বায়তুল মোকাররমে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত
Published: 26th, March 2025 GMT
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে আলোচনা সভা, কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদের রুহের মাগফিরাত, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী এই বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আরো পড়ুন:
স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ এবং আজকের বাংলাদেশ
অর্জন-অগ্রগতি তুলে ধরে জাতিকে সম্ভাবনার বার্তা প্রধান উপদেষ্টার
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড.
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আঃ ছালাম খান।
অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, মোঃ মহিউদ্দিন, মোঃ আব্দুল হামিদ খান, মোঃ বজলুর রশীদ, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সাধারণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা, কোরআনখানি ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয় এম এ জি ওসমানীকে।
সেই সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনসার সদস্য।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
কর্মসূচিদিবসটি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন উপদেষ্টা।
ফারুক-ই-আজমের সঙ্গে থাকবেন তাঁর একান্ত সচিব লে. কর্নেল (অব.) মো. আবদুল গাফফার, তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন এবং সহকারী একান্ত সচিব আমিরুল ইসলাম।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আলোচনা সভা এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট শতাধিক তরুণ-যুবক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে ঢুকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন। ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ নামে ভাস্কর্যটিসহ অন্য ভাস্কর্যগুলোতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, এবার বড় পরিসরে মুজিবনগর দিবস পালন করা হচ্ছে না। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভাস্কর্যগুলো আবার নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।