‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়ছে চীনা সেনারা’
Published: 8th, April 2025 GMT
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করা দুই চীনা নাগরিককে আটক করেছে।
তিনি জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা গেছে যে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে চীনা সেনার সংখ্যা ‘অনেক বেশি।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনাদের যুদ্ধ ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চীনের ঘোষিত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’ কিয়েভে চীনা রাষ্ট্রদূতকে বিষয়টি ব্যাখ্যার জন্য তলব করা হয়েছে।
এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিক কিয়েভ অভিযোগ করলো, চীন ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে জনবল সরবরাহ করছে। মস্কো বা বেইজিং থেকে এই দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এক্স-এ এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলে সেনাদের আটক করা হয়েছে, যাদের কাছে শনাক্তকরণের নথিপত্র ছিল, যার মধ্যে ব্যাংক কার্ডও ছিল।
তিনি জানান, ইউক্রেনের বাহিনী ছয়জন চীনা সেনার সাথে যুদ্ধ করে এবং তাদের মধ্যে দুজনকে বন্দি করে।
জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে যে দখলদারদের ইউনিটে এই দুজনের চেয়েও অনেক বেশি চীনা নাগরিক রয়েছে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে যুবদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
আজ রোববার সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মঠবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম গাজী। এ সময় তিনি বলেন, রাজাপুর উপজেলা বিএনপির দলীয় পদ স্থগিত হওয়া সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হালিম গাজী বলেন, গত শুক্রবার উপজেলার মঠবাড়ি মাহামুদিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইউনিয়ন যুবদলের মতবিনিময় সভায় তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে লাঞ্ছিত করে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেন উপজেলা বিএনপির দলীয় পদ স্থগিত হওয়া সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকন ও তাঁর সহযোগীরা। ওই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
হালিম গাজী আরও বলেন, রফিকুল ইসলাম মারধর ও হুমকির বিষয়ে অবগত ছিলেন। মাদ্রাসার কক্ষে নিয়ে মারধরের ঘটনা তাৎক্ষণিক রফিকুল ইসলামকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে নাসিম আকনের পক্ষে অবস্থান নেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিভাগীয় সাংগঠনিক এবং জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন হালিম গাজী।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নাসিম আকন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।