ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত খনিজ সম্পদ চুক্তির আলোচনার জন্য এ সপ্তাহেই ওয়াশিংটন যাচ্ছে ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধি দল। গত মাসে চুক্তিটি সই হওয়ার কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে প্রকাশ্য সংঘাতের কারণে ওই আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিদেনকো গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ বিষয়ে চুক্তি নিয়ে আলোচনায় উভয় দেশের কৌশলগত স্বার্থ এবং শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার বিবেচনায় নেওয়া হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ আহরণ থেকে লাভের একটি অংশ রয়্যালটি হিসেবে পাবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক ও আর্থিক সহায়তার ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে এই স্বত্ব দাবি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই চুক্তিতে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসন ঠেকানোর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তাও অন্তর্ভুক্ত রাখার বিষয়ে কথা বলবে তারা।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করলেও, ‘এখনও বহু প্রশ্ন ঝুলে রয়েছে’ বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। সোমবার এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘পুতিন যুদ্ধবিরতির পক্ষে। তবে সেটি কীভাবে কার্যকর হবে এ বিষয়ে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই।’

এ অবস্থায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার কায়রো সফরকালে তিনি বলেন, ‘গত প্রায় এক মাস ধরে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া’।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার প্রতি সমর্থনের কথাও জানান মাখোঁ।

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন জেলেনস্কিও। তবে তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। যুদ্ধবিরতির অনিশ্চয়তার জন্য কিয়েভের নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কাজ করাকে দুষছে ক্রেমলিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

মালদ্বীপে বিদেশি কর্মীরা চলতি মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করলে বহিষ্কার

মালদ্বীপে বিদেশি কর্মীদের চলতি মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। কর্মীরা যাতে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করে তা নিশ্চিত করতে নিয়োগকর্তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করলে বিদেশি কর্মীদের বহিষ্কার করা হবে।

মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশি কর্মীদের আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। তবে তালিকাভুক্ত বেশ কিছু নিয়োগকর্তা এখনও তাদের অধীনে থাকা বিদেশী কর্মীদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন করেনি।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, যে সকল নিয়োগকর্তা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হবেন, তারা কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি পরিষেবাগুলো হারাবেন। আর তাদের অধীনে থাকা কর্মীদের বহিষ্কার করা হবে।

মালদ্বীপে সমস্ত বিদেশি কর্মীর ছবি এবং আঙুলের ছাপসহ বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য গত বছর শুরু হওয়া একটি বড় অভিযানের অংশ এটি। এই ব্যবস্থার অধীনে এরই মধ্যে লক্ষাধিক অভিবাসী কর্মী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

মালদ্বীপে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সরকারি নির্দেশনা মেনে যথাসময়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রস্তাবিত রাজস্ব নীতি বিভাগে সচিব হিসেবে শুল্ক ও কর কর্মকর্তা পদায়নের দাবি
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে: ড. ইউনূস
  • জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা কীভাবে নির্ধারণ করব
  • অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষ এখনও ভালো সমাধান মনে করছে: আল জাজিরাকে
  • সচিব নিয়োগে ‘মতামত’ প্রতিফলিত হয়নি, নাখোশ কর্মকর্তারা
  • ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ লাগলে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে
  • চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে
  • মালদ্বীপে বিদেশি কর্মীরা চলতি মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করলে বহিষ্কার
  • সুন্দরবনের কোন ফুলের মধুর কত দাম