মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ঢাকার চলচ্চিত্র ‘মাস্তুল’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। গতকাল বুধবার বিকেলে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগসহ উৎসবের বিভিন্ন বিভাগের ছবির নাম ঘোষণা করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

উৎসবের ৪৭তম আসর শুরু হচ্ছে ১৭ এপ্রিল। আট দিনব্যাপী এই উৎসবের পর্দা নামবে ২৪ এপ্রিল। এতে ঢাকার ‘মাস্তুল’ ছাড়া থাকছে রাশিয়া, কোরিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা, জার্মান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১১ সিনেমা।

এর আগে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। উৎসবে যোগ দিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে মস্কোয় যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান নির্মাতা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উৎসবের পোস্টার শেয়ার করেছেন নির্মাতা। পোস্টারটি তৈরি করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ।

সিনেমাটির পটভূমি নিয়ে নূরুজ্জামান বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ছোটবেলা থেকেই জাহাজিদের জীবনের নানা কর্মকাণ্ড দেখে আসছি। খুব ইচ্ছা ছিল তাঁদের জীবনচিত্র ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী করার। “মাস্তুল”–এর মাধ্যমে সেই সুযোগ পেয়ে তা আর হাতছাড়া করলাম না।’

‘মাস্তুল’ চলচ্চিত্রের দৃশ্য.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উৎসব র

এছাড়াও পড়ুন:

এমপিওভুক্ত পৌনে ৫ লাখ শিক্ষকের বোনাস বাড়ছে

আবু জামিল মো. সেলিম। ইংরেজির প্রভাষক। তাঁর বেতন স্কেল ২২ হাজার টাকা। ঈদে বোনাস পান ৫ হাজার ৫০০ টাকা। রাজধানীর শ্যামপুরের এ কে হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করেন তিনি।
তাঁর মতো লাখো এমপিওভুক্ত শিক্ষক প্রতি ঈদে মূল বেতনের এক-চতুর্থাংশ অর্থ উৎসব ভাতা পান। শিক্ষকরা লজ্জায় স্বল্প বোনাস পাওয়ার কথা কাউকে বলতে পারেন না। তারা জানান, একে তো নামমাত্র বোনাস, তাও পেতে অনেক সময় ঈদ পার হয়ে যায়।

রাজধানীর মিরপুর সিদ্ধান্ত হাই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরি) সুলতান আহমেদ। তাঁর বেতন স্কেল ৮ হাজার ৫০০ টাকা। তিনি ঈদে বোনাস পান ৪ হাজার ২০০ টাকা। এই কর্মচারী বলেন, ‘দুর্মূল্যের বাজারে পরিবার নিয়ে এই টাকায় কীভাবে উৎসব করা সম্ভব?’

সারাদেশের পৌনে পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য রয়েছে সুখবর। তাদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ঈদুল আজহার আগে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য মিলেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী সমকালকে বলেন, উৎসব ভাতা বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কতটুকু বাড়বে, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব না।

কবে নাগাদ উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি চলতি মাসের (এপ্রিল) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করার। চলতি মাসে না হলে আগামী মাসের প্রথমার্ধে প্রজ্ঞাপন হতে পারে।’
জানা যায়, আগে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা উৎসব ভাতা পেতেন না। ২০০৩ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বছরের অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয়, শিক্ষকদের দেওয়া হবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ। দুই ঈদে (অথবা পূজায়) ২৫ শতাংশ করে ভাগ করে তা দেওয়া হবে। সেই থেকে প্রতি ঈদে শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। কর্মচারীদের জন্য ওই সভায় শতভাগ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দুই ঈদে ৫০ শতাংশ করে তা ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষকরা জানান, ’৯৬ সাল পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ৮০ ভাগ সরকার থেকে দেওয়া হতো। আওয়ামী লীগ সরকার তা ৯০ শতাংশে উন্নীত করে। ২০০৫ সালে চারদলীয় জোট সরকার ৯৫ শতাংশ করে। পরের বাজেটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তা শতভাগে নিয়ে যায়। দেখা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন স্কেল ধাপে ধাপে শতভাগে উন্নীত হলেও উৎসব ভাতা বাড়েনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ বছরের ৫ মার্চ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদায় নেওয়ার আগে শিক্ষকদের উৎসব, বিনোদন, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ানোর একটি প্রস্তাবে সই করেন। এরপর এ নিয়ে কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা থেকে জানায়, গত ঈদুল ফিতরে সারাদেশের প্রায় ৩০ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মিলে প্রায় ২৪০ কোটি টাকার উৎসব ভাতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে শুধু স্কুল ও কলেজ ২০ হাজার ৫৬৭টি। এর সঙ্গে মার্চ/২০২৫ মাসের বেতন হিসেবে দেওয়া হয় ৮৮৩ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা। 
জানা গেছে, ঈদ বোনাস বর্তমানের চেয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ আর কর্মচারীরা ৭৫ শতাংশ বোনাস পেতে পারেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া সমকালকে বলেন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক চাইলে সরকারকে অবশ্যই শতভাগ উৎসব ভাতা দিতে হবে। শিক্ষকদের বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে। এ কারণে আমাদের মূল দাবি, শিক্ষা জাতীয়করণ।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মস্কোতে ঢাকার ‘মাস্তুল’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার
  • মস্কোতে বাংলাদেশের ‘মাস্তুল’–এর বিশ্ব প্রিমিয়ার
  • নির্বাচনের আগে প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট হওয়া দরকার: ইশরাক
  • সহজ-সরল পাত্রী, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টো চিত্র
  • পাত্রী সহজ সরল ও কম কথা বলে, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টোচিত্র
  • পানি বর্ষণ উৎসবের মাধ্যমে শনিবার শেষ হতে চলেছে সাংগ্রাইং উৎসব
  • আর্সেনালের ড্র, শিরোপা উৎসবের অপেক্ষায় লিভারপুল
  • লোকনৃত্য, দেব আরাধনে শুরু লাই-হরাউবা
  • অষ্টগ্রামের বিস্তীর্ণ হাওরের বুকে ধান কাটার উৎসব
  • এমপিওভুক্ত পৌনে ৫ লাখ শিক্ষকের বোনাস বাড়ছে