ইউক্রেনের আরও একটি গ্রাম দখলে নিল রাশিয়া
Published: 2nd, April 2025 GMT
ইউক্রেনের আরেকটি গ্রাম দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। দখলে নেওয়া গ্রামটির নাম রোজলিভ। এটি ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দোনেৎস্ক প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি গ্রাম। গ্রামটি দখল নেওয়ায় অঞ্চলটিতে রুশ সেনাদের পশ্চিমমুখী অগ্রযাত্রা আরেকটু অগ্রসর হলো।
রোজলিভ দখলে নেওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। তবে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, রোজলিভ ও প্রতিবেশী কোস্টিয়ানটিনোপিল গ্রামে পাঁচবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেন, ওই অঞ্চলে তিনটি লড়াই চলছে।
উল্লিখিত তথ্যের কোনোটিই স্বাধীনভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডিপ স্টেট নামে ইউক্রেনের একটি ব্লগ রয়েছে, যারা উন্মুক্ত উৎস ব্যবহার করে প্রায় এক হাজার কিলোমিটারের সম্মুখসারির (ফ্রন্ট লাইন) তথ্য হালনাগাদ করার কাজ করে। তারা জানায়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রোজলিভ গ্রামের কাছাকাছি চলে এসেছে রুশ সেনারা। অন্যদিকে টরেটস্ক নামক গ্রামেও ব্যাপক লড়াইয়ের খবর দিয়েছে ব্লগটি।
রোজলিভ হলো পোকরোভস্ক শহরের দক্ষিণের একটি গ্রাম। ইউক্রেনের রান্নার কয়লা তৈরির একমাত্র খনি পোকরোভস্ক শহরে অবস্থিত। শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করছিলেন রুশ সেনারা। সম্প্রতি তাঁরা কাছাকাছি চলে আসায় খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হামলার শুরুতে রাজধানী কিয়েভ দখলে নেওয়াই ছিল রাশিয়ার লক্ষ্য। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মাথায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করে ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দনবাস অঞ্চলের প্রশাসনিক অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক দখলে নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেন রুশ সেনারা।
ওই দুই অঞ্চলের বড় অংশ বর্তমানে রাশিয়ার দখলে। রুশভাষী অঞ্চল দুটিতে গণভোট দিয়ে নিজেদের পার্লামেন্টে আইন পাস করে তা নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ করে নিয়েছে রাশিয়া।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।