বেহাত বিপ্লবের দেশে বীজ বপনের ঋতু কবে আসবে
Published: 26th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘বেহাত বিপ্লব’ কথাটা ঘুরেফিরে আসে। কথাটার পেছনে মূল ভাবটুকু হলো বিপ্লবের সুফল থেকে মানুষ বঞ্চিত হয় বা হয়েছে। আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের উষালগ্নে দাঁড়িয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন, কেন বা কোন প্রক্রিয়ায় এই হাতছাড়া হওয়ার ঘটনা ঘটে, আর কখনই–বা আমরা সেটা দেখতে পাই?
বিপ্লবোত্তর সমাজ গঠনের কালে যখন দেখা যায়, যে ব্যবস্থা, যে কাঠামো কিংবা আজকের আলোচিত পরিভাষায় যে বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, সেই ব্যবস্থা, কাঠামো ও বন্দোবস্ত সমাজের ভেতর পুনর্বহাল হচ্ছে, কেবল শাসকের মুখ বদলে যাচ্ছে, তখন আমরা বুঝতে পারি যে ব্যক্তি বদল হলেও বিপ্লব তার সুদূরপ্রসারী-গভীরতর লক্ষ্য সাধনে ব্যর্থ হয়েছে। নিপীড়িত জনতার বিপ্লব হাতছাড়া হয়েছে, নিপীড়কের পুরোনো বন্দোবস্ত পুনর্বার ফিরে এসেছে। ১৯৭১–পরবর্তী বাংলাদেশে এমনটিই ঘটেছিল।
যে দল ১৯৭১–এর পটভূমি রচনায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তৎকালীন পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকারের দাবি সামনে এনেছিল, সেই আওয়ামী লীগ স্বাধীন দেশে শাসনক্ষমতা গ্রহণ করে জনবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। স্বাধীনতা–উত্তর আওয়ামী শাসনামলে জনবিরোধিতার স্মারক হয়ে উঠেছিল অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও অপশাসন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও লুটপাট আর রাজনৈতিক পরিসরে নজিরবিহীনভাবে ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ; যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাসকগোষ্ঠীর জনবিচ্ছিন্নতাকে ত্বরান্বিত করেছে। অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত ‘উদ্বাস্তু’ কবিতায় যেমনটা বলেছিলেন, ‘.
১৯৭১–এর উত্থান পর্বে যাঁরা নায়কের আসনটি অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতেও রাজি ছিলেন না, স্বাধীনতার তিনটি বছর পেরোতে না পেরোতে তাঁরাই গণশত্রুতুল্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। স্বাধীনতার স্বাদ মিথ্যা হয়ে যাওয়ার, আজাদি ঝুটা হয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অবশ্য এই ভূখণ্ডের মানুষের সেটাই প্রথম নয়। এর মাত্র কিছুকাল আগে ১৯৪৭–এর পার্টিশনের অব্যবহিত পরে নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তান তার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। যে মুসলিম লীগ কৃষকের কল্পরাজ্যের স্বপ্ন মানুষের মনে এঁকে দিয়েছিল, তারাই সদ্য স্বাধীন দেশে শাসক হিসেবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ কেবল তাদের দিক থেকে নয়, তাদের ‘কল্পরাজ্য’ থেকেও মুখ ফিরিয়ে নেয়। সাতচল্লিশোত্তর মুসলিম লীগ আর একাত্তর-পরবর্তী আওয়ামী লীগ—কারও ক্ষেত্রেই আধা দশকও লাগেনি নিরঙ্কুশ জনপ্রত্যাখ্যান অর্জন করতে।
২১ মার্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখলাম, সেনাছাউনির দিকে আঙুল তুলে তরুণ নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন যে তাঁদের কাছে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের সত্যতা নিরূপণ করা অতি আবশ্যক। দেশের ভেতরে–বাইরে যখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলমান, তখন ন্যূনতম শর্তে জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করা ছাড়া অন্য কোনো পথ কি আমাদের সামনে আছে?বিপ্লব বেহাত হওয়ার এসব ঐতিহাসিক নজিরের দিকে বারবারই ফিরে তাকাই। আর তাই ২০২৪–এর রক্তস্নাত দীর্ঘ জুলাইকে লোকে যখন আদর করে ‘বিপ্লব’ নামে ডাকে, তাদের আকাঙ্ক্ষা আমাকে প্রলুব্ধ করলেও আমি বাস্তবতাকে উপেক্ষা করতে পারি না। ৫ আগস্টে আমাদের প্রথম এবং ওই মুহূর্তের প্রধান চাওয়াটা পূরণ হয়েছিল—স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে নেমে যেতে হয়েছিল। কিন্তু স্বৈরশাসনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, উপাদান ও বৈশিষ্ট্যগুলো রাষ্ট্র ও সমাজের কাঠামো এবং ব্যবস্থার স্তরে স্তরে দগদগে ক্ষত হয়ে টিকে আছে। এই ক্ষত নিরাময়ের জন্য যে ন্যূনতম ঐক্য ও সহিষ্ণুতা থাকা প্রয়োজন, তা কি আমাদের সমাজে ও রাষ্ট্রে এই মুহূর্তে আছে?
গণ-অভ্যুত্থানে যে নানা পক্ষের মানুষ কাতারে দাঁড়িয়েছিল, ক্ষমতার জগদ্দল পাথরটা সরে যাওয়ার পর তারা অর্থাৎ ডানপন্থী, চরম ডানপন্থী, মধ্যপন্থী, বামপন্থী সবাই নিজ নিজ পক্ষীয় কল্পনার দেশ তৈরির জন্য কাজ করে চলেছে। কিন্তু এ–ও মনে রাখতে হবে, যেকোনো একটি পক্ষের স্বপ্ন, রাজনীতি এবং আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা অপরাপর পক্ষগুলোর স্বপ্ন, রাজনীতি ও রাষ্ট্রধারণার চেয়ে মূলগতভাবে কেবল ভিন্নই নয়, বরং কোথাও কোথাও সরাসরি সাংঘর্ষিক। এটা সংকটের একটা দিক বটে, কিন্তু দীর্ঘ স্বৈরশাসন যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করে রেখেছিল, তাতে এমনটাই হওয়ার কথা। সংকটের গভীরতর দিকটি বিরাজ করছে অন্যত্র।
স্বৈরশাসনের দমন-পীড়ন এ দেশের মানুষের শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করেছে, তার চেয়ে গভীরতর ক্ষতচিহ্ন, লোভ, অসহিষ্ণুতা, স্বার্থকেন্দ্রিকতা—এই সবকিছু জনমানসে প্রায় পাকাপাকিভাবে এঁকে দিয়ে গেছে বিগত দীর্ঘ অপশাসন। যারা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, তারাও এর বাইরে নই। আমাদের তরুণ নেতৃত্ব, তাঁরা তো বড়ই হয়েছেন লোভ, ভয় আর ঘৃণার বাতাবরণে। মুরব্বিদের নেতৃত্ব, শাসনকে তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন বটে, কিন্তু তাঁদের রেখে যাওয়া লিগেসিকে তাঁরা পুরোপুরি ছেড়ে আসতে পারেনি।
যে বিভাজন, তকমা সাঁটা কিংবা ট্যাগিংয়ের রাজনীতির শিকার তাঁরা হয়েছিলেন, যেসবকে প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়েই তাঁদের উত্থান, সেই বিভাজনের, ট্যাগিংয়ের রাজনীতিকে আমরা আবার মাঠে ফিরে আসতে দেখছি। হাসিনা ও সিপি গ্যাংয়ের ট্যাগ ছিল ‘রাজাকার’, ‘জামায়াত-বিএনপি’, ‘জঙ্গি’ অথবা ‘বুদ্ধিবেশ্যা’। এসবের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাঁরা ঘুরে দাঁড়ালেন, তাঁরা এখন প্রতিপক্ষকে ডাকছেন ‘নারীবাদী’, ‘শাহবাগী’, ‘বাম’ কিংবা ‘র–এর এজেন্ট’ নামে।
হাসিনার শাহবাগ-শাপলার বাইনারির রাজনীতি নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে, এমনকি হাসিনাবিরোধীদের মাধ্যমেই। আমরা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ রাজনীতি কিংবা ‘নতুন বন্দোবস্ত’র ডাক পেয়ে আশান্বিত হই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখতে পাই বিভাজন, বর্জন, নিশ্চিহ্নকরণের হুংকার রাজনীতির অপরাপর অঙ্গীকার ও তৎপরতাকে হটিয়ে মাঠের দখল নিয়েছে। এত বিদ্বেষ আমাদের কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে?
বীজ বপনের ঋতুর জন্য উন্মুখ হয়ে আছে এই ভূখণ্ডের অশোকতরুসকল। কিন্তু আমাদের বাহিনীগুলো এখনো গুম-খুনের ঊর্ধ্বে নয়। ১৯৪৭-এর পরের পুলিশ বাহিনী, ১৯৭১–এর পরের রক্ষীবাহিনীর মতোই ২০১৪–এর পরের পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে জনসাধারণের সম্পর্ক আগের মতোই দূরত্বব্যঞ্জক, ভীতিকর ও অনাস্থার। দীর্ঘ জুলাই কিংবা তার আগের নিদেনপক্ষে পনেরো-ষোলোটা জুলাই ধরে যে খুন–গুম-সহিংসতা এ দেশে সংঘটিত হয়েছে, তার বিচারের কাজ এখনো সামান্যই এগিয়েছে। শোনা যায়, আওয়ামী আমলের লুটপাটের হোতা ব্যবসায়ীদের দলে ভেড়াতে তৎপর নানা পক্ষ। হাসিনা ও তাঁর ল্যাঞ্জা ক্রমে ক্রমে সেফ এক্সিট পেয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, রাজনীতির মাঠে ঐক্যের চেয়ে বিভেদ-বিদ্বেষের সুর বিকটভাবে বাজছে।
আরও শোনা যায়, ৫ আগস্টের পরমুহূর্তে আমাদের তরুণ নেতৃত্ব মুরব্বি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। মুরব্বিদের অনীহার কারণেই নাকি তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ঘটনা কি আসলেই সে রকম? এত জান কোরবান করার পরে, এ দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে যে বড় দলগুলোর দিক থেকে কেন এ ব্যাপারে সাড়া মেলেনি! নাকি আমরা বুঝে নেব যে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দেশ গঠনের কঠিন কাজটি করার চেয়ে, ব্যর্থতার ঝুঁকি নেওয়ার চেয়ে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা সহজ পথটি বেছে নিয়েছিলেন। তাঁরা কি সরকারকে দুর্বল করে রাখার মধ্য দিয়ে দ্রুত নির্বাচনকে ত্বরান্বিত করতে চেয়েছেন, কিংবা সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ নিশ্চিত করতে চেয়েছেন?
২১ মার্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখলাম, সেনাছাউনির দিকে আঙুল তুলে তরুণ নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন যে তাঁদের কাছে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের সত্যতা নিরূপণ করা অতি আবশ্যক। দেশের ভেতরে–বাইরে যখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলমান, তখন ন্যূনতম শর্তে জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করা ছাড়া অন্য কোনো পথ কি আমাদের সামনে আছে? এই সত্যটুকু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যত দ্রুত উপলব্ধি করবে, ততই মঙ্গল। আরেকটা বেহাত বিপ্লবের ভার এই ক্ষতবিক্ষত জনপদ সইতে পারবে না। নিষ্ফলা এই জমিনে বীজ বপনের ঋতু ফিরিয়ে আনতেই হবে।
● সাঈদ ফেরদৌস গবেষক ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) সহ-উপাচার্য
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র জন ত ক স ব ধ নত ব যবস থ হয় ছ ল আম দ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয় এম এ জি ওসমানীকে।
সেই সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনসার সদস্য।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
কর্মসূচিদিবসটি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন উপদেষ্টা।
ফারুক-ই-আজমের সঙ্গে থাকবেন তাঁর একান্ত সচিব লে. কর্নেল (অব.) মো. আবদুল গাফফার, তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন এবং সহকারী একান্ত সচিব আমিরুল ইসলাম।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আলোচনা সভা এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট শতাধিক তরুণ-যুবক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে ঢুকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন। ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ নামে ভাস্কর্যটিসহ অন্য ভাস্কর্যগুলোতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, এবার বড় পরিসরে মুজিবনগর দিবস পালন করা হচ্ছে না। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভাস্কর্যগুলো আবার নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।