, এমন বন্ধু থাকায় তাঁর দেশ খুব খুশি।হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদপূর্ণ এক বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে এসেছেন জেলেনস্কি।ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাগ্বিতণ্ডার পর কোনো চুক্তি সই না করেই জেলেনস্কিকে চলে আসতে হয়েছে।তবে লন্ডনে স্টারমার-জেলেনস্কি ২২৬ কোটি পাউন্ডের একটি চুক্তি সই করেছেন। যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে ওই অর্থ ঋণ হিসেবে দেবে যুক্তরাজ্য। রুশ বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর রাশিয়ার যেসব সম্পদ জব্দ করা হয়, যুক্তরাজ্য সেগুলোর মুনাফা থেকে ওই ঋণ পরিশোধ করে নেবে।গতকাল শনিবার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর স্টারমার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনা বৈশ্বিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। একই চিত্র দেখা গেছে ইউরোপের গণমাধ্যমেও।স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রধান সংবাদ এখন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক। জেলেনস্কির প্রতি ট্রাম্পের আচরণের সমালোচনা করে ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ওভাল অফিসে রাষ্ট্রনায়কের মতো আচরণ করেননি, বরং ‘মাফিয়া বসদের’ মতো আচরণ করেছেন।ফরাসি দৈনিক লে ফিগারো ট্রাম্পকে একজন রুশ শাসকের সঙ্গে তুলনা করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘আমেরিকাতে এখন একজন জারের খেলা খেলছেন, যিনি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ভুলেছেন এবং পশ্চিমাদের পতন চান।’ ফরাসি দৈনিকটি আরও বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগামী শাসনামল সম্পর্কে এখান থেকে ধারণা পাওয়া যায়।যুক্তরাজে্যর সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ বলেছে, ‘পশ্চিমা ঐক্য অপরিহার্য বলেই মনে হচ্ছে।’ পত্রিকাটি...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লন্ডনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে তিনি জেলেনস্কিকে বলেন, আমরা আপনার ও ইউক্রেনের সঙ্গে আছি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে স্টারমার ইউক্রেনের প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানান। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বৈঠকে জেলেনস্কি বলেন, এমন বন্ধু পেয়ে আমরা খুশি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক বাকবিতণ্ডায় রূপ নেয়। এরপরই তিনি যুক্তরাজ্যে আসেন। সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ২ দশমিক ২৬ বিলিয়ন পাউন্ডের ঋণ অনুমোদন করেছে, যা রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদের মুনাফা থেকে পরিশোধ করা হবে। এদিন স্টারমার ট্রাম্প ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গেও আলোচনা করেন। রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে...
‘কেন আপনি স্যুট পরে আসেনি? আপনার কি একটি স্যুটও নেই? অফিসের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়ায় অনেক আমেরিকানের আপনাকে নিয়ে সমস্যা আছে।’হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওভাল অফিসে ঢোকার আগেই এভাবে এক রক্ষণশীল সাংবাদিকের প্রশ্নবাণ ও মন্তব্যের মুখে পড়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।গত শুক্রবার ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘কৃতজ্ঞ না থাকা ও সম্মান না দেখানো’ নিয়ে অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছিল। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের তোপের মুখে পড়েন জেলেনস্কি। উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। জেলেনস্কিকে বেশির ভাগ সময় গলাবন্ধ সোয়েটশার্ট পরতে দেখা যায়। সাধারণত সেই শার্টের বুকের কাছে ইউক্রেনের ত্রিশূল প্রতীক থাকে। এমনকি বিশ্বনেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সব...
স্কি ছুটিতে থাকা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার পরিবারকে ‘অজ্ঞাত স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি শনিবার পরিবারের সঙ্গে ভারমন্ট রাজ্যে ছুটিতে গেলে একদল ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারী তাকে ঘিরে ফেলেন। ফলে সেই ছুটি বাধাগ্রস্ত হয়। ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের পরই এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া বৈঠক থেকে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং মূলত সেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভ্যান্স। বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে শুরু হলেও হঠাৎ করেই ভ্যান্স জেলেনস্কির ওপর তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন যা জেলেনস্কিকে পুরোপুরি অপ্রস্তুত করে ফেলে। ফক্স নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী শনিবার ভ্যান্স ও তার পরিবারকে ‘অজ্ঞাত স্থান ‘ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কারণ তিনি ইউক্রেন সমর্থক বিক্ষোভকারীদের সম্মুখীন হন। বিক্ষোভকারীরা...
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে দেশটির কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রকাশ্যে এভাবে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা এর আগে হয়তো কখনও ঘটেনি। বিরল এ দৃশ্যে হতবাক হয়েছে পুরো বিশ্ব। সেই সঙ্গে বিভক্তও হয়েছে দু’ভাগে। একপক্ষ বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তিতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যপক্ষ বলছে, ট্রাম্প তো শান্তি স্থাপন করতে চান; হত্যাযজ্ঞ থামাতে চান। জেলেনস্কির এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত। এ অবস্থায় ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, তা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। ইউক্রেনে সব ধরনের মার্কিন সহায়তা বন্ধের ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। তবে জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছেন ইউরোপের নেতারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্পকে অপমান ও যুক্তরাষ্ট্রকে খাটো করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। বৈঠকটির ১০ মিনিটের একটি ফুটেজ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফরের আগে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তাদের...
হোয়াইট হাউসে এমন দৃশ্য বিরল। সাংবাদিকদের সামনে বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এটা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র—বিশেষ করে ইউরোপীয় নেতাদের হতবাক করেছে। বিরল এ ঘটনার পর বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পাশে থাকার পর এবার জেলেনস্কির হাত পুরোপুরি ছাড়তে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এর পেছনে রয়েছে ট্রাম্পের বড় কোনো উদ্দেশ্য। তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের পর কিয়েভের ওপর থেকে যে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন তুলে নিচ্ছে, তা শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ঘটনায় স্পষ্ট। আগের মতোই জেলেনস্কির উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার ক্ষেত্রে ইউক্রেনের হাতে কোনো ‘কার্ড’ নেই। অর্থাৎ যে কোনো সমঝোতায় কিয়েভকে বড় ছাড় দিতে হতে পারে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও এক হাত নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। তাঁর ভাষায়, জেলেনস্কি একজন ‘অকৃতজ্ঞ’। ‘অসম্মানজনক’ আচরণ...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে স্টারমার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলেন, আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে আছি।ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের সম্মেলনের আগে এই দুই নেতা বৈঠক করলেন। ওয়াশিংটনে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন জেলেনস্কি। আরও পড়ুন১০ মিনিটের উত্তাপে কীভাবে ট্রাম্প-জেলেনস্কির আলোচনা ভেঙে গিয়েছিল৮ ঘণ্টা আগে১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছলে জেলেনস্কিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান স্টারমার। পরে দুনেতা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এ সময় স্টারমার বলেন, ‘যতদিন প্রয়োজন আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব।’স্টারমার ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য ‘অটল সংকল্পের’ কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশটিকে ২ দশমিক ২৬ বিলিয়ন...
কিয়েভের পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। শহর ও দেশজুড়ে এক ধরনের ভয় মিশ্রিত প্রত্যাশা ছিল। সামরিক পদক্ষেপের অবসান কিংবা রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হবে– প্রত্যাশাটি এমন ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, আমরা কীসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম তা মোটেও পরিষ্কার ছিল না, তবে এর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের ব্যাপারে মার্কিননীতি পরিবর্তনের সম্পর্ক ছিল। গতকাল হোয়াইট হাউসের মঞ্চে উৎকণ্ঠা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ট্রাম্প ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে খনিজ পদার্থ বিষয়ক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা এবং তাঁকে অপমান করার আগে করমর্দন, সম্মতিজ্ঞাপন বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুষ্টিবদ্ধ হাতে হাত লাগানো সবই করেছেন। একই সময়ে উত্তর ও পূর্ব ইউক্রেনে বিমান হামলার সাইরেন বাজছিল। ফলাফল, আলোচনা বন্ধ হয়ে গেল এবং জেলেনস্কি বিদায় নিলেন। টিভি ক্যামেরার সামনে যা দেখা গেল, তা ছিল দারুণ ও অসাধারণ। জেলেনস্কিকে দেখাচ্ছিল...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজের বৈঠকে কথায় কথায় খোটা ও ধমক খাওয়ার মধ্যে নিজের অবস্থানে অটল থেকে বাহাস চালিয়ে বিশ্বজুড়ে ঝড় তোলার পর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে ট্রাম্পের সর্বাত্মক চাপের মধ্যে ইউরোপের নেতারা জেলেনস্কির পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী- সবাই জেলেনস্কির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। জেলেনস্কিও তাদের ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এখন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, ইউরোপ কেন জেলেনস্কিকে সমর্থন করছেন আর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পরিণতিইবা কী হতে যাচ্ছে। কারণ, জেলেনস্কির সফর সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করে রাশিয়ায় উল্লাস দেখা চলছে। মস্কো বলছে, বিনা যুদ্ধবিরতিতে জিতে গেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আরো পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে ‘সিংহের মতো লড়েছেন’ জেলেনস্কি ট্রাম্প-জেলোনস্কি বৈঠকের অপেক্ষা, পর্যবেক্ষণে রাশিয়া...
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডা ও বৈঠক ভেস্তে যাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইইউ নেতাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রকাশ্য বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। মূল্যবান খনিজ নিয়ে চুক্তি ও ভবিষ্যৎ রুশ হামলা ঠেকাতে ট্রাম্পের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ ও মার্কিন সহায়তা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর কোনো চুক্তি ছাড়াই আকস্মিকভাবে বৈঠকটি শেষ হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প ও ভ্যান্স। পরবর্তীতে ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। ক্ষমা চাইতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো...
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডা ও বৈঠক ভেস্তে যাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইইউ নেতাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রকাশ্য বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। মূল্যবান খনিজ নিয়ে চুক্তি ও ভবিষ্যৎ রুশ হামলা ঠেকাতে ট্রাম্পের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ ও মার্কিন সহায়তা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর কোনো চুক্তি ছাড়াই আকস্মিকভাবে বৈঠকটি শেষ হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প ও ভ্যান্স। পরবর্তীতে ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। ক্ষমা চাইতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আশা করেছিলেন, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে আলোচনা শেষ করতে পারবেন। তারপর সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়বেন।শেষ পর্যন্ত তা হয়নি; বরং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সামনে খুব বাজেভাবে নাজেহাল হয়েছেন জেলেনস্কি। বৈঠক চলাকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডা হয়।রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে জেলেনস্কির আরও বেশি করে কাজ করা উচিত বলে ট্রাম্প ও ভ্যান্স পরামর্শ দিলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তাতে সায় দেননি। এতে ট্রাম্প ও ভ্যান্স ক্ষেপে গিয়ে বলেন, জেলেনস্কি তাঁদের অসম্মান করছেন।একপর্যায়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে চলে যেতে বলা হয়। বৈঠক শেষে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির যৌথ সম্মেলন করার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। দুপক্ষের মধ্যে খনিজ সম্পদ চুক্তিটিও স্বাক্ষর হয়নি। জেলেনস্কি গাড়িতে করে হোয়াইট হাউস...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছিল। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা চলার পর এমন পরিস্থিতি হয়। যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিলের কথা জানানো হয় জেলেনস্কিকে। গতকাল হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই নেতার মধ্যে নজিরবিহীন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। খবর বিবিসির ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুক্রবার দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে চুক্তি সইয়ের কথা ছিল। তবে চুক্তি সই হওয়ার আগেই জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করার কথা জানায় হোয়াইট হাউস। এর পর জেলেনস্কি ও তার সঙ্গে থাকা ইউক্রেনের অন্য কর্মকর্তাদের হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। ট্রাম্প কথা কাটাকাটির সময় জেলেনস্কিকে কৃতজ্ঞ হওয়ার জন্য...
ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধের কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পরে ওয়াশিংটন পোস্টকে এমনটাই বলেছেন হোয়াইট হাউজের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। শনিবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে বৈঠকে বাগবিতণ্ডায় জড়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বাতিল করা হয় দুই নেতার যৌথ সংবাদ সম্মেলন। এর পরপরই হোয়াইট হাউজ থেকে জেলেনস্কিকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। আরো পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাজেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছিল ট্রাম্প-জেলেনস্কির...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডার পর ইউক্রেনীয়রা বলছেন, তাদের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিন্দার মুখেও তার দেশের মর্যাদা ও স্বার্থের পক্ষে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তিদের সঙ্গে সিংহের মতো লড়াই করেছেন। জেলেনস্কি এখন ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ মার্চ) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাদের মধ্যে তুমুল বাকযুদ্ধ হয়। তাতে শামিল হন ভ্যান্সও। দুজনে মিলে যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ দিতে থাকলে জেলেনস্কি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করবেন না। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ট্রাম্প। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প টিম জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির এই আলোচনা বিশ্ব গণমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার হয়েছে। ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও ক্লিপ। স্বভাবতই...
কুমিল্লা নগরের চর্থা বড় পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা মোতাসিন বিল্লাহ চৌধুরীর বয়স এখন ৬৩। তাঁর প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন চেক প্রজাতন্ত্রে বাস করা ইউক্রেনের নাগরিক সালো নাদিয়া। ৫০ বছর বয়সী এই নারী একজন মনোবিদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঁচ বছরের পরিচয় ও তিন বছরের প্রেমের সম্পর্কের অবশেষে তাঁরা পূর্ণতা দিয়েছেন।গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন নাদিয়া। ২৫ ফেব্রুয়ারি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে দুজন দাম্পত্যজীবনে আবদ্ধ হন। প্রেমিক মোতাসিন বিল্লাহ চৌধুরী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বিয়ের পর নাদিয়াকে নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন তিনি। দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তাঁরা।সালো নাদিয়াকে বিয়ে করার আগে মোতাসিন বিল্লাহ অবিবাহিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে নাদিয়ার আগে বিয়ে হয়েছিল। অনেক আগেই তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে। পরিবারে নাদিয়ার ছোট দুই বোন আছে। তাঁদের একজন শিক্ষক, অন্যজন চিকিৎসক।মোতাসিন বিল্লাহ...
খনিজ উপাদান হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি ও যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য শুক্রবার ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তেজনা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে সেই বৈঠক এবং ওয়াশিংটন থেকে জেলেনস্কি ফিরে গেছেন কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর না করেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা ট্রাম্প-জেলেনস্কির ওই বৈঠককে উত্তেজনার এক নজিরবিহীন মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন। হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈঠকের এক পর্যায়ে জেলেনস্কিকে চলে যেতে বলা হয়। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগবিতণ্ডা, প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন বিশ্ব নেতারা ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্র ব্যবহার করলে মামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের বিবিসি বলছে, হোয়াইট হাউজে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকের পর...
হোয়াইট হাউজে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তীব্র বাগবিতণ্ডার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। অনেক বিশ্বনেতা ইউক্রেনের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। খবর রয়টার্সের। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্স পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া অবৈধ এবং অন্যায়ভাবে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। তিন বছর ধরে ইউক্রেন সাহস এবং ধৈর্যের সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই লড়াই আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কানাডা সব সময় ইউক্রেন এবং তাদের নাগরিকদের পাশে থাকবে।” জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, “ইউক্রেনের নাগরিকদের চেয়ে বেশি শান্তি আর কেউ চায় না। সেই কারণেই আমরা যৌথভাবে একটি স্থায়ী এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তির পথ খুঁজছি। এক্ষেত্রে ইউক্রেন জার্মানি উপর নির্ভর...
উত্তপ্ত ১০ মিনিটের বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে ভেস্তে গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের আলোচনা। হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর জের ধরে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে চলে যেতে বলা হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। ট্রাম্প কথা কাটাকাটির সময় জেলেনস্কিকে কৃতজ্ঞ হওয়ার জন্য বলেন এবং একইসঙ্গে তিনি ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন’ বলে অভিযোগ করেন। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কোনো আপস করবেন না। বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন জেলেনস্কি’। জবাবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি...
হোয়াইট হাউসে গতকাল শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডা দুঃখজনক হলেও অপ্রত্যাশিত ছিল না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলার পর যুদ্ধ সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের লাখো কোটি ডলারের সহায়তা পাঠানোর ঘোর বিরোধী ছিলেন ট্রাম্প। তিনি এ নিয়ে শুরু থেকেই সরব ছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় লেগে দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। যদিও কীভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন তা নিয়ে ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু বলেননি। গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। এসব থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছিল ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই তিনি শান্তি আলোচনা শুরু করতে চলেছেন। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে কিয়েভ ক্ষুব্ধ হয়। ইউরোপের দেশগুলো হতবাক হয়।তারপর থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের...
ওভাল অফিসে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সম্পর্ক ছিল টানাপোড়েনের। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, ইউক্রেনই যুদ্ধ শুরু করেছিল। ফলে জো বাইডেনের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন মৈত্রী এখন চরম সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। খবর বিবিসির শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই প্রকাশ্য বিরোধ শুধু ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যেই নয়, বরং ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কেও বড় ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউক্রেন ছাড়াও ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়েও এখন আরও অনেক সংশয় ও প্রশ্ন দেখা দেবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন, সেটি হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি তাঁর একসময়ের পূর্বসূরি হ্যারি ট্রুম্যানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন? ১৯৪৯ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ঘোষণা দেন, ন্যাটো জোটের কোনো দেশের ওপর হামলা যুক্তরাষ্ট্র নিজের...
ওভাল অফিসে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সম্পর্ক ছিল টানাপোড়েনের। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, ইউক্রেনই যুদ্ধ শুরু করেছিল। ফলে জো বাইডেনের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন মৈত্রী এখন চরম সংকটে। খবর বিবিসির শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই প্রকাশ্য বিরোধ শুধু ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যেই নয়, বরং ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কেও বড় ধরনের সংকেত দিচ্ছে। ইউক্রেন ছাড়াও ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়েও এখন আরও অনেক সংশয় ও প্রশ্ন দেখা দেবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন, সেটি হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি তাঁর একসময়ের পূর্বসূরি হ্যারি ট্রুম্যানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন? ১৯৪৯ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ঘোষণা দেন, ন্যাটো জোটের কোনো দেশের ওপর হামলা যুক্তরাষ্ট্র নিজের ওপর...
প্রায় ৬ বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে প্রেম এবং অতঃপর বিয়ে। প্রেমের টানে ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশে এসেছে বিয়ে করেছে সালো নাদিয়া নামের ৫০ বছরের এক নারী। তার স্বামী কুমিল্লা নগরীর মোতাসিন বিল্লাহ। বয়স ৬৩। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল এ বিয়ে। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন নাদিয়া। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন দুজন। এর পর থেকে নববধূকে দেখতে লোকজন ছুটে যাচ্ছেন বাড়িতে। প্রেমিক মোতাসিন বিল্লাহ কুমিল্লা নগরীর চর্থা বড়পুকুর পাড় এলাকার মৃত আব্দুল হালিম চৌধুরীর ছোট ছেলে। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নাদিয়াকে নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। আজ শনিবার দুপুরে সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন মোতাসিন বিল্লাহ। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় সাইকোলজিস্ট সালো নাদিয়ার...
খনিজ উপাদান হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি ও যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য শুক্রবার ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তেজনা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে সেই বৈঠক এবং ওয়াশিংটন থেকে জেলেনস্কি ফিরে গেছেন কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর না করেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে প্রথম বিতর্ক বাঁধে জেলেনস্কির। বৈঠকের শুরুতে জে ডি ভ্যান্স বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কূটনৈতিক তৎপরতা। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-জেলোনস্কি বৈঠকের অপেক্ষা, পর্যবেক্ষণে রাশিয়া তুরস্কে রুশ-মার্কিন বৈঠক, ‘গা জ্বলছে পশ্চিমা এলিটদের’ ভ্যান্সের এই বক্তব্যের পর জেলেনস্কি তাকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কোন ধরনের...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা চলার পর এমন পরিস্থিতি হয়। যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিলের কথা জানানো হয় জেলেনস্কিকে। গতকাল হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই নেতার মধ্যে নজিরবিহীন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গতকাল দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে চুক্তি সইয়ের কথা ছিল। তবে চুক্তি সই হওয়ার আগেই জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করার কথা জানায় হোয়াইট হাউস। এর পর জেলেনস্কি ও তাঁর সঙ্গে থাকা ইউক্রেনের অন্য কর্মকর্তাদের হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন। ট্রাম্প...
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি বৈঠক উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়েছে। ও্রই বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন জেলেনস্কি’। জবাবে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো আপস করবেন না। শুধু ট্রাম্প নয়, জেলেনস্কির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও। ওভাল অফিসে বসে বিতণ্ডায় জড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জেলেনস্কি অসম্মান করেছেন মন্তব্য করে ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি একবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন না।’ মাথা নেড়ে ভ্যান্সের কথায় সায় দেন ট্রাম্প। এ সময় গলার স্বর উঁচু করে জেলেনস্কি উত্তর দেন, ‘বহুবার বলেছি, আমেরিকার জনগণকে ধন্যবাদ।’ উত্তপ্ত ১০ মিনিটেই ভেঙে যায় ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনা। এর জের ধরে জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস থেকে চলে যান। পরে পূর্ব...
ওভাল অফিসে বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হওয়ার আগে থেকেই দুই নেতার সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ দিকে মোড় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে একজন স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, একটা মিথ্যার ওপর রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্পের পূর্বসূরি বাইডেনের পৃষ্ঠপোষকতায় তিন বছরে গড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন জোট এখন টুকরা হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্পর্কের প্রকাশ্য ভাঙন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সমস্যা বাঁধার ইঙ্গিতও বটে।ইউক্রেন ছাড়াও ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়েও এখন আরও অনেক সংশয় ও প্রশ্ন দেখা দেবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন, সেটি হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি তাঁর একসময়ের পূর্বসূরি হ্যারি ট্রুম্যানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন? ১৯৪৯ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ঘোষণা দেন, ন্যাটো জোটের...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জন্য এটি ছিল এক বিশাল ধাক্কা। সেখান থেকে আর ফেরার কোনো উপায় নেই। এখন ইউক্রেনের একমাত্র ভরসা ইউরোপ।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যে যা-ই ভাবুক, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া হোয়াইট হাউসের ওই বৈঠকের টেলিভিশন সম্প্রচার দেখে সবাই হতবাক হয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছিল যে আরেকটু হলেই এই আলাপ পুরোপুরি চিৎকার-চেঁচামেচির পর্যায়ে চলে যেত।এই বৈঠক উত্তপ্ত হতেই পারত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের উপস্থিতি একে দ্রুত বিশ্রী রূপে নিয়ে গেল। জেলেনস্কির কথা বারবার থামিয়ে দিয়ে ভ্যান্স বললেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি—‘আপনি কি কখনো ধন্যবাদ দিয়েছেন?’। তিনি আরও অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি ট্রাম্পকে যথাযথ সম্মান দেখাচ্ছেন না। এর চেয়ে বড় কথা, খোলাখুলি নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করায় তাঁকে ভর্ৎসনা করলেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে...
ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডার পর কী বললেন স্টারমার ও আলবানিজ ওকে: নকিব সেকশন: বিশ্ব: ট্যাগ: সোশ্যাল ও একসার্প্ট: মেটা: ছবি: ক্যাপশন: ইউক্রেনের প্রতি ‘নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন’ দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজও যত দিন প্রয়োজন ‘ইউক্রেনের পাশে থাকার’ কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডার পর বিশ্বনেতারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। কেউ ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন, কেউ ইউক্রেনকে সমর্থন জানানো অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের পর গতকাল শুক্রবার স্টারমার উভয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন।এ নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রতি নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন...
বৈশ্বিক আর্থিক বাজার এমনিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে নিম্নমুখী। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি সঙ্গে যেভাবে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাতে বিনিয়োগকারীরা স্তম্ভিত। এর প্রভাব পড়েছে আর্থিক বাজারে। সেই বাদানুবাদ আবার ঘরের ভেতরে হয়নি, বৈশ্বিক গণমাধ্যমের সামনেই দুই নেতা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় বিনিয়োগকারীরা রীতিমতো আতঙ্কিত। ফলে এ সময় যা হয় তা–ই হয়েছে—বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মাধ্যমে বিনিয়োগের দিকে গেছেন, যেমন মার্কিন সরকারের ট্রেজারি। এ ঘটনায় রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চুক্তি নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।ট্রাম্প-জেলেনস্কি প্রকাশ্য বাদানুবাদের পর যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদহার ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ থেকে কমে ৪ দশমিক ২৩ শতাংশে নেমে আসে। ইউরোপের ফিউচার স্টকের দাম পড়েছে। ডিএএক্স ও সিএসি ৪০ সূচক শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ পড়েছে; ইউরোস্টক্স...
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়। এ ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। খবর রয়টার্স শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পরই এক্স পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ধন্যবাদ আমেরিকা, ধন্যবাদ আমাদের সমর্থন করার জন্য, ধন্যবাদ আমাদের দেখে রাখার জন্য। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস এবং জনগণের প্রতি। ইউক্রেনের শান্তি দরকার। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্স পোস্টে বলেন, রাশিয়া অবৈধ এবং অন্যায়ভাবে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেন সাহস এবং ধৈর্যের সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই লড়াই আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কানাডা সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর...
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়। এ ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। খবর রয়টার্স শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পরই এক্স পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ধন্যবাদ আমেরিকা, ধন্যবাদ আমাদের সমর্থন করার জন্য, ধন্যবাদ আমাদের দেখে রাখার জন্য। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস এবং জনগণের প্রতি। ইউক্রেনের শান্তি দরকার। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্স পোস্টে বলেন, রাশিয়া অবৈধ এবং অন্যায়ভাবে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেন সাহস এবং ধৈর্যের সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই লড়াই আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কানাডা সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর...
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়। এ ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। খবর রয়টার্স শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পরই এক্স পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ধন্যবাদ আমেরিকা, ধন্যবাদ আমাদের সমর্থন করার জন্য, ধন্যবাদ আমাদের দেখে রাখার জন্য। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস এবং জনগণের প্রতি। ইউক্রেনের শান্তি দরকার। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্স পোস্টে বলেন, রাশিয়া অবৈধ এবং অন্যায়ভাবে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেন সাহস এবং ধৈর্যের সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই লড়াই আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কানাডা সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন উত্তপ্ত বৈঠকের পর দেশটির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ঝালাই করে নেওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈঠকে ট্রাম্প চিৎকার-চেঁচামেচি করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখনো মেরামত হতে পারে। গতকাল হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠাকে প্রত্যাখ্যান করছেন বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ শেষে ট্রাম্প-সমর্থক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকার দেন জেলেনস্কি। সাক্ষাৎকারে ওই আশা ব্যক্তি করেন তিনি।সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কির কাছে জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই।’যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যকার সম্পর্ক ‘দুই প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের চেয়ে বেশি’ বলে মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, বিশাল ও...
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের চিকিৎসাকেন্দ্র এবং আরও বেশ কিছু স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে এসব হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবোভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, রাশিয়ার আটটি ড্রোন শহরের তিন জেলায় বেসামরিক এলাকায় আঘাত হেনেছে। গত তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে ওই এলাকায় এর আগেও বেশ কয়েকবার হামলা চালানো হয়েছে। সিনিয়েহুবোভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছে। তবে মেয়র ইহোর তেরেখোভ জানিয়েছেন কমপক্ষে সাতজন এসব হামলায় আহত হয়েছে। সিনিয়েহুবোভ জানিয়েছেন, ড্রোন হামলার পর আগুন ধরে যাওয়ায় ৫০ জনকে চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং জরুরি কর্মীরা...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘উত্তপ্ত’ বৈঠকের পর পূর্ব আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন না করেই হোয়াইট হাউস থেকে চলে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে চুক্তিতে সইও করেননি। জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে এ বৈঠকের পর শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন। জেলেনস্কির হোয়াইট হাউস থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন, যেখানে ট্রাম্প ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ে জেলেনস্কিকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে অভিযুক্ত করেন। ট্রাম্পের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, একজন খুনিকে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়। পুতিনের বিষয়ে ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থানের সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। একজন...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘উত্তপ্ত’ বৈঠকের পর পূর্ব আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন না করেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে চুক্তিতে সইও করেননি। জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে ‘বিতর্কিত’ বৈঠকের পর শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন। তিনি বলেন, জেলেনস্কির হোয়াইট হাউস থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বিস্ফোরক দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন, যেখানে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য অকৃতজ্ঞ বলে অভিযুক্ত করেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। খারকিভের চিকিৎসাকেন্দ্র ও বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে এ হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনেইহুবভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাপ টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেছেন, রাশিয়ার আটটি ড্রোন তিনটি বেসামরিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে প্রায়ই এসব জায়গা রাশিয়ার হামলার নিয়মিত লক্ষ্যবস্তু।সিনেইহুবভ বলেন, হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। অবশ্য মেয়র ইহোর তেরেকহভ বলেছেন, হামলায় আহতের সংখ্যা সাতজন।সিনেইহুবভ আরও বলেছেন, হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলাস্থল থেকে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে চিকিৎসাকর্মী ও জরুরি উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন।ইউক্রেনে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, শীতে বিপর্যস্ত মানুষট্রাম্প ‘বদমাশ’ জেলেনস্কিকে সংযম দেখিয়েছেন: রাশিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে চুক্তি হলে ইউক্রেন ও ইউরোপের ওপর তার যে বিশাল নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, সেটা নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে। কিন্তু ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে যদি চুক্তি হয়েই যায়, তাহলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্ক কতটা ঝুঁকিতে পড়বে, তার থেকেও বড় একটা ঝুঁকি রয়েছে।ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন তিন বছর পার করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও সংশয় বেড়েছে। আবারও ঘটনাপ্রবাহ সেই ১৯৩৮ সালের মিউনিখের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে দুঃখজনকভাবে মিলে যাচ্ছে।পুতিনকে সন্তুষ্ট করা যাবে, এই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে পরাশক্তিরা আবারও নিজেরা দুর্বল রাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে। ১৯৩৮ সালে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল চেকোস্লোভাকিয়ার ক্ষেত্রে। জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন মিলে চেকোস্লোভাকিয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল।...
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে শুক্রবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগ্বিতণ্ডার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বৈঠকে ট্রাম্প ‘বদমাশ’ জেলেনস্কিকে যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছেন।রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম পোস্টে লিখেন, ‘আমি মনে করি, জেলেনস্কির একগাদা মিথ্যা কথার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যাটি ছিল, হোয়াইট হাউসে তিনি দাবি করেছেন, ২০২২ সালে কিয়েভ সরকার একা ছিল। কোনো সমর্থন পায়নি।’আরও পড়ুনবাগ্বিতণ্ডায় জড়ালেও ট্রাম্পের প্রশংসায় রিপাবলিকানরা, জেলেনস্কির পাশে ইউরোপীয় মিত্ররা ৩৮ মিনিট আগেমারিয়া জাখারোভা আরও লিখেন, ‘ট্রাম্প ও ভ্যান্স (যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট) কীভাবে সেই বদমাশকে আঘাত করা থেকে বিরত ছিলেন; সেটা সংযম প্রদর্শনের এক অলৌকিক ঘটনা।’ট্রাম্প–জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। এক্স পোস্টে তিনি জেলেনস্কিকে একজন ‘উদ্ধত শূকর’ বলে মন্তব্য...
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের বৈঠকে নজিরবিহীন বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার দুই নেতার বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজনার পারদ চড়ায় যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। এতকিছুর পরও প্রশংসায় ভাসছেন ট্রাম্প। আর জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স ও স্পেনের মতো ইউরোপের দেশগুলো। যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল হওয়ার পর জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। এর পরপরই ট্রাম্পের প্রশংসায় সরব হয়ে ওঠেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ট্রাম্প প্রশাসনের অনেকেই।আরও পড়ুনহোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে এক পোস্টে চারবার ‘ধন্যবাদ’ দিলেন জেলেনস্কি৪৯ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট ব্যাসেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, বিশ্বমঞ্চে আমেরিকান জনগণ এবং আমাদের জাতির পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’দেশটির কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রলিন্স এক্স পোম্টে লিখেন, ‘আমেরিকান নেতৃত্ব ফিরে এসেছে—ওভাল অফিসে ও বিশ্ব মঞ্চে। নির্ভীক,...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে মুখোমুখি বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর পর হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে চারবার ধন্যবাদ জানান তিনি।পোস্টে জেলেনস্কি লিখেন, ‘ধন্যবাদ যুক্তরাষ্ট্র, আপনাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ, এই সফরের জন্যও ধন্যবাদ।’ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস ও আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ। ইউক্রেনের ন্যায্যতা ও স্থায়ী শান্তি প্রয়োজন এবং আমরা ঠিক সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।’রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখন শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে হোয়াইট হাউসে যান জেলেনস্কি। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসে দুনেতা বৈঠকে বসেন। যদিও এ সময় বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান দুজনে।সাংবাদিকদের সামনে এই বৈঠকে জেলেনস্কিকে একের পর আক্রমণ করে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। জেলেনস্কি ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া...
এত দিন ছিল পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই; কিন্ত এবার মুখোমুখি বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠকে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে ট্রাম্পের পূর্বসূরি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি ডলারের অস্ত্র ও অর্থসহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন; কিন্তু গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। জেলেনস্কির সমালোচনা করছেন ট্রাম্প। যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দোষারোপ করে আসছিলেন তিনি। তাই সবার চোখ ছিল গতকালের বৈঠকে।ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন বাতিল হয়ে গেলে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।...
ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করছে কিয়েভ। চুক্তি সই করতে ওয়াশিংটনে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান একটি চুক্তিতে সই করবেন।চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনিজ সম্পদ থেকে আয়ের অর্ধেক একটি পুনর্গঠন তহবিলে জমা দেবে কিয়েভ। এই তহবিলের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় যৌথভাবে থাকবে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র। এই তহবিলের অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হবে এবং কোন কোন খনিজ সম্পদ এর আওতায় থাকবে, সে সম্পর্কে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে বলা হয়েছে, এর মধ্যে খনিজ সম্পদ, জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের পাশাপাশি গ্যাস টার্মিনাল ও বন্দরের মতো অবকাঠামোগুলো এর আওতায় থাকবে।ইউক্রেনের...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন সফর করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলোনস্কি। হোয়াইট হাউজে দুই নেতার বৈঠকের দিকে তাকিয়ে পুরো বিশ্ব, এমন কী গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে রাশিয়া। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ট্রাম্প কি জেলোনস্কির এই সফরে তার সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন? রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনের সুরক্ষার দেওয়ার গ্যারান্টি কি ট্রাম্প দেবেন? এই দুই বড় প্রশ্নের উত্তর দুই নেতার বৈঠক থেকে আসা, না-আসার দিকে নজর রাখছে পুরো বিশ্ব। জেলোনস্কি এমন এক সময় ওয়াশিংটন সফর করছেন, যার ঠিক আগেই দেশটিতে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ইউক্রেনের পক্ষে জোরালো আওয়াজ তোলা স্টারমারের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হয়েছে। তবে তারা ইউক্রেনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, সে বিষয়ে পরিষ্কার বার্তা পাওয়া যায়নি। আরো পড়ুন: তুরস্কে...
ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় সুর নরম করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে তাঁকে এমন অবস্থান নিতে দেখা যায়।তবে ইউরোপ মরিয়াভাবে যা চাইছে, যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ইউক্রেনের সেই নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে কোনো দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকার করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে দুই নেতার মধ্যে বহুল আশাবাদী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা। বৈঠকে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যুক্তরাজ্য সফর করতে ট্রাম্পের হাতে একটি রাজকীয় আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন স্টারমার। ট্রাম্প সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।আমি আশা করি, তিনি (পুতিন) প্রতিশ্রুতি রাখবেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। দীর্ঘদিন ধরেই আমি তাঁকে চিনি। আমি বিশ্বাস করি না যে তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার...
যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তার গ্যারান্টি না দিলে রাশিয়া আবারও ইউক্রেন দখলে নামতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ইউক্রেনে যে কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করার অনুরোধ জানাতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। একমাত্র এটিই ইউক্রেনে আবার আক্রমণ করা থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিরত রাখবে বলে মনে করছেন স্টারমার। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা দেওয়া ইউরোপের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে না। স্টারমার জানান, শুক্রবার ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হবে। ওই সাক্ষাতে ‘বিরাট’ এক চুক্তি হবে দু’দেশের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে আলোচনার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। এ নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো মস্কো ও...
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নিজের আস্থার কথা শুনিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জোর দিয়েছেন ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার ওপর।ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এমন কথাই জানান ঐতিহাসিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এই দুই নেতা। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে স্টারমার এখন ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন।ওভাল অফিসের বৈঠকে রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাজ্য সফর করতে ট্রাম্পের হাতে একটি রাজকীয় আমন্ত্রণপত্র পৌছে দেন স্টারমার। ট্রাম্পও ব্রিটিশ রাজার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।এ সময় ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি আর প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করি, তিনি (পুতিন) প্রতিশ্রুতি রাখবেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। দীর্ঘদিন ধরেই আমি তাঁকে চিনি। আমি বিশ্বাস করি না যে, তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন।’কিয়ার...
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় মিত্র ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধের এই তিন বছরে ইউক্রেনকে অবিচলভাবে সমর্থন দিয়েছে দেশটি; কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিয়েভ নিয়ে অবস্থান বদলাতে শুরু করে ওয়াশিংটন।গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পূর্তির দিন উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল। এতে ইউক্রেনে হামলা চালানোয় রাশিয়ার নিন্দা করা হয়।ইউএনজিএতে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একই দিন আলাদা করে যুক্তরাষ্ট্রও একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। প্রস্তাবে সংঘাতের জন্য স্পষ্ট করে রাশিয়াকে দায়ী করা হয়নি।অন্যদিকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে যুদ্ধের ইতি টানার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।ইউএনজিএতে উত্থাপিত এই দুই প্রস্তাব থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বাড়তে থাকা দূরত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে। একইসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীন...
গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক মাইলফলকে পৌঁছেছে সোনালী বাংলাদেশ ইউকে লিমিটেড (এসবিইউকে)। বাংলাদেশের শেয়ারহোল্ডারদের (অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি) যথাক্রমে ৫১ শতাংশ ও ৪৯ শতাংশ শেয়ারহোল্ডিং অনুযায়ী ২ মিলিয়ন পাউন্ড ডিভিডেন্ড বিতরণ করেছে। এই ডিভিডেন্ড পেমেন্ট প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্থিতিশীলতা, কৌশলগত পুনঃবিন্যাস, বাংলাদেশের প্রতি আস্থার প্রমাণ এবং নিয়মিত চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এসবিইউকের চেয়ারপারসন মো. আশাদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারপারসন মো. মুসলিম চৌধুরী এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মুবারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে তারা তাদের অ্যাকাউন্টে ডিভিডেন্ট জমা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মিটিংটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে (এফআইডি) অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিইও/এমডি মো. শওকত আলী খান, এসবিইউকের সিইও মাসুম বিল্লাহ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের...
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য দুই পক্ষ আগেই তুরস্কে আলোচনার টেবিলে বসেছিল। তখন ভূমিকা রেখেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে যুদ্ধ এখনো থামেনি। এবার একই দেশে রুশ-মার্কিন বৈঠকে জেগেছে নতুন আশা, অগ্রগতিও ভালো বলছে উভয় পক্ষ। অবশ্য এই বৈঠক দেখে পশ্চিমা এলিটদের গা জ্বলছে বলে মন্তব্য করে পুতিন বলছেন, তারা সব ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কূটনৈতিক কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। উভয় পক্ষ আলোচনাকে ‘ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেছেন। আরো পড়ুন: রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১৩, আহত ৩০ রুশ পারমাণবিক সুরক্ষা বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দায় স্বীকার ইউক্রেনের তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ও রাশিয়ার তাস এবং বিবিসি বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত খবর দিয়েছে। এই বৈঠকের...
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ৬ মার্চ অনুষ্ঠেয় বিশেষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্য ইউরোপীয় ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ নিয়ে আলোচনা হবে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তা বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের পাশ কাটিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন, তখন ইউরোপ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। ব্রাসেলসে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে কিয়েভকে সহায়তা এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হবে। আরো পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জরুরি সম্মেলনে বসছেন ইউরোপীয় নেতারা প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে ডিসপোজেবল ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করল বেলজিয়াম এ ছাড়া ইউক্রেনের জন্য নতুন অস্ত্র সরবরাহ চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হওয়া নিয়েও আশাবাদ রয়েছে। ...
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইউরোপের নেওয়া উচিত। টানা তিন বছর ধরে রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও কিয়েভের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে গত মাসে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন নীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে তার সঙ্গে দেখা করে খনিজ সম্পদ ভাগাভাগি সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করবেন। আরো পড়ুন: আরো বেশি ফেডারেল কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ ট্রাম্পের এবার তুরস্কে বৈঠকে বসছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের একটি প্রাথমিক অর্থনৈতিক চুক্তি প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি...
ইউক্রেনে যেকোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করার অনুরোধ জানাতে আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। আর একমাত্র এটিই ইউক্রেনে আবার আক্রমণ করা থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিরত রাখবে বলে মনে করছেন তিনি।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর স্টারমার গতকাল বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে পৌঁছান। এমন এক সময় তিনি দেশটিতে গেলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমিয়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপ-আলোচনা যদি সফলভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে, তবে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপের। আর এ–সংক্রান্ত প্রস্তাবে সামনে থেকে কাজ করছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। বিনিময়ে ইউক্রেনে...
আমার একজন আমেরিকান লেখক বন্ধু আছেন, যিনি যুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি করেন। গত কয়েক দশকে তিনি সংঘাতকবলিত দক্ষিণ সুদান, রুয়ান্ডা, কঙ্গো, আফগানিস্তান, ইরাক, গাজা এবং অন্য জায়গায় গিয়েছেন। ইউক্রেনের ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান হলো: এখানে কে আগ্রাসনকারী আর কে ভুক্তভোগী, সেটা নিশ্চিত ছিল। বসনিয়া ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধ যুদ্ধ হলো দুটি ন্যায়সংগত যুদ্ধ।পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিন বছরের একটি ন্যায় যুদ্ধের পর, আমরা এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি অন্যায্য শান্তি পরিকল্পনা মোকাবিলা করছি। ইউক্রেন তার ভূমি হারাবে, এই ক্ষতির জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের কোনো শাস্তি হবে না। রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ইউক্রেনীয়দের কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হবে না।এটাই এখন বাস্তব চিত্র। ২০০৮ সালের রাশিয়া-জর্জিয়া যুদ্ধের কথা আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে। রাশিয়া তার প্রতিবেশী জর্জিয়ায় আক্রমণ করেছিল। সে সময়...
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রস্তাবিত খনিজ চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে একমত হয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। এই চুক্তি হলে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আসলে বেশ কয়েকটি সংশোধনী এনে এর সঙ্গে (চুক্তির শর্ত) একমত হয়েছি। এটিকে ইতিবাচক ফলাফল হিসেবে দেখছি।’ তবে ওই কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, শুরুতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ৫০ হাজার কোটি ডলারের মালিকানা দাবি করেছিল, তা থেকে তারা সরে এসেছে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। অথচ এটি ইউক্রেনের মূল দাবিগুলোর একটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে একটি চুক্তি সই হবে বলে আশা করছেন তিনি। দুই নেতা একে অপরকে...
বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় ধরনের একটি চুক্তি করতে এর বিভিন্ন শর্তে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। এ প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ওয়াশিংটন সফর করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় হোয়াইট হাউসে এ চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ উত্তোলনের সুবিধা পাবে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের প্রত্যাশা, যুদ্ধ শেষ হলে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ ইউক্রেনে মার্কিন সেনা অবস্থান করবে। বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান এ যুদ্ধ শেষ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেষ্টার মধ্যে ওয়াশিংটনের সমর্থন পেতেই এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে কিয়েভ। তবে এ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বা অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার কোনো শর্ত নেই। একটি সূত্র বলছে, ভবিষ্যতে ইউক্রেনে কোনো মার্কিন অস্ত্র যাবে কিনা–...
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে দেশ দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনার জন্য এবার তুরস্কে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে রাশিয়ান ও মার্কিন কূটনীতিকদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কাতার সফররত ল্যাভরভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশ তাদের দুই দেশের দূতাবাস পরিচালনায় ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’ নিয়ে আলোচনা করবে। খবর আল জাজিরার। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে উভয় দেশই নিজ নিজ ভূখণ্ড থেকে অন্য দেশের দূতাবাস কর্মীদের বহিষ্কার করেছিল। আরো পড়ুন: ইউক্রেনের রাজধানী ও জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়ার ব্যাপক হামলা বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক শক্তিশালী রাখা দরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই মস্কো ও ওয়াশিংটন কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে গত সপ্তাহে সৌদি আরবের...
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দেশটির জ্বালানি স্থাপনাগুলো কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে বড় আকারের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দাবি, গতকাল মঙ্গলবার রাতভর ১৭৭টি ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে রুশ বাহিনী। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি রাতেই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। গত রবিবার রাতে ইউক্রেনে ২৬৭টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে আক্রমণ শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ। আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক শক্তিশালী রাখা দরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষ নিল যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার ছোড়া ১৭৭টি ড্রোনের মধ্যে ১১০টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৬৬টি ড্রোনের পথ বদলে দেওয়ায় সেগুলো হারিয়ে গেছে। রাশিয়া কিয়েভ, খারকিভ, কিরোভোরাদ এবং সুমি অঞ্চলগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু...
ইউক্রেন তাদের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বড় ধরনের চুক্তির শর্তাবলীর বিষয়ে রাজি হয়েছে। এ সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়টি নিয়ে চুক্তি সাক্ষর হতে পারে। কিয়েভের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, “বেশ কিছু ভালো সংশোধনী নিয়ে আমরা একমত হয়েছি এবং এটিকে একটি ইতিবাচক ফল হিসেবেই দেখছি।” তবে ওই কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি। আরো পড়ুন: ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষ নিল যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শেষ হতে পারে এই সপ্তাহে: হোয়াইট হাউজ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর যে অধিকার দাবি করেছিল সেটি থেকে সরে এসেছে। তবে একই সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তাও দিচ্ছে না তারা, অথচ এটি ইউক্রেনের মূল দাবির...
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চাহিদা অনুযায়ী ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ভূগর্ভস্থ মজুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে দুই দেশ একটি চুক্তি সইয়ের দ্বারপ্রান্তে আছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় উপপ্রধানমন্ত্রী ওলহা স্টেফানিশিনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, চুক্তি নিয়ে এ পর্যন্ত সব আলাপ-আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। প্রধান প্রায় সব বিবরণ চূড়ান্ত হয়েছে।ওলহা স্টেফানিশিনা আরও বলেন, ‘আমরা এটি (আলোচনা) দ্রুত সম্পন্ন করে চুক্তি সইয়ের কাজ এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’খনিজ চুক্তি সইয়ের জন্য মার্কিন প্রশাসনের অব্যাহত চাপের মুখে রয়েছে ইউক্রেন। আর এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।একুশ শতকের অর্থনীতির ভিত্তি হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ। এসব সম্পদ নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামরিক শক্তি ও শিল্প অবকাঠামোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভূরাজনীতি ও অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত ভূমিকা পালন করছে এসব খনিজ।রবার্ট মুগাহ, কানাডাভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেকডেভের প্রধানইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির...
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রস্তাবিত খনিজ চুক্তির শর্তগুলোতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আসলে বেশ কয়েকটি সংশোধনী আনার মধ্য দিয়ে এর সঙ্গে (চুক্তির শর্ত) একমত হয়েছি এবং এটিকে একটি ইতিবাচক ফলাফল হিসেবে দেখছি।’ তবে ওই কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, শুরুতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে ৫০ হাজার কোটি ডলারের মালিকানা দাবি করেছিল, তা থেকে তারা সরে এসেছে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে নিরাপত্তাজনিত নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি, অথচ এটি ইউক্রেনের মূল দাবির একটি।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করছেন তিনি। দুই নেতা একে অপরকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প এ কথা বলেন।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন,...
ইউক্রেনের জনগণ এখনো রুশ বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ এখন এক দীর্ঘায়িত, কঠিন পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতি টুকরা ভূমির জন্য লড়াই অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। এতে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছে ইউক্রেনের সহ্যশক্তি আর পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার সদিচ্ছা।এই সংকটময় সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ইউক্রেন নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছে। গত সপ্তাহে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা সরাসরি আলোচনায় বসেন সৌদি আরবে। সেখানে ইউক্রেনকে রাখা হয়নি। এই বৈঠক ও ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের নামে বড় ধরনের ছাড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।কূটনৈতিক সমাধান অনুসরণ করা উচিত কি না, সেটি ইউক্রেনের জন্য মূল প্রশ্ন নয়। কারণ, শেষ পর্যন্ত যেকোনো যুদ্ধই আলোচনার...
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় বর্ষপূতিতে জাতিসংঘে ভোটাভুটি হলে তাতে দু’বার রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা কাউন্সিলে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এর মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান আবারও সামনে এলো। সেই সঙ্গে ট্রাম্প যে তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের উল্টো পথে হাঁটছেন, সেটাও পরিষ্কার হলো। ওয়াশিংটনের এ অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে মস্কো। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনের অখণ্ডতার সমর্থন ও মস্কোর কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব আনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে ভোট দেয়। পরে আরেকটি প্রস্তাবে মস্কোকে সমর্থন জানায় ওয়াশিংটন। প্রস্তাবটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে উত্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান চাওয়া হলেও সেখানে রাশিয়ার কোনো সমালোচনা ছিল না। এ প্রস্তাবটি নিরাপত্তা...

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ: পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই পাঠানো হচ্ছে সম্মুখসারিতে, প্রাণ হারাচ্ছেন হাজারো মানুষ
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গতকাল সোমবার তিন বছর পূর্ণ হয়ে চার বছরে পড়ছে। এই যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিবিসির তথ্য বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।এই পরিসংখ্যানে দনবাসে স্বঘোষিত দুটি প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিহত মানুষের সংখ্যা ধরা হয়নি। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মারা গেছেন আরও ২১ থেকে সাড়ে ২৩ হাজার যোদ্ধা।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিবিসি রাশিয়া, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা মৃত্যুর খবর রাখছিলেন। তাঁদের তালিকায় কেবল রাশিয়ার সরকারি প্রতিবেদন, সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, নতুন স্মৃতিসৌধ এবং সমাধির তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হওয়া নিহত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।আরও পড়ুনইউক্রেন যুদ্ধের ৩ বছর: ‘ট্রাম্প একজন অপ্রত্যাশিত বিজয়ী’২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নিয়োগ ও ছুড়ে ফেলা...