একে উন্মাদনা বললে ভুল বলা হবে না। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তিটি যখন পুরো দুনিয়ার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেপূরণের নেশায় মেতে ওঠেন, তখন তাঁকে আর কী-ইবা বলা যায়?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল ১৮০টির বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানির ওপর নির্বিচার ১০ শতাংশ হারে সর্বজনীন শুল্ক (ইউনিভার্সেল ট্যারিফ) আরোপ করেছেন। এদের মধ্যে তাঁর ভাষায় ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশসহ ৬০টি দেশের ওপর, যার সর্বজনীন হার ১০ শতাংশের চেয়ে বেশি। এদের সবার সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে।

এই শুল্কারোপ করতে গিয়ে ট্রাম্প ৪ হাজার ৭০০ শব্দের যে লিখিত নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, তাতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যে যে ঘাটতি আছে, সেটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই শুল্কারোপ করে তিনি এই ঘাটতি কমাতে চান। আর তাই এই রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপের হার নির্ধারণের জন্যও তিনি বাণিজ্যঘাটতির ওপর নির্ভর করেছেন। এ ক্ষেত্রে এক মজার বা অদ্ভুত সূত্র অনুসরণ করেছেন তিনি।

ট্রাম্প মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের কী পরিমাণ বাণিজ্যঘাটতি আছে, তার মধ্য দিয়েই সেই দেশের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অন্যায্য বাণিজ্যচর্চার মাত্রার প্রতিফলন ঘটে। সুতরাং প্রথমে বাণিজ্যঘাটতির পরিমাণটা দেখা হয়েছে। তারপর ওই দেশ যুক্তরাষ্ট্রে কতটা পণ্য রপ্তানি করেছে (বা যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশ থেকে কতটা পণ্য আমদানি করেছে) তার পরিমাণ দেখা হয়েছে।

এরপর বাণিজ্যঘাটতিকে যুক্তরাষ্ট্রে ওই দেশের রপ্তানির পরিমাণ বা যুক্তরাষ্ট্রর ওই দেশ থেকে আমদানির পরিমাণ দিয়ে ভাগ করা হলে যে সংখ্যাটা পাওয়া যায়, সেটাকেই শতকরা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ওই দেশের আরোপিত শুল্ক বিবেচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্পের ভাষায় ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেশন ও ট্রেড ব্যারিয়ারস’কে অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়েছে।

যেমন ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। আর একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ছিল ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি ৬১৫ কোটি ডলারের। এখন ৬১৫-কে ৮৩৬ দিয়ে ভাগ দিলে পাওয়া যায় ৭৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা প্রায় ৭৪ শতাংশ।

ট্রাম্প প্রশাসন এটাকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বাংলাদেশের আরোপিত শুল্ক বিবেচনা করেছে। এর অর্ধেক হলো ৩৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ওপর পাল্টা শুল্কহার হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ রকম উদ্ভট পদ্ধতি অর্থনীতিবিদ ও বাণিজ্যবিশেষজ্ঞদের হতবাক করে দিয়েছে।

যে বাণিজ্যঘাটতি নিয়ে ট্রাম্পের এত মাথাব্যথা, সেই বাণিজ্যঘাটতির ৯০ শতাংশ রয়েছে মাত্র ১০টি দেশের ও জোটের সঙ্গে (ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, জাপান, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভারত, সুইজারল্যান্ড ও থাইল্যান্ড)। এ তথ্য উল্লেখ করে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও ‍উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলো যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাণিজ্যঘাটতির ১ দশমিক ৬০ শতাংশ ও দশমিক শূন্য ৪ শতাংশের জন্য দায়ী। অথচ তারাও এ রকম শুল্কারোপে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

ডব্লিউটিওকে অকেজো করে দেওয়া

বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানির ওপর প্রকৃতপক্ষে যে হারে শুল্কারোপ করে থাকে, সেদিকে নজর না দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো শুল্কহার নির্ণয় করে ট্রাম্প প্রশাসন জেনারেল অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড (গ্যাট) ও তার উত্তরসূরি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) রীতিবিধিকে তাচ্ছিল্য করেছে।

৭৭ বছর আগে বিশ্ববাণিজ্যকে পর্যায়ক্রমে শুল্কমুক্ত করার ও একটি সমঝোতাপূর্ণ বিধিমালার আওতায় আনার লক্ষ্যে গ্যাটের যাত্রা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে নানা দর-কষাকষি, তর্কবিতর্ক, গবেষণা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ধাপে ধাপে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমানোসহ একগুচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা বিধিমালা নিয়ে গ্যাটকে ডব্লিউটিওতে রূপান্তর করা হয়।

১৯৯৫ সালে ডব্লিউটিও আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে বাণিজ্যব্যবস্থাকে আরও উদার ও সহজ করতে এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির বৈশ্বিক পাটাতন হিসেবে। নানা বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও তিন দশক ধরে ডব্লিউটিও বিশ্ববাণিজ্যকে বাড়াতে ও বাধামুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

১৯৯৫ সালের তুলনায় পাঁচ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে এসে বৈশ্বিক পণ্য ও সেবা বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০ লাখ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই মেয়াদকালে প্রতিবছর গড়ে বৈশ্বিক বাণিজ্য বেড়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে। একই মেয়াদকালে শুল্কহারও কমেছে। গড় এমএফএন শুল্ক ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮০ শতাংশে।

এখন ট্রাম্প এই সবকিছু এলোমেলো করে দিতে চাইছেন। প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি ডব্লিউটিওর বিরুদ্ধে নানা বিষোদ্‌গার করার পাশাপাশি সংস্থাটির বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে পঙ্গু করে দেন। আর তা করেন আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগে ভেটো দিয়ে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর আপিল বিভাগের তিনজন বিচারকের মধ্যে দুজনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে তখন নতুন দুজন বিচারক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর ন্যূনতম তিনজন বিচারক ছাড়া আপিল শুনানি করার কোনো সুযোগ নেই।

আবার ওই দুজনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ডব্লিউটিওর আপিল বিভাগের সাতজন বিচারকের পদ শূন্য রয়ে গেছে। আর এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ৮৪ বার আপিল বিভাগের শূন্য পদে বিচারক নিয়োগের প্রস্তাবে আপত্তি দেওয়ায় আপিল বিভাগ অকেজো হয়ে গেছে। ফলে সংস্থাটির মাধ্যমে সদস্যদেশগুলোর মধ্যকার বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিও প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে মাল্টি-পার্টি আপিল ট্রাইব্যুনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট (এমপিআইএ) নামে যে ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, তাতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫৫টি দেশ যোগ দিয়েছে।

এদিকে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের কিছু পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্কারোপ করেন। এর প্রতিবাদে কানাডা ও চীন ডব্লিউটিওর দ্বারস্থ হয়েছে গত মার্চ মাসে। সংস্থাটির বিধান অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে বিবদমান দুই পক্ষ আলোচনায় বসবে। তবে এ আলোচনা না হলে বা আলোচনায় কোনো সমঝোতা না হলে বিরোধ পর্যালোচনার জন্য প্যানেল গঠিত হবে।

প্যানেল বিবদমান পক্ষগুলোর শুনানি নিয়ে ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি পর্যালোচনা করে রায়ের মতো একটি সুপারিশ পেশ করবে। যেকোনো এক পক্ষ তা যৌক্তিক মনে না করলে বা সন্তুষ্ট না হলে আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হতে হবে। আপিল বিভাগ সবকিছু বিশ্লেষণ করে প্যানেলের রায় বহাল রাখতে পারেন কিংবা সংশোধন বা পরিবর্তন করতে পারেন। আপিল বিভাগের রায় প্রতিবেদন আকারে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য তার পরিপালন বাধ্যতামূলক হয়। কিন্তু আপিল বিভাগ নিষ্ক্রিয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধ শুনানির জন্য প্যানেল গঠিত হলেও শেষ পর্যন্ত প্যানেল সুপারিশ করতে পারবে কি না, সন্দেহ আছে। আর তা করতে পারলেও ওটা কাগজে-কলমেই থাকবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র তার বিপক্ষে দেওয়া কোনো রায় বা সিদ্ধান্ত মানবে না। আর যেহেতু আপিল বিভাগ অকেজো, তাই সেখানে গিয়ে আনুষ্ঠানিক আপত্তি তোলার সুযোগ নেই।

ট্রাম্প সেটা চানও না। তিনি বরং তাঁর এই দ্বিতীয় জমানায় ডব্লিউটিওকে পুরোপুরি অকেজো করার মতো আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে পারলেই খুশি হবেন। আর ট্রাম্পের এই মনোভাব সবারই জানা। তাই প্রায় কোনো দেশই ট্রাম্পের এ রকম একতরফা, অযৌক্তিক ও ডব্লিউটিওর বিধিবিধানবহির্ভূত শুল্কারোপকে চ্যালেঞ্জ করতে বৈশ্বিক সংস্থায় যাওয়ার কথা ভাববে না; বরং দ্বিপক্ষীয়ভাবে যে যার মতো সমঝোতার চেষ্টা করবে।

দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা নিয়েও বিপদ

ইতিমধ্যে ৫০টির বেশি দেশ দ্বিপক্ষীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের পরিচালক। ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানির শুল্ক শূন্য কর দেওয়ার আর কম্বোডিয়া ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও কোনো ধরনের দ্বিপক্ষীয় বা আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ছাড়া ডব্লিউটিওর সদস্য কোনো দেশ আরেক দেশকে এককভাবে শুল্কছাড় দিতে পারে না। দিলে তা ডব্লিউটিওর এমএফএন (সর্বোচ্চ অনুকূল সুবিধা) নীতি ও সংশ্লিষ্ট বিধানের লঙ্ঘন হয়।

এমএফএন নীতি অনুসারে, ভিয়েতনাম যদি শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে শূন্য শুল্ক সুবিধা দিতে চায়, তাহলে অন্য সব বাণিজ্য অংশীদারকেও দিতে হবে। তা না হলে অন্য কোনো দেশ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়া কারোরই এফটিএ নেই।

একই কথা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানির ওপর গড়ে মাত্র ৬ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করে থাকে। বলা বাহুল্য ট্রাম্প প্রশাসন এটা বিবেচনায় নেয়নি। পণ্যভেদে শুল্কহার অবশ্য শূন্য থেকে ৬১১ শতাংশ পর্যন্ত আছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করে আসছে সাড়ে ১৫ শতাংশ হারে। আবার বাংলাদেশের সর্বজনীন গড় এমএফএন শুল্কহার ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।

এখন বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক কমাতে চায়, তাহলে দেশটির সঙ্গে দ্রুত একটি এফটিএ করার কথা ভাবা যেতে পারে, যা ডব্লিউটিওর বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এড়াতেও সহায়তা করবে। বর্তমান বাস্তবতায় শুধু পণ্য বাণিজ্যের জন্য এফটিএ চিন্তা করা যুক্তিসংগত। অন্য কোনো বিষয় এতে যুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কারণ, যুক্তরাষ্ট্র আবার এফটিএর ক্ষেত্রে সেবা খাত, মেধা স্বত্বাধিকার, বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে নিবিড় বাণিজ্য সম্পৃক্ততার নীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষির প্রয়োজনীয় সক্ষমতা এখনো বাংলাদেশের নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে এফটিএ করা হলেও যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হু হু করে বেড়ে যাবে, তা নয়। আমদানি বা রপ্তানি কখনোই চট করে বাড়ে না। এ জন্য সময় লাগে। আর ট্র্রাম্পের মাথাব্যথা হলো বাণিজ্যঘাটতি। এফটিএ হলে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্কের সুবিধা নিয়ে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ার পথ প্রশস্ত হবে। সেটি আবার বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে। ট্রাম্প তা মানবেন কেন?

আসজাদুল কিবরিয়া লেখক ও সাংবাদিক

[email protected]

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ র শ ল ক র প কর র ওই দ শ র পর ম ণ ক ত কর কর ছ ন র জন য এফট এ দশম ক র ওপর সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডায় প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেলেন রিয়েলটর মাহবুব ওসমানী

রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় অবদানের জন্য কানাডায় প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেলেন মাহবুব ওসমানী। সম্প্রতি টরন্টোর ডনমিলস রোড ও এগ্লিংটন এভিনিউ ইস্ট সংলগ্ন পার্কভিউ মেনোর বাঙ্কুয়েট হলে আয়োজিত রাইট এট হোম রিয়েলটি ব্রোকারেজের ডন মিলস শাখার কর্তাব্যক্তিরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

এ সময় মাহবুব ওসমানীকে অভিনন্দন জানান ব্রোকারেজের প্রেসিডেন্ট জন লুসিঙ্ক, ম্যানেজিং ব্রোকার ইমরান জাইদি এবং এসিট্যান্ট ব্রাঞ্চ ম্যানেজার লরা মুরিয়েল।

অ্যাওয়ার্ড পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ওসমানী বলেন, ‘এই অ্যাওয়ার্ডের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার ক্রেতা, বিক্রেতা, শুভাকাঙ্ক্ষী সকলেরই। তাদের প্রতি আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। বাড়ি কেনা-বেচার মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দায়িত্ব তারা আমাকে দিয়েছেন। আমার প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস ছাড়া এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করা সম্ভব ছিল না’। সার্বিক সহযোগিতার জন্য ওসমানী তার বাবা-মা, স্ত্রী, পরিবার-স্বজনদেরও ধন্যবাদ জানান।

কানাডার বাংলাদেশিদের মধ্যে রিয়েলটর হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন মাহবুব ওসমানী। রিয়েল এস্টেটের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা সামাজিক, সাংগঠনিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও অত্যন্ত সক্রিয় তিনি।

ওসমানী টরন্টো থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় রিয়েল এস্টেট নিয়ে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ লেখেন। এছাড়াও টরন্টোর প্রথম ২৪ ঘণ্টার টিভি চ্যানেল এনআরবি টিভিতে 'প্রপার্টি গাই' নামে রিয়েল এস্টেট বিষয়ক তথ্যমূলক একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তিনি। ২০১৬ সালে অভিবাসী হয়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ওসমানী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ