মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান: বজলুর রশীদ
Published: 26th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্ব সংগঠিত হয়েছে। এখন দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান।’
বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, “পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল তা নিরসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। গত ৫৪ বছর ধরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে দেশ পরিচালনা করার কারণেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি
ছাত্রদলের অভিযোগ
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একক সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা চলছে
তিনি আরো বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্যের চেতনা, সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। সেই চেতনা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্ব সংগঠিত হয়েছে ১৯৭১ সালে, দ্বিতীয় পর্বের লড়াই এখন চলমান। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা শোষনমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা যতদিন বাস্তবায়িত না হবে, ততদিন এই লড়াইকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘বৈষম্য দূরীকরণে আর কাউকে যেন রক্ত দিতে না হয়’
বৈষম্য দূরীকরণে আর কাউকে যেন রক্ত দিতে না হয়, আজকের দিনে এই আমাদের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণ করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবারের পাশে আমরা সব সময় আছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা দিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। আড়াইহাজার উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা যৌথভাবে এ আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক বলেন, তারা যে স্বপ্ন নিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন, বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়েছেন, তা ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তাদের স্বপ্ন লালন করে সমাজ থেকে সব বৈষম্য দূর করতে হবে। আমরা একটা সুন্দর সমাজ গড়তে চাই। এটা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। যদি তা নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে এটা হবে আমাদের জন্য চরম ব্যর্থতা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাত হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নঈম উদ্দিন, ইউএইচএফপিও ডা. হাবিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ, সাবেক ভিপি কবির হোসেন প্রমুখ।