সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা
Published: 5th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমী, বাসন্তী পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহ লাখো পুণ্যার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পূজামণ্ডপ, স্নানঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
আইএসপিআর জানায়, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠে দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো পুণ্যার্থী। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই মহা অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসব আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে দুই দিনব্যাপী চলবে। আজ রবিবার লাঙ্গলবন্দের ১৯টি ঘাটে লাখো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশ নিবেন। ভারত, শ্রীলংকা, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের হাজারো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশ নিবেন বলে জানা যায়। এছাড়াও, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে অনুষ্ঠিত পবিত্র অষ্টমী স্নানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ সকল ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র টহল ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, ট্রাফিক কন্ট্রোল পোস্ট ও চেকপোস্টের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিকভাবে সহায়তা করছে।
সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমী ও বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজারের রামু, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর, গারাইল এবং ভুঞাপুর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর তীরে, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার শ্রী শ্রী বার্থী মন্দিরে ‘বার্ষিক মৈত্রী মহিমান্বিত পূজা’ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কোনাবাড়ি ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে শ্যামা পূজা, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন মণ্ডপে এবং রায়ের বাজার দুর্গা মন্দিরে পূজা উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। সেনাবাহিনী প্রতিটি পূজা মণ্ডপ এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপলক ষ অন ষ ঠ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আজ শেষ হচ্ছে চিঠি উৎসব
একসময় চিঠিই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। কাগজের পাতায় লেখা হতো অনুভূতির ভাষা—ভালোবাসা, অভিমান, অপেক্ষা কিংবা বিদায়ের কথা। আজকের দ্রুতগতির প্রযুক্তিনির্ভর যুগে চিঠি যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ভুলে যাওয়া চিঠিকে নতুন করে আবিষ্কারের লক্ষ্যে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তদের সংগঠন হিমু পরিবহণ–এর ব্যতিক্রমী ধারাবাহিক আয়োজন—চিঠি উৎসব ‘ডাকপিয়ন ৩’। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
চিঠির গুরুত্ব ও আবেদন তুলে ধরতে ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে দেশ–বিদেশ থেকে চিঠি আহ্বান করে হিমু পরিবহণ। এতে ব্যাপক সাড়া মেলে। অনেকেই তাঁদের পুরোনো চিঠি, পারিবারিক স্মৃতিচিহ্ন, প্রেমপত্র কিংবা কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির লেখা দুর্লভ চিঠি পাঠান। প্রাপ্ত চিঠিগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে সর্বমোট ৬৪টি চিঠি স্থান পেয়েছে এবারের প্রদর্শনীতে।
আরও পড়ুনটাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিং: দেশসেরা বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবির অবস্থান কোথায়২৫ এপ্রিল ২০২৫চিঠিগুলোর ধরনও বৈচিত্র্যময়। কিছু চিঠি কোনো প্রিয়জনের উদ্দেশে লেখা, কিছু আবার কখনো পাঠানো হয়নি—রয়ে গেছে ড্রয়ারে আটকে। কোনোটি নিছকই ব্যক্তিগত, আবার কোনোটি ইতিহাসের অংশ, যেখানে উঠে এসেছে বিশেষ কোনো সময়ের পটভূমি কিংবা সামাজিক বাস্তবতা। প্রদর্শনীর অন্যতম আয়োজক রুপম জানান, ‘আমরা চেষ্টা করেছি এমন চিঠিগুলো তুলে ধরতে, যেগুলোয় শুধু লেখার সৌন্দর্য নেই, রয়েছে একটা সময়। একটা অনুভব।’
প্রদর্শনীর প্রথম দিনেই ছিল উল্লেখযোগ্য দর্শনার্থীর ভিড়। নানা বয়সী দর্শনার্থী এসে পড়ছেন চিঠির পৃষ্ঠা। কেউ থমকে দাঁড়িয়েছেন কোনো ছাপার অক্ষরে। কেউবা নীরবে চোখ মুছছেন নিজের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে করে।
হিমু পরিবহণের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা চিঠিকে শুধু একটি প্রদর্শনীর বস্তু হিসেবে দেখছে না; বরং এটি মানুষের অনুভূতি, সময় ও সম্পর্কের সাক্ষ্য বাহক হিসেবে নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করতে চায়।
আজ শনিবার বেলা তিনটা থেকে দুই দিনব্যাপী চিঠি প্রদর্শনী ‘ডাকপিয়ন ৩’–এর শেষ দিনের প্রদর্শনী। হুমায়ূন–ভক্তদের সংগঠন হিমু পরিবহণের আয়োজনে এই ভিন্নধর্মী চিঠি উৎসবে দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন দেশ–বিদেশ থেকে সংগৃহীত ৬৪টি বাছাই করা চিঠি। যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত, ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠিও।
আরও পড়ুনপিএইচডি ফেলোশিপ দিচ্ছে সরকার, গবেষকেরা মাসে পাবেন ২৫০০০৫ ঘণ্টা আগে