2025-04-15@15:12:02 GMT
إجمالي نتائج البحث: 760
«ই উৎসব»:
(اخبار جدید در صفحه یک)
বাঙালির অন্যতম উৎসব বাংলা নববর্ষ। আর এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ পান্তা-ইলিশ। এ উৎসব ঘিরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। দেশের বৃহৎ পটুয়াখালীর পাইকারি মাছ বাজার মহিপুর ও আলীপুরে ইলিশের দাম চড়া। এতে পাইকারি ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে সমুদ্রে মাছের অকাল থাকায় ইলিশের দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা। মহিপুর ও আলীপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এই দুই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফাইস্যা, ছুড়ি, পোয়া, মটকা চিংড়ি, টোনা, তাপসী, কোরাল, চাপলি, পবদা ও টাইগার চিংড়ি, স্বল্প সংখ্যক বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থাকলেও বাজার প্রায় ইলিশ শূন্য। যেখানে প্রতিনিয়ত টন টন ইলিশ বিক্রি হয়, সেখানে হাতেগোনা কয়েকটি আড়তে ইলিশ মাছ দেখা গেল। তাও মাঝারি ও ছোট সাইজের ইলিশ। এ বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে...
ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসু’র মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে রবিবার (১৩ এপ্রিল) থেকে। চাকমাদের উৎসবের দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিজু’ আজ। ঘরে ঘরে নানা প্রকার সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার পাজন দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করছেন তারা। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসেবর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে। ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসুর প্রথমদিনকে বলা হয় হারিবৈসু। এদিন ভোরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঘুম থেকে উঠে ঘর পরিষ্কার করেন। গোসল করে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং গয়না পরিধান করে নদী, ছড়া ও খালে গিয়ে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন তারা। আরো পড়ুন: বর্ষবরণে থাকছে ‘অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা’ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বাহারি রঙের ফুল কলাপাতায় সাজিয়ে মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালিয়ে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন ত্রিপুরা...
বৈশাখ মানেই বাঙালির কাছে নতুন বছরের নতুন উৎসব। বৈশাখের এই আনন্দ ও উৎসব সকল নারী, পুরুষ ও শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সেইলর নিয়ে এসেছে বৈচিত্র্যময় বৈশাখ কালেকশন। সেইলরের বৈশাখ কালেকশনে রয়েছে পুরুষের পাঞ্জাবি, পাঞ্জাবি সেট। নারীদের জন্য এসেছে সালোয়ার স্যুট, টু পিস ও কুর্তি এবং বাচ্চাদের জন্য রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, মেয়েদের জন্য রয়েছে থ্রি পিস, টু পিস ও নানা রঙের কুর্তি কালেকশন। বৈশাখের গরম আবহাওয়ায় আরামের জন্য পুরুষদের পাঞ্জাবিতে সুনিপুণ ডিজাইনের সেইলর রেয়ন পপলিন, সেইলর ভয়েল, লুম জ্যাকার্ড এবং সেইলর গ্রিড লাক্সারি এর মত নানান প্রিমিয়াম ফ্যাব্রিক বেছে নেওয়া হয়েছে। নারীদের পোশাকেও সেইলর রেয়ন পপলিন, সেইলর রেয়ন জ্যাকার্ড ব্লেন্ডেড স্লিক, শিফন সহ সবচেয়ে আরামদায়ক ফ্যাব্রিকের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বৈচিত্র্যময় রঙ নির্বাচন করার পাশাপাশি নিখুঁতভাবে এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল...
বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান।আজ রোববার ঢাকার রমনা বটমূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে র্যাবের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, জেলা-উপজেলা ও গ্রামপর্যায়ে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাই সব জায়গায় র্যাবের নিরাপত্তাবলয় বিস্তৃত করা হবে। যাতে সুন্দরভাবে সব জায়গায় এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়।নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক শহিদুর রহমান আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মাথায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন এসেছিল। পূজা হবে কি না, সেটা...
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অন্যতম প্রাণবন্ত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর ‘সাংগ্রাই’ উৎসব শুরু হয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। উৎসব উদ্বোধন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। তিনি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে শুভ সূচনা করেন। বান্দরবানে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খিয়াং, খুমি, বমসহ ১১টি জাতিগোষ্ঠী এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে হাতে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে, গানের সুর ও তালের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শোভাযাত্রাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই উৎসবটি প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী নিজ নিজ নামে...
চাটমোহর পৌর শহরের অদূরের গ্রামে বোঁথড়। এ গ্রামে প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও তিন দিনব্যাপী মেলা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই মেলায় মানুষের ঢল নামে। হাজার বছরের প্রাচীন এই চড়ক পূজায় দেশ-বিদেশে থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন। চড়ক পূজা ও মেলা পরিচালনা কমিটি প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছেন। পাটে ধুপ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে উপমহাদেশের মধ্যে বিখ্যাত এই চড়ক পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। রোববার মন্দিরের পাশের পুকুর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে চড়ক গাছ। এরপর মন্দিরে মহাদেবের মূর্তি স্থাপনের মধ্যে দিয়ে পূজা শুরু হবে। চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। এদিকে পূজা ও মেলা উপলক্ষ্যে এখন প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই এখন অতিথি আপ্যায়ন চলছে। তবে, কবে থেকে এই পূজা ও মেলা শুরু হয়েছে তার সঠিক...
প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ। শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ...
বাংলা নববর্ষ বরণের আর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালিত হতো গ্রাম-বাংলায়। আর্থ-সামাজিক আবেদন আর প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরা ছিল সেই সব দিন। চৈত্র সংক্রান্তির সেসব অনুষ্ঠান এখন অনেকটাই ম্লাণ। প্রাধান্য পেয়েছে পহেলা বৈশাখ। আমরা দেখেছি চৈত্র সংক্রান্তি সামাজিক অনুষ্ঠান হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত ছিল আর অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবার কাছে প্রাধান্য পেত পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষকে বিদায় জানানোর জন্য গ্রাম বাংলায় নানা আয়োজন হতো। গ্রামে মানুষের কাছে অন্যতম আকর্ষণ চড়ক ঘোরানো। জীবন্ত মানুষকে বর্ষিতে গাঁথা হতো। তারপর বাঁশের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘোরানো হতো। তাকে আবার আগের দিন না খাইয়ে রাখা হতো। সে আবার ওই ঘূর্ণায়মান অবস্থায় একটি কবুতর দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে, সেটাকে নিচে ফেলে দিত। তারপরে পাঠা বলি হতো, কোনো কোনো জায়গায় মহিষ বলি হতো।...
ঘুড়ি উৎসব, লাঠিখেলা, সাপখেলা, নাগরদোলা, পুতুলনাচ—এমন নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাজানো হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। গ্রামীণ ঐহিত্য আর খুলনার আঞ্চলিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আয়োজিত ওই উৎসব হচ্ছে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর। ২০১৯ সালে সর্বশেষ এমন পরিপূর্ণ আয়োজন করতে পেরেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এবার নিরাপত্তার কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ভিন্নধর্মী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী উৎসব উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। ১৩ এপ্রিল (বাংলা ৩০ চৈত্র) উদ্যাপন করা হয় চৈত্রসংক্রান্তি আর পরের দিনে বাংলা বর্ষবরণ। রকমারি গ্রামীণ খেলাধুলা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে দিন দুটি উদ্যাপন করা হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া কোভিড এবং পরে পয়লা বৈশাখের সময় রোজা,...
চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন আজ। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। এছাড়াও আগামীকাল সোমবার পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২। আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। চৈত্র সংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে...
আজ রোববার, ১৩ এপ্রিল, বাংলা ১৪৩১ সন বিদায় নিচ্ছে। এটি চৈত্র মাসের শেষ দিন, বাংলা বছরেরও শেষ দিন, আবার বসন্ত ঋতুরও শেষদিন। দিনটি পরিচিত চৈত্র সংক্রান্তি নামে। আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) শুরু হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২। ‘জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি’- এই প্রার্থণায় নতুন সূর্যকে বরণ করবে বাঙালি। চৈত্রসংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে কাটান। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। ...
প্রাচীনকালের মানুষ যখনই বিপদে পড়েছে, তখনই সে বিপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য কোনো এক অদৃশ্য শক্তির আরাধনা করেছে। আর এভাবেই তৈরি হয়েছে নানা দেবতা, পূজা, আচার, উৎসব। চৈত্রসংক্রান্তিও ভারতবর্ষের বাঙালি সমাজের তেমন এক উৎসব। সাধারণত বঙ্গাব্দের দিনপঞ্জি বিবেচনায় মাস গণনার শেষ দিনটিকে ‘সংক্রান্তি’ বলা হয়ে থাকে। তাই চৈত্র মাসের শেষ দিনটি হলো চৈত্রসংক্রান্তি। বাংলা বছরের সমাপনী মাস চৈত্র। চৈত্রের শেষ দিনটিকে চৈত্রসংক্রান্তি বলা হয়। লোকাচার অনুযায়ী এদিনে বর্ষ বিদায় উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। চৈত্রসংক্রান্তির সুর্যাস্তের মধ্যে দিয়ে কালের গর্ভে চিরতরে হারিয়ে যাবে একটি বঙ্গাব্দ।বাংলা সনের শেষ মাসের নামকরণ করা হয়েছে ‘চিত্রা’ নক্ষত্রের নামানুসারে। আদি গ্রন্থ পুরাণে বর্ণিত আছে, সাতাশটি নক্ষত্র যা রাজা প্রজাপতি দক্ষের সুন্দরীকন্যার নামানুসারে নামকরণ করা হয়। লোককথা অনুযায়ী, প্রবাদতুল্য সুন্দরী এই কন্যাদের বিয়ে দেওয়ার চিন্তায় উৎকণ্ঠিত ছিলেন...
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, সাংলান, সাংক্রাই, সাংগ্রাইং, বিহু, পাতা ও চাংক্রান উৎসবে অতিথি আপ্যায়নে ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গ পাঁচন। পাহাড়িদের কাছে যা ‘পাজন’ নামে পরিচিত। আজ রোববার চাকমা সম্প্রদায়ের বিজুর দ্বিতীয় দিনে অতিথি আপ্যায়নের মূল পদ এই পাজন।কত ধরনের সবজি থাকে পাজনে? জানতে চাইলে কেউ বলেন, ৩০ রকমের, কেউ ৪০ রকমের। তবে ৩০ রকমের সবজির কম দিলে পাজন রান্নাই জমে না। আর এসব সবজির বেশির ভাগ মানে, ৯০ শতাংশই বন্য পরিবেশে জন্মায়।পাহাড়িরা বিশ্বাস করেন, পাজন খেলে রোগমুক্তি হয়। লেখক ও শিক্ষাবিদেরাও পাজনের ঔষধি গুণের কথা জানালেন। গতকাল শনিবার রাঙামাটি শহর ও বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশতাধিকের বেশি বাজারে বিজুর হাট বসেছিল। প্রতিটি হাটে পাজনের জন্য সবজি বিক্রি হয়েছে। নানা ধরনের কন্দ, আলু, ফুল, পাতা, গাছের ডগাসহ বিচিত্র সব সবজি...
বৈশাখের প্রথম দিনটার প্রহর গুনতে শুরু করেছেন নিশ্চয়ই! লাল-সাদা পাঞ্জাবি আর জিন্স পরে সেদিন রঙের খেলা দেখাবেন বন্ধুদের। আর প্রিয় মানুষটিকে মনের কথাটা জানাবেন রঙচঙা সে দিনটায়। আপনিও কি সেই দলে? মেলাই নববর্ষের প্রাণ নববর্ষ পালনের ধরনটা একেক দেশে, একেক জাতির কাছে একেক রকম। বিদেশের কথা বাদ দিয়ে দেশে চোখ রাখি আমরা। যেমন ঢাকার নববর্ষের মূল আকর্ষণ আনন্দ শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা-ইলিশ এসবে। সারাদেশে কিন্তু ঢাকার মতো এমন ঘটা করে শোভাযাত্রা চোখে পড়ে না। তবে পুরো দেশের কথা ভাবলে মেলাই হচ্ছে নববর্ষের প্রধান বিষয়। বৈশাখী মেলা। রাজ্যের মানুষ হাজির হয় সেখানে। এখানে ধর্ম-বর্ণ এবং গোত্র বলতে কিছু নেই। এসব মেলার আয়োজক স্থানীয়রা। বৈশাখে সারাদেশ মেতে ওঠে রাজ্যের খেলাধুলায়। এখনও পহেলা বৈশাখে বলীখেলা হয় চট্টগ্রামে। পহেলা বৈশাখ আর বলীখেলা যেন অঙ্গাঙ্গী মিশে...
হালখাতা। হিসাব হালনাগাদ করা থেকেই হালখাতা শব্দের উদ্ভব। বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন লালখাতায় হালনাগাদ করার প্রক্রিয়াটি ব্যবসায়ীদের কাছে হালখাতা হিসেবে পরিচিত। বিশেষভাবে তৈরি করা এই খাতাটি বৈশাখের প্রথম দিনে হালনাগাদ করা হয়। দিনটিতে ব্যবসায়ীরা দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে খোলেন নতুন খাতা। দেনাদার-পাওনাদারদের মিষ্টিমুখ ও কোমল পানীয় দিয়ে করানো হতো আপ্যায়ন। আর এর মধ্য দিয়ে তাদের বিনীতভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হতো পাওনা পরিশোধ করার কথাও। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একদিকে থরেথরে সাজিয়ে রাখা হতো নানান মুখরোচক খাবার; আর অন্যদিকে জমা হতে থাকত পাওনা টাকা। এভাবেই বাংলা সনের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা আনুষ্ঠানিকভাবে দোকানপাটের হিসাব হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া শুরু করতেন। কয়েক বছর আগেও দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বৃহৎ পাইকারি মোকাম চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ধুমধাম করে পালন করতেন হালখাতা উৎসব।...
পাহাড়ে শুরু হয়েছে বৈশাখের প্রধান সামাজিক উৎসব। এতে আছে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রাই, পাতা উৎসব। গতকাল শনিবার থেকে তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান নিয়ে তিন পার্বত্য জেলা এখন উৎসবের জনপদ। উৎসবের প্রথম দিন শনিবার ছিল ফুল বিজু। বাংলা বর্ষের শেষ দু’দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালন করে থাকে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়। এদিকে উৎসব ঘিরে তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা মেলার আয়োজন করেছে। উৎসব ঘিরে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরের বাজারগুলো সরগরম। পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ১৩ ভাষাভাষী ১৪টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হচ্ছে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রাই ও পাতা। এসব উৎসবকে চাকমা সম্প্রদায় বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা...
বরিশালে বাংলা বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় আয়োজন হতো নগরে কালীবাড়ি সড়কে বিএম স্কুল মাঠে। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের সকালে সেখানে প্রভাতি অনুষ্ঠান শেষে বের হতো বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। মাঠে তিন দিনব্যাপী হতো বৈশাখী মেলা ও লোকজ সংস্কৃতি উৎসব। উৎসবপ্রিয় মানুষের স্রোত যেতে বিএম স্কুলের দিকে। চার দশকের সেই উৎসব রেওয়াজ এবারের বর্ষবরণে ম্লান হয়ে গেছে। শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলা দুটিই অনিশ্চিত। মেলা ও শোভাযাত্রা হবে কিনা, তা আয়োজকরা গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সমকালকে নিশ্চিত করতে পারেননি। যদিওবা হয়, সেটা হবে অনেকটা প্রতীকী আয়োজনের মতো। এ দুটি আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রশাসন নিরাপত্তার অজুহাত দেখাচ্ছে। তা ছাড়া কয়েক দশক ধরে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করা আরও কয়েকটি সংগঠন এ বছরের আয়োজন থেকে বিরত রয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন বেলস পার্ক মাঠে সাত দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করছে।...
দেশবরেণ্য কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেছেন,জাতীয় জীবনে কবিতার একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধায় বন্দর উপজেলার সাবদীস্থ গ্রীন গার্ডেন পার্কে আয়োজিত খ্যাতিমান সাহিত্য সংগঠন ধ্রুব সাহিত্য পরিষদ এর ঈদ পুনর্মিলনী ও লেখক আড্ডায় (ভার্চ্যুয়ালী) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রেজাউদ্দিন স্টালিন আরো বলেন, সামনে পহেলা বৈশাখ বাঙালী জাতির জীবনে সবচেয়ে বড় একটা অসাম্প্রদায়িক উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে। অনেকের ধারণা কবি সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখেন না। কিন্তু বিশ্ব বিপ্লবের ইতিহাসে সমস্ত রাজনৈতিক অশুভ শক্তিকে ধ্বংসে ভূমিকা রেখেছে কবিরা। একঝাঁক গুণী কবি-লেখককের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের ছড়াকার ও কন্ঠশিল্পী এস এ শামীমের সভাপতিত্বে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধণ করেন কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসাদ কাজল। প্রধান আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা...
ফুল বিজু উৎসবে রমনার লেকে ফুল ভাসিয়ে পার্বত্যবাসীর মঙ্গল কামনা করে পার্বত্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “আমাদের অনাগত দিনগুলো যেন ভালোভাবে আসে। আমাদের সকলের মাঝে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি, এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ যাতে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, পাহাড়ি-বাঙালি যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঝে মিলেমিশে থাকে এবং তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।” শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স থেকে রমনা পার্ক লেকে র্যালিসহ ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ফুল বিঝু উৎসব পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। পার্বত্য জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’ বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে...
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা বাগানের জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব উদযাপন হয়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ফুলছড়া চা বাগান মাঠে এই উৎসব উদযাপিত হয়। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা ফারুকী প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এসময় উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এই উৎসবে উপস্থিত থাকার জন্য ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত পৌঁছে বিশেষ কাজে আবার ঢাকা ফিরে যেতে হয়েছে। আগামী বছর আমি সরকারে না থাকলেও দেশেই থাকব। তখন এই ফাগুয়া উৎসবে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করব।’’ অনুষ্ঠানে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে পরিমল সিং বাড়াইক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য...
চা–বাগানের শ্রমিক কলোনির সামনে ফুটবল মাঠের মাঝখানে নানা রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দর্শকসারি। মাঠের একপাশে উঁচু মঞ্চে উঠলেন অতিথিরা। তাঁদের বক্তব্যের পর মঞ্চ থেকে শুকনো রং ছিটিয়ে শুরু হয় ফাগুয়া উৎসব। এরপর একে একে মঞ্চে ওঠেন চা জনগোষ্ঠী শিল্পীরা। নানা গানে ও নৃত্যে তুলে ধরেন তাঁদের জীবনকাহিনি।শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা–বাগানের মাঠে এমন দৃশ্য দেখা যায়। জেলা প্রশাসন ও ফাগুয়া উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত উৎসবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসলাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও ফাগুয়া উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রীতম দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল...
পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের যেন শেষ নেই বাঙালির। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণসহ দিনভর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, বাঙালিয়ানায় তৈরি খাবার খাওয়া, মেলায় গিয়ে দেশীয় পণ্য কেনা, গান-বাজনাতেই মেতে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে রাজধানীর দক্ষিণে বাংলা নববর্ষবরণের বড় আয়োজন থাকলেও উত্তরে তেমন থাকে না। সেই তাগিদ থেকে গত বছর বর্ষবরণের প্রথম উদ্যোগ নেয় ‘অলিগলি বর্ষবরণ বন্ধুগণ’। আয়োজনে সাড়া পাওয়ায় এবারও রাজধানীর উত্তরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘অলিগলি হালখাতা’। আগামী ১৩ এবং ১৪ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই উদ্যোগে সহযোগিতা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান 'গুলশান সোসাইটি'র মহাসচিব সৈয়দ আহসান হাবীব। সৈয়দ আহসান হাবীব বলেন, ভালোবাসায়, সম্প্রীতিতে,...
সদ্য সমাপ্ত লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নানের সহ আয়োজক মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নান উৎসব উদযাপন ফ্রন্টের একটি পোস্টার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে। স্বৈরাচারী ওসমান পরিবারের দোসর এবং গণহত্যা মামলায় কারাগারে থাকা বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছবি দিয়ে লাঙ্গলবন্দে আগত সকল পুণ্যার্থীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে সেই পোস্টারে যেখানে বড় করে মাকসুদ হোসেনের ছবি ছিলো আর তাতে লেখা ছিল নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি পদপ্রার্থী। আর এই পোস্টারের প্রচারে লেখা ছিল মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নান উদযাপন ফ্রন্ট। অষ্টমী স্নান চলাকালীন লাঙ্গলবন্দের বিভিন্ন স্থানে এই পোস্টার দেখতে পাওয়া গেছে। এদিকে এই পোস্টার নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে নারায়ণগঞ্জে। ৫ আগস্টের পরে গঠিত হওয়া এসব ভূইফোর সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও উঠেছে সর্ব মহলে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ মার্চ তারিখে বন্দর উপজেলার...
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বিজু উৎসব পালন করেছেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজশাহীর ফুলতলা ঘাট সংলগ্ন পদ্মানদীতে ফুল ভাসিয়ে তারা এ উৎসব পালন করেন। এর আগে, সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে র্যালি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও কাজলা হয়ে রাজশাহীর ফুলতলা যান তারা। এ সময় তাদের সঙ্গে রাবি ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক উপস্থিত ছিলেন। আরো পড়ুন: ৫ বিভাগে অনুষ্ঠিত হলো রাবির ভর্তি পরীক্ষা রাবি ছাত্রীর ভিডিও ধারণ, বহিরাগত দুজনকে পুলিশে সোপর্দ বিজু উৎসব বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ত্রিপুরা, ম্রো, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম প্রধান ও বর্ণিল উৎসব। এটি মূলত বর্ষবরণ উৎসব হিসেবে পালিত হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো মারমা, চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু...
ছবি: সুপ্রিয় চাকমা
কর্ণফুলী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে কাপ্তাই উপজেলার বরইছড়িতে কর্ণফুলী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা হয়। এতে কাপ্তাইয়ের তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের শতাধিক তরুণ-তরুণী নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে উৎসবে অংশ নেন। এ উপলক্ষে কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়িতে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বরূপ মুহুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন, ওয়াগ্গা মৌজার হেডম্যান অরুণ তালুকদার, বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা কাপ্তাই অঞ্চল কমিটির নেতৃবৃন্দসহ পাহাড়ি-বাঙালী নির্বিশেষে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এদিকে আজ শনিবার থেকে কাপ্তাইয়ের রাইখালী, চিৎমরম, চন্দ্রঘোনা, ওয়াগ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলা নববর্ষকে বরণের লক্ষ্যে বিজু, সাংগ্রাই উৎসব...
পাহাড়ের বর্ষবিদায় ও বরণ উপলক্ষে ১৯৮৭ সালে রাঙামাটি কলেজে একটি দেয়ালিকা প্রকাশিত হয়। পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উৎসবের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয় দেয়ালিকাটির। ওই নামটি পরে পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠনের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মূলত ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাইয়ের সঙ্গে প্রায় মিল থাকা ম্রোদের চাংক্রান, খেয়াংদের সাংলান, খুমিদের চাংক্রাই ও চাকদের সাংগ্রাই এবং চাকমাদের বিজু ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু উৎসবের সংক্ষেপিত করে ‘বৈসাবি’ নামের শব্দটি নেওয়া হয়। গত শতকের নব্বই দশক থেকে বিভিন্ন নামের একই উৎসব অভিন্ন নামে ‘বৈসাবি’ হিসেবে উদ্যাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গঠন করা হয় বৈসাবি উদ্যাপন কমিটি। তবে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে ‘বৈসাবি’ শব্দটি নিয়ে বিতর্ক চলছে। অনেকের মতে, বৈসাবি নামে পাহাড়ে কোনো উৎসব নেই। অন্যরা বলছেন, পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রয়োজনেই...
ভণিতানববর্ষ উৎসবকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকে। এই উৎসবটি মারমাদের কাছে ‘সাংগ্রাইং’, চাকমাদের কাছে ‘বিজু’ এবং ত্রিপুরাদের কাছে ‘বৈসু’ নামে পরিচিত। আবার ম্রো জনগোষ্ঠীর কাছে এটি ‘চাংক্রান’, চাক জনগোষ্ঠীর কাছে ‘সাংগ্রাইং’, খুমী জনগোষ্ঠীর কাছে ‘সাংক্রাইং’, খেয়াং জনগোষ্ঠীর কাছে ‘সাংরান’ এবং তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর কাছে ‘বিষু’ নামে পরিচিত। আবার বাংলা পঞ্জিকায় এই সময়টিকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘মহা বিষুব সংক্রান্তি’ হিসেবে। আমরা ধরে নিতে পারি, আদিবাসীদের উপরোক্ত বিভিন্ন শব্দাবলির উৎপত্তি ঘটেছে এই ‘বিষুব সংক্রান্তি’ শব্দদ্বয় থেকে।নববর্ষ উৎসবের পরিব্যাপ্তি ও বিশ্বজনীনতাপার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই উৎসব উদযাপনের রেওয়াজ রয়েছে। বাংলাদেশের বাঙালি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ‘চৈত্র পরব’ বা ‘বিয়ু পরব’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের রাখাইন জনগোষ্ঠীর কাছে এটি পরিচিত ‘সাংগ্রাইং’ হিসেবে। কমলগঞ্জের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের কাছে এটি ‘বিষু’...
পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ঢাকায় চাকমা জাতিগোষ্ঠীর বাসিন্দারা বিজু উৎসব করেছেন। বিজু মানে চাকমাদের ফুল উৎসব। চাকমারা বিশ্বাস করেন, এই ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে গিয়ে নতুন বছর বয়ে আনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, চাংক্রান, বিষু, সাংলান ও সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি রমনা পার্কে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে শেষ হয়।শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘বিজু উৎসবকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসার জন্য এই আয়োজনটা করা। আমি জানি, আজকে আমরা এখানে যে ফুল ভাসিয়ে দিলাম, এটার একটাই উদ্দেশ্য যে আমাদের অনাগত দিনগুলো যেন ভালোভাবেই আসে এবং আমাদের সবার মধ্যে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায়...
পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে আর নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চাকমা সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী বিজু উৎসব আজ শনিবার শুরু হয়েছে; পাশাপাশি শুরু হয়েছে তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু উৎসব। উৎসবের প্রথম দিনে নদী, ছড়া, ঝরনাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুল ভাসিয়ে সুন্দর পৃথিবীর জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন নারী, পুরুষ আর শিশুরা। পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা আগামী কয়েক দিন নানা নামে বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায়ের উৎসব উদ্যাপন করবেন।খাগড়াছড়িআজ ভোর থেকে জেলার নদী, ছড়া, ঝরনাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে ‘ফুল বিজু’ শুরু হয়। ফুল ভাসিয়ে সুন্দর পৃথিবীর জন্য প্রার্থনা করেন চাকমা নারী-পুরুষ ও শিশুরা। নারীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পিনন-হাদি ও পুরুষেরা ধুতি পরে উৎসবে যোগ দেন।ভোরে পানছড়ি উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায় চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসাতে ভিড় করেন স্থানীয় চাকমা জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা। তাঁদেরই একজন প্রবীণ মালতী দেবী চাকমা।...
দেশের সমৃদ্ধি, পার্বত্য চট্টগ্রামের সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে নদীতে ফুল নিবেদনের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার থেকে তিনদিনব্যাপী পাহাড়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু-বিষু-বিহু সাংক্রাইন, সাংক্রান, পাতা’র আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। ভোরে শিশু ও নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে গঙ্গা মা’র উদ্দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে পানিতে কলাপাতায় ফুল নিবেদন করেন। শনিবার প্রথম দিন ফুল বিজুর দিনে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু-বিষু-বিহু সাংক্রাইন, সাংক্রান, পাতা- উদযাপন কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সকাল ৭টায় রাজ বন বিহার পূর্বঘাটে পানিতে ফুল নিবেদন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার। এ সময় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একটি নৃত্য পরিবেশন করা হয়। পরে শোভাযাত্রাসহ ঘাটে গিয়ে পানিতে ফুল নিবেদন করা হয়। এ সময় শিশুসহ...
বাঙালির ঐতিহ্যের সেরা আয়োজন পহেলা বৈশাখ। গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা আয়োজনে আবহমান বাংলার চিরায়ত সব পোশাকের এক অনন্য সমাহারে উৎসবের মধ্য দিয়েই শুরু হয় বাংলা বর্ষবরণের এই আয়োজন। বাংলা বর্ষবরণের এই প্রারম্ভে ঐতিহ্যময় ফ্যাশনে মেতে ওঠে উৎসব প্রিয় বাঙালি। দেশের অন্যতম ফ্যাশন ব্র্যান্ড টুয়েলভও আড়ম্বরপূর্ণভাবে সাজিয়েছে তাদের বৈশাখী সংগ্রহ। পাঞ্জাবি, থ্রি পিস, টু পিস সব জায়গাতেই পহেলা বৈশাখের ছোঁয়া নিয়ে হাজির হয়েছে টুয়েলভ। প্রকৃতিতে গরম আবহ ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি বিবেচনা করে ক্রেতাদের স্বস্তির কথা মাথায় রেখেই সুঁতি কাপড়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবারের বৈশাখী কালেকশনে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের বৈশাখী কালেকশনেও বৈচিত্র এনেছে টুয়েলভ। তাদের জন্য নির্ধারিত সকল পোশাকেই রয়েছে বৈশাখী ডিজাইনের ছোঁয়া। বৈশাখের কালেকশন ছাড়াও লয়েল কার্ডধারীদের পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদের জন্য নির্ধারিত পোশাকে রয়েছে বিভিন্ন রকম অফার।
রংপুরের গ্রামাঞ্চলের মানুষ পহেলা বৈশাখে এখনও পুরনো দিনের রীতি অনুসরণ করে চলেন। দেশের সব জায়গায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও পুরনো সেই রেওয়াজ তারা এখনও লালন করেন। বাংলা বছরের শেষ দিনটিকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। শাস্ত্র অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতিকে পূণ্যকর্ম বলে মনে করা হয়। গৃহস্থের মঙ্গল কামনায় নেচে নেচে গান: চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে সন্ন্যাসীরা বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে দেবদেবীর প্রতিকৃতি (পাট) মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁরা যে বাড়িতে যান, সেই বাড়ির গৃহিণী পরিষ্কার পিঁড়ি বা জলচৌকি পেতে দেন। এরপর তাঁরা ওই পিঁড়ি বা জলচৌকির ওপর পাট নামান। এই সময় গৃহস্থের মঙ্গল কামনায় নেচে নেচে গান পরিবেশন করেন সন্ন্যাসীরা। গান শেষে সন্ন্যাসীদের চাল, সবজি কিংবা টাকা উপঢৌকন দেন গৃহিণীরা। সংগৃহীত অর্থে, বাংলার সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব ও চড়ক মেলার...
রংপুরের গ্রামাঞ্চলের মানুষ পহেলা বৈশাখে এখনও পুরনো দিনের রীতি অনুসরণ করে চলেন। সর্বত্র আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সেই রেওয়াজ তারা এখনও লালন করেন। বাংলা বছরের শেষ দিনটিকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। শাস্ত্র অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতিকে পূণ্যকর্ম বলে মনে করা হয়। চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে সন্ন্যাসীরা বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে দেবদেবীর প্রতিকৃতি (পাট) মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁরা যে বাড়িতে যান, সেই বাড়ির গৃহিণী পরিষ্কার পিঁড়ি বা জলচৌকি পেতে দেন। এরপর তাঁরা ওই পিঁড়ি বা জলচৌকির ওপর পাট নামান। এই সময় গৃহস্তের মঙ্গল কামনায় নেচে নেচে গান পরিবেশন করেন সন্ন্যাসীরা। গান পরিবেশন শেষে সন্ন্যাসীদের চাল, সবজি কিংবা টাকা উপঢৌকন দেন গৃহিণীরা। সংগৃহিত অর্থে বাংলার সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব ও চড়ক মেলার আয়োজন করা হয়। পুরনো...
সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে জলবুদ্ধ ও মা গঙ্গাদেবীর পূজা এবং প্রার্থণার মধ্য দিয়ে শুরু হলো পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসব বিজু বা বিষু। সম্প্রদায় ভেদে এ উৎসবকে মারমারা বলে সাংগ্রাই, চাকমারা বিজু, ত্রিপুরারা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, চাক, ম্রো, বমরা চাংক্রান নামে উদযাপন করেন। সমতলের লোকজনের কাছে এই উৎসব বৈসাবি নামে বেশ পরিচিত। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মানুষজন জলবুদ্ধ ও মা-গঙ্গাদেবীকে ফুল নিবেদনের মাধ্যমে বিজু ও বিষু উৎসব শুরু হয়েছে। ভোর থেকেই নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, শিশুরা বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল সংগ্রহ করে ঐতিহ্যের পোশাক পরে কলাপাতায় সাজানো ফুল নিয়ে সাঙ্গু নদীর তীরে জড়ো হন। মোমবাতি জ্বালিয়ে, ফুল অর্পণ করে অতীতের ভুলভ্রান্তি ক্ষমার প্রার্থণা করেন তারা। সেই সঙ্গে প্রার্থণা করেন...
কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, কমিউনিটি যখন দাঁড়িয়ে যায়, এলাকা যখন দাঁড়িয়ে যায়, তখনই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উন্মেষ ঘটে। ভোট দিয়ে হয় না, ভোটে লুটেরা-মাফিয়া শ্রেণি আসে। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শাহ আলী মাজারে ‘জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুর’ আয়োজিত ‘গণমানুষের জাগ্রত জুলাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফরহাদ মজহার বলেন, গণতন্ত্র কায়েম হয় তখনই, যখন আমরা বুঝবো এই কমিউনিটি সবচেয়ে শক্তিশালী। কমিউনিটির সিদ্ধান্তে এই এলাকায় উন্নয়ন হবে, কমিউনিটি যেমনি করে চায়, তেমনি করে হবে। কমিউনিটি খুব ভালো করে বোঝে কোনটা তার ভালো, কোনটা তার খারাপ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, কিছুদিন আগে শিল্পকলা একাডেমিতে আমরা চাঁদ রাতের উৎসব করেছি। এদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে শিল্পকলা একাডেমি আগে এ কাজ করেনি। তারা মনে করেছেন...
‘চড়কের উৎসব, গাজনের গান।/সেই সঙ্গে বর্ষ হইল অবসান।’ চৈত্রের শেষ, বৈশাখের শুরু। বিবিধ উৎসবের রঙে বর্ণময় বর্ষবিদায়ী দিন। চৈতালি ফসলের ঘ্রাণে মেতে ওঠা গ্রামে লাগে পুরাতনী পার্বণের ধুম। গাজন, চড়ক, নীল উৎসব, খেজুর ভাঙা, তালতলার শিরনি আরও নানা আয়োজন। মাসজুড়ে চলে শিব-গৌরী নৃত্য, গাজনের বাদ্য, ঘোড়দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, লাঠিখেলা আর বাহারি মেলা। সনাতনী পাড়াগুলোয় শিব শিব রব। ‘সংক্রান্তি’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো সূর্য বা গ্রহাদির এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে গমন বা সঞ্চার। চৈত্রসংক্রান্তি হলো চৈত্র মাসের শেষ দিন। এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও, কালের পরিক্রমায় বাঙালি উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিন পুরোনো বছরের আবর্জনা ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়। ঘরদোর, আসবাবের পাশাপাশি গ্রামের কাঁচামাটির ঘরগুলো এঁটেল মাটিতে লেপে পরিপাটি করা হয়। গৃহবধূর হাতের আলতো পরশে হরিদ্রাভ হয়ে ওঠে মাটির আঙিনা।...
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ছোট-বড় পাহাড়বেষ্টিত প্রায় সাড়ে তেরো হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল। বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, চাংক্রান, সাংক্রাই, সাংলান, পাতা– পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রধানতম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এ উৎসবকে চাকমারা বিঝু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসু বা বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যা ও গুর্খারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু, ম্রোরা চাংক্রান, খুমীরা সাংক্রাই, খেয়াংরা সাংলান ও সাঁওতালরা পাতা নামে অভিহিত করেন। মারমাদের কাছে সাংগ্রাই উৎসবটি সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ উৎসব তিন দিন ধরে চলে। প্রথম দিনটি ‘পাইংছোয়ায়’, দ্বিতীয় দিনটি ‘আক্যা’ ও শেষ দিনটি আপ্যাইং নামে পরিচিত। পাইংছোয়ায় অর্থ ফুল সংগ্রহ। পাইংছোয়ায় দিনে মূলত পানি দিয়ে বৌদ্ধবিহার, বিহারের আঙিনা, বাড়ি, বাড়ির উঠোন, রাস্তা ইত্যাদি পরিষ্কার করা হয় এবং নানান ধরনের ফুল তুলে সে ফুল দিয়ে সেসব স্থাপনা সাজানো...
ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের আয়োজনে গ্যাগারিন বিজ্ঞান ও শিল্প উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবের তৃতীয় দিনে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন উদযাপনের জন্য একটি আকর্ষণীয় রকেট মডেল তৈরি প্রতিযোগিতা এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজ বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এই প্রাণবন্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যেখানে অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী দক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা এবং মহাকাশ গবেষণায় উৎসাহ তুলে ধরা হয়। এতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী, ঢাকা ও আশপাশের শিক্ষক, এনজিও সদস্য এবং প্রবীণ নাগরিকরা অংশ নেন। তাদের কাগজের রকেট মডেলগুলি কেবল প্রযুক্তিগত জ্ঞানই নয়, কল্পনা, দলবদ্ধভাবে কাজ করা এবং ইউরি গ্যাগারিনের ঐতিহাসিক মহাকাশ যাত্রার দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি অগ্রণী মনোভাবকেও প্রতিফলিত করে। আরো পড়ুন: বৃহস্পতিবার তুরস্কে আবারো বৈঠকে বসছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জেলেনস্কির শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়...
পাহাড়ের প্রধান সামজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রাই ও চাংক্রান পাতা উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটির চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে আয়োজিত বলী খেলায় ছোট, মাঝারি ও বড় এই তিন বিভাগে প্রায় ৩০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। বলী খেলা দেখতে রাঙামাটির বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ভিড় করেন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। প্রতিযোগিতায় খাগড়াছড়ি জেলার বাবু মারমাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় একই জেলার সৃজন চাকমা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। এতে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির প্রাক্তন সাংসদ ঊষাতন তালুকদার, উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ব গণমানুষের সেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান উ অংচিংনু মারমা। আগামীকাল শনিবার (১২...
গুলশান সোসাইটির উদ্যোগে এবং ‘অলিগলি বর্ষবরণ বন্ধুগণ’–এর আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উৎসব ‘অলিগলি হালখাতা’। এবার উৎসব হবে দুই দিনব্যাপী; এর মধ্যে ১৩ এপ্রিল হবে চৈত্রসংক্রান্তি এবং এর পরদিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল বাংলা বর্ষের প্রথম দিন হবে বর্ষবরণ উৎসব। এবারের আয়োজনে চারু কারু প্রদর্শনী, পালা গান, আলপনা, নৃত্য অনুষ্ঠান এবং গল্প–আলাপসহ নানা আয়োজন থাকবে।আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন আয়োজকেরা। গুলশান সোসাইটির উদ্যোগে এবং ‘অলিগলি বর্ষবরণ বন্ধুগণ’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, মহাসচিব সৈয়দ আহসান হাবীব, সদস্য শ্রাবন্তী দত্তসহ কমিটির অন্য সদস্যরা।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের দুই দিনব্যাপী বর্ষবরণ ১৪৩২ ‘অলিগলি হালখাতা’ অনুষ্ঠিত হবে...
পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবি। কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাঙামাটিতে শুরু হচ্ছে এই উৎসবের মূল আয়োজন। নতুন বছরকে বরণের এই বৈসাবি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কাছে প্রাণের উৎসব হিসেবেই পরিচিত। চাকমাদের ভাষায় বৈসাবি উৎসবকে ‘বিঝু’, ত্রিপুরাদের ভাষায় ‘বৈসুক’, মারমাদের ভাষায় ‘সাংগ্রাই’, তংচঙ্গ্যাদের ভাষায় ‘বিসু’ এবং অহমিয়াদের ভাষায় ‘বিহু’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। নামের আদ্যক্ষর নিয়েই এই মহান উৎসবকে বলা হয় ‘বৈসাবি’ উৎসব। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি জনগোষ্ঠী নিজেদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাস থেকে নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। প্রতিটি জনগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে জড়িত থাকে তাদের নিজেদের প্রথা ও সংস্কার। চৈত্র মাসের শেষ দুইদিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন অনুষ্ঠান পালন করেন তারা। আরো পড়ুন: মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরীতে অষ্টমী স্নানোৎসব কর্মস্থলে ফিরছেন...
বছর পেরিয়ে আবারও শুরু হচ্ছে কান চলচ্চিত্র উৎসব। এবার ৭৮তম আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৩ মে, ফ্রান্সের কান শহরের পালে দ্য ফেস্টিভ্যাল ভবনে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৪ মে লাল গালিচা হয়ে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে হাজির হবেন হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ। এদিন তাঁর নতুন সিনেমা ‘মিশন: ইমপসিবল– দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর অফিশিয়াল স্ক্রিনিং হবে। এ আয়োজনে টমের সঙ্গে থাকবেন পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি এবং পুরো টিম। এটি হবে টমের তৃতীয় কান সফর। প্রথমবার তিনি এসেছিলেন ১৯৯২ সালে, রন হাওয়ার্ডের ‘ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ নিয়ে। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালে টম কানে ফিরেছিলেন ‘টপ গান: ম্যাভরিক’ নিয়ে। সেই সফর ছিল একেবারে স্মরণীয়। তখন তাঁকে প্রদান করা হয়েছিল গৌরবসূচক পাম দ’র। জানা গেছে, প্রায় তিন দশকের অ্যাকশন, স্টান্ট আর ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত সমাপ্তি হতে চলেছে ‘মিশন: ইমপসিবল–...
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দুই দিনের নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে আইইউবি থিয়েটার। এতে অংশ নেবে চারটি নাটকের দল। আগামী ১৩ ও ১৪ এপ্রিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউবি) অডিটরিয়ামে আয়োজিত হবে এই উৎসব। উৎসবের প্রথম দিন ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় থাকছে ‘তাসের দেশ’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কাব্যনাট্যটি মঞ্চে আনছে আইইউবি থিয়েটার। নির্দেশনায় শামীম সাগর। বিকেল ৪টায় জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার মঞ্চস্থ করবে ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। অন্তর্দহন আর অস্তিত্ব সংকটের কাহিনি নিয়ে নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মাহফুজুল ইসলাম মেঘ। ১৪ এপ্রিল বেলা ১টায় মঞ্চায়ন হবে তীরন্দাজের ‘কণ্ঠনালিতে সূর্য’। একজন আগন্তুকের কণ্ঠনালিতে বহুকাল ধরে সূর্য আটকে আছে। সে এটা বের করতে চায় অথবা হৃৎপিণ্ডে চিরকালের জন্য রেখে দিতে চায়। একপর্যায়ে এই আগন্তুক মিডিওকার জীবনের যন্ত্রণার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায় এবং ধীরে ধীরে মানুষের রূপ থেকে কুকুরে পরিণত হয়।...
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দুই দিনের নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে আইইউবি থিয়েটার। এতে অংশ নেবে চারটি নাটকের দল। আগামী ১৩ ও ১৪ এপ্রিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউবি) অডিটরিয়ামে আয়োজিত হবে এই উৎসব। উৎসবের প্রথম দিন ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় থাকছে ‘তাসের দেশ’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কাব্যনাট্যটি মঞ্চে আনছে আইইউবি থিয়েটার। নির্দেশনায় শামীম সাগর। বিকেল ৪টায় জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার মঞ্চস্থ করবে ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। অন্তর্দহন আর অস্তিত্ব সংকটের কাহিনি নিয়ে নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মাহফুজুল ইসলাম মেঘ। ১৪ এপ্রিল বেলা ১টায় মঞ্চায়ন হবে তীরন্দাজের ‘কণ্ঠনালিতে সূর্য’। একজন আগন্তুকের কণ্ঠনালিতে বহুকাল ধরে সূর্য আটকে আছে। সে এটা বের করতে চায় অথবা হৃৎপিণ্ডে চিরকালের জন্য রেখে দিতে চায়। একপর্যায়ে এই আগন্তুক মিডিওকার জীবনের যন্ত্রণার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায় এবং ধীরে ধীরে মানুষের রূপ থেকে কুকুরে পরিণত হয়।...
পাহাড়ে ত্রিপুরাদের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসু উৎসব’ উপলক্ষে বর্ণিল শোভাযাত্রা করেছে খাগড়াছড়ি ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে শোভাযাত্রাটি খাগড়াছড়ি টাউন হল থেকে শুরু হয়ে শহরের শাপলা চত্বর ঘুরে মিলনপুর ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকার ত্রিপুরা সস্প্রদায়ের লোকজন নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে হেসে হেলে নেচে গেয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। মূলত ১৩ এপ্রিল ত্রিপুরা সস্প্রদায়ের হারি বৈসুর মধ্যে দিয়ে ৩ দিনের বৈসু উৎসব শুরু হবে।...
ঘোষণা করা হলো ৭৮তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত সিনেমাগুলোর তালিকা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের উৎসবে মনোনীত সিনেমাগুলোর তালিকা প্রকাশ করেন উৎসবের প্রেসিডেন্ট আইরিস নোবলোখ ও আর্টিস্টিক পরিচালক ও জেনারেল ডেলিগেট থিয়েরি ফ্রেমো। খবর এএফপির সংবাদ সম্মেলনে মনোনীত সিনেমার তালিকা প্রকাশ ছাড়াও যৌন নিপীড়ন নিয়ে ফ্রান্স সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরা হয়। এবারের উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা কীভাবে জায়গা পেয়েছে ১৯টি সিনেমা, এর মধ্যে মাত্র ছয়টির পরিচালক নারী। তবে সবচেয়ে বড় চমক মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে কোনো কোরীয় সিনেমা না থাকা। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম স্বর্ণপামের লড়াইয়ে নেই কোনো কোরীয় সিনেমা।৭৮তম কান উৎসব অবশ্য অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসনের জন্য বড় সুখবর নিয়ে এসেছে। উৎসবে ক্যামেরার সামনে ও পেছনে দুই ভূমিকাতেই পাওয়া যাবে। স্কারলেট জোহানসন
বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ষড়যন্ত্র বা সহিংসতার শঙ্কা মোকাবিলায় সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় কবিতা পরিষদ। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন নস্যাতের ষড়যন্ত্রে বিরুদ্ধে’ ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রা আজ একটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। কিন্তু কিছু কিছু গোষ্ঠী এটিকে মূর্তিপূজা আখ্যা দিয়ে কটূক্তি করছে। এটি প্রকৃত অর্থে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ ও শুভবোধের বহিঃপ্রকাশ, যা বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বিশ্বমঞ্চে আমাদের পরিচয় তুলে ধরছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখ আয়োজনে বাঙালিসহ উপজাতিদের তাদের জাতিসত্ত্বাকে ধারণ করে...
মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে মঙ্গল শব্দটি বাদ দিয়ে আনন্দ শব্দ ব্যবহারের দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা এ দাবি জানান। এতে মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার বলে উল্লেখ করেন হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিবছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকে। সংখ্যালঘুর যে কোনো ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা ও অধিকারের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিশীল। কিন্তু পহেলা বৈশাখ উদযাপনে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ধর্মাচারকে তথাকথিত ‘সর্বজনীনতা’র নামে সবার ওপর চাপিয়ে দিয়েছে ফ্যাসিবাদী সেক্যুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী। মূলত আমাদের জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্য থেকে মুসলিম সংস্কৃতি ও ভাবধারাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে এই সেক্যুলার সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে।”...
খাগড়াছড়িতে মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ষবিদায় ও নতুন বছর উপলক্ষে ছয় দিনব্যাপী মাহা সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে জেলা সদরের পানখাইয়া পাড়ার বটতলা এলাকায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলার আয়োজন করে মারমা উন্নয়ন সংসদ।উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ও পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। উদ্বোধনের আগে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য প্রদর্শন করেন মারমা নৃত্যশিল্পীরা।সভায় জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘সাংগ্রাই উৎসবের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে যুক্ত হয়েছেন। গোটা বাংলাদেশের জন্য এটি অনুকরণীয়। এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিচ্ছবি। অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এই ধরনের উৎসব সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’মারমা উন্নয়ন সংসদের সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘মারমা সংস্কৃতি লালন, পালন, উৎকর্ষ ও...
পয়লা বৈশাখ উদযাপনে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘সর্বজনীনতা’র নামে সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রাকে পরবর্তীতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ দেওয়া ভারতীয় ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পুনর্বিবেচনা ও ভুল সংশোধনের জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সংখ্যালঘুর যেকোনো ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা ও অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু পয়লা বৈশাখ উদযাপনে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ধর্মাচারকে তথাকথিত ‘সর্বজনীনতা’র নামে সবার ওপর চাপিয়ে দিয়েছে ফ্যাসিস্ট সেকুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী। মূলত আমাদের জাতীয় চেতনা ও...
মঞ্চে ঐতিহ্যবাহী লাল-হলুদ পোশাক পরে তরুণীরা নৃত্যরত। তাদের হাতে হলুদ রঙের ছাতা। মঞ্চ সাজানো হয়েছে নানা রঙের বেলুন দিয়ে। মূলত পাহাড়ের সবচেয়ে বড় উৎসবকে স্বাগত জানাতেই রঙিন এ আয়োজন। গতকাল বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু, মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই, চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু ও বাঙালির চৈত্রসংক্রান্তি এবং বর্ষবরণ উৎসবকে (বৈসাবি) স্বাগত জানান। এর আগে সকালে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বৈসাবি উৎসবের প্রাথমিক আয়োজনের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। আগামী ১২ এপ্রিল থেকে তিন দিনের মূল উৎসব শুরু হওয়ার কথা। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের প্রধান এ উৎসব সামনে রেখে বুধবার রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।...
সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আয়োজিত হবে এবারের চৈত্রসংক্রান্তি এবং বর্ষবরণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় নববর্ষের শোভাযাত্রায় বাঙালিসহ অংশ নেবে ২৭ নৃগোষ্ঠীও। এ ছাড়া দুই শতাধিক তরুণ মিউজিশিয়ান গিটার ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাজির হবেন এই শোভাযাত্রায়। গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বড় পরিসরে চৈত্র বিদায় ও বাংলা নতুন বছরকে বরণ করার উৎসবের আয়োজন করেছে সরকার। এবারের নববর্ষের আয়োজনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি হতে যাচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক। তার জন্য প্রস্তুত পাহাড় থেকে সমতল– পুরো দেশ। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এবার পার্বত্য এলাকার সাংস্কৃতিক উৎসব নতুন মাত্রায় উদযাপন করা হবে। ...
চলতি বছরের বলিউডের অন্যতম প্রত্যাশিত চলচ্চিত্র মনে করা হচ্ছিল সালমান খানের ‘সিকান্দার’। ঈদে ধুমধাম করে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এ আর মুরুগাদস পরিচালিত অ্যাকশনধর্মী ছবিকে ঘিরে দর্শকের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। অগ্রিম টিকিট বিক্রিতেও সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু প্রথম দিনের বাজে শুরু সিনেমার ভাগ্য ভালো ফল বয়ে আনতে পারেনি। প্রথম দিনে ‘সিকান্দার’ আয় করেছিল মাত্র ২৬ কোটি রুপি। যা শুধু সালমানের নয়, বর্তমানে বলিউডের যেকোনো বড় ছবির ক্ষেত্রে বাজে শুরু। বক্স অফিসের এ ফল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, কেউ কেউ মনে করছেন আয়োজনের ঘাটতি, আবার কেউ মনে করছেন পাইরেসির কারণেই সুবিধা করতে পারেননি বলিউড ভাইজান। ঠিক কী কারণে ‘সিকান্দার’ সুবিধা করতে পারেনি, তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। বলিউড ভাইজানের ছবি, তা-ও আবার ঈদের সময়। ‘সিকান্দার’ নিয়ে তাই...
ঈদে সাধারণত নতুন ও বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি পেয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিতায় এবার মুক্তি পেয়েছে পাঁচটি সিনেমা। সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাগুলো। ঈদ উৎসবের ডামাডোলেও খোদ রাজধানীতে চলছে কাটপিস আমলের সিনেমা! কয়েকটি সিনেমা হলে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলে চলছে ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। মেহেদি হাসান হৃদয়ের সিনেমাটি ব্যবসা সফল সিনেমা তালিকায় চলে এসেছে। এর পাশের হল ছন্দতে চলছে বাবুল রেজা পরিচালিত সিনেমা ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’। এতে অভিনয় করেছেন আমিন খান, একা ও আলেকজান্ডার বো। ঈদ উৎসবেও পুরোনো সিনেমা প্রদর্শনীর বিষয়ে ছন্দ হল ম্যানেজার মো. মঞ্জু বলেন, ‘পুরোনো সিনেমার আলাদা দর্শক রয়েছে। এ কারণে পুরোনো সিনেমা চালাচ্ছি। তাছাড়া নতুন সিনেমা আনতে গেলে অনেক টাকা প্রয়োজন। হলের অবস্থা খারাপ। টাকা উঠাতে পারব না। বাধ্য হয়েই পুরোনো সিনেমা...
মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও এর নামকরণে জনগণের বোধ ও বিশ্বাসকে সম্মান জানানোর দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলা বর্ষপঞ্জি ষোড়শ শতকে মোগল সম্রাট আকবরের সময় ফসল রোপণ ও কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যে হিজরি সন অনুসরণ করে তৈরি করা হয়। গ্রামবাংলা ও শহরাঞ্চলে বিভিন্ন লোকসংগীত, হালখাতা, পিঠা-পুলি উৎসবের মাধ্যমে আবহমানকাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে আসছে, যা বাঙালি সংস্কৃতির চিরচেনা রূপ। আরো পড়ুন: ঢাবিতে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণ সভা...
বনে-জঙ্গলে জন্ম নেয় ঘিলালতা। সেই লতায় শিমজাতীয় বীজ পাওয়া যায়, যা পরিচিত ‘ঘিলা’ নামে। পাহাড়ের মানুষের নানা ঐতিহ্য-বিশ্বাসের সঙ্গে যোগ রয়েছে লতাটির। চাকমা লোকসাহিত্যের অমর প্রেমকাহিনি রাধামন-ধনপুদির একটি পর্বে ঘিলা সংগ্রহ ও ঘিলা খেলার বিবরণ রয়েছে। ধনপুদির অনুরোধে রাধামন অনেক দূর থেকে ঘিলা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। পরে ঘিলা খেলা নিয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।পাহাড়ে ঘিলা খেলার প্রচলন এখন তেমন নেই। তবে প্রতিবছর বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে এই খেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যকে স্মরণ করতে দেখা যায় পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে। এবারও যার ব্যতিক্রম হয়নি। কেবল ঘিলা খেলা নয়, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উৎসব ঘিরে পাহাড়ের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মানুষ এখন মেতে উঠেছে নাদেং, পত্তি, ফোর, বাঁশ খড়ম দৌড়, গুডুসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলায়।বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব। পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বিজু, বিহু,...
পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতিতে অমলিন এক উৎসবের নাম। নানা উৎসব আয়োজনের পাশাপাশি নববর্ষের প্রথম দিনে নতুন পোশাক পরার রীতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। উৎসবের এসব পোশাকে থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। যে কোনো উৎসব-পার্বণে বাঙালি নারীর পছন্দের পোশাক শাড়ি। বৈশাখ হলে তা আরও বেড়ে যায়। প্রতি বৈশাখেই তাই বাহারি শাড়ির পসরা সাজায় ফ্যাশন হাউসগুলো। শাড়ির সুতায় বা জামদানিতে ফুটে ওঠে একটি শাশ্বত রীতি, যা অতীতের গাঁথুনি আর বর্তমানের চেতনা একত্র করে। বাহারি রঙের শাড়ির উজ্জ্বলতা, কোমলতা– সবকিছু যেন নতুন কিছু শুরুর আহ্বান জানায়। অন্যদিকে পহেলা বৈশাখে ছেলেরা নিজেদের সাজায় পাঞ্জাবির সাজে। আজকাল শুধু লাল-সাদা নয়, অন্যান্য উজ্জ্বল রংও প্রাধান্য পায় পাঞ্জাবিতে। বেলবুট, কুর্তা এবং ধুতি-চাদর পরিধানে পহেলা বৈশাখে পুরুষদের চেহারায় ফুটে ওঠে এক চিরন্তন সৌন্দর্য। যদিও বৈশাখের পোশাকের মধ্যে ঐতিহ্যিক শাড়ি...
ইউরি গ্যাগারিনের ঐতিহাসিক মহাকাশ যাত্রার বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় শুরু হয়েছে গ্যাগারিন বিজ্ঞান ও শিল্প উৎসব-২০২৫। মানবজাতির প্রথম মহাকাশ যাত্রার ৬৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকার রাশিয়ান হাউস। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পরিচালক মিস্টার পাভেল এ. দ্ভইচেনকভ উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন এবং অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তিনি ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল গ্যাগারিনের অগ্রণী যাত্রার কথা তুলে ধরেন, এটিকে ‘মানব সভ্যতা মহাকাশ যুগে প্রবেশ’ মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেন, যা মানবতার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করে। দ্ভইচেনকভ রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উপর জোর দেন। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো চলমান প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করেন এবং রাশিয়া ও সোভিয়েত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয়...
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান কার্যক্রম সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শহরের হোসিয়ারি সমিতি প্রাঙ্গণে এই ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এ সময় মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান সুন্দরভাবে আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপনে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা শিখণ সরকার শিপন, মহানগর বিএনপি নেতা নাজমুল হক, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, সহ-সভাপতি সাংবাদিক উত্তম সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য্য,...
বাহা বা ফুল উৎসব আসলে সৃষ্টির উৎসব। বসন্তকালে গাছে গাছে পাতা, মুকুল প্রস্ফুটিত হয়; ফুল ফোটে। শাল, পলাশের ফুলে ভরে ওঠে বনভূমি। এই ঋতুতে যে ফুল ও পাতা গজায় তাকে ব্যবহারের আগে প্রকৃতির সেই নতুন সৃষ্টিকে সম্মান জানাতেই এই বাহা উৎসব পালিত হয়। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন নাচে গাচে মেতে ওঠেন বাহা উৎসব উদযাপনে। বাহা পরব উপলক্ষে গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লী সেজে ওঠে বসন্তের রঙিন সাজে। উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের তল্লাপাড়া গ্রামে সেভেন ডে অ্যাডভেন্টিস্ট প্রি সেমিনারি স্কুল প্রাঙ্গণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড এবং আর্টিকেল নাইনটিন-এর সহযোগিতায় ও অবলম্বনের আয়োজনে বাহা পরব বা বসন্ত উৎসব উদযাপন করেন সাঁওতালরা। দিনভর ধর্মীয় পুজা-অর্চনা ও সাঁওতাল সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাঁওতাল নারী-পুরুষ ও...
চট্টগ্রাম নগরের ডিসি হিলে বাংলা বর্ষবিদায় ও বরণের অনুষ্ঠান প্রায় অর্ধশত বছরের ঐতিহ্য। সামরিক সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেও এখানে উৎসবে মেতেছিল নগরবাসী। এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি ৪৮ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। তবে ঐতিহ্যের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানের পাঁচ দিন বাকি থাকলেও এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলেনি অনুমতি।গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিবেদন ‘পজিটিভ’ নয় বলে এখনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বিষয়টি বর্ষবিদায় ও বরণ উৎসবের আয়োজকদের জানানো হয়।গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায় জেলা প্রশাসক বরাবর। আজ বেলা সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল কর্মকর্তা সৈয়দ আয়াজ...
চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার’ নামের একটি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মিশন চাকমা।এতে বলা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিহু, চাংক্রান, চৈত্রসংক্রান্তি আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এ উৎসব পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতিসত্তা এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের কাছে জাতীয় ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও উৎসবের দিন তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।সংগঠনটির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উৎসব...
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান কার্যক্রম সফলভাবে সমাপ্ত করায় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া ও জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এ সময় উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে শুভেচ্ছা জানান ও মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কর্মকার, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপনে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা শিখণ সরকার শিপন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা দাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, সহ-সভাপতি সাংবাদিক উত্তম সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ...
নানা উৎসবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় শিহরণ জাগায় মারমা শিল্পীদের পাখানৃত্য। বিশেষ করে মারমাদের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ‘ত্নহ তাখা হ্নাসই পোয়ে, অপ্য পিরে সাংগ্রাইংলে, ঙেনি রাকমা জা ফ্রইতে, ম্রারে ফুরে তোয়ি নিংরে (বছর ঘুরে সাংগ্রাইং এসেছে/ আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে/ উষ্ণ-শীতল আবেশ নিয়ে/ আমার প্রিয়তমের শীতল অনুভূতি জাগাব পাখা দিয়ে) গানের সঙ্গে পাখানৃত্য প্রতিবছরই দর্শকদের মাতিয়ে আসছে। হৃদয়কাড়া এই নৃত্য-গান দুটিরই স্রষ্টা হিসেবে রয়েছে ‘মারমা শিল্পীগোষ্ঠী। কেবল পাখানৃত্য নয়, মারমাদের ময়ূরনৃত্য, থালানৃত্য, মাছ ধরা নৃত্য, ছাতানৃত্য—সবকিছুরই রূপকার এই সংগঠন। নিজেদের সৃষ্টি করা অসংখ্য পাহাড়ি গানেও শ্রোতাদের আবেগে-উচ্ছ্বাসে মাতিয়ে রাখে সংগঠনটি। বলা যায়, পাহাড়িদের সাংস্কৃতিক চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে সংগঠনটি।বান্দরবানে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মারমা শিল্পীগোষ্ঠী’। যাত্রা শুরু ১৯৯৬ সালে। এই সংগঠনের শিল্পীরা নিজেদের সৃষ্টিশীলতায় ঝিমিয়ে পড়া মারমা সংস্কৃতির যেমন প্রাণ সঞ্চার করেছেন, তেমনি ত্রিপুরা, ম্রো,...
সুনেরাহ বিনতে কামাল। অভিনেত্রী ও মডেল। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’। নতুন সিনেমা ও সমসাময়িক অন্যান্য প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন। প্রথমবার ঈদে আপনার অভিনীত কোন সিনেমা মুক্তি পেল, কেমন লাগছে? ঈদে সিনেমা মুক্তি পাওয়া অবশ্যই আনন্দের। কারণ ঈদ উৎসবে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে সিনেমা দেখতে যায়। হলে হলে দর্শকের ঢল নামে। এ রকম একটি উৎসবে নিজের সিনেমা মুক্তি সৌভাগ্যের। দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার কী সুযোগ হয়েছে? বেশ ভালো। যারা সিনেমাটি ইতোমধ্যে দেখেছেন, প্রত্যেকের কাছ থেকেই খুব প্রশংসা পাচ্ছি। অনেকেই আমার অভিনীত চরিত্রটি পছন্দ করেছেন। দর্শক দীর্ঘদিন এ রকম একটি সিনেমার অপেক্ষায় ছিলেন। এ সিনেমাটির মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। মহাখালীর একটি প্রেক্ষাগৃহে আমি একা মাস্ক পরে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। সরাসরি...
সুনেরাহ বিনতে কামাল। অভিনেত্রী ও মডেল। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’। নতুন সিনেমা ও সমসাময়িক অন্যান্য প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন। প্রথমবার ঈদে আপনার অভিনীত কোন সিনেমা মুক্তি পেল, কেমন লাগছে? ঈদে সিনেমা মুক্তি পাওয়া অবশ্যই আনন্দের। কারণ ঈদ উৎসবে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে সিনেমা দেখতে যায়। হলে হলে দর্শকের ঢল নামে। এ রকম একটি উৎসবে নিজের সিনেমা মুক্তি সৌভাগ্যের। দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার কী সুযোগ হয়েছে? বেশ ভালো। যারা সিনেমাটি ইতোমধ্যে দেখেছেন, প্রত্যেকের কাছ থেকেই খুব প্রশংসা পাচ্ছি। অনেকেই আমার অভিনীত চরিত্রটি পছন্দ করেছেন। দর্শক দীর্ঘদিন এ রকম একটি সিনেমার অপেক্ষায় ছিলেন। এ সিনেমাটির মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। মহাখালীর একটি প্রেক্ষাগৃহে আমি একা মাস্ক পরে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। সরাসরি...
শহরের সড়কে ম্রো জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্লুং বাঁশির সুরের মূর্ছনা। সঙ্গে বাজছে ঢোল। বাদ্যের তালে তালে বিচিত্র বর্ণিল পোশাকে শোভিত নারী-পুরুষেরা এগিয়ে যাচ্ছেন একটি বার্তা নিয়ে। বার্তাটি বর্ষবরণের। চৈত্রের প্রখর আলোয় উৎসবে মেতেছে গোটা পাহাড়।আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে সর্বজনীন বৈসাবি উদ্যাপন কমিটির ব্যানারে এমন শোভাযাত্রা শুরু হয়। পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী ঢোল, প্লুং বাঁশি বাজিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে পানখাইয়াপাড়ার নিউজিল্যান্ড মোড়ে এসে বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ হয় এই শোভাযাত্রা। চাকমা, মারমা, ম্রো, চাক, ত্রিপুরা, সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষ তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে খাগড়াছড়িতে এখন সাজ সাজ রব। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নানা আয়োজন। বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু ও চাংক্রান উৎসব ঘিরে পাহাড়িরা মিলিত হচ্ছেন মিলনমেলায়। অনেকে...
যেকোনো উৎসবেই শিশুর পোশাকের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। বাড়িতে ছোট সদস্যটিকে কীভাবে সাজানো হবে, সেটার তোড়জোড়েই যেন উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে। পয়লা বৈশাখে মূলত দেশীয় ধাঁচের পোশাকই পরা হয়। শাড়ি থাকে তালিকার ওপরে। শিশুদের শাড়ি পরানো, সাজানো এবং সারা দিন সেই সাজে গরম আবহাওয়ায় বাইরে ঘোরাটা একটু চ্যালেঞ্জই বটে। তবু বের হতে হবেই। সাধারণভাবে শাড়ির কাজ, সাজে চলে আসবে উজ্জ্বলতা, তবে আরামের বিষয়টিও থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সেলাই করা শাড়ি বেছে নেওয়া যায়। স্কার্টের মতো করেই পরবে ছোট্ট মেয়েটি, কিন্তু সাজপোশাকে ফুটে উঠবে দেশীয় ধারা।মডেল: সেজমিন ও আলইয়ানা, শাড়ি, ব্লাউজ ও অনুষঙ্গ: ইনসি উইনসি’স ক্লোজেট, ছবি: কবির হোসেন
পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু ও বিহু (বৈসাবি) শুরু হবে ১২ এপ্রিল চাকমাদের ফুল বিজুর মধ্যে দিয়ে। এ উৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যে পাহাড়ের গ্রামে-পাড়ায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা। উৎসব আমেজে মেতে উঠেছে সবাই। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বৈসাবি উৎসবকে কেন্দ্র করে র্যালি করেছে খাগড়াছড়ি সার্বজনীন বৈসাবি উৎযাপন কমিটি। র্যালিটি শহরের মহাজন পাড়া চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে শাপলা চত্বর ঘুরে নিউজিল্যান্ড বৈসাবি মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সার্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহবায়ক রবি শংকর তালুকদার। বৈসাবি র্যালিতে বর্ণিল সাজে শতশত পাহাড়ি নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ অংশ নেন। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নবর্বষের প্রথম দিন চাকমারা বিজু পালন করে থাকেন। প্রথম দিন ফুল বিজু, পরের দিন মূল বিজু...
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের একটি প্রতিষ্ঠান ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি) জনবল নিয়োগের পুনর্বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বিনিয়োগ কার্যক্রমে দুই ক্যাটাগরির পদে তিনজনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের সরাসরি, কুরিয়ার বা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।১. পদের নাম: উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) পদসংখ্যা: ২যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর/সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের সব ক্ষেত্রে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি/বিভাগ থাকতে হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহকারী মহাব্যবস্থাপক/ সহকারী পরিচালক অথবা উপমহাব্যবস্থাপক/উপপরিচালক বা সমমান পদে কমপক্ষে পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৫ বছর কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।বয়স: সর্বোচ্চ ৫৫ বছর (অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য)।বেতন: মাসিক মোট বেতন ১,১০,৩৫৫ টাকাসুযোগ-সুবিধা: প্রতি কর্মদিবসের জন্য ২০০ টাকা হারে লাঞ্চভাতা প্রাপ্য হবেন। এ ছাড়া সংস্থার নিয়মানুযায়ী শিক্ষাসহায়ক ভাতা, উৎসব ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড,...
শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু সমস্যার কারণে এবার শিক্ষা বিভাগ থেকে আগেই ধারণা দেওয়া হয়েছিল, এবার বই পেতে কিছুটা দেরি হবে। কিন্তু একপর্যায়ে এই দেরি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়। বই পেতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হয়। এ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। অবশেষে শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রায় তিন মাসের মাথায় সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য সব বিষয়ের পাঠ্যবই সরবরাহ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।এনসিটিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ মার্চ সর্বশেষ পাঠ্যবই সরবরাহের অনুমোদন বা পিডিআই দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তথ্যমতে, সব শিক্ষার্থীই বই পেয়ে যাওয়ার কথা। না পাওয়ার অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। তবে, কোথাও কোথাও কারিগরি স্তরের নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সব বই পেতে কিছু অসুবিধায় পড়েছে বলে তাঁরা শুনেছেন।আগামী বছর যাতে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা...
সৃজনে-মননে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে দেশজুড়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কাজ করছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। এ যাত্রায় ঈশ্বরদীর সুহৃদরাও পিছিয়ে নেই। সেরা সুহৃদ উদযাপন, কার্যক্রমের মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে উপজেলার সুহৃদদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ‘সুহৃদ উৎসব’ এবার ঈদ আনন্দ একটু বেশিই ছিল ঈশ্বরদীর সুহৃদ সমাবেশের সদস্যদের। ভালো কাজের মূল্যায়ন ও অনুপ্রেরণা জোগাতে ২০২৩-২৪ সালে পরিচালিত কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে ‘সেরা সুহৃদ’ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন তারা। ফলে সুহৃদদের মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস কাজ করছিল। তবে অনেক আগেই পরিকল্পনা ছিল সমকালের ২০ বছর উদযাপন, ঈদ পুনর্মিলনী ও সুহৃদ উৎসব আয়োজনের। ঈদের আগে থেকেই চলছিল উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। ঈশ্বরদীর গোকুলনগরে গোল্ডেন জাজিরা পার্টি সেন্টারে বিভিন্ন স্থান থেকে একে একে আসতে শুরু করেন সুহৃদরা। নির্ধারিত সময়ের আগেই মিলনমেলায় পরিণত হয় ভেন্যু...
চৈত্র মাস শেষের পথে। দেশের পার্বত্য এলাকায় চলছে বর্ষবিদায় ও বরণের উৎসবের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এই উৎসবকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। এবার পাহাড়িদের এই উৎসব উপলক্ষে রাজধানীতে ‘বিঝু, বৈসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান, বিষু’ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসব শুরু হবে আগামী বুধবার (৯ এপ্রিল), চলবে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পর্যন্ত। রাজধানীর মিরপুর ১৩–এর শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহারে তিন দিনের এ মেলা চলবে। বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দুই দিন এবং বৈশাখের প্রথম দিন পাহাড়ে শুরু হয় বর্ষবিদায় ও বরণের বর্ণিল আয়োজন। একেক জাতিগোষ্ঠী একেক নামে এ উৎসবকে অভিহিত করে। এবার উৎসব শুরু হবে ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল। সেই উৎসব উপলক্ষেই রাজধানীতে মেলার এ আয়োজন।পার্বত্য চট্টগ্রামের ১১টি পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। এর মধ্যে বর্ষবিদায় ও বরণের এ উৎসবকে চাকমাদের বিজু বা বিঝু,...
২০১৪ সালে বার্সেলোনার প্রধান কোচ হওয়ার পর দলে একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের অভাব অনুভব করেছিলেন লুইস এনরিকে। তাঁর অনুরোধে সে বছরই ভ্যালেন্সিয়া থেকে নিয়ে আসা হয় জেরেমি ম্যাথিউকে।এনরিকের কোচিংয়ে এরপর ইতিহাস গড়ে বার্সা। দুই বছরের মধ্যে জিতে নেয় সম্ভাব্য সব শিরোপা। ২০১৫ সালে ‘ট্রেবল’ (চ্যাম্পিয়নস লিগ, লা লিগা, কোপা দেল রে) জয়ের পাশাপাশি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় কাতালান ক্লাবটি। পরের বছর লা লিগা ও কোপা দেল রে শিরোপা ধরে রাখার পর স্প্যানিশ সুপার কাপের ট্রফি নিয়েও উৎসব করেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। বার্সার সর্বজয়ী দলের সদস্য হিসেবে উৎসবে মেতেছিলেন ম্যাথিউও।সেই ম্যাথিউ এখনো খেলাধুলার সঙ্গেই আছেন, তবে অন্য ভূমিকায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে ম্যাথিউকে তাঁর দেশ ফ্রান্সের একটি ক্রীড়াসামগ্রীর দোকানে দেখা যায়। গলায় ঝোলানো ছিল পরিচয়পত্র।ফ্রান্সের ক্রীড়া দৈনিক...
ফরাসি লিগ ওয়ানে আরেকটি মৌসুমে শিরোপা উৎসব করল প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি)। অ্যাঙ্গার্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে ছয় ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করল লুইস এনরিকের দল। পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ডেসিরে ডুয়ে। এই জয়ে টানা চতুর্থবারের মতো লিগ ওয়ানের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল পিএসজি। সবমিলিয়ে ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে এটি ক্লাবটির ১৩তম শিরোপা। পুরো ম্যাচজুড়েই দাপট দেখায় প্যারিসের জায়ান্টরা। বল দখলে ছিল ৮২ শতাংশ সময়, গোলের জন্য নেয় ২০টি শট। বিপরীতে অ্যাঙ্গার্স গোলের লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছে মাত্র ৫টি। এই জয়ে ২৮ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৭৪। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকোর চেয়ে তারা এগিয়ে ২৪ পয়েন্টে। ফলে মৌসুম শেষ হতে ছয় ম্যাচ বাকি থাকতেই অন্য দলগুলোর ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে তারা। শেষ ১৩ মৌসুমে...
পিএসজি ওয়েবসাইট
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের পুরানবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বান্নি মেলা। এ মেলাকে ঘিরে পুরো শায়েস্তাগঞ্জ জুড়েই ছিলো উৎসবের আমেজ। শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলা শুরু হয়। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে খোয়াই নদীর তীরঘেঁষা পুরানবাজারে শত শত মানুষের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন স্থান থেকে নারী-পুরুষ মেলায় আসেন। তাদেরকে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়। দিনব্যাপী মেলাতে শতাধিক দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মেলায় গরু, হাতি, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি মাটির তৈরি খেলনা ছাড়াও গৃহস্থালি সামগ্রীরও অনেক জিনিস ওঠে। চুরি-ফিতা মন্ডামিঠাইসহ নানা খাদ্যসামগ্রীও বিক্রি হতে দেখা যায়। জনসমাগম থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ও ছিল বিশেষ গুরুত্ব। শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীলিপ কান্ত নাথ জানান, দিনব্যাপী মেলাতে ১০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।...
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমী, বাসন্তী পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহ লাখো পুণ্যার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পূজামণ্ডপ, স্নানঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। আইএসপিআর জানায়, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠে দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো পুণ্যার্থী। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই মহা অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসব আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে দুই দিনব্যাপী চলবে। আজ রবিবার লাঙ্গলবন্দের ১৯টি ঘাটে লাখো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশ নিবেন। ভারত, শ্রীলংকা, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের হাজারো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশ নিবেন বলে জানা যায়। এছাড়াও, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার...
এবারের ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি ছিল। তাই বেড়ানোতেই ছিল ঈদের মূল আনন্দ। তবে সেই আনন্দে ছিল আক্ষেপ আর হতাশাও। নির্দিষ্ট কিছু বিনোদন কেন্দ্র লোকে-লোকারণ্য থাকলেও, শিশু-কিশোরদের বিনোদনে ছিল ঘাটতি। শিশু-কিশোরদের মূল আকর্ষণ থাকে শিশু-পার্ক ও থিম পার্কে। কিন্তু এবার চট্টগ্রামের শিশুদের আনন্দের প্রধান তিন পার্কই বন্ধ। কাজীর দেউড়ি শিশুপার্ক ভেঙে ফেলা হয়েছে, আগ্রাবাদ শিশুপার্ক ও ‘মিনি বাংলাদেশ’খ্যাত স্বাধীনতা কমপ্লেক্সেও ঝুলছে তালা। যেখানে রয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর অবিকল ডামি। স্বাধীনতা কমপ্লেক্স বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনকে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। তবে মানুষের ভিড় ছিল পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড, জাতিসংঘ পার্ক, পতেঙ্গা প্রজাপতি পার্ক, আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ, কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট, বায়েজিদ লিংক রোড, হালিশহর সাগর পাড় ছাড়াও সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগরপাড়,...
মুন্সীগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার হাট লক্ষীগঞ্জ সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর তীরে এ উৎসব চলে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তিথি অনুযায়ী পাপমোচন ও পুণ্যলাভের আশায় প্রতিবছর এ উৎসব পালন করেন। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ১২টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে। আরো পড়ুন: কর্মস্থলে ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় শনিবার ভোর থেকে স্নানোৎসবে অংশ নিতে ধলেশ্বরীর তীরে উপস্থিত হন হাজারও পুণ্যার্থী। হিন্দু ধর্মের তিথি অনুসারে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে বিভিন্ন বয়সী হিন্দু নারী-পুরুষ স্নান...
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অবঃ) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিদেশী কিছু গণমাধ্যম অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। তাদের অপপ্রচার রোধ করতে হলে দেশের গণমাধ্যম গুলোতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। তাহলে ওইসব বিদেশী গণমাধ্যমের মিথ্যা সংবাদের ওপর চুনকালি পড়বে। শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পূণ্যস্নান উৎসবের বিভিন্ন স্নান ঘাট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা “বাংলাদেশের মতো ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই” এমন মন্তব্যও করেন। তিনি জানান, লাঙ্গলবন্দের পূণ্যস্নান উৎসব এলাকাকে ধর্মীয় পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা হয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অন্যান্য বারের...
“বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অন্য কোথাও নেই। এদেশের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে যার যার ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবে অনেক বেশি পূণ্যার্থীরা অংশ নিয়েছেন।” বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসবের পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ এপ্রিল রাত ১২টা ৫১ পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী লাঙ্গলবন্দের এই স্নানোৎসব চলবে। স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে...
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমী পুণ্যস্নানে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ পুণ্যার্থীর পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো লাঙ্গলবন্দ এলাকা। আদি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে স্নানোৎসব শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে যা শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টায় শেষ হবে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানসহ দেশ ও বিদেশ থেকে ব্যাপক পুণ্যার্থীরা এ স্নানোৎসবে অংশ নিয়েছেন। এদিকে লাঙ্গলবন্দে স্নানোৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। এদিকে লাঙ্গলবন্দের স্নানে পুণ্যার্থীদের আসার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সকাল থেকে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মহা অষ্টমী স্নানোৎসবে অংশ নিতে লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকায় ঘাটগুলোতে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেন। নারী-পুরুষ পুণ্যার্থীরা সড়ক পথ ও...
পবিত্র রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বড় পরিবর্তন ঘটে। শরীর ক্রমেই এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। এরপর আসে ঈদ। ঈদের দুই–তিন দিন খাবারের বেলায় বেশি বিধিনিষেধ মানা হয় না। এত কিছুর পর এবার স্বাভাবিক লাইফস্টাইলে ফিরে আসার সময় হয়েছে। শরীরকে আবার রোজকার আদর্শ খাদ্যাভ্যাসে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রোজা শেষে নিয়মিত খাবারের ধরনে ফেরার সময় হজমে অস্বস্তি ও বিপাকীয় ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীরের ওজনও বাড়তে পারে। লক্ষ রাখুনপুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার দিয়ে শুরু করুন। গরম পড়েছে, তাই ভারী খাবার কমিয়ে দিন। বাড়তি খাওয়া এড়ানোর চেষ্টা করুন।ভারী ব্যায়াম শুরু করার আগে হাঁটার মতো হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন।ফল, শাকসবজি ও শস্যের মতো খাবারগুলো অগ্রাধিকার দিন। শর্করা, আমিষ, ভালো চর্বি ও ভিটামিন–মিনারেলসমৃদ্ধ সুষম খাবারে অভ্যস্ত হোন। খাদ্যতালিকায় রাখুনভিটামিন, খনিজ ও...
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসব। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ এপ্রিল রাত ১২টা ৫১ পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে। স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছে দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো পুণ্যার্থী। স্নানোৎসবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও স্নানোৎসব এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরিতকি, ডাব, আম্রপল্লব নিয়ে পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নিয়েছেন। লগ্ন শুরুর পরপরই পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। পাপমোচনের বাসনায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে লাঙ্গলবন্দ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, (মহাভারতের বর্ণনামতে) পরশুরাম মুনি...
পাহাড়ের পাড়ায় পাড়ায় ছন্দময় কোমর তাঁতের শব্দ। তৈরি করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পোশাক। কেউ নিজের কিংবা পরিবারের সদস্যদের জন্য, কেউ আবার বিক্রির উদ্দেশ্যে কোমর তাঁতের পোশাক তৈরি করছেন। পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও বিদায়ের অনুষ্ঠান ঘিরেই পোশাক তৈরির এই ব্যস্ততা।পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী পৃথকভাবে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, চাংক্রান নামে বর্ষবরণ ও বিদায়ের উৎসব পালন করে। সমতলের লোকজনের কাছে এ উৎসব ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিত। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসবের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে বলা হয় ‘বৈসাবি’।পাহাড়ের এই উৎসব ঘিরে কোমর তাঁতে পোশাক বোনার রীতি চলছে যুগ যুগ ধরে। পাহাড়ি নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কোমর তাঁতে বোনা হয়, যা চাকমাদের কাছে পিনন-হাদি আর ত্রিপুরাদের কাছে রিনাই-রিসা নামে পরিচিত। পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীর নারীরা এ পোশাক পরেন। সারা বছর অন্য ধরনের পোশাক পরলেও বর্ষবরণ...
কৃষক রাসেল মিয়া ও রফিকুল ইসলামের নিজেদের ধানি জমি আছে। কিন্তু তাঁদের জমির ধান পাকতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তাঁদের বাড়িতে থাকা গরুর খাবারের জন্য খড় দরকার। কিন্তু পুরোদমে ধান কাটা মৌসুম শুরু না হওয়ায় বাজারে এখন খড় পাওয়া কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে নিজেরা শ্রমিক না হলেও খড়ের বিনিময়ে ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পানান বিলে প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন মধ্য লাখুহাটি এলাকার কৃষক হারুন মিয়া। তাঁর জমির ধান একটু আগেভাগেই পেকে গেছে। তিনি জমির ধান কাটার ঘোষণা দিতেই কৃষক রাসেল মিয়াসহ আশপাশের যেসব কৃষকের গরু আছে, তাঁরা দল বেঁধে খড়ের বিনিময়ে ধান কাটতে জমিতে ভিড় করেন।এভাবে প্রতিবছর যাঁদের ধান আগেভাগে পেকে যায়, অন্য কৃষকেরা খড়ের বিনিময়ে তাঁদের জমির ধান কেটে দেন। শুক্রবার হোসেনপুরের...
আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উৎসবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ’৯০ ব্যাচের পুনর্মিলনী। শুক্রবার দিনভর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উৎসব হয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর পরস্পরকে কাছে পেয়ে আড্ডা ও খুনসুটিতে মেতে ওঠেন সবাই। সকালে স্কুলজীবনের স্মৃতি হিসেবে ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হয় ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠান। এর পর জাতীয় সংগীত, শপথবাক্য পাঠ ও র্যা লি শেষে প্রাক্তন শিক্ষক সম্মাননা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। প্রয়াত শিক্ষক ও ১৯৯০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর পর উত্তরীয় পরিয়ে, মানপত্র পাঠ ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয় ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৯ শিক্ষককে। তাঁরা হলেন– গুরুদাস সাহা, রমেন্দ্র নাথ রায় কর্মকার, প্রভাত কুমার বিশ্বাস, মুজাফফর হোসেন মোল্লা, শামসুল হক ভোলা মাস্টার,...
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
প্রতিবছর বিভিন্ন উৎসব পার্বণে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আগমন ঘটে লাখ লাখ পর্যটকের। তবে সবেচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদ ও কোরবানিতে। এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সরকারি টানা ৯ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঈদের প্রথম দিনেই আগমন ঘটতে শুরু করে পর্যটকের। তবে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এবং শুক্রবার (৪ এপ্রিল) লাখো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগত পর্যটকরা সৈকতের পরিবেশ ও প্রতিবেশ উপভোগ করে উচ্ছ্বসিত হলেও ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় তাদের চোখে মুখে লক্ষ্য করা গেছে বিরক্তির ছাপ। অনেকেই কুয়াকাটা সৈকতে বসে বার বার চেষ্টার পরও স্বজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই মোবাইলে ঠিক মতো ইন্টারনেট থাকছে না। বিশেষ করে আলীপুরের পর কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ড...
এটি কোনো পর্যটনকেন্দ্র নয়, এখানে নেই কোনো সাজানো বিনোদনব্যবস্থা। তবু ঈদের ছুটিতে হাজারো মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এখানে। বয়ে চলা নদীর পানির স্রোতে শরীর ভাসিয়ে নিচ্ছেন, কেউ গাইছেন গান, কেউ তুলছেন ছবি। এমন দৃশ্য বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা সেতুর নিচে, বাঙ্গালী নদীতে। এই নদীর পানিতে ঈদ–আনন্দে ভাসা দর্শনার্থীরা জায়গাটির নাম দিয়েছেন ‘বগুড়ার জাফলং’।পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরেই জমে উঠেছে এই ভিড়। টানা চার দিন ধরে চলছে এই আনন্দোৎসব। সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ আসছেন নদীর ধারে। কেউ পানিতে নামছেন, কেউ আবার দূর থেকে উপভোগ করছেন দৃশ্য। এরই মধ্যে জায়গাটি ঘিরে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী খাবারের দোকান।গতকাল বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, জোড়গাছা সেতুর পাইলিংয়ের মেরামতের কাজ চলছে। সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে ২০০৭ সালে নির্মিত...
প্রতি বৎসর ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর যেই ‘রেকর্ড’ সৃষ্টি হয়, উহা উদ্বেগজনক। ঈদুল ফিতরের ছুটির কয়েক দিনে অন্তত অর্ধশত প্রাণহানির খবর সংবাদমাধ্যমে আসিয়াছে। সর্বাপেক্ষা ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটিয়াছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে; লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় পরপর তিন দিন দুর্ঘটনায় ১৫ প্রাণ ঝরিয়া গিয়াছে। স্থানটি ছয় কারণে মৃত্যুকূপ হইয়া উঠিয়াছে বলিয়া সমকালের প্রতিবেদনে উঠিয়া আসিয়াছে। আমরা বিস্মিত, উক্ত এলাকায় বারংবার দুর্ঘটনা ঘটার পরও সতর্কতা কিংবা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই! দেশে স্বাভাবিক সময়েই সড়কে অনেক প্রাণ ঝরিয়া থাকে। ঈদের সময় যাতায়াত বৃদ্ধির কারণে দুর্ঘটনাও সমগতিতে বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতি বৎসর রাজধানী কিংবা অন্যান্য শহর হইতে ঈদযাত্রায় যেই ভোগান্তি আমরা দেখিয়া আসিয়াছি, সেইদিক হইতে এইবার ঈদযাত্রা ছিল বহুলাংশে স্বস্তিদায়ক। তজ্জন্য সড়ক দুর্ঘটনাও নিয়ন্ত্রণে আসিবে বলিয়া আমাদের প্রত্যাশা থাকিলেও পূর্বের ন্যায় দুর্ঘটনা ও...
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর প্রধান সামাজিক আনন্দ আয়োজন বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু বিহু উপলক্ষে উৎসব শুরু হয়েছে। আর এই উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু বিহু মেলা । বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকালে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিটিউট মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা এনডিসি, পিএসসি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন। সাত দিনব্যাপী বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু বিহু মেলার উদ্বোধন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদারের সভাপতিত্বে...
‘এসো স্মৃতির গ্রামে, মিলি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে’ স্লোগানে শিশু থেকে তরুণ ও বৃদ্ধদের অংশগ্রহণে ঈদ উৎসবে মেতেছেন গ্রামবাসী। ঈদের ছুটিতে স্মৃতিঘেরা গ্রামে ফিরে এমন আয়োজন করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার জুঙ্গুরদিয়া গ্রামবাসী। তাঁদের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দিনব্যাপী জুঙ্গুরদি আভা মাঠে দিনব্যাপী নানা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ উৎসব ও মিলনমেলা উপলক্ষে সকাল ১০টার দিকে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন গ্রামের গুনী বয়োজ্যেষ্ঠরা। পরে রঙবেরঙয়ের টি-শার্ট গায়ে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে জুঙ্গুরদি বাস স্ট্যান্ড প্রদিক্ষণ করে শেষ করে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধ শুরু হয় ছাত্র ও পেশাজীবীদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা দিয়ে। পরে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে হামদ-নাদ, গজল, কোরআন তেলওয়াত, কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতা হয়। শিশু-কিশোরদের মাঝে বয়সভিত্তিক দৌড়, বয়স্কদের হাড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বয়সীদের নানা প্রদর্শনী হয়।...
আগামী ৪৭তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ছবি ‘মাস্তুল’। গত ২ এপ্রিল মূল প্রতিযোগিতা বিভাগসহ উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের ছবি নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। পরে অফিশিয়াল ওয়েব সাইটেও উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। মাস্তুল সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। এর আগে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। বিশ্বের অন্যতম এ উৎসবে ‘মাস্তুল’ মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত নির্মাতা নূরুজ্জামান। আনন্দ প্রকাশ করে এই নির্মাতা বলেন, মস্কোতে ‘মাস্তুল’ মনোনীত হওয়ার বিষয়টি আগেই উৎসব কর্তৃপক্ষ ই-মেইল যোগে নিশ্চিত করেছেন। খবরটি পাওয়ার পর দারুণ আনন্দিত আমরা। এর আগে ৪৪তম আসরে যুবরাজ শামীমের ‘আদিম’, ৪৫তম আসরে নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’ এবং ৪৬তম আসরে আসিফ ইসলামের ‘নির্বাণ’ এ উৎসবে নির্বাচিত ও প্রদর্শিত হয়। তারও আগে...
আগামী ৪৭তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ছবি ‘মাস্তুল’। গত ২ এপ্রিল মূল প্রতিযোগিতা বিভাগসহ উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের ছবি নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। পরে অফিশিয়াল ওয়েব সাইটেও উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। মাস্তুল সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। এর আগে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। বিশ্বের অন্যতম এ উৎসবে ‘মাস্তুল’ মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত নির্মাতা নূরুজ্জামান। আনন্দ প্রকাশ করে এই নির্মাতা বলেন, মস্কোতে ‘মাস্তুল’ মনোনীত হওয়ার বিষয়টি আগেই উৎসব কর্তৃপক্ষ ই-মেইল যোগে নিশ্চিত করেছেন। খবরটি পাওয়ার পর দারুণ আনন্দিত আমরা। এর আগে ৪৪তম আসরে যুবরাজ শামীমের ‘আদিম’, ৪৫তম আসরে নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’ এবং ৪৬তম আসরে আসিফ ইসলামের ‘নির্বাণ’ এ উৎসবে নির্বাচিত ও প্রদর্শিত হয়। তারও আগে...
মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ঢাকার চলচ্চিত্র ‘মাস্তুল’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। গতকাল বুধবার বিকেলে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগসহ উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের ছবির নাম ঘোষণা করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।উৎসবের ৪৭তম আসর শুরু হচ্ছে ১৭ এপ্রিল। আট দিনব্যাপী এই উৎসবের পর্দা নামবে ২৪ এপ্রিল। এতে ঢাকার ‘মাস্তুল’ ছাড়া থাকছে রাশিয়া, কোরিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা, জার্মান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১১ সিনেমা।এর আগে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। উৎসবে যোগ দিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে মস্কোয় যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান নির্মাতা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উৎসবের পোস্টার শেয়ার করেছেন নির্মাতা। পোস্টারটি তৈরি করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ।সিনেমাটির পটভূমি নিয়ে নূরুজ্জামান বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ছোটবেলা থেকেই জাহাজিদের জীবনের নানা কর্মকাণ্ড দেখে আসছি। খুব ইচ্ছা...