2025-04-19@09:47:40 GMT
إجمالي نتائج البحث: 77
«১৯৭১ স ল»:
পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশ যে দাবি করেছিল, তার সঙ্গে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বিবৃতিতে। মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং স্বাধীনতাপূর্ব অভিন্ন সম্পদে হিস্যা দাবির কথা বলেছিল বাংলাদেশ। বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের বিবৃতিতে এই বিষয়গুলোর উল্লেখ নেই। বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুই দেশের সচিব পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেড় দশক পর হওয়া এই বৈঠকে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের জন্য অমীমাংসিত বিষয়ের সমাধান চায় ঢাকা। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, স্বাধীনতাপূর্ব ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার চেয়েছে। এ ছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার বিষয় বলেছে। এর এক দিন পর শুক্রবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক সম্পর্কে...
অন্তর্বর্তী সরকার প্রো-বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে।” পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা বলেন। বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড শতাব্দী ধরে অসংখ্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হাত মিলিয়েছে। একই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জাপানে বোমাবর্ষণ করেছিল, কিন্তু পরে তারা মিত্রে পরিণত হয়।” আরো পড়ুন: অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতার বিষয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য নাকচ ভারতের তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কি পাকিস্তানপন্থী হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি...
বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান। বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ তার দেশের নেতৃত্ব দেন। এর আগে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- তা বিস্তারিত জানা না গেলেও, দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আর রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের জন্য বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কেননা এক যুগের বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক এটি। এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব। সূচি অনুযায়ী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর আমনা বালুচের প্রধান উপদেষ্টা ড....
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ১৫ বছর পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম ফরেন অফিস কনসালটেশন বা এফওসি বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পারস্পরিক বোঝাপড়া আর রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের জন্য বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। এই বৈঠকে অংশ নিতে গতকাল বুধবার আমনা বালুচ ঢাকায় আসেন। প্রায় দেড় দশক পর স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তান উদ্যোগী হয়েছে। আর ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী বাংলাদেশও। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব...
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে।শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয় এম এ জি ওসমানীকে।সেই সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনসার সদস্য।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন...
দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ। তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে। সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে। বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ...
নামাজ-রোজার মতোই পহেলা বৈশাখ-পাহাড়ি উৎসব আমাদের সংস্কৃতি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সরকার। প্রতি বছর এপ্রিলে সংস্কৃতি আলোচনায় আমরা মেতে উঠি। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করেই আমাদের এ মেতে ওঠা। কেন এই মেতে ওঠা? মেতে ওঠার ইতিহাসটি নতুন তো নয়ই, উল্টো এই মেতে ওঠার সঙ্গে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরস্পরের হাত ধরে চলছে, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা এখনও পূর্ণতা পায়নি বলে প্রতি বছর এই মেতে ওঠা। সাধারণ ধারণায় ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে লাখ লাখ পাকিস্তানি এ দেশে রয়ে গেছে। পরাজিত জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি ও তাদের তৎপরতা যে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূমিতে একটি বাস্তবতা। মধ্যযুগে বা সামন্তকালে এমন পরাজিতদের সাধারণত হত্যা করা হতো অথবা ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হতো। এ বাস্তবতার মোকাবিলায় আদালত বা...
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশের ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) দাবিকে সমর্থন করেছেন। এই দাবিকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতা ঘোষণার মূল ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। কিন্তু এই আদর্শগুলো ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে গণমানুষের প্রত্যাশা সব সময় উপেক্ষিত হয়েছে এবং মানুষের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার সভা ও সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনায় জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ সভার আয়োজন করে।জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আমলে না নিয়ে গোঁজামিল দেওয়া হয়েছিল। সেটার ওপর...
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কমিশনগুলোর প্রস্তাবাবলি নিয়ে বিএনপির মতামত বিভক্ত। কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে তারা পুরোপুরি ঐকমত্য পোষণ করেছে এবং কিছুর সঙ্গে আংশিক। অন্যদিকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দলটি অবস্থান নিয়েছে। ফলে অনেকে মনে করছেন, বিএনপি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেইমানির নামান্তর বলে গণ্য হচ্ছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণের মূল কারণ ছিল শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত। এ উদ্দেশ্যে সব দল-মত-গোষ্ঠীর মানুষ একত্রিত হয়েছিল। আগস্টের ৩ তারিখে শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা’ বিলোপের কথা তুলে ধরলেও এ জন্য কোনো কর্মপরিকল্পনা ছিল না। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি এখন দাবি করতে পারে– তারা বর্তমান প্রস্তাবিত উপায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধনের একটি উপায় বটে, তবে একমাত্র নয়।...
পাঠ্যপুস্তকে তাঁর জীবনী নেই। অথচ কোথায় ছিলেন না তিনি! ১৯৪৩ সালে অবিভক্ত বাংলার দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের পাশে ছিলেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়ে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে মানবিক ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছিলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে গিয়ে অভয় দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৯ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-বিধ্বস্ত পূর্ব পাকিস্তান, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলের সংখ্যালঘু ও উদ্বাস্তুদের আশ্বস্ত করতে এবং তাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে ঐতিহাসিক ‘নেহরু-লিয়াকত’ চুক্তি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ষাটের দশকে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক থাকাকালে রেড ক্রসের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি তাঁর মামা অবিভক্ত বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে ১৪৪ ধারা ভেঙেছিলেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের...
লালমনিরহাট শহরের বিডিআর রোডে শিশুপার্ক–সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্মারক মঞ্চে স্থাপিত ম্যুরালের একাংশ ভেঙে ফেলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। ম্যুরালটি ভাঙার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ১৪০ ফুট দীর্ঘ ম্যুরালটিতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার, ’৭১-এর গণহত্যা, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণসহ জাতির গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা চিত্রিত ছিল। যা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলছিল। এই ম্যুরাল দেখে সাধারণ মানুষ তথা তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারত। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের আগে দুই দফা ম্যুরালটি ঢেকে রাখা হয়। তখন জেলা প্রশাসক দাবি করেছিলেন, চব্বিশের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে এটি ঢেকে...
সাড়ে সাত কোটি বাঙালি স্বাধীন হয়েছিল ঠিক ৫৪ বছর আগে—১৯৭১ সালে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সেই বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছিল ২০ নভেম্বর, বারের হিসাবে দিনটি ছিল শনিবার। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, মা-বোনদের ধর্ষণ, মুক্তিবাহিনী ও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালাচ্ছিল। তাই একাত্তরে বিজয়ের প্রতীক্ষায় থাকা স্বজন হারানো বাঙালির ঈদ–আনন্দ ‘ম্লান’ হয়ে গিয়েছিল বলে স্মৃতিচারণামূলক বিভিন্ন লেখা ও সাক্ষাৎকারে তথ্য পাওয়া যায়। ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি যুদ্ধ হয়। বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, আহত হন অনেকে। অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য যুদ্ধে মারা যান, অনেকেই আবার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন।১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বাণী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা চলছে। কখনো ডিসেম্বর, কখনো জুন, কখনো মার্চ বলে জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, যে দল ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা গণপরিষদ নির্বাচন চাইতে পারে। কিন্তু, যে ছেলেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে, তারা কার ইন্ধনে বা নির্দেশে গণপরিষদ চায়, এটাই আমার প্রশ্ন। গণপরিষদ তো হয় বিচ্ছিন্ন কোনো দেশের ক্ষেত্রে। ২০২৪ সালে তো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি, স্বাধীনতা তো অর্জন হয়েছে ১৯৭১ সালে। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জের তামাইয়ে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন, তাদের বিচার আমরাও চাই। সে বিচার করতে কয়...
আসমা, নাজমা আর ফাতেমা ছিলেন পিঠাপিঠি তিন বোন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মর্টার শেল হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা। চট্টগ্রামের চকবাজারের কাছে ঘাসিয়াপাড়ায় এক বাড়ির পাশে মসজিদ–সংলগ্ন একই কবরে দাফন হয়েছিল তিন বোনের। সেদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মর্টার শেল হামলায় একসঙ্গে নিহত হয়েছিলেন আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে থাকা ১৬ জন। আহত হয়েছিলেন অনেকেই।১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের ঘাসিয়াপাড়ার সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কখনো ইতিহাসে গুরুত্ব পায়নি, কেউ আগ্রহ দেখাননি বলে অভিযোগ করলেন নিহত তিন বোনের বড় ভাই। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক নিজের বোনদের স্মৃতিচারণা করতে করতে দেখালেন বোনদের ব্যবহার করা পোশাক। এত বছর পরও বোনদের স্মৃতিকথায় কণ্ঠ ধরে এল তাঁর।মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এই তিন বোনের স্মৃতি নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ‘ত্রিবেণী’ শিরোনামে...
ইতিহাস সৃষ্টির কাজ খুব সহজ নয়। কোনোকালেই তা সহজ ছিল না। ইচ্ছা করলেই ইতিহাস সৃষ্টি করা যায় না; ইতিহাসের নিয়মেই ইতিহাস জন্ম নেয়। সেই অর্থে বলা চলে, ইতিহাস স্বয়ম্ভু। তবে এও সত্য, মানুষই ইতিহাস সৃষ্টি করে। যারা সেটি করেন, তাদের আবার ইতিহাসই সৃষ্টি করে। এই উপমহাদেশের যেসব মনীষীর নাম আমরা শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করি; যাদের মনে করি ইতিহাসের স্রষ্টা, তাদেরকে ইতিহাসই সৃষ্টি করেছে। নেতাজি সুভাষ বোস, মহাত্মা গান্ধী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান– তারা সবাই ইতিহাসের সৃষ্টি। একই সঙ্গে ইতিহাসের স্রষ্টা। ইতিহাসের আরেকটি সত্য হলো, ইতিহাস বদলায় না। তবে এর বয়ান বা ন্যারেটিভ বদলায়। বয়ান বদলালেই ইতিহাস বদলায় না; ইতিহাস ইতিহাসের জায়গাতেই থেকে যায়। যেমন নবাব সিরাজউদ্দৌলার কথাই ধরা যাক। প্রায় দেড়শ বছর এ দেশের মানুষ জেনে আসছিল– সিরাজ...
চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে মুসলিম জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। তাই চব্বিশের স্বাধীনতার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি বলে দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বুধবার (২৬ মার্চ) বাদ মাগরিব স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলায়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ দাবি করেন। দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেন, উপমহাদেশের মানুষ ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্তির জন্য ১৯০ বছর ধরে সংগ্রাম করার পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট প্রথম মুসলমানরা পাকিস্তান রাষ্ট্রের নামে স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই স্বাধীনতার উপর ভিত্তি করেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আমরা ফের স্বাধীনতা অর্জন করি। আরো পড়ুন: ঢাবিতে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ছাত্রদল নেতার ইফতার বিতরণ নববর্ষের শোভাযাত্রায় থাকবে না...
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে আলোচনা সভা, কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদের রুহের মাগফিরাত, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়। বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী এই বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। আরো পড়ুন: স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ এবং আজকের বাংলাদেশ অর্জন-অগ্রগতি তুলে ধরে জাতিকে সম্ভাবনার বার্তা প্রধান উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে পেরেছি। সকল বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম...
‘স্বাধীনতা’ শব্দটি উচ্চারণ মাত্র আমাদের চেতনায় এমন এক অনুভূতি সঞ্চারিত হয়, যা পরম আনন্দের। মুক্ত বাতাসে উড্ডীন পাখির যে অবারিত উন্মুক্ত পৃথিবী, তার নাম হয়তো স্বাধীনতা। কিন্তু এই উপমায় কি স্বাধীনতার তাৎপর্য সবটুকু বোঝা যায়? নিজেকে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিই— না, বোঝা সম্ভব নয়। স্বাধীনতা এমন এক মুক্তির স্বাদ যা কোনো উপমাতেই পরিপূর্ণ করা সম্ভব নয়, এ আনন্দ অনির্বচনীয়। এ কেবল অনুভব করবার বিষয়। প্রিয় পাঠক কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি অনেকেই পড়েছেন। ‘রবিঠাকুরের অজর কবিতা অবিনাশী গান’ থেকে শুরু করে ‘ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা মহান পুরুষ’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের তুলনা দিয়েও স্বাধীনতার আনন্দ আর বিশালতা শেষ করতে পারেননি কবি। গ্রামের পুকুরে অবাধ উচ্ছ্বল সাঁতারের উপমায়ও তা পরিপূর্ণ হয় না। তাই কবি...
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তুলনা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে পড়েছেন ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। পরে ক্ষমা চান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। আজ বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করেন, এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করে নেওয়া হয়। পরে আগত অতিথিরা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন...
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস খোয়াবনামা লেখার পর ১৯৭১ সালকে ধরে একটা উপন্যাস দাঁড় করানোর প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তাঁর এ পরিকল্পনায় বগুড়ার একটা পীরের পরিবার ছিল কেন্দ্রে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ‘পীরবাড়ি’ বলে পরিচিত বাড়ির সাতজন ছেলেকে এক রাতে খুন করেছিল। ধর্মের নামে এ রকম অসংখ্য বর্বর হত্যাকাণ্ড করেছে তারা এবং তাদের এদেশীয় সহযোগীরা। ইলিয়াসের পরিকল্পনা ছিল মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলের পুরো জগৎ, সমাজ, ইতিহাস, চৈতন্য আর পরম্পরাকে আবিষ্কার করা। সেভাবেই তিনি কাজ করছিলেন। এর জন্য পাহাড়ি এলাকাসহ বহু স্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ক্যানসারের জন্য ইলিয়াসের পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে তখন। মহাশ্বেতা দেবীর কাছে সেই সময়ে তাঁর লেখা এক চিঠিতে তিনি যা লিখেছেন—আমাদেরও যা বলতেন—তা মোটামুটি এ রকম, ‘আমার তো পা নাই। তা-ও দেখি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কতটা পাহাড়ে উঠতে পারি, কাজ করতে পারি।...
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্ব সংগঠিত হয়েছে। এখন দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান।’ বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, “পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল তা নিরসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। গত ৫৪ বছর ধরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে দেশ পরিচালনা করার কারণেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।” আরো পড়ুন: শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি ছাত্রদলের অভিযোগ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একক সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা চলছে তিনি আরো বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্যের চেতনা, সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক...
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘বেহাত বিপ্লব’ কথাটা ঘুরেফিরে আসে। কথাটার পেছনে মূল ভাবটুকু হলো বিপ্লবের সুফল থেকে মানুষ বঞ্চিত হয় বা হয়েছে। আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের উষালগ্নে দাঁড়িয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন, কেন বা কোন প্রক্রিয়ায় এই হাতছাড়া হওয়ার ঘটনা ঘটে, আর কখনই–বা আমরা সেটা দেখতে পাই? বিপ্লবোত্তর সমাজ গঠনের কালে যখন দেখা যায়, যে ব্যবস্থা, যে কাঠামো কিংবা আজকের আলোচিত পরিভাষায় যে বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, সেই ব্যবস্থা, কাঠামো ও বন্দোবস্ত সমাজের ভেতর পুনর্বহাল হচ্ছে, কেবল শাসকের মুখ বদলে যাচ্ছে, তখন আমরা বুঝতে পারি যে ব্যক্তি বদল হলেও বিপ্লব তার সুদূরপ্রসারী-গভীরতর লক্ষ্য সাধনে ব্যর্থ হয়েছে। নিপীড়িত জনতার বিপ্লব হাতছাড়া হয়েছে, নিপীড়কের পুরোনো বন্দোবস্ত পুনর্বার ফিরে এসেছে। ১৯৭১–পরবর্তী বাংলাদেশে এমনটিই ঘটেছিল।যে দল ১৯৭১–এর পটভূমি রচনায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তৎকালীন পূর্ব...
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বুধবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা। এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি...
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান...
ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বোধও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি দানা বাঁধতে বাঁধতে প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান অস্বীকারের প্রবণতা একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উঠে এসেছে এ কথাগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ‘গণহত্যা, অস্বীকারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।সহুল আহমদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গণহত্যাকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। গণহত্যা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনার সত্যতার অস্বীকার ঠেকাতে সবার আগে দরকার বিচার।এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম ও লেখক সারোয়ার তুষার। তাঁদের বক্তব্যে...
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণহত্যা আরও বেদনাবিধুর।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই গণহত্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানিদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীরসেনানিদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই...
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি শোষণ, বৈষম্য এবং দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম। এ যুদ্ধে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বাঙালি সেনাসদস্য, পুলিশ, আনসার ও ইপিআর (পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস) প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ২৫ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানি সেনারা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ঢাকায় বর্বর হামলা চালালে বাঙালি সেনারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। বিদ্রোহী বাঙালি সেনাসদস্যদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল সামরিক বাহিনী। পূর্ব পাকিস্তানে থাকা বিভিন্ন সেনা, পুলিশ, ইপিআর ও আনসার সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। বাঙালি সেনারা স্থানীয় জনগণকে সংগঠিত করে বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়, যেখানে প্রতিটি সেক্টরে একজন সেক্টর কমান্ডার...
আজ ২৬ মার্চ, ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনার সূচনা দিন। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে ডাক এসেছিল দেশকে পাকিস্তানি হানাদারের কবল থেকে মুক্ত করার। আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছিল বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মাস বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। জাতি অর্জন করেছিল একটি দেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা। পুরো জাতি আজ...
সরাসরি কোনো ছাত্র সংগঠনের কর্মী না হলেও ’৬৯ ও ’৭০ সালের রাজনৈতিক উত্তাল দিনগুলোতে মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নিই। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল ভারতে যাই। সেখানে ৭ এপ্রিল থেকে শিলিগুড়ির মুজিব ক্যাম্পে মাসব্যাপী গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ শেষে ৬ নম্বর সেক্টরের নীলফামারী জেলা সীমান্তের হিমকুমারী ক্যাম্পে যোগদান করি। সেখানে ১ নম্বর কোম্পানির সেকশন কমান্ডার হিসেবে বিভিন্ন ব্রিজ, কালভার্ট, বিওপি ইত্যাদি ধ্বংস ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার দায়িত্ব পালন করি। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের প্রতিটি দিন অনেক স্মৃতিবিজড়িত। আমাদের তরুণ, যুবক, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক সহযোদ্ধা হিসেবে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে আমাদের সহযোগিতা দিয়েছেন। বিশেষ করে যে গ্রামীণ নারীরা সহযোগিতা দিয়েছেন, তারা এখন ইতিহাসের আড়ালে। ১৯৭১-এর ১৭ ডিসেম্বর রংপুরে ফিরে মেডিকেল কলেজে...
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, যা আমাদের গৌরব, আত্মত্যাগ এবং বিজয়ের প্রতীক। এটি শুধু একটি তারিখ নয়; এটি একটি জাতির দীর্ঘ সংগ্রামের ফল। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতার সংগ্রামের সূচনা হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের শুরু এখান থেকেই। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। এই দিনটিতে তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম এবং শেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সে নির্বাচনের পর বিজয়ী শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে। নির্বাচিতদের কাছে শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা হস্তান্তর না করাসহ নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়। ২৫ মার্চ সারাদিন রাজশাহী শহরের মোড়ে মোড়ে চলে স্বাধীনতাকামী বাঙালির মিছিল ও সমাবেশ। দিনভর মুহুর্মুহু বিক্ষোভ চলে। এরপর দিনের সূর্য...
মোমবাতি প্রজ্বালন করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রির শহীদদের স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শিখা চির অম্লান প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ অনেকে অংশ নেন। এ সময় প্রায় শতাধিক মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে রাজধানীর কর্মক্লান্ত মানুষ যখন ছিলেন গভীর নিদ্রায় অচেতন, তখন সেই নিরপরাধ নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর ট্যাংক, মর্টার, মেশিনগান, রাইফেলসহ অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের হানাদার বর্বর সেনাবাহিনী। তারা নির্বিচারে বিভিন্ন স্থানে চালিয়েছিল গণহত্যা। নিরীহ মানুষের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে রাতের বাতাস। একটি রাতে এমন বর্বর গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।২২ মার্চ থেকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এবারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এর অংশ হিসেবে আজ মোমবাতি প্রজ্বালন এবং আগামীকাল...
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ, ২০২৫) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনছার আলী। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. হারুন-অর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ প্রামানিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. তানজিউল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী বলেন, “১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির জীবনে এক বিভিষীকাময় রাত নেমে আসে। ২৫ মার্চ মধ্য রাতে বর্বর...
স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা; যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র ও গুম-খুনের রাজত্ব চালিয়ে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে।” মঙ্গলবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কালরাতের নৃশংসতার কথা স্মরণ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আজ ২৫ মার্চ, মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কিত এক হত্যাযজ্ঞের দিন। ১৯৭১ সালের আজকের রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নির্মমভাবে গুলি...
কালরাত ছিল অকাল মৃত্যুর রাত; মুক্তিকামী বাঙালির ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলে স্বাধীনতার স্বপ্ন সমাধিস্থ করার অপচেষ্টার রজনী। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠি ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছিল। আর একাত্তরের ২৫ মার্চ তারা সংঘটিত করেছিল গণহত্যার সূচনা। আজকের তরুণ প্রজন্ম কল্পনাও করতে পারবে না যে, আচমকা এক রাতে পাকিস্তানি সশস্ত্র সৈনিকেরা কীভাবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বাঙালিদের ওপর চড়াও হয়ে নির্বিচার গণহত্যায় মেতেছিল। মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে সাত হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিন হাজার। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হলো।...
ভয়াল ২৫ মার্চ ও জাতীয় গণহত্যা দিবস আজ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের এই রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চালায়। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউটসহ’ জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে সারা দেশে রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ (কেপিআই বা জরুরি স্থাপনা ব্যতীত) পালন করা হবে। এ ছাড়া এ রাতের নিহতদের স্মরণে বাদ জোহর সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থণার আয়োজন করা হবে। সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি...
মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব নারী বীরত্বের সঙ্গে রণাঙ্গনে লড়াই করে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সখিনা বেগম। ১৯৭১ সালে দা দিয়ে কুপিয়ে পাঁচ রাজাকারকে হত্যা করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর এই সাহসিকতার কথা এখনো স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে মুখে। ৯২ বছর বয়সী সেই সখিনা বেগম এখন শয্যাশায়ী। ভুগছেন শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে।কিশোরগঞ্জের হাওর–অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তাঁর বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান তাঁর স্বামী কিতাব আলী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি নেমে পড়েন সশস্ত্র যুদ্ধে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বর্তমানে তাঁর বয়স ৯২ বছর। স্থানীয় মানুষ তাঁকে ‘খটকি বেগম’ বলেও ডাকেন। তিনি একজন তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিকলীতে সখিনাকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় তিনি...
আজ ২৫ মার্চ, বাঙালি জাতির ইতিহাসের ভয়াল কালরাত। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মুহূর্তে ১৯৭১ সালের এই রাতেই পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়াবহ গণহত্যা হয়। সেদিন ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী। এক রাতেই বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে লাখো বাঙালিকে হত্যা করা হয়। এই মর্মন্তুদ গণহত্যা আজও বিশ্বের মানুষের কাছে ঘৃণ্যতম ও তমসাচ্ছন্ন এক অধ্যায়। দিনটি স্মরণে ২০১৭ সালে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করে সরকার। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দেশজুড়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষ রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট দাঁড়িয়ে সব আলো নিভিয়ে একসঙ্গে নীরবতা পালন করবে। তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে...
মহান মুক্তিযুদ্ধে চালানো গণহত্যার দুর্লভ সব সংগ্রহ নিয়ে খুলনা নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে গড়ে ওঠে দেশের একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর। ভেতরে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার অসংখ্য নিদর্শন, নথি, বইপত্র থাকলেও তা দেখার সুযোগ পাচ্ছে না মানুষ। ৮ মাস ধরে বন্ধ জাদুঘরের প্রধান ফটক। স্বল্প পরিসরে আর্কাইভ অংশ চালু থাকলেও পরিচালন বরাদ্দ না থাকায় সেই কাজও ব্যাহত হচ্ছে। জাদুঘর সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২০ জুলাই সংস্কারের কারণে জাদুঘর বন্ধ করা হয়। আন্দোলনের পর সেটি আর চালু হয়নি। এর মধ্যে ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে চিকিৎসা না দেওয়ায় জাদুঘরের সামনের হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। ওই সময় জাদুঘরের প্রধান ফটকও ভাঙচুর করা হয়। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়ে জাদুঘর। এর পর ফটক মেরামতের জন্য কয়েকবার গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি। জাদুঘর ও আর্কাইভ পরিচালনার জন্য...
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭১, ৯০ এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে, আমাদেরকে সম্মান দেখাতে হবে। আজ রোববার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) উদ্যোগে পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করার জন্য, আরও সামনে যে কাজ আছে অর্থাৎ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার যে গণতান্ত্রিক সমাজ সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা করার...
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা স্মরণে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ২৫ মার্চ রাত ১০টা ৩০মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাগুলো এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। রোববার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সারাদেশে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এসব কর্মসূচি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার প্রচার করবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে...
সংবিধানের প্রস্তাবনা পরিবর্তনের সুপারিশের বিরোধিতা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, সুপারিশে ১৯৭১ ও ২০২৪ সালেকে এক কাতারে আনা হয়েছে। এটি তারা সমুচিত বলে মনে করে না। রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করে না দলটি।আজ রোববার দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিতভাবে দলীয় মতামত জমা দেয় বিএনপি। পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন।সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা স্পেটশিটে উল্লেখ করা হয়নি। এটি উচিত ছিল। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রস্তাবনা। সেটি পুরোপুরি পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকটা পুনর্লিখনের মতো। সেখানে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনা হয়েছে। এটা সমুচিত বলে বিএনপি মনে করে না। এটাকে অন্য জায়গায় রাখা বা সংবিধানের তফসিল অংশে রাখার বিভিন্ন রকম সুযোগ আছে।...
আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। ওই দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট ০১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী এ কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। রবিবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি...
১৯৭১ সালের ১ মার্চে সংসদ অধিবেশন বাতিল হওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। অসহযোগ আন্দোলনের প্রভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের আনুগত্য কমতে থাকে। একই অবস্থা সামরিক বাহিনীতেও লক্ষ করা যায়। অবসরপ্রাপ্ত বাঙালি সৈনিকেরাও শেখ মুজিবের ডাকে সাড়া দেন।তৎকালীন গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী হাউ পাকিস্তান গট ডিভাইডেড বইয়ে তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘এ সময়ে খুব উল্লেখযোগ্য ও উদ্বেগজনক অবস্থা পরিলক্ষিত হয়, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ব পাকিস্তানি সদস্যদের আনুগত্য সন্দেহের চোখে দেখা হতে থাকে। এ সময়ে কর্নেল ওসমানীর নেতৃত্বে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ঘন ঘন বৈঠকে মিলিত হতে থাকেন। উদ্দেশ্য, সাংবিধানিকভাবে সমস্যার সমাধান না হলে আওয়ামী লীগের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী গঠনের প্রস্তুতি।’২ মার্চ শেখ মুজিব এক বিবৃতিতে...
শফিকউদ্দিন চৌধুরী চাকরি করতেন ইপিআরে। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন যশোর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের ৪ নম্বর উইংয়ে। এর সদর দপ্তর ছিল চুয়াডাঙ্গায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন প্রতিরোধযুদ্ধে। এ সময় বিষয়খালীতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে শহীদ হন শফিকউদ্দিন চৌধুরী। ঝিনাইদহ জেলার পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে বিষয়খালী। যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এটি। ২৬ মার্চের পর একদল বীর মুক্তিযোদ্ধা (ইপিআর) অবস্থান নেন বিষয়খালীতে। এই দলে ছিলেন শফিকউদ্দিন চৌধুরী। বিষয়খালীর বেগবতী নদীর অপর পাশে ছিল তাঁদের প্রতিরক্ষা অবস্থান। নদীর ওপরে ছিল সেতু। ১ এপ্রিল (কারও কারও মতে ৩১ মার্চ) যশোর সেনানিবাস থেকে আসা একদল পাকিস্তানি সেনা তাঁদের আক্রমণ করে। এ সময় অভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভাত খাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের ওপর আক্রমণ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা খাবার রেখে পাল্টা আক্রমণ...
বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বিশ্বের মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নিজ প্রাণ সঁপে দিয়েছিল বাঙালিরা। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান, দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির দুর্ভোগের বিনিময়ে ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল এই স্বাধীন রাষ্ট্র। একটি প্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্র ৯ মাসে যুদ্ধ জয় করা এক বিরল ঘটনা। এই বিজয় অর্জনের পেছনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সেনাবাহিনী হয়ে ওঠে জাতির পরম আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক। দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ এবং জনগণের প্রতি ভালোবাসা– এ দুটি বিষয়কে...
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, বিগত স্বৈরাচারের আমলে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করে ফেলা হয়েছে। দেশের সমস্ত ব্যাংক লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়াস্থ মেডিকেল মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উওর (২নং ওয়ার্ড) এর আয়োজনে গণ ইফতার মাহফিল ও ওয়ার্ড সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের মানুষ প্রবাসে গিয়ে কষ্ট করে ঘাম ঝড়িয়ে দেশে টাকা পাঠায়। আর আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্কার নেতারা দেশের টাকা বাইরে পাচার করে। এই অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে একটি সুষ্ঠু সুন্দর দেশ গঠন করতে আমাদের চরমোনাই পীর সাহেব সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। দেশকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে ইসলামী শাসনের কোন বিকল্প নেই।...
১৯৭১-এর ১ মার্চ থেকে ২০ বালুচ রেজিমেন্টের সঙ্গে আমাকে আমার দুই কোম্পানি নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা (আইএস ডিউটি) রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। ৪ মার্চ ব্রিগেডিয়ার এম আর মজুমদার, পিএসসি, উপ-আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসক, ইস্টার্ন কমান্ডার সাহেবজাদা ইয়াকুবের টেলিফোনে দেওয়া অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নেন। ক্যাপ্টেন মহসিন সার্কিট হাউসের স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পান। আমাকে আমার দায়িত্বের অতিরিক্ত (আমার অফিস তখন নিয়াজ স্টেডিয়ামে, বর্তমানে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম) উপ-আঞ্চলিক প্রশাসকের অফিস পালাক্রমে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমাদের দায়িত্ব আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছিলাম।২৪ ও ২৫ মার্চরাজনীতিতে যেমন, তেমনি সেনাবাহিনীতে আমরা যাঁরা বাঙালি ছিলাম আমাদের মধ্যেও, মার্চের শুরু থেকেই দিনগুলো ছিল খুবই ঘটনাবহুল। আমি এখানে ২৪ ও ২৫ মার্চের কথাই বলব।২৪ মার্চ ১৯৭১ সালে ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে ঢাকায়...
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার সীমান্তরেখায় সালদা নদী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার অন্তর্গত। অদূরেই বাংলাদেশ–ভারত সীমান্ত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সালদা নদীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্থায়ী কোনো ঘাঁটি ছিল না। নদীর পূর্ব পারে মন্দভাগ ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। নদীর অপর পার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে না থাকলেও তা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল না। কাছাকাছি চাঁদলা গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ছিল পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান। মাঝেমধ্যেই তারা সেখান থেকে সালদা নদীর পাড়ে আসত। অস্থায়ীভাবে সেখানে অবস্থান নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নজরদারির চেষ্টা করত। তখন বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করতেন, যাতে তারা সেখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান না করতে পারে। কারণ, সালদা নদী ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পথ।২১ বা ২২ অক্টোবর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বালুচ রেজিমেন্টের একটি বড় দল সালদা...
একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক জনযুদ্ধ। আপামর সিপাহি, কৃষক, মজুর তথা সর্বস্তরের মানুষ এই যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তৎকালে এ অঞ্চলে একটি প্রাগ্রসর শিক্ষাঙ্গন হিসেবে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ছাত্ররা এর ব্যতিক্রম ছিলেন না; বরং শিক্ষায়তন হিসেবে এই কলেজের বিশেষ করে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত প্রাক্তন ছাত্ররা এক মহিরুহ ভূমিকা পালন করেন। জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিরল বীরত্বের পরিচয় দিয়ে সাহসিকতা বা গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড পাওয়াদের মধ্যে এগিয়ে ছিল ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। এই কলেজের আটজন মহান শহীদের সঙ্গে ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা অসীম সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন পদক লাভ করেন; যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিবেচনায় যা সর্বোচ্চ। নিম্নোক্ত আটজন শহীদের জীবনই বলে দেয় তাদের ত্যাগের গল্প। শহীদ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বীরউত্তম: ১৯৭১ সালে যশোর সেনানিবাসে অবস্থানরত ১০৭ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের...
রাজবাড়ী জেলার প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সানাউল্লাহ’র দ্বিতীয় মৃত্যুবাষিকী আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ)। এ উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীর বড় মসজিদ এবং মরহুমের নিজ বাসভবন বিনোদপুরে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মরহুম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাকে রাজবাড়ীর ভবানীপুর কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে দাফন করা হয়েছে। সাংবাদিক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ পাকিস্তান আমলে ‘পাক যমহুরিয়াত’ সাপ্তাহিক পত্রিকায় লেখালেখির মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। তিনি দৈনিক ‘পূর্ব পাকিস্তান’ পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে তিনি ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকার মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। এরপর ‘দৈনিক বাংলা’, ‘দৈনিক যুগান্তর’, ‘দৈনিক সমকাল’, ‘বিডি নিউজ ২৪’ ও দীর্ঘ সময় ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’ রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আরো পড়ুন: ‘যত বেশি...
রাতে আবদুল মান্নানসহ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রওনা হলেন তাঁদের লক্ষ্যস্থল অভিমুখে।সবার আগে একজন পথপ্রদর্শক। তাঁর পেছনে দলনেতা ও আবদুল মান্নান। তাঁদের পেছনে সহযোদ্ধারা। তাঁদের কাছে ভারী অস্ত্র মাত্র দুটি। একটি আরএল (রকেট লঞ্চার) ও একটি এলএমজি। অন্যান্য অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এসএমজি, স্টেনগান, রাইফেল এবং কয়েকটি হ্যান্ড গ্রেনেড।সেদিন তাঁরা মদুনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) আক্রমণ করেন। চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত মদুনাঘাট। সাবস্টেশনের অবস্থান চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের উত্তর পাশে এবং হালদা নদীর পশ্চিম পাশে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ছিল পাকিস্তানি সেনা ও কিছু রাজাকার। সব মিলিয়ে তাদের সংখ্যা ৩০-৩৫। সাবস্টেশনের চারদিকে ছিল বাংকার।বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিক অবস্থান ছিল মদুনাঘাটের অদূরেই। এর আগে তাঁরা বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় রেকি করেন। নির্ধারিত দিন মধ্যরাতে তাঁরা কেন্দ্রের ৫০-৬০ গজ দূরে অবস্থান নেন। রাত যখন তিনটা, তখন তাঁরা আরএল দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়েকটি রকেট...
ছাত্রদের নেতৃত্বে যে নতুন রাজনৈতিক দলের সূচনা হয়েছে, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি, একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে তাদের ভূমিকা থাকবে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন যে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে, সেই সংসদে সবারই প্রত্যাশা অনুযায়ী বর্তমান অগণতান্ত্রিক সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কার হবে, সংশোধনী হবে। সেটাতে তারাও ভূমিকা রাখবে, আমরাও রাখব, সে প্রত্যাশা আমাদের আছে। তবে ছাত্রদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন দলটি প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, একটি নতুন রিপাবলিক (প্রজাতন্ত্র), সেকেন্ড রিপাবলিক তারা চায়। সেটা প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদের মাধ্যমে তারা একটি নতুন সংবিধান রচনা করতে চায়। আমরা মনে করি, এ কথাগুলো পরস্পরবিরোধী। কারণ, আমাদের একটি সংবিধান আছে। আমরা নতুন করে একটি রাষ্ট্র হিসেবে এখন আত্মপ্রকাশ করিনি। ১৯৭১ সালে আমরা এ রাষ্ট্র পেয়েছি। যেখানে রাষ্ট্র...
নভেম্বর মাস। আবদুল লতিফসহ মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র কাঁধে এগিয়ে যেতে থাকেন তাঁদের লক্ষ্যস্থল অভিমুখে। নিঃশব্দে সমবেত হন তাঁরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থানের অদূরে। লক্ষ্য—পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করে সমূলে তাদের উচ্ছেদ করা।পাকিস্তানি ঘাঁটির তিন দিকে ছিল নদী। সে কারণে আবদুল লতিফ ও তাঁর সহযোদ্ধারা ছিলেন সুবিধাজনক অবস্থায়। মূল আক্রমণকারী দলের মুক্তিযোদ্ধাদের এক পর্যায়ে নদী অতিক্রম করতে হয়। আবদুল লতিফ ছিলেন মূল আক্রমণে।নদীর ঘাটপাড়ে ছিল পাকিস্তানিদের কয়েকটি বাংকার। আবদুল লতিফ ও তাঁর সহযোদ্ধারা নদী অতিক্রম করে ওই সব বাংকার লক্ষ্য করে অসংখ্য গ্রেনেড ছোড়েন। পাকিস্তানি সেনারা হতভম্ব হয়ে পড়ে। কারণ, ঘাট এলাকা হয়ে পশ্চিম দিক থেকে এই আক্রমণ ছিল তাদের জন্য কল্পনাতীত। এ জন্য তারা মোটেও প্রস্তুত ছিল না।তীব্র আক্রমণে ভীতসন্ত্রস্ত পাকিস্তানি সেনারা নদীর তীরের অবস্থান ছেড়ে পেছনে গিয়ে ত্বরিত সমবেত হয়। সেখানে ছিল...
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত বদলপুর। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই এলাকা ৩ নম্বর সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল। কিন্তু এই এলাকার বেশ কিছু যুদ্ধ ৫ নম্বর সেক্টরের বড়ছড়া সাব-সেক্টর থেকে পরিচালিত হয়েছে। ১৫ নভেম্বর জগৎজ্যোতি দাসের নেতৃত্বে একদল বীর মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্রশস্ত্র ও রসদ নিয়ে টেকেরঘাট থেকে নৌকাযোগে বানিয়াচংয়ে আসছিলেন। টেকেরঘাট সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার অন্তর্গত। ১৬ নভেম্বর সকালে তাঁরা বদলপুরে পৌঁছান। সেখানে এসে জগৎজ্যোতি জানতে পারেন, একদল রাজাকার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে বসে চাঁদা আদায় করছে। এ কথা শুনে তিনি তাদের ওপর আক্রমণ করেন। তাঁদের আক্রমণে দুজন রাজাকার নিহত হয় এবং দুজন আত্মসমর্পণ করে। বাকি সবাই পালিয়ে যায়। এমন সময় পাশের জলসুখা গ্রাম থেকে গুলি আসতে থাকে। এ গ্রামেই জগৎজ্যোতির বাড়ি। তিনি কয়েকজন সহযোদ্ধাকে নিয়ে সেদিকে রওনা হন। বাকিদের দুই ভাগে ভাগ করে একদল পাঠান...
এস এম ইমদাদুল হক ১৯৭১ সালে ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। চাকরি করতেন সেনাবাহিনীতে। তিনি তখন লেফটেন্যান্ট। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কয়েকজন বাঙালি সহকর্মীর সঙ্গে আলাপ করে পালানোর সুযোগ খুঁজতে থাকেন। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একদিন তাঁরা ১২ জন একসঙ্গে পালিয়ে ভারতে যান। এস এম ইমদাদুল হককে নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি প্রথমে যুদ্ধ করেন ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায়, পরে জেড ফোর্সের অধীন বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। ৭ নভেম্বর মৌলভীবাজারের ধামাই চা-বাগানে এক খণ্ডযুদ্ধে তিনি শহীদ হন।ধামাই চা-বাগানে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শক্ত একটি ঘাঁটি। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর স্বল্প তৎপরতার কারণে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই এলাকায় ব্যাপক আধিপত্য বিস্তার করে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ধামাই চা-বাগানের অবস্থান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সেখানে আক্রমণ করা, চা-বাগানের দখল নেওয়া মুক্তিবাহিনীর...
স্বাধীনতার মাস অগ্নিঝরা মার্চ। ১৯৭১ সালে এ মাসেই শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মাস। আনুষ্ঠানিক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাস। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে অধিকার অর্জনের অগ্নিঝরা মাস মার্চের প্রথম দিন আজ। একটি নতুন পতাকা, একটি একটি ভয়াবহ কালরাত—সবমিলিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চকে ধরা হয় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বের সূচনা হিসেবে। এ মাসেই বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। একাত্তরে পুরো মার্চ মাস ছিল উত্তাল। বাংলা ছিল অগ্নিগর্ভ। ঢাকা জুড়েই স্লোগান আর স্লোগান। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা হলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ১ মার্চ। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলার মানুষ ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ঢাকা যেন আগ্নেয়গিরি। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ...
শুরু হলো অগ্নিঝরা মার্চ। মহান স্বাধীনতার মাস। ১৯৭১ সালের এ মাসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, অচিরেই যা জনযুদ্ধের রূপ লাভ করে। ওই বছরেরই ১৬ ডিসেম্বর সফল পরিণতিস্বরূপ জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। তাই ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিনটিকে বলা যায় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ের সূচনার দিন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংঘটিত আন্দোলনকে বলা হয় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রভাতকাল। ১৯৫২ সালে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেলেও তার সূচনা হয় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ হরতালের মাধ্যমে। অনেক লড়াই-সংগ্রামের পরিণতিতে মাত্র কয়েক মাস আগে–১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট–প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানে সেটিই ছিল প্রথম হরতাল। ওই আন্দোলনেই এ ভূখণ্ডের বাঙালি মুসলমান তার জাতিগত পরিচয় সম্পর্কে সম্বিৎ ফিরে পায়, অনুভব করে ধর্মীয় সাজুয্য সত্ত্বেও পাকিস্তানের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী থেকে তারা প্রায় সব অর্থেই স্বতন্ত্র। বাঙালি হিন্দুর...
‘রেল লাইনের ওই বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’ কিংবা ‘আলাল ও দুলাল’ গানগুলোর কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সংগীতের ‘গুরু’ আজম খানের কথা। এমন অসংখ্য গানের স্রষ্টা আজম খানের আজ জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ৭৬ বছরে পা দিতেন বরেণ্য এই শিল্পী। ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন পপসম্রাট আজম খান। তার পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। ১৯৫৫ সালে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলের শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি। পরের বছর তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপর পুরো পরিবার সেখানে চলে যান। এরপর কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭০ সালে টি অ্যান্ড টি কলেজ থেকে...
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ১৯৭১ সালে যারা রণাঙ্গনে সরাসরি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন, শুধু তারাই মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাবেন। এ ছাড়া দেশ ও বিদেশে থেকে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন, কূটনৈতিক তৎপরতা ও অন্যান্য সহযোগিতা করেছেন, তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ফারুক-ই-আজম বলেন, বর্তমান প্রচলিত আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেননি, এমন আট ধরনের ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে পরিবর্তন আনার জন্য ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া করে এ...
দেশের সাত বীরশ্রেষ্ঠ’র একজন ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গণের এই সাহসী সন্তানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি)। ১৯৩৬ সালের আজকের এই দিনে নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নূর মোহাম্মদ শেখ। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মা জেন্নাতুন্নেছা (মতান্তরে জেন্নাতা খানম)। শৈশবেই বাবা ও মাকে হারান এই বীরশ্রেষ্ঠ। তিনি পড়ালেখা করেছেন সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। নূর মোহাম্মদ শেখ পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগ দেন ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরে ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন যশোরের কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে...
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নয়াদিল্লির সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক চায়। এই দুই প্রতিবেশী দেশ খুবই বিশেষ ইতিহাস ধারণ করে, যার শিকড় ১৯৭১ সালে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।রোববার নয়াদিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য উৎসবে বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ একজন ওঠে এবং সবকিছুর জন্য ভারতকে দায়ী করে, এমন সব বিষয়ের জন্য এই দোষারোপ করে যদি আপনি খবরগুলো দেখেন তাহলে দেখবেন সেগুলো খুবই হাস্যকর। আপনি এক পক্ষ থেকে বলতে পারেন না, আমি এখন আপনার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই। কিন্তু আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি এবং সবকিছুর জন্য আপনাকে দায়ী করি, তাহলে তা ভুল হয়। এটা একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার, যা তাদের নিতে হবে।’জয়শঙ্কর বলেন, ভারত ঢাকাকে খুবই স্পষ্ট একটি ইঙ্গিত দিয়েছে। সেটি...
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শিবিরের সংবাদ সম্মেলনের পর পৃথক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়েছে সংগঠন দুটি। ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদার) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী মধুসূদন দে (মধুদা) ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্র সংঘ পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহীদ মধুদার হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রসংঘকে (পরবর্তীতে ইসলামি ছাত্রশিবির নামে পরিচিত) নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, মধুর ক্যান্টিনে স্বাধীনতাবিরোধী...
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তার দৃঢ়তা, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা, গণতন্ত্রে অবিচলতা, নিপুণ সমর কুশীলতার মাধ্যমে তিনি ১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামরিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সব মুক্তিযোদ্ধার আস্থার প্রতীক। শনিবার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম.এ.জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়েজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদ এই সভা আয়োজন করে। উপদেষ্টা বলেন, জেনারেল ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী সর্বাধিনায়ক যার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিহাসে বিজয়ী সমর নায়ক হতে পারা একটি বিরল সম্মান এবং সৌভাগ্যের বিষয়। সৃষ্টিকর্তা জেনারেল ওসমানীকে সেই সম্মানে সম্মানিত করেছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে,...
চব্বিশের চেতনা নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখতে সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা। তিনি বলেন, “বাঙালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। ফলে পঁচাত্তর সালে বিপ্লব হয়েছিল, যা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে পরিচিত। একই চেষ্টা গত ১৭ বছর করা হয়েছিল, যারই ফসল চব্বিশের বিপ্লব। চব্বিশের চেতনা নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখতে সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় হাবিপ্রবির অডিটোরিয়াম-২ তে ‘অমর একুশের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান শহীদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।...
মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে খসড়া অধ্যাদেশ তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অনেকে। কেউ কেউ মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে খসড়া অধ্যাদেশের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে অংশীজন নিয়ে আগামী বুধবার সভা ডেকেছে মন্ত্রণালয়। এতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টাও উপস্থিত থাকবেন। বিদ্যমান আইন সংশোধন করে প্রণীত এই খসড়ায় রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ রাখা হয়েছে। অন্য সবার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানের বিষয়টি। এ ছাড়া পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ক্রমবিন্যাসও পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধন-সংক্রান্ত খসড়া অধ্যাদেশ জনমত যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য গত ২...
বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজনীয় সুপারিশ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এই কমিশন গত ১৫ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পুরো প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে সংস্কার কমিশন বিদ্যমান সংবিধানের প্রস্তাবনা, মৌলিক নীতিমালাসহ বেশ কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে।এই সুপারিশগুলো এখন কেবল প্রস্তাবনা হিসেবে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগুলো চূড়ান্ত করা হবে। এরপরও সুপারিশগুলো সংলাপ ও ঐকমত্য গঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে—এমনটা ধারণা করা যায়। তাই এ সুপারিশগুলোর পর্যালোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। তবে আমি আমার আলোচনা শুধু সংবিধানের প্রস্তাবনা পরিবর্তনের সুপারিশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখব।সংবিধান সংস্কার কমিশন বিদ্যমান সংবিধানের প্রস্তাবনা বাদ দিয়ে নতুন একটি...
ডিসেম্বর ১৯৭১। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভেসে এল দৃঢ় এক কণ্ঠস্বর—‘দেশবাসী সংগ্রামী ভাই ও বোনেরা,বাংলাদেশে দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুক্তিসংগ্রাম আজ সাফল্যের তোরণে উপনীত হয়েছে।...’রেডিওর সামনে দাঁড়িয়ে মানুষ শোনে, শোনে আর কাঁদে—আনন্দে, গর্বে, বেদনামিশ্রিত বিজয়ের অনুভূতিতে।সেই কণ্ঠস্বর ছিল বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের—পাদপ্রদীপের আড়ালে থাকা দূরদর্শী এক নেতা, যাঁর কৌশলী নেতৃত্ব ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের এই বিজয় সম্ভব হতো না। শেখ মুজিব যখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী, তখন তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন এক সদ্য জন্ম নেওয়া জাতির—নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী সরকারকে, সামলেছিলেন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি, গড়ে তুলেছিলেন একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির ভিত্তি। তাঁর জীবনের এমন সব ঐতিহাসিক সত্য নিয়েই মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন তাজউদ্দীন নামে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।এই বইয়ে তাজউদ্দীন আহমদের কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবনকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন লেখক।...
‘শিক্ষার্থীরা নয় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার পেছনে রয়েছে সন্ত্রাসীরা।’ গত বছরের ৫ আগস্ট ও তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ঢাকার ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরে একটি বেসরকারি সংস্থার আয়োজিত অনুষ্ঠান ‘ইন্ডিয়াস ফরেন পলিসি রোডম্যাপ উইথ ফোকাস অন ইমিডিয়েট নেইবারহুড' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে শ্রীংলা বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু ওটা কেবল বঙ্গবন্ধুর বাড়িই ছিল না, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যেসব স্মারক, আর্কাইভ, নথি ছিল। তাই আমার মনে হয় যে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, কাহিনি আছে সেটাকে ধ্বংস করার একটা প্রচেষ্টা। আমার মনে হয় না...
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খসড়া ঘোষণাপত্র ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত। গত ১৬ জানুয়ারি ‘জুলাই ঘোষণা’ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সর্বদলীয় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আগে একটি খসড়া জুলাই ঘোষণা দলগুলোকে পাঠানো হয়। এ দুটি ঘোষণাপত্রের প্রধান কয়েকটি দিক নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস প্রসঙ্গে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তান মূলত পশ্চিম পাকিস্তানি পুঁজিপতি গোষ্ঠীর কাঁচামাল এবং পুঁজি সংগ্রহের উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ এই শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। যার প্রথম প্রকাশ ঘটে বরকত, সালাম, রফিক, জব্বারের রক্তস্নাত বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিপুল বিজয় হয়। এর পর বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন এবং ১১ দফার ভিত্তিতে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান হয়। ১৯৭০ সালের...
নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ তাতীপাড়া এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্য মো. সিরাজুল হক আর নেই। রবিবার দিবাগত রাতে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে সিরাজুল হককে শহরের ইসলাম হার্ট সেন্টারে নেওয়া হলে সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম দেওভোগ ব্যাপারীপাড়া এলাকায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার ও আদর্শ গ্রামের নিরালা বাইতুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে পাইকপাড়া বড় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের ফতুল্লা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, নারায়ণগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও ফতুল্লা মডেল থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের মেজ ছেলে ও দৈনিক বাংলা...
সমালোচনার মুখে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রদর্শিত একটি পোস্টার সরিয়ে নিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, পোস্টারটি বাংলা একাডেমি তৈরি করেনি। অন্য কারোর করা এই পোস্টার নজরে আসায় ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। ‘৫২–এর চেতনা ২৪–এর প্রেরণা’ লেখা পোস্টারটি তৈরি করা হয় একটি সাদা–কালো ছবি ব্যবহার করে। এই ছবিতে দেখা যায়, স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বসে আছেন তরুণী, নারীরা। তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘মা বোনেরা অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। সেখানে বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে বসে থাকা তরুণী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফেরদৌস হক লিনু। বইমেলার এই পোস্টার নিয়ে গতকাল শনিবার রাতেই ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন কাজী ফেরদৌস হক লিনু। তাতে তিনি লেখেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এই ছবি ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ১৯৭১–এর ছবি ৫২–এর ছবি বলে উল্লেখ করছে, ধিক্কার জানাই। ছবিতে লাঠি হাতে...
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলকে দৃশ্যত পাখির চোখ করে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণের পরপর অন্য অনেক দেশের মতো পাকিস্তান শুভেচ্ছা জানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি; ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাসহ প্রায় সব উপদেষ্টা, এমনকি বিএনপিসহ গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী দলগুলোর সঙ্গেও সভা করেন। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইশাক দার তো গত ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে তাদের ‘হারিয়ে যাওয়া ভাই’ বলেই সম্বোধন করে বসলেন। বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ফি মওকুফ তো রয়েছেই। গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে সাবেক কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়ে কৌশলগত রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো যে তারই অংশ, তা বুঝতে কারও বিশেষজ্ঞ হতে হবে না। কিন্তু রোডম্যাপটি ধরে...
আইন সংশোধনের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির সর্বনিম্ন বয়সসীমা নতুন করে নির্ধারণ করা হচ্ছে। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের (সক্রিয়) পরিচিতি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ থাকলেও অন্য সবার ক্ষেত্রে পরিচয় হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। এই দুই শ্রেণিতে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স সাড়ে ১২ বছরের পরিবর্তে ১৩ বছর নির্ধারণ করা হচ্ছে। বাদ দেওয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানের বিষয়টিও। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তনের পাশাপাশি পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ক্রমবিন্যাস পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন ২০২২ সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। জামুকা থেকে পাঠানো খসড়াটি অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশের জন্য চলছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ের পর্যালোচনাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি। শিগগিরই এটি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন হওয়ার কথা। এর পর...
বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ এর ২৬মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা করে ১২ই এপ্রিল এজে ওসমানী স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মেজর জিয়াউর রহমানই ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সর্বাধিনায়ক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগরে একটি পার্টি সেণ্টারে অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নিজ উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা। দেশকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে দেশ প্রেমিক হতে হয়,...