রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলতে থাকলেও শনিবার রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনার ওপর হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। ২৪ ঘণ্টায় তারা ১৪ বার হামলা চালিয়েছে। টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেন ড্রোন ও আর্টিলারি শেল দিয়ে এসব হামলা চালায়। রয়টার্স জানায়, এসব হামলায় রাশিয়ার ব্রিনস্ক, বেলগোরদ, স্মলেনস্ক, লিপেটস্ক ও ভরোনেজ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পাল্টা হামলা চালিয়েছে রাশিয়াও। ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভি রিহের একটি আবাসিক এলাকায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬ শিশুসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই রাশিয়ার সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব তথ্য জানান।
শুক্রবার রাতে এ হামলা চালায় রাশিয়া। ক্রিভি রিহ শহর জেলেনস্কির জন্মস্থান। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটল। নিপ্রোপেত্রভক্সের গর্ভনর সেরহি লিসাক টেলিগ্রামে জানান, হামলায় সেখানকার আবাসিক এলাকার কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।
টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটপাতে মৃতদেহ ও আহতদের দেহ পড়ে আছে। সেখানে একটি খেলার মাঠের ভিডিও রয়েছে। ভিডিওতে আকাশে ধূসর ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তবে এসব ভিডিও যাচাই করা সম্ভব হয়নি। নিপ্রোপেত্রভক্সের গর্ভনর বলেন, জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ বাহিনী। এ ধরনের অস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় নেয়। অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া এগুলো ধ্বংস করা কঠিন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আহতদের মধ্যে ৪৫৭ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে বাংলাদেশ
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে আহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৭ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিশেষ সহায়তাকারী দল। এই চিকিৎসার অংশ হিসেবে ১৫টি জটিল অস্ত্রোপচারও করা হয়েছে।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের চিকিৎসা সহায়তা দল আজ নেপিডো শহরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট যবুথিরি টাউনশিপ হাসপাতাল, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়। এই তিন হাসপাতালে আজ মোট ৫০ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা এবং তিনটি জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বাধীন উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম আগামীকালও চলমান থাকবে।
এর আগে গতকাল শনিবার মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলকে ধসে পড়া মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল আজ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল মিয়ানমারের নেপিডো শহরে উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।