কিশোরগঞ্জে খড়ের বিনিময়ে ধান কাটা উৎসব
Published: 5th, April 2025 GMT
কৃষক রাসেল মিয়া ও রফিকুল ইসলামের নিজেদের ধানি জমি আছে। কিন্তু তাঁদের জমির ধান পাকতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তাঁদের বাড়িতে থাকা গরুর খাবারের জন্য খড় দরকার। কিন্তু পুরোদমে ধান কাটা মৌসুম শুরু না হওয়ায় বাজারে এখন খড় পাওয়া কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে নিজেরা শ্রমিক না হলেও খড়ের বিনিময়ে ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পানান বিলে প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন মধ্য লাখুহাটি এলাকার কৃষক হারুন মিয়া। তাঁর জমির ধান একটু আগেভাগেই পেকে গেছে। তিনি জমির ধান কাটার ঘোষণা দিতেই কৃষক রাসেল মিয়াসহ আশপাশের যেসব কৃষকের গরু আছে, তাঁরা দল বেঁধে খড়ের বিনিময়ে ধান কাটতে জমিতে ভিড় করেন।
এভাবে প্রতিবছর যাঁদের ধান আগেভাগে পেকে যায়, অন্য কৃষকেরা খড়ের বিনিময়ে তাঁদের জমির ধান কেটে দেন। শুক্রবার হোসেনপুরের পানান বিলে গিয়ে এমন উৎসবমুখর পরিবেশে কৃষকদের ধান কাটতে দেখা যায়। কৃষকেরা জানান, খড়ের বিনিময়ে ধান কাটার বিষয়টা তাঁদের কাছে উৎসবের মতো লাগে। খড়ের বিনিময়ে ধান কাটার উৎসবটি পানান বিলে আজ থেকে শুরু হয়েছে। দুই থেকে তিন দিন এ উৎসব চলবে। পুরোদমে ধান কাটার মৌসুম শুরু হলে তখন আর এ সুযোগ থাকে না।
আজ সকালে পানান বিলে গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ ধান কাটছেন, কেউ ধান ঝেড়ে খড় আলাদা করে স্তূপ করে রাখছেন। কেউ কেউ মাথায় ও সাইকেলে করে কিছু খড়ের মুঠি নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। তাঁরা কেউ ধান কাটার শ্রমিক নন। সবারই কমবেশি ধানি জমি আছে। মূলত বাড়িতে থাকা খড়ের জন্য তাঁরা ধান কেটে দিচ্ছেন। এতে উভয় পক্ষই লাভবান হচ্ছেন। জমির মালিকের শ্রমিকের খরচ বেঁচে যাচ্ছে।
খড়ের বিনিময়ে ধান মাড়াই করে দিচ্ছেন অন্য কৃষকেরা। শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পানান বিলে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সহজ-সরল পাত্রী, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টো চিত্র
ঈদ উৎসব পেরিয়ে এবার আসছে অন্য এক প্রেমের নাটক ‘মেঘের বৃষ্টি’। যে গল্পে ফারহান আহমেদ জোভানকে দেখা যাবে আমেরিকা প্রবাসী এক যুবকের চরিত্রে। অন্যদিকে নাজনীন নীহাকে দেখা যাবে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে।
গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, আমেরিকা থেকে দেশে এসে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে মেঘ। তার মা তাকে প্রতিবারই দেশ থেকে কিছু পাঠালে মেয়েদের ছবি এবং নিজ হাতে তাদের বৃত্তান্ত লিখে পাঠায়। অনিচ্ছাতেও সেখান থেকে মেঘ একটা খাম খোলে। যার নাম ঋতু। তার জীবনবৃত্তান্তে মা লিখেছেন, ‘মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ে। খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে। সাধারণত বোরকা-হিজাব ছাড়া বাসা থেকে বের হয় না। নামাজি, কম কথা বলে। আমার ধারণা এ মেয়ে তোরে জ্বালাবে না, তোর মুখের ওপর কথা বলবে না। তোর কথায় উঠবস করবে। শুধু একটাই সমস্যা, মেয়ের কোনও ভাই-বোন নাই। তার মানে তুই শালা-শালীর সাথে মজা করার সুযোগ পাবি না। অবশ্য সবকিছু একসাথে পাওয়া যায় না। মেয়ের রেটিং ১০-এর মধ্যে ১০।’
মায়ের বর্না নয়, বরং ঋতুর ছবি এক দেখাতেই পছন্দ হয় মেঘের। সে সিদ্ধান্ত নেয় দেশে গিয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে। তার কিছুদিনপরই সে দেশে আসে এবং ঋতুর সাথে দেখা করে। কিন্তু তার মা জীবনবৃত্তান্তে যা বলেছে, ঋতু তার উল্টো!
এখানে মেঘ চরিত্রে জোভান আর ঋতু চরিত্রে নীহা অভিনয় করেছেন। ইমদাদ বাবুর গল্প ও চিত্রনাট্যে সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটি বানিয়েছেন মাসরিকুল আলম।
নির্মাতা জানান, এটা দুর্দান্ত একটি প্রেমের গল্প। তবে তাতে রয়েছে বিরহের স্বাদও।
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ উৎসবে টানা ১৪টি বিশেষ নাটক মুক্তি পেয়েছে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে। সেসব থেকে দারুণ সাড়া মিলছে এখনও। তবে ঈদ উৎসবের আমেজ পেরিয়ে ফের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। তারেই শুরুটা হচ্ছে ‘মেঘের বৃষ্টি’ দিয়ে। এটি দ্রুতই মুক্তি পাবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।