সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান কার্যক্রম সফলভাবে সমাপ্ত করায় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া ও জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে শুভেচ্ছা জানান ও মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কর্মকার, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপনে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা শিখণ সরকার শিপন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা দাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, সহ-সভাপতি সাংবাদিক উত্তম সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, তারক দাস, অভিজিৎ রায়, দিলীপ দাস, অনুপম সরকার প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

অনেক আয়োজন বন্ধে ম্লান বর্ষবরণ উৎসব

বরিশালে বাংলা বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় আয়োজন হতো নগরে কালীবাড়ি সড়কে বিএম স্কুল মাঠে। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের সকালে সেখানে প্রভাতি অনুষ্ঠান শেষে বের হতো বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। মাঠে তিন দিনব্যাপী হতো বৈশাখী মেলা ও লোকজ সংস্কৃতি উৎসব। উৎসবপ্রিয় মানুষের স্রোত যেতে বিএম স্কুলের দিকে। চার দশকের সেই উৎসব রেওয়াজ এবারের বর্ষবরণে ম্লান হয়ে গেছে। শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলা দুটিই অনিশ্চিত। মেলা ও শোভাযাত্রা হবে কিনা, তা আয়োজকরা গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সমকালকে নিশ্চিত করতে পারেননি। যদিওবা হয়, সেটা হবে অনেকটা প্রতীকী আয়োজনের মতো।  
এ দুটি আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রশাসন নিরাপত্তার অজুহাত দেখাচ্ছে। তা ছাড়া কয়েক দশক ধরে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করা আরও কয়েকটি সংগঠন এ বছরের আয়োজন থেকে বিরত রয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন বেলস পার্ক মাঠে সাত দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করছে।

৪৩ বছর ধরে মেলা ও লোকজ সংস্কৃতি উৎসবের আয়োজন করে আসছে উদীচী বরিশাল শাখা। চারুকলার উদ্যোগে হতো মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাদের এ আয়োজন শুরু হয় ৩৩ বছর আগে। সকালে বিএম স্কুল প্রাঙ্গণে প্রভাতী অনুষ্ঠান শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগর প্রদক্ষিণ করত। নারী-পুরুষ-শিশুরা বর্ণিল সাজে এতে অংশ নিত। 
উদীচী বরিশাল শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট বিশ্বনাথ মুন্সী। তিনি জানান, সংগঠনের বৈশাখী মেলা ৪৩ বছর আগে প্রথম শুরু হয়েছিল কালীবাড়ি সড়কের জগদীশ সারস্বত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। পরে সেটি একই সড়কের বিএম স্কুলের বড় মাঠে স্থানান্তর হয়। প্রতিবছরই পরিসর বড় হতে থাকে। এক দিনের মেলা উন্নীত হয় তিন দিনে। এটি নগরীতে বর্ষবরণের প্রধান উৎসব কেন্দ্রে পরিণত হয়। মেলা শুরুর ১০ বছর পর চারুকলা একই স্থান থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু করে। উদীচীও যার অংশীদার হয়।
এবারের আয়োজনের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মুন্সী বলেন, প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে অনুমতি নেওয়ার জন্য। যেহেতু ৪৩ বছর ধরে উদীচী লিখিত অনুমতি নেয়নি, এবারও নেবে না। মেলা হবে কিনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকালে প্রভাতী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তখন কেউ পসরা নিয়ে বসে পড়লে সেটাই মেলায় পরিণত হবে। 
শোভাযাত্রা করার জন্য ছোট পরিসরে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে চারুকলার সংগঠক সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, তবে শোভাযাত্রা হবে কিনা সেটা পহেলা বৈশাখ সকালে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। 
চারুকলা বরিশালের সভাপতি দীপংকর চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রশাসন যদি করতে না দেয়, তাহলে কিছু করার নেই।’ 

প্রতিবছর ৩০ চৈত্র বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নগরের প্রাণকেন্দ্র অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে লোকজ সংগীত পরিবেশন করত গণশিল্পী সংস্থা। সংগঠনটির জেলা সাধারণ সম্পাদক সাঈদ পান্থ জানান, তারা ২৫ বছর ধরে এ অনুষ্ঠান করছেন। আজ ৩০ চৈত্র তাদের এ আয়োজন নেই। কেন করেননি– এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। 
৪০ বছর ধরে পহেলা বৈশাখ সকালে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে প্রভাতী অনুষ্ঠান করে আসছে শিশু সংগঠন খেলাঘর। এ বছর এ অনুষ্ঠান হবে না। এ বিষয়ে খেলাঘরের সংগঠক শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, অশ্বিনী কুমার হলে জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠান থাকায় তারা স্থান বরাদ্দ পাননি। তবে ২ মে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান একসঙ্গে হবে। 
নগরের আমানতগঞ্জে তিন দিনব্যাপী আরেকটি বৈশাখী মেলার আয়োজন করত চাঁদের হাট। সংগঠনের জেলা সদস্য আরিফুর রহমান বাবু বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ বছর মেলা হবে না।
নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাউকে মেলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের বৈশাখী শোভাযাত্রায় সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেলস পার্কে সাত দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সার্কিট হাউস থেকে বের হবে জেলা প্রশাসনের শোভাযাত্রা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হারিয়ে যাওয়ার পথে খাতুনগঞ্জের হালখাতা
  • পানিখেলা আর পাজনের আনন্দ পাহাড়জুড়ে
  • অনেক আয়োজন বন্ধে ম্লান বর্ষবরণ উৎসব
  • জাতীয় জীবনে কবিতার একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে : রেজাউদ্দিন স্টালিন
  • রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব
  • শ্রীমঙ্গলে ফাগুয়া উৎসবে উঠে এল চা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা
  • স্নান উদযাপন ফ্রন্টের পোস্টারে গণহত্যার আসামি মাকসুদ, সমালোচনার ঝড়
  • রাবি শিক্ষার্থীদের বিজু উৎসব উদযাপন
  • কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু ফুল উৎসব
  • খাগড়াছড়িতে বৈসু’র বর্ণিল শোভাযাত্রা