বাঙালির ঐতিহ্যের সেরা আয়োজন পহেলা বৈশাখ। গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা আয়োজনে আবহমান বাংলার চিরায়ত সব পোশাকের এক অনন্য সমাহারে উৎসবের মধ্য দিয়েই শুরু হয় বাংলা বর্ষবরণের এই আয়োজন। বাংলা বর্ষবরণের এই প্রারম্ভে ঐতিহ্যময় ফ্যাশনে মেতে ওঠে উৎসব প্রিয় বাঙালি।
দেশের অন্যতম ফ্যাশন ব্র্যান্ড টুয়েলভও আড়ম্বরপূর্ণভাবে সাজিয়েছে তাদের বৈশাখী সংগ্রহ। পাঞ্জাবি, থ্রি পিস, টু পিস সব জায়গাতেই পহেলা বৈশাখের ছোঁয়া নিয়ে হাজির হয়েছে টুয়েলভ।
প্রকৃতিতে গরম আবহ ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি বিবেচনা করে ক্রেতাদের স্বস্তির কথা মাথায় রেখেই সুঁতি কাপড়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবারের বৈশাখী কালেকশনে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের বৈশাখী কালেকশনেও বৈচিত্র এনেছে টুয়েলভ। তাদের জন্য নির্ধারিত সকল পোশাকেই রয়েছে বৈশাখী ডিজাইনের ছোঁয়া। বৈশাখের কালেকশন ছাড়াও লয়েল কার্ডধারীদের পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদের জন্য নির্ধারিত পোশাকে রয়েছে বিভিন্ন রকম অফার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বটমূলে মঞ্চ তৈরি সম্পন্ন, গানে গানে হবে বর্ষবরণ
মঞ্চ বাঁধা শেষ। রমনার বটমূলে পূর্ব–পশ্চিমে অর্ধবৃত্তাকারে ৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মোট পাঁচটি ধাপ রয়েছে মঞ্চে। সেখানে প্রায় দেড় শ কণ্ঠ ও যন্ত্রশিল্পী উপবেশন করে সুরবাণীতে নতুন বছরকে আবাহন জানাবেন সোমবার পয়লা বৈশাখ প্রভাতে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার এই বটমূলে পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। এবারেও ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করা হবে এখান থেকেই। সে জন্য গত তিন মাস থেকে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবনে চলছে গানের মহড়া। আর ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে রমনার বটমূলে মঞ্চ তৈরির কাজ।
গতকাল শনিবার বিকেলে বটমূলে গিয়ে দেখা গেল লোহার পাইপের কাঠামোর ওপর পাটাতন বিছিয়ে পাঁচ ধাপের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কাজের তত্ত্বাবধান করছিলেন ছায়ানটের ভবন সমন্বয়ক মামুনুর রশীদ। তিনি জানালেন, ৮ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কাজ চলছে। মঞ্চের সামনে দর্শকদের বসার জায়গাটি বাঁশ-কাঠ দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। গতকাল থেকে মঞ্চের দুই পাশে সাউন্ডবক্স, মাইক্রোফোন, শব্দনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন—এসবের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর কিছু রঙের কাজ করা হবে। এবার পুরুষ শিল্পীদের পোশাক হবে মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। নারীদের মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। এই মেরুন রঙের সঙ্গেই মানানসই রং করা হবে মঞ্চের। প্রতিবছর মঞ্চের আকৃতি একই রকম থাকে, শুধু শিল্পীদের পোশাকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে মঞ্চে রঙের পরিবর্তন করা হয়। গতবারের রং ছিল হালকা সবুজ।
আয়োজকেরা জানালেন, আজ রোববার দুপুরের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলা হবে। বেলা তিনটায় শিল্পীরা মঞ্চে এসে বসবেন। শুরু হবে চূড়ান্ত মহড়া। গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ছায়ানট জানিয়েছে, এবার তাদের অনুষ্ঠানের মূল বার্তা হবে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান।
সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এবার মোট ২৪টি পরিবেশনা হবে। এর মধ্যে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও ৩টি পাঠ থাকবে। নববর্ষের কথন পাঠ করবেন নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। শেষ হবে জাতীয় সংগীত দিয়ে।