হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের পুরানবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বান্নি মেলা। এ মেলাকে ঘিরে পুরো শায়েস্তাগঞ্জ জুড়েই ছিলো উৎসবের আমেজ।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলা শুরু হয়। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে খোয়াই নদীর তীরঘেঁষা পুরানবাজারে শত শত মানুষের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন স্থান থেকে নারী-পুরুষ মেলায় আসেন। তাদেরকে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়।

দিনব্যাপী মেলাতে শতাধিক দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মেলায় গরু, হাতি, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি মাটির তৈরি খেলনা ছাড়াও গৃহস্থালি সামগ্রীরও অনেক জিনিস ওঠে। চুরি-ফিতা মন্ডামিঠাইসহ নানা খাদ্যসামগ্রীও বিক্রি হতে দেখা যায়।

জনসমাগম থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ও ছিল বিশেষ গুরুত্ব। শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীলিপ কান্ত নাথ জানান, দিনব্যাপী মেলাতে ১০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। সার্বক্ষণিক মেলার চারদিক নজরদারিতে রাখা হয়। র‌্যাবের টহলও ছিল।  

জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের পুরানবাজারের বান্নি মেলা প্রায় অর্ধ্বশত বছর ধরেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জনশ্রুতি রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নানোৎসব থেকেই বান্নি মেলার উৎপত্তি। তাই এই মেলার দিন সকালে পূণ্যস্নানের আয়োজন থাকে।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের পর শুরু হোক আদর্শ ডায়েট

পবিত্র রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বড় পরিবর্তন ঘটে। শরীর ক্রমেই এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। এরপর আসে ঈদ। ঈদের দুই–তিন দিন খাবারের বেলায় বেশি বিধিনিষেধ মানা হয় না। এত কিছুর পর এবার স্বাভাবিক লাইফস্টাইলে ফিরে আসার সময় হয়েছে। শরীরকে আবার রোজকার আদর্শ খাদ্যাভ্যাসে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রোজা শেষে নিয়মিত খাবারের ধরনে ফেরার সময় হজমে অস্বস্তি ও বিপাকীয় ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীরের ওজনও বাড়তে পারে। 

লক্ষ রাখুন

পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার দিয়ে শুরু করুন। গরম পড়েছে, তাই ভারী খাবার কমিয়ে দিন। বাড়তি খাওয়া এড়ানোর চেষ্টা করুন।

ভারী ব্যায়াম শুরু করার আগে হাঁটার মতো হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন।

ফল, শাকসবজি ও শস্যের মতো খাবারগুলো অগ্রাধিকার দিন। শর্করা, আমিষ, ভালো চর্বি ও ভিটামিন–মিনারেলসমৃদ্ধ সুষম খাবারে
অভ্যস্ত হোন।

 

খাদ্যতালিকায় রাখুন

ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট পেতে ফলমূল ও শাকসবজি।

লাল আটার রুটি, ওটস বা লাল চালের ভাতের মতো শস্যজাতীয় খাবার।

মুরগি, গরুর মাংস, মাছ বা ডিমের মতো উৎস থেকে খাবারে প্রোটিন যোগ করুন। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন।

হজমে সহায়তা করার জন্য বেশ খানিকটা ফাইবারজাতীয় (আঁশ) খাবার রাখবেন।

কিছু পরামর্শ 

উৎসব পেরিয়ে গেলে খাবারের মধ্যে সালাদ, শাকসবজি ও স্যুপ রাখুন, যা হজমে সাহায্য করবে এবং শরীরকে বেশি চাপ দেবে না। প্রচুর তাজা ফলমূল খান।

প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। পানি শরীরের টক্সিন বের করতে সহায়ক। পাশাপাশি বাড়িতে তৈরি ফলের রস, দইয়ের লাচ্ছি, ডাবের পানি পান করতে পারেন এ গরমে।

ঈদের পর কাজের চাপে শরীর একটু ক্লান্ত ও ভারী অনুভূত হতে পারে। এর মানে এ নয় যে শারীরিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের পর হালকা ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক থাকে, খাবার ভালোভাবে হজম হয় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ঈদে কেক, পায়েস, সেমাই, জিলাপি ও অন্যান্য মিষ্টান্ন খাবার বেশি খাওয়া হয়। অতিরিক্ত মিষ্টি গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খেলে শরীরে ও যকৃতে চর্বি জমতে পারে, রক্তে শর্করা বাড়তে পারে। তাই ঈদের পর মিষ্টি খাবারের পরিমাণ কমিয়ে প্রাকৃতিক বা অর্গানিক উৎস থেকে শর্করা গ্রহণ করুন, যেমন ফলমূল বা জটিল শর্করা।

উৎসবে ভারী খাবার থেকে ফিরে আসার জন্য প্রাকৃতিক ও সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ দুধ, দই, বাদাম, ওটস, চিয়া সিডস ইত্যাদি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

উৎসব ও রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য পরিচিত সমস্যা। এটি থেকে বাঁচতে আঁশযুক্ত খাবার খান। প্রচুর পানি পান করুন।

মনে রাখবেন, রোজায় খাবারের সূচি পাল্টে যায়। রোজার পর আবার তা পরিবর্তন হয়। তাই সকালে স্বাস্থ্যকর নাশতা জরুরি। দুপুরে মাছ, ডাল, সবজি রাখুন। রাতে হালকা খাবার। তাহলে ধীরে ধীরে শরীর স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ফিরতে পারবে।

লাজিনা ইসলাম চৌধুরী: পুষ্টিবিদ পিপলস হাসপাতাল, খিলগাঁও, ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৬ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা উৎসব পিএসজির
  • কেমন হলো পিএসজির শিরোপা উৎসব
  • ঈদেও মন খারাপ শিশুদের
  • মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরীতে অষ্টমী স্নানোৎসব 
  • ঈদের পর শুরু হোক আদর্শ ডায়েট
  • কিশোরগঞ্জে খড়ের বিনিময়ে ধান কাটা উৎসব
  • উৎসবে যেভাবে ঘর সাজাবেন
  • ঈদের ছুটিতে বাঙ্গালী নদীতে উৎসবের আমেজ
  • রাঙামাটিতে বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু বিহু উৎসব শুরু