ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ’৯০ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
Published: 4th, April 2025 GMT
আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উৎসবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ’৯০ ব্যাচের পুনর্মিলনী। শুক্রবার দিনভর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উৎসব হয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর পরস্পরকে কাছে পেয়ে আড্ডা ও খুনসুটিতে মেতে ওঠেন সবাই।
সকালে স্কুলজীবনের স্মৃতি হিসেবে ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হয় ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠান। এর পর জাতীয় সংগীত, শপথবাক্য পাঠ ও র্যা লি শেষে প্রাক্তন শিক্ষক সম্মাননা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। প্রয়াত শিক্ষক ও ১৯৯০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর পর উত্তরীয় পরিয়ে, মানপত্র পাঠ ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয় ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৯ শিক্ষককে। তাঁরা হলেন– গুরুদাস সাহা, রমেন্দ্র নাথ রায় কর্মকার, প্রভাত কুমার বিশ্বাস, মুজাফফর হোসেন মোল্লা, শামসুল হক ভোলা মাস্টার, হারুনুর রশিদ, ইউনুস আলী, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ ও লোকমান প্রামাণিক।
বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে। এসএসসি ’৯০ ব্যাচের কৃতী শিক্ষার্থী আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেল আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলকেও সম্মাননা জানানো হয়। পরে সংবর্ধনা পাওয়া শিক্ষকরা অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
স্মৃতিচারণ পর্বে বক্তৃতা করেন এসএসসি ’৯০ ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রবীর সাহা, মিসকাতুর আহমেদ মিতু, মোস্তাক আহমেদ রানা, এস্তেয়াক আহমেদ রাজু, তাপস নন্দী পলাশ, অমরেশ রায়, অশোকেশ রায়, সরফরাজ খান সুন্দর, রেজাউল করিম, শ্যামলেন্দু চক্রবর্তী, শোয়েবুল ইসলাম, মিরাজুর রহমান, এনামুল করিম মামুন, হাবিব মৃধা, বাকী বিল্লাহ খান পলাশ, সজল কুমার সাহা প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ’৯০ ব্যাচের শিক্ষার্থী, তাদের সন্তান এবং আমন্ত্রিত শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। শেষে পুরস্কার বিতরণ ও রাফেল ড্র হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ৯০ ব য চ র অন ষ ঠ ন র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
লোকনৃত্য, দেব আরাধনে শুরু লাই-হরাউবা
কমলগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজন আর ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মণিপুরিদের তিন দিনব্যাপী লাই-হরাউবা (দেবতাদের আনন্দ) উৎসব। বুধবার উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের তেঁতইগাঁও গ্রামের মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বিকেল থেকে এ উৎসব শুরু হয়।
ইউনেস্কো বাংলাদেশের অর্থায়নে এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আইজিসিসি, পোরৈ অপোকপা মরুপ ধর্মীয় সাংস্কৃতিক সংস্থা, কনসোর্টিয়াম অব ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব বাংলাদেশ (সিআইবি) ও সাধনা-এ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব সাউথ এশিয়ান কালচার।
লাই-হরাউবা স্টিয়ারিং কমিটির আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে রয়েছে মণিপুরিদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নানান অনুষ্ঠান। এতে ভারতের মণিপুর থেকে আগত পুরোহিত, নৃত্যশিল্পী, শিল্প পরিচালক, গবেষক এবং সাংস্কৃতিক কর্মী লুবনা মারিয়াম, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রতিনিধি, ইউনেস্কোর প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশের জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি অংশগ্রহণ করছেন।