2025-04-25@08:41:29 GMT
إجمالي نتائج البحث: 178

«আমদ ন র ওপর»:

    মার্কিন তুলা আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ও বাংলাদেশি পণ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপ করা ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কটন কাউন্সিলের (এনসিসিএ) সহায়তা চেয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কটন কাউন্সিলের (এনসিসিএ) প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গ্যারি অ্যাডামসকে লেখা চিঠিতে এই সহযোগিতা চেয়েছেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ। একই চিঠি ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর এরিক গ্লেনকে দিয়েছেন বিটিএমইএর সভাপতি। গতকাল মঙ্গলবার বিটিএমএর একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। ৯ এপ্রিল সিদ্ধান্তটি কার্যকর হওয়ার দিনে তা পরবর্তী তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। তবে সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে।...
    দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, এই বাণিজ্য চুক্তির টার্মস অব রেফারেন্স বা চুক্তির শর্তাবলি ঠিক হয়ে গেছে।হিন্দুস্তান টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, এই টার্মস অব রেফারেন্সে শুল্ক, অশুল্ক বাধা, উৎস বিধি ও শুল্কায়ন সহজীকরণ—সবকিছুই আমলে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স এখন ভারত সফরে আছেন। তাঁর এই সফরের মধ্যেই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির টার্মস অব রেফারেন্স বা শর্তাবলি নির্ধারণ করা হলো।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই ভারতের শুল্কনীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি একাধিকবার ভারতকে শুল্কের রাজা আখ্যা দিয়েছেন। এই বাস্তবতায় গত ফেব্রুয়ারিতে নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রে সফরের পর বা এমনকি তার আগে থেকেই ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্কের হার যৌক্তিককরণের উদ্যোগ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভারতে তাদের পণ্যে গড় শুল্কহার ১৭ শতাংশ; বিশ্বের বৃহত্তম...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক বিশ্ব অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শুল্ক আরোপের প্রথম সপ্তাহেই বিশ্ব অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এখন পর্যন্ত দেশে দেশে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দেশের সামগ্রিক রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ফের রেকর্ড গড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছুঁয়েছে। এর প্রভাব বিভিন্ন দেশের বাজারেও পড়তে পারে। আর শুল্কের প্রভাবের কারণে আইএমএফ বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে।   অন্যদিকে তিন বছরের মধ্যে গতকাল সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে ডলারের মূল্য। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে গতকাল ডলার সূচক ছিল ৯৮ দশমিক ৪। ২০২২ সালের পর এটি ডলারের সর্বনিম্ন সূচক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় উৎপাদিত সোলার প্যানেলের ওপর অন্তত ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের...
    গত মাসে ছয় চীন এবং হংকংয়ের কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রধানদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। হংকং ইস্যুতে ‘জঘন্য আচরণের’ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর- রয়টার্স  চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেছেন, হংকং-সংক্রান্ত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ভুল পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীন দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। গত মাসে চীন ও হংকং কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার এর ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছিল চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে গুও জিয়াকুন বলেন, হংকং বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি আরও কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়, তাহলে চীন আরও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। গত ৩১ মার্চ চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের জাতীয় নিরাপত্তা...
    গত মাসে ছয় চীনা এবং হংকং কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রধানদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। হংকং ইস্যুতে ‘জঘন্য আচরণের’ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর- রয়টার্স  চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেছেন, হংকং-সংক্রান্ত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো ভুল পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীন দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। গত মাসে চীন ও হংকং কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার এর ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছিল চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে গুও জিয়াকুন বলেন, হংকং বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি আরও কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়, তাহলে চীন আরও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। গত ৩১ মার্চ চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের জাতীয়...
    যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কংগ্রেসম্যান, সরকারি কর্মকর্তা এবং কয়েকটি এনজিও প্রধানের ওপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। হংকং ইস্যুতে ‘জঘন্য আচরণ’ করার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে সোমবার বিকেলে এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, গত মাসে চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ের ছয়জন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে এই পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ‘চরম নিন্দা’ জানিয়ে গুও জিয়াকুন বলেন, হংকং বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি আরও কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়, চীনের দিক থেকেও শক্ত ও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। তাঁরা জাতীয় নিরাপত্তা ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অভিযোগ...
    যেসব দেশ চীনের স্বার্থের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করছে, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, “চীন বিশ্বাস করে, সব দেশই সমানতার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিজেদের বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করতে পারে। কিন্তু কেউ যদি চীনের ক্ষতি করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে, তাহলে আমরা দৃঢ়ভাবে তার বিরোধিতা করব।” তিনি আরও বলেন, যদি কোনও দেশ এমন পদক্ষেপ নেয়, চীন তখন “সঠিক এবং সমুচিত প্রতিক্রিয়া” জানাবে। চীনের কাছ থেকে এই হুঁশিয়ারি এসেছে এমন এক সময় যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চেষ্টা করছে—যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় বা ছাড়পত্র চাইছে, তাদের যেন চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করতে চাপ দেওয়া হয়। চীনের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র...
    যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ যেসব দেশ চীনের স্বার্থের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করছে, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, “চীন বিশ্বাস করে, সব দেশই সমানতার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিজেদের বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করতে পারে। কিন্তু কেউ যদি চীনের ক্ষতি করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে, তাহলে আমরা দৃঢ়ভাবে তার বিরোধিতা করব।” তিনি আরও বলেন, যদি কোনও দেশ এমন পদক্ষেপ নেয়, চীন তখন “সঠিক এবং সমুচিত প্রতিক্রিয়া” জানাবে। চীনের কাছ থেকে এই হুঁশিয়ারি এসেছে এমন এক সময় যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চেষ্টা করছে—যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় বা ছাড়পত্র চাইছে, তাদের যেন চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করতে...
    ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার প্রস্তাবিত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় গতি এসেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বিশ্বের সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারেন, সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখে বেশ আগে থেকেই কূটনীতি শুরু করেছে ভারত। ২৩ এপ্রিল ওয়াশিংটনে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে প্রথম সরাসরি তিন দিনের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। ভারতের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছে।এ সফরের গুরুত্ব আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প যে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যেই ভারত প্রাথমিক পর্যায়ের চুক্তি নিষ্পত্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে চুক্তির টার্মস অব রেফারেন্স বা কার্যপরিধি নির্ধারিত হয়েছে।টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক্সপ্লেইনারে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়, যা একধরনের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। দেশ দুটি এই প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তি দুটি ধাপে সম্পন্ন...
    সারাবিশ্বে প্রতিবছর ২২ কোটির বেশি আইফোন ইউনিট বিক্রি করে অ্যাপল। নির্মাতা ফক্সকন এখন আইফোন উৎপাদনে ভারতে কাজ করছে। অ্যাপল ইতোমধ্যে ভারতে ২০ শতাংশ উৎপাদন লক্ষ্য বাড়িয়েছে, যা কার্গো বিমানে পৌঁছে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুত উৎপাদনে বাড়ানো হয় জনবল। ফক্সকন ভারতের চেন্নাই কারখানায় গত বছর দুই কোটি আইফোন তৈরি করেছে। আইফোনের দুটি মডেল ১৫ ও ১৬ রয়েছে ওই উৎপাদন তালিকার শীর্ষে। যুক্তরাষ্ট্র আইফোনের সর্ববৃহৎ বিপণিকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত। শুরুতেই চীন থেকে আইফোন আমদানির ওপর বেশি নির্ভরশীল অ্যাপল। ইতোমধ্যে ভারত থেকে বিশেষ উদ্যোগে আইফোন আমদানি করেছে অ্যাপল। কারণ,  চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের শুল্কহার নীতি চীনের তুলনায় ভারতে অনেক কম (মাত্র ২৬ শতাংশ)। কিছুদিন আগে অ্যাপল ট্রাম্পের শুল্কহার থেকে রেহাই পেতে ভারত থেকে কয়েকটি কার্গো বিমানে ৬০০ টন আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে...
    বিশ্বের এক নম্বর রপ্তানিকারক দেশ চীন গত বছর ৩ হাজার ৫৭৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্য রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশের এক বছরের রপ্তানি আয়ের তুলনায় যা প্রায় ৮০ গুণ। বাংলাদেশ গত অর্থবছরে মাত্র ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। চীনের রপ্তানি আয় বিশ্বের মোট রপ্তানি আয়ের ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশের অংশ মাত্র শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ।  বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সম্প্রতি বিশ্ববাণিজ্যের হালনাগাদ পরিসংখ্যান এবং ভবিষ্যতের গতিপথ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান রয়েছে। ডব্লিউটিও মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রভাবে বিশ্ববাণিজ্যের আকার গত বছরের চেয়ে ২০২৫ সালে কমে যাবে। এর ফলে রপ্তানিমুখী স্বল্পোন্নত দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। তারা রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৬৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এত...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে হঠাৎ করে ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। শেয়ার ও বন্ড বাজারে ধস নেমেছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। বিশেষ করে যেসব দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এর ফলে এমন একটি বৈশ্বিক মন্দা শুরু হতে পারে, যা পুরোপুরি মানবসৃষ্ট এবং যার সবচেয়ে বড় মূল্য দিতে হবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে।বেশির ভাগ ‘পারস্পরিক’ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ট্রাম্পের ঘোষণায় বাজার কিছুটা শান্ত হয়েছিল। কিছু শুল্ক স্থগিত রাখলেও যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ সাধারণ শুল্ক এখনো বলবৎ আছে। ট্রাম্প আরও নতুন শুল্ক দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এসব পদক্ষেপ আমদানি করা পণ্যের সরবরাহ কমাবে, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের জন্য দাম বাড়াবে এবং...
    বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি করে যে শুল্ক আদায় করে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যে তার চেয়ে ৭ গুণ বেশি শুল্ক আদায় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হিসাব গত বছরের। শুধু তা–ই নয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানিতে গড় শুল্ক ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে গড় শুল্কহার ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে বাংলাদেশে প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত সংলাপে মূল প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এই সংলাপ সঞ্চালনা করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ ২৯১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। তার মধ্যে ৭৫ কোটি ডলারের পণ্য শুল্কমুক্ত–সুবিধায় এসেছে। বাকি...
    বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত। একই সঙ্গে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণে ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়া থেকে ভারত লাভবান হবে। চীন থেকে যেসব কারখানা সরে আসবে, তার বড় একটি অংশ হয়তো ভারতে যাবে। কিন্তু তার বাস্তবতা কতটা।সংবাদ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ভারত কার্যত বাণিজ্যবান্ধব রাষ্ট্র নয়। দেশটিতে শুল্কের হার অনেক বেশি; বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা সুরক্ষাবাদী। যে কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, ভারত হলো শুল্কের রাজা। কিন্তু ভারতের সুবিধা হলো বিশ্বের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বাজার। এ ক্ষেত্রে ভারত প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলেছে। ভারতের প্রবৃদ্ধি মূলত তার এই বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের কল্যাণে। যে কারণে বৃহৎ অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ভারত সবচেয়ে দ্রুত এগোচ্ছে। এই যে তার নীতিগত অবস্থান, সে জন্য বিশ্ববাণিজ্যের এই টালমাটাল সময়ে তারা কিছুটা সুরক্ষিত,...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিশেষ করে চীন–মার্কিন শুল্ক লড়াইয়ের প্রভাব কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এ রকম বাস্তবতায় একক প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। খুঁজতে হবে বিকল্প বাজার। জোটগত প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পণ্যের হিস্যা বাড়ানো যায়। এশিয়ার দেশগুলোতে মনোযোগ বাড়াতে হবে।  ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক সংলাপে এসব মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে সিপিডি এ আয়োজন করে। সংলাপে বিষয়ের ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপ পরিচালনা করেন। বিকল্প বাজার প্রসঙ্গে ড. রেহমান...
    যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা সফল না হলে মার্কিন টয়লেট পেপার, সয়াবিন, চোখের প্রসাধনীসহ কয়েক শ পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোট। গত সোমবার ২৭ দেশীয় জোটটি মার্কিন পণ্যের দীর্ঘ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি না হলে এসব পণ্যের বেশির ভাগই ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের আওতায় আসবে। বেশ কয়েকটি বাণিজ্য সহযোগী দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে ইইউ। এ পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এরপর ইইউও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর তাদের আরোপিত পাল্টা...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠকের পর লুৎফে সিদ্দিকী মঙ্গলবার রাতে তার ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান। মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক চার দিনের সফরে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় আসেন। তাঁর সহকর্মী যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপের বুধবার ভোরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বাংলাদেশে অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরসঙ্গী হিসেবে মিয়ানমারে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম প্রতিনিধিদলের এ সফরে বাংলাদেশে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক...
    সোমবার প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে।দুটো খবরের মর্মার্থে খুব ফারাক নেই। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়াতে চেয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেয়। ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ মার্চ। দাম বাড়াতে চাওয়ার কারণ এটাই।বিষয়টি নিয়ে ৬ এপ্রিল ও ৮ এপ্রিল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পরিশোধন কারখানার মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। পরবর্তী বৈঠক আজ...
    শুল্ক নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই একবার শুল্ক আরোপ করছে তো আরেকবার স্থগিত করছেন। ফলে বিশ্ববাজারে চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই অনিশ্চয়তার অবসান না হলে মন্দার চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে।হোয়াইট হাউস গত শুক্রবার চীনের পণ্যে আরোপিত উচ্চ হারে শুল্ক থেকে কিছু প্রযুক্তিপণ্যকে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেয়। স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের মতো কিছু পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দিতে এই আয়োজন।কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার বলেছেন, আগামী সপ্তাহে আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টর চিপে নতুন শুল্কের হার ঘোষণা করা হবে। কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখানো হবে বলেও জানান তিনি।এই ঘোষণা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চীন থেকে আমদানি করা স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের ওপর দেওয়া শুল্ক ছাড় আর...
    স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এসব পণ্য মূলত চীন থেকে আমদানি করা হয়। প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি বড় সুখবর হিসেবেই ধরা হচ্ছে। অ্যাপল ও ডেল টেকনোলজিসসহ অন্যান্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানির জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে শুল্ক অব্যাহতির এই ঘোষণা।যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন সংস্থা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৫ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৯০ দিনের এই শুল্ক অব্যাহতি কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে ২০টি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ডিস্ক ড্রাইভ, ডেটা প্রসেসিং যন্ত্র, সেমিকন্ডাক্টর, যন্ত্রপাতি, মেমোরি চিপ, ফ্ল্যাট–প্যানেল ডিসপ্লেসহ (৮৪৭১ কোডের আওতাভুক্ত) অন্যান্য পণ্য আছে।ঘোষণায় বলা হয়েছে, চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম ১০ শতাংশের শুল্কও দিতে হবে না। ফলে ভারতের...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং আরো কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে ‘পারস্পরিক’ শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এর মধ্য চীন থেকে আমদানি করা এসব পণ্যেও নতুন শুল্ক কার্যকর হবে না। চীন থেকে পণ্য আমদানিতে সম্প্রতি ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। রবিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বেশিরভাগ দেশের ওপর ট্রাম্প যে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, সেই শুল্ক এবং চীনের ওপর আরোপিত উচ্চ হারের ‘পারস্পরিক’ শুল্কের আওতার বাইরে থাকবে এসব পণ্য। আরো পড়ুন: পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক আলোচনা পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দূতের ৪ ঘণ্টা বৈঠক এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করছিল যে, পণ্যের দাম...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ডলারের শক্তিও খর্ব হচ্ছে। গত তিন বছরের মধ্যে শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার রেকর্ড দরপতন হয়েছে। বিশ্বের ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে যে ইউএস ডলার ইনডেক্স প্রণয়ন করা হয়, গত শুক্রবার তার শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ পতন হয়েছে।শুক্রবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরপতন হয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রতি ইউরোর বিপরীতে এখন ১ দশমিক ১৩ ডলার পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতেও ডলারের দরপতন হয়েছে। দরপতনের হার শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ। দরপতন হয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতেও; সেদিন পাউন্ডের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক শূন্য ১-এ নেমে আসে। এর মধ্য দিয়ে গত এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের...
    মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করা এবং বাণিজ্য–ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিতে চায়, তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দপ্তরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা জানাতে অনুরোধ করা হয়।ইউএসটিআরের সঙ্গে গত বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করার আগেই ইউএসটিআরের সঙ্গে আমাদের বৈঠকটি হয়েছে। সেখানে অশুল্ক বাধা সব দূর করার চেষ্টার কথা তাদের বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘গত টিকফা (বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি) বৈঠকে আমাদের দিক থেকে যা যা করার আলোচনা উঠেছিল, সেগুলোর হালনাগাদ চিত্র তারা জানতে চেয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে একটা প্রতিবেদন তাদের দেওয়া...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ওপর যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন, তা স্মার্টফোন, কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। চীন থেকে আমদানি করা এসব পণ্যেও ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হবে না। চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প।শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর না হওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থা কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ওপর ট্রাম্পের আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্ক ইলেকট্রনিক পণ্যে কার্যকর করা হবে না। চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা–ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।২ এপ্রিল ট্রাম্প বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ওপর নানা মাত্রায় পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে আমদানি করা...
    বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৯০ দিনের এই সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পরার্মশ দিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকেরা।আজ শনিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক: পাল্টা কৌশল ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এতে সমস্যা চলে যায়নি। এই শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব কী, আমরা তাদের কতটা ছাড় দিতে পারব, দেশটি থেকে কোন কোন পণ্যের আমদানি বাড়ানো যাবে—এসব নিয়ে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে দ্রুত কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে হবে।’গোলটেবিল আলোচনা বৈঠকে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই),...
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বৃদ্ধির সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শেল্‌টেক্‌ গ্রুপ ও এনভয় টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান কুতুবুদ্দিন আহমেদ। তিনি মনে করেন, তুলার দাম বেশি হওয়ায় নগদ প্রণোদনা বা ভর্তুকি দিলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি হারে তুলা আসতে শুরু করবে।ঢাকার একটি হোটেলে আজ শনিবার বাংলাদেশ অ্যাপারেলস ইয়ুথ লিডারস অ্যাসোসিয়েশন (বায়লা) আয়োজিত ‘ট্রাম্পের শুল্ক–পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পোশাক খাতের নতুন কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নির্ধারিত আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন কুতুবুদ্দিন আহমেদ।বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি কুতুবুদ্দিন আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা রাখার জন্য গুদাম তৈরি করা হচ্ছে। এটা ভালো বুদ্ধি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার দাম প্রতি বেলে ৪ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ টাকা ৪০ পয়সা) করে বেশি। ব্যবসায়ীরা এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের তুলা বেশি ব্যবহার করে না।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের জেরে মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে। শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার মান গত তিন বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পতন হয়েছে। বিশ্বে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মার্কিন ডলারের মান তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান সাধারণত ডলারের মানের ওপর নির্ভর করে। মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক ০১-এ দাঁড়িয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতনের রেকর্ড। ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন...
    গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক ও ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের জোট এবং দ্বিপাক্ষীক চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে। রাজধানীর এফডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ফাহমিদা খাতুন বলেন, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কাটিয়ে বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) গঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালী দেশগুলো ডব্লিউটিও-এর নিয়োম-নীতির তোয়াক্কা করে। তাই সংস্থাটি এক্ষেত্রে সেভাবে প্রভাব রাখতে পারেনি। এরপর থেকেই নিজেদের মধ্যে সমমনা ১৫-২০ করে দেশ মিলে একাধিক জোট করে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য করছে। আরও আগে আমাদের এ পথে...
    যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনও ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এমন বাণিজ্যযুদ্ধে বাংলাদেশসহ প্রতিযোগী দেশগুলোর জন্য সামনে নতুন সুযোগ নিয়ে আসতে পারে।বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকেরা বলছেন, উচ্চ শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অধিকাংশ পণ্যে চীনের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা থাকবে না। ফলে চীন থেকে মার্কিন ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান ক্রয়াদেশ সরাবে। সঙ্গে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগও স্থানান্তরিত হবে। চীনের ব্যবসা নিতে হলে বাংলাদেশের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ লাগবে। ব্যবসা সহজীকরণেও সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ) আরোপ করেন। এ ছাড়া ৫৭ দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। যদিও গত বুধবার...
    ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের বাড়তি চাপ এড়াতে চীনের পণ্য ভিয়েতনাম হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ ছিল। তবে তা ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভিয়েতনাম। একই সঙ্গে চীনে যাওয়া স্পর্শকাতর পণ্যের রপ্তানিতেও কড়াকড়ি বাড়াবে দেশটি। দেশটির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ও সরকারি নথি থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো সম্প্রতি এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মেড ইন ভিয়েতনাম ট্যাগ লাগিয়ে চীনা পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে, যাতে চীনের পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি পাল্টা শুল্ক এড়াতে পারে চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভিয়েতনাম ট্রাম্প প্রশাসনের মন গলাতে বিভিন্ন প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে...
    মার্কিন পণ্য আমদানিতে নতুন করে আরও ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। খবর সিএনএনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার চীনের অর্থমন্ত্রী নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের এ ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত বুধবার মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল চীন। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আগ্রাসী শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর মধ্যে চীন নতুন করে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিল। বেইজিং জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত আর কোনো শুল্কের জবাব দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ‘অস্বাভাবিক উচ্চ শুল্ক’ আন্তর্জাতিক ও...
    মার্কিন পণ্য আমদানিতে নতুন করে আরও ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। এর আগে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের অর্থমন্ত্রী আজ শুক্রবার নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের এ ঘোষণা দিয়েছেন।আগামীকাল শনিবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত বুধবার মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল চীন।বেইজিং জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত আর কোনো শুল্কের জবাব দেবে না।ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আগ্রাসী শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর মধ্যে চীন নতুন করে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিল।বেইজিং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ‘অস্বাভাবিক উচ্চ শুল্ক’ আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক বাণিজ্যনীতি, মৌলিক অর্থনৈতিক আইন এবং সাধারণ বিচার-বিবেচনার...
    ‘অভিধানের মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর শব্দ ট্যারিফ। এটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় শব্দ।’যুক্তরাষ্ট্রের গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এক অনুষ্ঠানে ট্যারিফ বা শুল্ক শব্দটি নিয়ে এভাবেই নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্যারিফ শব্দটি ট্রাম্পের কত প্রিয়, তা চলতি মাসের শুরুতে বোঝা গেছে। ২ এপ্রিল তিনি যখন বিশ্বের প্রায় সব দেশে বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপ করলেন, তখন সারা দুনিয়ায় এক ধরনের আতঙ্কের ঢেউ বয়ে গেছে। পুঁজিবাজারে নেমেছিল রেকর্ড ধস। যদিও পরে তিনি ৯ এপ্রিল সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন।কিন্তু কথা হলো ট্রাম্পের প্রিয় ট্যারিফ কোন ভাষার শব্দ? এর উৎপত্তি কোথায়?সোজাভাবে বলতে গেলে, ট্যারিফ শব্দটি আরবি শব্দ। শব্দটি আরবি থেকে কীভাবে ইউরোপে জনপ্রিয় হলো, তা নিয়ে অন্তত দুটি শক্তিশালী মত...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক বা রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এরই মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশ। তবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বহাল থাকায় একধরনের অনিশ্চয়তাও আছে।অন্যান্য দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আপাতত স্থগিত করলেও চীনের প্রায় সব পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগের দিন চীনের পণ্যে শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার কথা বললেও গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানায়, এটা প্রায় সব পণ্যে হবে ১৪৫ শতাংশ। দেশটির ওপর এই শুল্ক ইতিমধ্যে কার্যকরও হয়েছে। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিকারকেরা মনে করেছেন, এই শুল্ক শেষ পর্যন্ত বহাল থাকলে চীন থেকে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সরবে। এতে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা...
    ভারত থেকে প্রায় ৬০০ টন বা ১৫ লাখ আইফোন সরিয়ে নিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপল। বিশেষ কার্গো বিমানে করে বিপুল পরিমাণ আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্কনীতি ঘোষণার পর অ্যাপল এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।গত সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ওই ঘোষণার পরই অ্যাপল ভারত থেকে আইফোন সরিয়ে নিচ্ছে। অবশ্য পরে গতকাল বুধবার চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের ওপর আরোপ করা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প।বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, আইফোন আমদানির জন্য অ্যাপল চীনের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ট্রাম্প চীন থেকে পণ্য আমদানির ওপর সর্বোচ্চ ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আইফোনের দাম ব্যাপক বাড়তে পারে।তবে শুল্ক...
    প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে শুল্কের খড়্গ চাপানোর পেছনে যুক্তি হিসেবে বারবারই যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ‘অন্যায্য বাণিজ্যের’ শিকার হচ্ছে, সেই দাবি করছেন।সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর দেশে বিদেশি পণ্য প্রবেশের ওপর শুল্ক বা আমদানি কর ধার্য করেন। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের পণ্যে আরোপ করেছেন সর্বোচ্চ ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক। প্রতিশোধ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যে ধার্য করেছে বড় অঙ্কের শুল্ক।শুল্ক নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করা দাবিগুলোর কিছু প্রমাণিত নয় বা এমনকি সেসব মিথ্যা। বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে বিবিসি ভেরিফাই।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারাও সম্প্রতি দাবি করেছেন, বছরে এখন থেকে শুল্ক আয় ৭০০ বিলিয়ন (৭০ হাজার কোটি) ডলারে দাঁড়াতে পারে। এ থেকে দিনে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি এ পরিসংখ্যান কীভাবে দাঁড় করালেন, সেটি পরিষ্কার নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুল্ক থেকে দেশটির...
    আমাদের দেশে অতীত অভিজ্ঞতা মিশ্র হওয়ার কারণে রমজান মাসে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ভোক্তারা সর্বদা উদ্বেগে থাকেন। এই মাসে কিছু ভোগ্যপণ্যের বাড়তি চাহিদার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের শঙ্কা উঁকি দেয়। তবে এবারের রমজানে এমনটা ঘটেনি। রমজানের শেষ দিকে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সন্তুষ্ট। (এবার রোজায় দ্রব্যমূল্যে সন্তুষ্ট ৯৫ শতাংশ মানুষ, কালবেলা, ২৯ মার্চ ২০২৫)২.রমজান মাসের স্পর্শকাতর পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খেজুর, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, তাজা ফল, চাল, সবজি, পেঁয়াজ, ডিম, মাছ ও মাংস। মোটাদাগে, দু–একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাড়া রমজান মাসজুড়ে এসব পণ্যের সার্বিক সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাকে পূরণ করেছে।এই পরিস্থিতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এই বছরের রমজানে নিত্যপণ্যের দাম পূর্ববর্তী রমজানের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে...
    যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করেছে, যা আগে ছিল ৩৪ শতাংশ।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নতুন শুল্কনীতিতে চীনের ওপর কয়েক ধাপে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর জবাবেই ৮৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে দেশটি। তবে তাত্ত্বিকভাবে এ শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চীনের ওপরই বেশি প্রভাব ফেলবে।গত বছর চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রি করেছে। একই সময় মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের কাছে যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করেছে, এটি (চীনের বিক্রি) তার প্রায় তিন গুণ। এই হিসাব ইঙ্গিত দেয় যে উচ্চ শুল্ক চীনা ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও বড় ক্ষতির মুখে ফেলবে।গত বছর চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রি করেছে।...
    একে উন্মাদনা বললে ভুল বলা হবে না। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তিটি যখন পুরো দুনিয়ার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেপূরণের নেশায় মেতে ওঠেন, তখন তাঁকে আর কী-ইবা বলা যায়?যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল ১৮০টির বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানির ওপর নির্বিচার ১০ শতাংশ হারে সর্বজনীন শুল্ক (ইউনিভার্সেল ট্যারিফ) আরোপ করেছেন। এদের মধ্যে তাঁর ভাষায় ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশসহ ৬০টি দেশের ওপর, যার সর্বজনীন হার ১০ শতাংশের চেয়ে বেশি। এদের সবার সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে।এই শুল্কারোপ করতে গিয়ে ট্রাম্প ৪ হাজার ৭০০ শব্দের যে লিখিত নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, তাতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যে যে ঘাটতি আছে, সেটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই শুল্কারোপ...
    যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। আগের ঘোষিত ৩৪ শতাংশের সঙ্গে আরও ৫০ যোগ করে নির্ধারণ করা এ শুল্কহার বুধবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া আগের আরোপিত শুল্ক ছিল ২০ শতাংশ। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্য আমদানিতে আগের ৩৪ শতাংশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। আকাশচুম্বী এ শুল্কহারে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এটি পুরো বিশ্ব অর্থনীতিকে টালমাটাল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।  বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিশ্বের বিভিন্ন পুঁজিবাজারে পতন দেখা দিয়েছে এবং জ্বালানি তেলের দাম কমে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। খবর সিএনএন, রয়টার্স ও বিবিসির।  চীনা পণ্য আমদানিতে আগের ২০ শতাংশের সঙ্গে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক গতকাল বুধবার...
    যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। আগের ঘোষিত ৩৪ শতাংশের সঙ্গে আরও ৫০ যোগ করে নির্ধারণ করা এ শুল্কহার বুধবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া আগের আরোপিত শুল্ক ছিল ২০ শতাংশ। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্য আমদানিতে আগের ৩৪ শতাংশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। আকাশচুম্বী এ শুল্কহারে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এটি পুরো বিশ্ব অর্থনীতিকে টালমাটাল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।  বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিশ্বের বিভিন্ন পুঁজিবাজারে পতন দেখা দিয়েছে এবং জ্বালানি তেলের দাম কমে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। খবর সিএনএন, রয়টার্স ও বিবিসির।  চীনা পণ্য আমদানিতে আগের ২০ শতাংশের সঙ্গে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক গতকাল বুধবার...
    আজ থেকে সারা বিশ্বে কার্যকর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাল্টা শুল্ক’। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নয়ই এপ্রিল এই বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে চীনের শুল্কহার ৮৪ শতাংশ বাড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে দেশটির শুল্ক বেড়ে ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এর জবাবে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। এভাবে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে ট্রাম্প ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।  বলা যায়, একটি দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের শুরু করা এই বাণিজ্যযুদ্ধে দেশটি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দিতে পারে। এই শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যমূল্যের যে চরম ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তার মূলেও হয়তো চীনের ওপর উচ্চ শুল্কারোপ সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, বাণিজ্যিক...
    মার্কিন পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে।  এর আগে চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। বুধবার থেকে চীনা আমদানির উপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পণ্যের ওপরেও শুল্ক হার বাড়ালো চীন। পাল্টাপাল্টি এই শুল্ক বৃদ্ধি বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাতকে আরো তীব্র করে তুলেছে। সোমবার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমেরিকান পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আরো কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বেইজিংকে। তবে বেইজিং ট্রাম্পের এই হুমকিকে উপেক্ষা করেছে। এর পরেই  চীনের ওয়াশিংটন চীনা আমদানির উপর নজিরবিহীনভাবে ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি খুব শিগগির ওষুধ আমদানির ওপর ‘বড়’ শুল্ক ঘোষণা করবেন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ওষুধ উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হবে। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।  প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল কমিটির এক নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, “আমরা খুব শিগগির ওষুধের ওপর একটি বড় শুল্ক ঘোষণা করতে যাচ্ছি। আরো পড়ুন: বৃহস্পতিবার তুরস্কে আবারো বৈঠকে বসছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র গাজাবাসীদের স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব তিনি বলেন, “আমরা যখন এটি করব, তখন তারা (ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো) দ্রুত আমাদের দেশে ফিরে আসবে। কারণ আমরা বড় বাজার। সবার চেয়ে আমাদের যে সুবিধা রয়েছে, তা হলো আমরা বড় বাজার।” তিনি ওষুধ কোম্পানিগুলোর কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, “যখন তারা এটা...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিতে নতুন করে ব্যাপক শুল্ক আরোপের কারণে বেশির ভাগ মার্কিন বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন। রয়টার্স/ইপসোসের করা এক নতুন জরিপ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। তিন দিন ধরে চালানো জরিপটি গত রোববার শেষ হয়েছে। এতে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা মনে করেন প্রায় সব আমদানির ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগামী ছয় মাসে বাড়বে।মাত্র ৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা মনে করেন দাম কমবে। জরিপে অংশগ্রহণকারী অন্যদের কেউ কেউ মনে করেন, কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না। আবার কেউ কেউ প্রশ্নের উত্তর দেননি।গত সপ্তাহে ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ধরনের শুল্ক বৃদ্ধির...
    বেশ কিছু চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ১০৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হতে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্যারোলিন লেভিত। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ওয়াশিংটনে বুধবার (আজ) শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনা পণ্যের ওপর বাড়তি এ আমদানি শুল্ক কার্যকর হয়ে যাবে।” গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের ওপর আরোপ করা হয় ৩৪ শতাংশ শুল্ক। এর আগে দেশটির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।  আরো পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস-পিটার হাস সাক্ষাৎ  মার্কিন সহায়তা বন্ধ লাখ লাখ মানুষের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড’: জাতিসংঘ...
    যুক্তরাষ্ট্রকে এক শর মতো পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ কথা জানিয়ে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) জেমিসন গ্রিয়ারের কাছে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্কের পরিপ্রেক্ষিতে এ চিঠি পাঠানো হয়।শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শুল্কহার কমাতে পারবে কি বাংলাদেশ? কিন্তু বাস্তবতা হলো নীতি ও রেওয়াজ, এসব বিষয় বিবেচনা করলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আলাদা করে এক শ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের তালিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের পণ্যতালিকায় (ট্যারিফলাইন) বর্তমানে ১৯০টি পণ্যের ওপর কোনো শুল্ক দিতে হয় না যুক্তরাষ্ট্রকে। অবশ্য অন্য দেশকেও এসব পণ্যে শুল্ক দিতে হয় না।মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমদানি শুল্ক কমিয়ে বা শূন্য আমদানি শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বাড়ানোর সুযোগ দিতে চায় বাংলাদেশ...
    প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৭৩ শতাংশ মার্কিন নাগরিক। সম্প্রতি রয়টার্স-ইপসোসের এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। রোববার শেষ হওয়া তিন দিনের ওই জরিপে দেখা গেছে, ৭৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, প্রায় সব ধরনের আমদানির ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর আগামী ছয় মাসে তারা প্রতিদিন যেসব পণ্য কিনছেন সেগুলোর দাম বাড়বে। মাত্র ৪ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন দাম কমবে এবং বাকিদের মনে করেন দাম অপরিবর্তিত থাকবে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের অধিকাংশ দেশ থেকে আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বেশিরভাগ মার্কিন নাগরিক ভোগ্যপণ্যের উচ্চমূল্যের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত সপ্তাহে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি সংক্রান্ত ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণা ওয়াল...
    বেশকিছু চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ১০৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিত মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।ক্যারোলিন সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াশিংটনে বুধবার (আজ) শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনা পণ্যের ওপর বাড়তি এ আমদানি শুল্ক কার্যকর হয়ে যাবে।গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের ওপর আরোপ করা হয় ৩৪ শতাংশ শুল্ক। এর আগে দেশটির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এর জবাবে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় চীন। আগামীকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা।আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র আরোপিত শুল্কের শেষ দেখে নেওয়ার অঙ্গীকার চীনের১৬ ঘণ্টা আগেতবে বেইজিং নতুন করে যে শুল্ক আরোপের...
    চীন যদি ৩৪ শতাংশের পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, সেক্ষেত্রে তাদের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে ট্রাম্প তার ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবসের' অংশ হিসেবে চীনা আমদানির ওপর ৩৪ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রোববার পাল্টা শুল্ক বসায় বেইজিং। ট্রাম্প সোমবার সোশাল মিডিয়ার এক পোস্টে ওই শুল্ক বাতিলে চীনকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন। বেইজিং তা না করলে ৫০ শতাংশ নতুন শুল্ক বসবে। খবর বিবিসির এর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক উৎপীড়নের’ অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাস বলেছে, ‘বেইজিং তার বৈধ অধিকার ও স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প যদি নিজের হুমকি অনুযায়ী আদেশ দেন, তাহলে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে চীনা পণ্য আমদানিতে ১০৪ শতাংশ শুল্ক গুনতে হতে পারে।...
    চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের বিরুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে বেইজিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক বাড়ানোর মার্কিন হুমকিটি একটি ভুলের ওপর আরেকটি ভুল। এর মধ্য দিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণা করার স্বভাব প্রকাশ পেয়েছে। চীন কখনোই এটা মেনে নেবে না।’যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়ালে চীন তার নিজস্ব অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য শক্তভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তাহলে এর শেষ না দেখা পর্যন্ত চীনের লড়াই চলবে।’২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক আরোপের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সর্ব ব্যাপক এই শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় সবাই কোমর বেঁধে নেমেছে। অনেক দেশ আবার আগে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছে, যে কারণে তাদের ওপর শুল্কের খড়্গ অতটা মারাত্মক হয়নি। আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে তারা ইতিমধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।ট্রাম্পের এই শুল্কযুদ্ধের মূল লক্ষ্য চীন। চীনের উত্থান ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক রকম মরিয়া। সেই সঙ্গে দেশটির বিপুলসংখ্যক মানুষ বিশ্বাস করেন, চীনের কারণে তাদের বর্তমান দুর্গতি—কারখানা স্থানান্তর হওয়া, ভালো চাকরি হারানো—সব মিলিয়ে মার্কিনরা ভালো অবস্থায় নেই। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, বিশ্বের সব দেশ এত দিন যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছে; এখন থেকে তা আর হতে দেওয়া হবে না। ফলে ২ এপ্রিল বিশ্বের প্রায় সব দেশর পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে সেই দিনকে...
    পণ্য রপ্তানিতে বাড়তি শুল্ক থেকে রেহাই পেতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় আকারে আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানিতে কয়েক বছর মেয়াদে চুক্তি করতে চেয়েছে। প্রধান প্রধান পণ্যে শুল্ক অর্ধেক করারও অঙ্গীকার দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক তিন মাস স্থগিতের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিকে আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি শুল্ক কমানো, অশুল্ক বাধা পুরোপুরি দূর করাসহ বিভিন্ন উপায়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের গাড়ি নির্মাণ কারখানা স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছেন।   গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন বলে তাঁর প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে। চিঠিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ট্রাম্প ঘোষিত...
    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ক্ষেত্রে যে নতুন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়ে অনেক দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এসব দেশের সঙ্গে শিগগির সমঝোতা আলোচনা শুরু করা হবে। খবর-বিবিসি সোমবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ ঘোষণা একই সঙ্গে চীন নতুন করে যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, সেটা প্রত্যাহার না করলে দেশটির ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি: ট্রাম্প লিখেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরোপ করা ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে চীন, তাহলে ৯ এপ্রিল থেকে দেশটির ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ...
    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ক্ষেত্রে যে নতুন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়ে অনেক দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এসব দেশের সঙ্গে শিগগির সমঝোতা আলোচনা শুরু করা হবে। খবর-বিবিসি সোমবার নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ ঘোষণা একই সঙ্গে চীন নতুন করে যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, সেটা প্রত্যাহার না করলে দেশটির ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি: ট্রাম্প লিখেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরোপ করা ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে চীন, তাহলে ৯ এপ্রিল থেকে দেশটির ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ...
    বাংলাদেশের শুল্ক তালিকায় বর্তমানে ১৯০টি পণ্যের ওপর শুল্ক হার শূন্য অর্থাৎ কোনো শুল্ক নেই। বাংলাদেশের ট্যারিফলাইনের আরও ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার চিন্তা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) জেমিসন গ্রিয়ারের কাছে আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য উল্লেখ করে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্কের পরিপ্রেক্ষিতে এ চিঠি পাঠানো হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা প্রত্যাহার করেছে, তার পর থেকে বাংলাদেশ সব রপ্তানি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিয়ে আসছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর গড়ে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ হারে শুল্ক রয়েছে। এর মধ্যে কাঁচা তুলা আমদানিতে শুল্ক নেই। আর লোহার স্ক্র্যাপ আমদানিতে শুল্কহার ১ শতাংশ।বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় তুলা আমদানিকারক দেশ উল্লেখ করে...
    যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ। সরকারে এমন উদ্যোগের কথা জানিয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কাছে চিঠি লিখেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  এর আগে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি ৩৭ শতাংশ তিন মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা প্রত্যাহার করে। এরপর থেকে বাংলাদেশের সকল রপ্তানি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়। অথচ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর গড়ে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, কাঁচা তুলা ও লোহার স্ক্র্যাপের ক্ষেত্রে আমাদের শুল্ক হার...
    যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ। সরকারে এমন উদ্যোগের কথা জানিয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কাছে চিঠি লিখেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  এর আগে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি ৩৭ শতাংশ তিন মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা প্রত্যাহার করে। এরপর থেকে বাংলাদেশের সকল রপ্তানি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়। অথচ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর গড়ে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, কাঁচা তুলা ও লোহার স্ক্র্যাপের ক্ষেত্রে আমাদের শুল্ক হার...
    জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়া বলেছেন, তিনি তার সরকারকে মার্কিন আমদানির ওপর সমস্ত শুল্ক স্থগিত করার নির্দেশ দেবেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, শনিবার (৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ এক পোস্টে মানাঙ্গাগওয়া বলেন, “এই পদক্ষেপের লক্ষ্য জিম্বাবুয়েতে আমেরিকান আমদানি বাড়ানো এবং জিম্বাবুয়ের রপ্তানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচার করা।” তিনি আরো বলেন, “এই পদক্ষেপ ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য এবং বর্ধিত দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার কাঠামোর প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।” আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন পরিকল্পনা  দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক শুল্ক দেশীয় কর্মসংস্থান ও শিল্পকে রক্ষা করে উল্লেখ করে মানাঙ্গাগওয়া বলেন, “জিম্বাবুয়ে সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং কারো সাথেই প্রতিকূল সম্পর্ক গড়ে না তোলার নীতি বজায় রাখে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জিম্বাবুয়েসহ কয়েক ডজন দেশ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল...
    বাংলাদেশের স্বার্থ বজায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ পরিকল্পনা করছে সরকার। সেই সঙ্গে নন ট্যারিফ বাধা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সরকারের আরো তিন উপদেষ্টা, বেশ কয়েকজন সচিব, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং কয়েকজন অর্থনীতিবিদ এই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রথমে আমরা ইউএসএ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ঘটাব। এজন্য আমেরিকা থেকে আমাদের দরকারি কোন কিছু...
    যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য-উদ্বৃত্ত আছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশের পণ্যে।এই বাস্তবতায় রপ্তানি পণ্যের শুল্ক হ্রাস করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর ও চিকিৎসাসামগ্রী আমদানিতে ৫০ শতাংশ শুল্কছাড়ের প্রস্তাব দেওয়ার চিন্তা করছে বাংলাদেশ। যেসব পণ্যে ইতিমধ্যে শুল্ক নেই, সেসব পণ্য বিনা শুল্কে আমদানি করার নীতি অব্যাহত রাখারও চিন্তাও আছে। সেই সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আগামী তিন মাসের জন্য এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হতে পারে।  গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা কার্যালয়ে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে চিঠি লেখা হবে...
    যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের প্রথম দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দেড় বিলিয়ন বা ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। বড় এই বাজারের আমদানি করা মোট তৈরি পোশাকের সাড়ে ৯ শতাংশ বর্তমানে বাংলাদেশের দখলে রয়েছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ১০ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিই সর্বোচ্চ। তবে এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে কি না, সেটি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানিতে পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় সবকিছু ওলটপালট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।ক্রেতাদের ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা ক্রয়াদেশ ও ভবিষ্যৎ ক্রয়াদেশ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় আছেন দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, আগামী গ্রীষ্মের ক্রয়াদেশ থেকেই নেতিবাচক...
    বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য–ঘাটতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশি পণ্যের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের এ কথাগুলো জানান। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা।বাণিজ্য উপদেষ্টার ব্রিফিংয়ের সময় প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান...
    আমদানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাড়তি শুল্ক আরোপের পর দেশটিতে গাড়ির সব চালান ‘স্থগিত’ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এ সময় তারা ‘বাণিজ্যের নতুন শর্তাবলি মোকাবিলা’ নিয়ে কাজ করবে।গত বুধবার ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর বিশ্ববাণিজ্যে বড় ধাক্কা লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ির ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। এতে সমস্যার মুখে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের গাড়ি উৎপাদনকারীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি গাড়ি রপ্তানি করে দেশটি।এক বিবৃতিতে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারের মুখপাত্র বলেন, শুল্ক মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে তাঁদের প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে, এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির চালান স্থগিত করা। এ সময়ে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া হবে।যুক্তরাজ্য থেকে যেকোনো পণ্যের তুলনায় গাড়ি বেশি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা...
    নিজের দেশের ব্যবসা বাঁচানোর কথা বলে বিশ্বের বাকি সব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এর প্রাথমিক ধাক্কায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খোদ তাঁর দেশেরই শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। এর পরের অবস্থানে ইউরোপের শেয়ারবাজার। এশিয়ার বাজারে পতন হচ্ছে, তবে সে তুলনায় অনেক কম। বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারের দর পতনের প্রেক্ষাপটে বাংলদেশের শেয়ারবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে মনে করছেন দেশের বিশ্লেষক এবং শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রেই হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে কারও ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি এবং কারও ক্ষেত্রে কম হয়েছে। এখন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রপ্তানি পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।  জানতে চাইলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু...
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক-কর কমানো যায় কি না, তা পর্যালোচনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে এনবিআরের একটি দল কাজ করছে। আগামীকাল রোববার এ নিয়ে বৈঠক হবে।গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বেশির দেশের পণ্যে এমন শুল্ক আরোপ করেন তিনি। যে দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি বেশি, সেই দেশের ওপর বেশি হারে শুল্ক আরোপ হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। বাণিজ্যঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো যে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য যায়, সে দেশে উচ্চ শুল্ক হারসহ বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য বাধা আছে।যুক্তরাষ্ট্রের এমন শুল্ক আরোপের ঘটনায় বাংলাদেশও উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আড়াই হাজারের মতো পণ্য বছরে...
    যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা’ এনে দিতে বিশ্বজুড়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে শুল্কের খড়্গ চাপিয়েছেন, তার ধাক্কা সামলাতে হবে মার্কিনদেরও। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেসব দেশ থেকে নিয়মিত পণ্য কিনে থাকে, সেসব দেশের প্রায় সবাই দেশটিতে রপ্তানি করা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে পোশাক থেকে শুরু করে কফি—সবকিছুতেই বাড়তি অর্থ গুনতে হবে যুক্তরাষ্ট্রবাসীকে।গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশটিতে প্রবেশ করা শত শত কোটি ডলারের পণ্যে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। যেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সবচেয়ে খারাপ’ বলে বিবেচনা করেছেন, সেসব দেশের ওপর তিনি চাপিয়েছেন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের বোঝা। আজ ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হচ্ছে তাঁর ওই ঘোষণা।অর্থনীতিবিদেরা ট্রাম্পের এ নতুন শুল্ক ঘোষণা ও এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা পণ্যের ওপর কোনো কোনো দেশের...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে বিভিন্ন দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে দেশটিতে পণ্য রপ্তানিকারক সব দেশই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশ যেমন এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তেমনি আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর ক্ষেত্রেও একই চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এ কারণে এককভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি নিয়ে আমি খুব বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নই। তবে আমি মনে করি, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে সরকারকে ত্বরিত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি আমরা যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানি করি, আমাদেরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে নতুন বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ নিয়ে কথা বলে আসছি। কিন্তু এ দুটি বিষয় বাস্তবায়নে খুব বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন সময় এসেছে নতুন এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি উচ্চমূল্যের বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক তৈরিতে কার্যকর...
    তিনটি মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক বৈঠক করতে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যান বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শোভন ইসলাম। পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোয় ক্রেতারা চীন থেকে মেয়েদের পোশাকের ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরে ইতিবাচক মনোভাবও দেখায়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে শোভন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পর আমি আবার সেই ক্রয়াদেশ নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা এখন দেখছি, দেব করছে। তার মানে ব্যবসার সুযোগটি এখন অনিশ্চিত। উল্টো একাধিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, শুল্কের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমবে। সেটি হলে আগামী শরৎ ও শীত মৌসুমে পোশাকের ক্রয়াদেশ ২০–৩০ শতাংশ কমতে পারে।’শোভন ইসলামসহ কয়েকজন রপ্তানিকারকের সঙ্গে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের কথা হয়।...
    সৈয়দ এরশাদ আহমেদ আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) সভাপতি। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাকির হোসেন  সমকাল: যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করে পণ্য আমদানিতে শুল্কহার এত বাড়াল কেন? বাংলাদেশে এর প্রভাব কীভাবে দেখছেন?  সৈয়দ এরশাদ আহমেদ: ট্রাম্প প্রশাসন চাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানি বাড়ুক। কেননা, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। এ কারণে অনেক দেশের ওপর রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা প্রতিদানমূলক শুল্ক আরোপ করেছে। যে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্কহার যত বেশি, সেই দেশের পণ্য আমদানিতে ততবেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আমেরিকার নতুন ট্যারিফ নীতির ফলে বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে সে দেশের আমদানিকারকদের খরচ অনেকটাই বাড়বে। বাংলাদেশের জন্য ট্যারিফ হার বেড়ে হয়েছে ৩৭ শতাংশ। এত বেশি ট্যারিফ থাকায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি কমে যেতে পারে। বাংলাদেশের...
    দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি আফ্রিকার অর্থনীতিকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শুল্কনীতি কার্যত আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্টকে (এজিওএ) নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকান দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা দিয়ে আসছিল। আফ্রিকার সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২০০০ সালে এজিওএ চালু হয়। এর ফলে আফ্রিকার বহু দেশে শিল্প ও রপ্তানি বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির ফলে এই সুবিধা হুমকির মুখে পড়েছে। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ‘বাণিজ্যের ক্ষেত্রে খারাপ আচরণকারী’ দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এই শাস্তিমূলক শুল্কের তালিকায় আছে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় অর্থনীতি নাইজেরিয়া (১৪%) এবং দক্ষিণ আফ্রিকা (৩১%)। এতে বিশেষভাবে...
    বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় কী হতে পারে, সে বিষয়ে জরুরি পর্যালোচনা সভায় বসছে সরকার। অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী রবিবার (৬ এপ্রিল) এই সভা হতে যাচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র তথ্য দিয়েছে। ভারত, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশের পণ্য আমদানির ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন তিনি। আজ (৪ এপ্রিল) থেকে এটি কার্যকর হচ্ছে। আরো পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কে উদ্বেগে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৯ দিনের ছুটিভোমরা স্থলবন্দরে ১৪ কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের ঘোষণায় বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও প্রতিষ্ঠানের...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক বলবৎ থাকলে তৈরি পোশাকের কিছু ক্রয়াদেশ ভারত ও পাকিস্তানে চলে যাবে। শুল্ক কম থাকায় এ দেশগুলোয় হেভি জার্সি, ডেনিম প্যান্ট, হোম টেক্সটাইলের মতো ক্রয়াদেশ চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে। এতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে। অন্যান্য দেশেও পাল্টা শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে যেতে পারে। সেটি হলে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ কমবে। প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে যাবে।বাংলাদেশ সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক পর্যালোচনা করা। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচুর পরিমাণে তুলা আমদানি করি। প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক কটন কাউন্সিলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর–কষাকষি করতে পারি। আমরা তাদের বলতে পারি, তোমাদের তুলা আমরা ব্যবহার করব। এর বিপরীতে তোমরা শুল্ক কমাও। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘স্বাধীনতা দিবসের’ শুল্ক আরোপের একটি স্পষ্ট চিত্র এখন আমাদের কাছে আছে। এটি কীভাবে অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও প্রভাবিত করবে, তাও বুঝতে পারছি।  মার্কিন প্রশাসন দাবি করছে, আমদানির ওপর এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে এবং যেগুলোকে তারা অন্যায্য এবং একতরফা বাণিজ্য অনুশীলন হিসেবে মনে করে, তা মোকাবিলা করবে। ট্রাম্প বলেছেন, এই দিনটি চিরকাল মনে রাখা হবে। কারণ এটি ছিল সেই দিন, যখন আমেরিকান শিল্প পুনর্জন্ম লাভ করেছিল এবং আমেরিকার ভাগ্য পুনরুদ্ধার হয়েছিল।  এই ‘পাল্টা’ শুল্ক এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা দেশগুলো মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক, মুদ্রা কারসাজি ও শুল্কবহির্ভূত প্রতিবন্ধকতার মাধ্যমে যে ক্ষতি করছে, তার অর্ধেকের সমান। দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক বেশির ভাগ পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। কিছু উল্লেখযোগ্য খাত যেমন– ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ি...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির ঘোষণার একদিন পরই বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে বড়সড় ধস দেখা গেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শেয়ারবাজার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতনের মুখে পড়েছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০-তে ২০২০ সালের কোভিড সংকটের পর সবচেয়ে খারাপ দিন পার করেছে। খবর বিবিসি নাইক, অ্যাপল এবং টার্গেটের মতো বড় ভোক্তা পণ্য নির্মাতা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ৯ শতাংশের বেশি কমে গেছে। এর আগে বুধবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, আমদানিকৃত পণ্যের ওপর কমপক্ষে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বাড়বে এবং দেশীয় শিল্পে নতুন গতি আসবে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির আওতায় চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বহু দেশ থেকে আমদানি করা...
    পাল্টা শুল্ক বা রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ হার ঘোষণা করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য–ঘাটতি বেশি, সেসব দেশেই বেশি পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। সে বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থা ষষ্ঠ। অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি শুল্ক করা হয়েছে পাঁচটি দেশে। বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ট্রাম্প শুল্কহার ঘোষণা করেছেন ৩৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৪৮ শতাংশ আরোপ হয়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশ লাওসের ওপর।বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য এখন বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে যত পণ্য আমদানি হয়, এর চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি রপ্তানি হয় সে দেশে। যদিও রপ্তানির সিংহভাগই তৈরি পোশাক। তবে এখনো বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ রয়েছে। এই ১৫ শতাংশের সঙ্গে ট্রাম্পের...
    বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৭ শতাংশ রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এত দিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। নতুন শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বড় বাজারটিতে পণ্য রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বড় ধাক্কার আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকেরা। বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ১৮ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সূচকের পতন ঘটেছে বিশ্বের প্রায় সব শেয়ারবাজারে। সোনার দামেও নতুন রেকর্ড হয়েছে। কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। মোদ্দাকথা, ট্রাম্পের এই পাল্টা শুল্ক বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। এতে বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যের গতি–প্রকৃতি অনেকটাই বদলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ট্রাম্পের এই ঘোষণা নিয়ে বিবিসি,...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির ঘোষণার একদিন পরই বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে বড়সড় ধস দেখা গেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শেয়ারবাজার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতনের মুখে পড়েছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০-তে ২০২০ সালের কোভিড সংকটের পর সবচেয়ে খারাপ দিন পার করেছে। খবর বিবিসি নাইক, অ্যাপল এবং টার্গেটের মতো বড় ভোক্তা পণ্য নির্মাতা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ৯ শতাংশের বেশি কমে গেছে। এর আগে বুধবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, আমদানিকৃত পণ্যের ওপর কমপক্ষে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বাড়বে এবং দেশীয় শিল্পে নতুন গতি আসবে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির আওতায় চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বহু দেশ থেকে আমদানি করা...
    পাল্টা শুল্ক আরোপের নামে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর বাড়তি যে শুল্ক আরোপ করেছে, তা এককথায় খামখেয়ালিপূর্ণ চর্চা। এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন করে বিপাকে ফেলবে। ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা ছিল বৈশ্বিক মহামন্দার অন্যতম কারণ। পরে যুক্তরাষ্ট্র সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।  বাংলাদেশ তার সব বাণিজ্যিক অংশীদারের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) ভিত্তিতে বৈষম্যহীন শুল্ক আরোপ করে। কারও সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি হলে তখন সেই দেশের ক্ষেত্রে শুল্কহার কমায়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ এমএফএন ভিত্তিতে কোনো পণ্য আমেরিকা থেকে আমদানি করলে যে শুল্কহার আরোপ করে, জার্মানি থেকে আমদানি করলেও একই হার থাকে। এ কথা ঠিক, প্রস্তুতকৃত পণ্যে বাংলাদেশে ট্যারিফ বা শুল্কহার অনেক দেশের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে যে...
    যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে দূঢ় আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ব্যাংককে অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান। আরো পড়ুন: অনিশ্চয়তা কাটলো, ইউনূস-মোদি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুক্রবার বিমসটেকে এক টেবিলে খলিল-দোভাল আলাপচারিতা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “এখনো পুরো বিষয়টি আলোচনা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি এবং আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, তাতে আশাবাদী সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আমরা...
    বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে শুল্ক আরোপ করেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব হবে বিপুল।এই শুল্ক কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা বোঝা যায় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আয়ের চার্টের দিকে তাকালে। চার্টের শুল্ক নির্দেশক রেখাগুলো এক ধাক্কায় এতটা ওপরে উঠেছে, যা বিগত এক শতকের মধ্যে দেখা যায়নি। এমনকি এই রেখাগুলো গত শতকের ত্রিশের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উচ্চ সংরক্ষণবাদের সময়কেও ছাড়িয়ে গেছে।ট্রাম্পের আরোপ করা এই বাড়তি শুল্কের প্রভাব এরই মধ্যে পড়া শুরু করেছে। রাতারাতি শেয়ারবাজারে পতন দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা বৈশ্বিক বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য যেসব পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে, সেগুলোই হবে এই শুল্কের প্রকৃত প্রভাব।ট্রাম্পের নতুন নীতির কেন্দ্রে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে সর্বজনীন শুল্ক। আগামীকাল শুক্রবার রাত...
    যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে দূঢ় আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে, আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’ খবর বাসসের আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে বাসসকে এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “এখনো পুরো বিষয়টি আলোচনা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি এবং আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, তাতে আশাবাদী, সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আমরা এমন একটা সমাধানের দিকে যেতে পারব, যাতে উভয় পক্ষের জন্য ‘উইন উইন...
    যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে বাসসকে এ কথা বলেন।বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এখনো পুরো বিষয়টি আলোচনা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি এবং আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, তাতে আশাবাদী সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আমরা এমন একটা সমাধানের দিকে যেতে পারব, যাতে উভয় পক্ষের জন্য উইন উইন সিচুয়েশন হয়।’আশাবাদ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। কারণ, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসবে। এত দিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক বড় বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির কী হবে, সেটি নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও বাজারটিতে পোশাক রপ্তানিকারক প্রায় সব দেশের ওপর ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক বসেছে। শীর্ষ দশ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে শুধু মেক্সিকোর ওপর নতুন এই শুল্ক আরোপ হয়নি।ফলে পাল্টা শুল্কে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কতটা নেতিবাচক পড়বে, সেটি নিয়ে এখনো...
    যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানির ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দেশটির প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পর তার বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে চীন, জাপান, যুক্তরাজ্যসহ আরও অনেক দেশ। ট্রাম্পের এ ঘোষণায় দেশগুলোর দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাদের ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।  বুধবার বিকেল চারটায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত দুইটা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি।  ট্রাম্পের নতুন করে এ শুল্ক আরোপ করাকে ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে অনেক দেশ। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ শুল্কের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হতে চলেছে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চীন পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা সর্বশেষ এই শুল্কের ‘স্পষ্ট বিরোধিতার’ কথা জানিয়েছে বেইজিং এবং নিজেদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় ‘পাল্টা ব্যবস্থা’ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে দেশটি। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন...
    দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজার, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের বড় আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। একইসঙ্গে ভারত, পাকিস্তান, চীন, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেও আরোপ করা হয়েছে উচ্চ শুল্ক। তবে এ তালিকায় ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশের ওপর। ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে উচ্চমাত্রার এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক পরিকল্পনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কোন দেশের ক্ষেত্রে কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা নিচে তুলে ধরা হলো- চীন ৩৪ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, তাইওয়ান ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩২ শতাংশ, জাপান ২৪...
    বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানির ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছেন, তার বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে চীন, জাপান, যুক্তরাজ্যসহ আরও অনেক দেশ। ট্রাম্পের এ ঘোষণায় দেশগুলোর দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাদের ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হওয়ার বিষয়টি উঠেছে।ট্রাম্পের নতুন করে এ শুল্ক আরোপ করাকে ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে অনেক দেশ। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বিকেল চারটায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত দুইটা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের এ একতরফা শুল্ক পদক্ষেপ খুবই দুঃখজনক এবং এটি জাপানের ওপর প্রয়োগ না করার জন্য আমি জোরাল আহ্বান জানাই (ওয়াশিংটনকে)।ইয়োসি মুতো, জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী চীনবেইজিং বলেছে, তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে শুল্ক আরোপকে ‘জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান’ করছে তারা। সেই সঙ্গে নিজের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায়...
    দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজার, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের বড় আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। একইসঙ্গে ভারত, পাকিস্তান, চীন, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেও আরোপ করা হয়েছে উচ্চ শুল্ক। তবে এ তালিকায় ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশের ওপর। ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে উচ্চমাত্রার এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক পরিকল্পনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এশিয়ার দেশগুলোর কোনটির ওপর কত শুল্ক আরোপ হলো- চীন - ৩৪ শতাংশ, ভিয়েতনাম - ৪৬ শতাংশ, তাইওয়ান - ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া - ৩২ শতাংশ, জাপান - ২৪ শতাংশ,...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বিকেলে বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে ব্যাপক হারে শুল্কারোপ করেছেন। সব বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অনেক দেশের ওপর ব্যাপক হারে পাল্টা শুল্কও বসিয়েছেন।নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এবার সবচেয়ে বড় আকারের শুল্কারোপের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। নতুন শুল্ক ঘোষণা করার সময় ট্রাম্প বলেন, এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক অংশীদারদের কয়েক দশকের অন্যায্য সম্পর্ককে সঠিক পথে আনবে এবং অন্যান্য দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করা থেকে বিরত রাখবে।চলতি বছরের শুরুতে চীনের সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তার ওপর এবার নতুন করে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বসানো হয়েছে অতিরিক্ত প্রায় ৫০ শতাংশ শুল্ক।গতকাল হোয়াইট হাউসের বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যদি...
    যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এত দিন এই শুল্কের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। ‘আমেরিকার স্বর্ণযুগ’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ট্রাম্পের সর্বশেষ উদ্যোগ হলো বিশ্বের ৬০টি দেশের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ। এর মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় ব্যবসায়িক অংশীদার রাষ্ট্রও; ছোটখাটো দেশও রয়েছে অনেক।অন্তত ১২টি দেশের ওপর শুল্ক ধার্য করা হয়েছে ‘রেসিপ্রোকাল অ্যাকশন’ বা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যে শুল্ক নেয় তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। এই ‘প্রতিক্রিয়া শুল্কের’ বাইরে যেসব দেশ রয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে যে বাণিজ্যঘাটতি প্রতিবছর বাড়ছে, তার জন্যই বিভিন্ন হারে শুল্ক প্রয়োগ করা হয়েছে। বাণিজ্যঘাটতি হলো দুটি দেশের মধ্যে আমদানি–রপ্তানির বৈষম্য।চীন যুক্তরাষ্ট্রের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ আসে সেখান থেকে। তাদের ওপর নতুন...
    অ্যান্টার্কটিকার কাছে বরফে ঢাকা, জনশূন্য আগ্নেয়গিরিময় দ্বীপগুলোর ওপরও পড়ল ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের কোপ। ওই সব দ্বীপে বসবাস কেবল পেঙ্গুইনের। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেসব দ্বীপের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার দূরবর্তী ভূখণ্ড হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ পৃথিবীর অন্যতম প্রত্যন্ত অঞ্চল। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে সেখানে পৌঁছাতে নৌকায় করে দুই সপ্তাহ সময় লাগে। ধারণা করা হয়, একদম জনশূন্য এই দ্বীপে মানুষের শেষ পা পড়েছিল প্রায় এক দশক আগে।তবু যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস প্রকাশিত নতুন শুল্কের তালিকায় ‘দেশ’ হিসেবে জায়গা পেয়েছে হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ।অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো জায়গা নিরাপদ নয়।’হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের বাইরের আরও কিছু অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কের তালিকায় আলাদা করে স্থান পেয়েছে। যেগুলোর ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক...
    বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে প্রেস সচিব এ কথা বলেন।ওই পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনা করছে। এসব শুল্ক আরও যুক্তিসংগত করার উপায় খুঁজে বের করতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা শুল্কবিষয়ক জটিলতা নিরসনে প্রয়োজন।প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে আসছি।’শফিকুল আলম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের...
    দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজার, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের বড় রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে উচ্চ মাত্রার এই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর-রয়টার্স এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। নতুন এই শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৮৪০ কোটি ডলারের মতো পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়ে থাকে যার বেশিরভাগ তৈরি পোশাক । গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৭৩৪ কোটি ডলার।  কোন দেশের জন্য কত শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প: বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে তা উল্লেখ করে, এর প্রেক্ষিতে...
    সব ধরনের বিদেশি গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল চারটায় হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর-বিবিসি  সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের শুরুতেই ‘আজ খুব ভালো খবর’ থাকবে বলে জানান। ট্রাম্প তার বক্তব্যে আজকের এই দিনকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে। আজকের দিনটি আমেরিকান শিল্পের ‘পুনর্জন্ম’। আমেরিকাকে ‘আবার সম্পদশালী’ করার দিন।  ট্রাম্প বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কখনও ‘বন্ধু শত্রুর চেয়ে খারাপ হয়’। দক্ষিণ কোরিয়ায় যেসব গাড়ি উৎপাদন করা হয়, তার ৮০ শতাংশের বেশি সে দেশে বিক্রি হয়। আর জাপানে যেসব গাড়ি বিক্রি হয়, সেগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি সে দেশে তৈরি হয়। এসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি বিক্রি হয় খুব সামান্য। ফোর্ড...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক বাড়ালে দেশটির বিরুদ্ধে যাতে ‘প্রয়োজনে’ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে লক্ষ্যে এক ‘শক্ত পরিকল্পনা’ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপ।ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানির ওপর বড় আকারে শুল্ক আরোপ করা নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণার আগ দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।আরও পড়ুনশুল্ক নিয়ে কাল কী ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প০১ এপ্রিল ২০২৫কয়েক সপ্তাহ ধরেই ট্রাম্প আজ ২ এপ্রিলকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘লিবারেশন ডে’ হিসেবে প্রচার করে আসছেন। এদিন নিজ প্রশাসনের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কর্মসূচি কার্যকর করতে একগুচ্ছ শুল্ক পরিকল্পনা ঘোষণা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। যদিও আজ ট্রাম্প ঠিক কী ঘটাতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে অনিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, সমহারে শুল্ক ঘোষণা করতে পারেন তিনি।যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে দেশটিতে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ি আমদানির ওপর উচ্চ...
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক এক করে সব দেশের পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। এর পাল্টা হিসেবে কোনো কোনো দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানেরা মার্কিন পণ্যে একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বাগ্‌যুদ্ধও চলছে। তবে এরই মধ্যে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে বিশেষ করে বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বিক্রি ও মুনাফায় সরাসরি প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কায় তাদের শেয়ারের দর পড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা ভয়-আতঙ্কে এসব শেয়ার ছেড়ে দিয়ে সেফ হ্যাভেন বা বিনিয়োগের জন্য ‘নিরাপদ স্বর্গ’ খ্যাত সোনায় বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন। এই প্রবণতা বিশ্বে আবার মন্দার আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বুধবারকে ‘মুক্তি দিবস’ ঘোষণা করেছেন। এদিন তিনি নতুন করে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবেন। এর আগে ঘোষিত কিছু বর্ধিত শুল্ক...
    আগামী ২ এপ্রিল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। অর্থাৎ যে দেশ মার্কিন পণ্যে যত শুল্ক আরোপ করে, যুক্তরাষ্ট্রেও সেই দেশের পণ্যে ঠিক সেই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে। সেই পরিস্থিতি এড়াতে প্রাণান্ত চেষ্টা করছে ভারতসহ যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য সহযোগীরা।ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের হাত থেকে বাঁচতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য যেমন কাঠবাদাম ও ক্র্যানবেরিতে আরও শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগে তারা অবশ্য রয়টার্সের আরেক সাংবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ২৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের মধ্যে ৫৫ শতাংশের ওপর শুল্ক কমাতে রাজি হতে পারে ভারত।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সদ্ভাব থাকলেও ট্রাম্প সব সময় ভারতের শুল্কনীতির কট্টর সমালোচক। এর আগে তিনি অনেকবারই বলেছেন, ভারত শুল্কের রাজা। তিনি...