যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ডলারের শক্তিও খর্ব হচ্ছে। গত তিন বছরের মধ্যে শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার রেকর্ড দরপতন হয়েছে। বিশ্বের ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে যে ইউএস ডলার ইনডেক্স প্রণয়ন করা হয়, গত শুক্রবার তার শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ পতন হয়েছে।

শুক্রবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরপতন হয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রতি ইউরোর বিপরীতে এখন ১ দশমিক ১৩ ডলার পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতেও ডলারের দরপতন হয়েছে। দরপতনের হার শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ। দরপতন হয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতেও; সেদিন পাউন্ডের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।

মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক শূন্য ১-এ নেমে আসে। এর মধ্য দিয়ে গত এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতন হয়েছে।

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজারব্যবস্থায় ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নামে। যদিও পরবর্তীকালে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

অস্থিতিশীলতার সময় বিনিয়োগকারীরা সাধারণত ডলার কেনেন। সোনার মতো ডলারও নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। ফলে এ সময় ডলারের বিনিময় হার বাড়ে। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি ট্রেজারি বন্ডও ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে ডলারের চাহিদা কমে যাচ্ছে। এর অর্থ হলো, মানুষ মার্কিন অর্থনীতিতে আস্থা রাখতে পারছেন না।

মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফরি ডি স্যাক্স মার্কিন সাংবাদিক গ্লেন ডিজেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পৃথিবী বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে, ঠিক তেমনি একাধিক মুদ্রাকেন্দ্রিক ব্যবস্থার দিকেও এগোচ্ছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ডলারের শক্তি আরও কমবে। এবার ট্রাম্পের এই শুল্ক যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতির আরও দ্রুত অবনতি হবে বলেই তিনি মনে করেন। কেননা মার্কিন অর্থনীতি ও রাজনীতির ওপর মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বাজারে অবশ্য গত কয়েক মাস ধরে ডলারের দর স্থিতিশীল। প্রতি ডলার এখন ১২২ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ব পর ত শ ক রব র দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

ডলার ইনডেক্সের মান তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ডলারের শক্তিও খর্ব হচ্ছে। গত তিন বছরের মধ্যে শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার রেকর্ড দরপতন হয়েছে। বিশ্বের ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে যে ইউএস ডলার ইনডেক্স প্রণয়ন করা হয়, গত শুক্রবার তার শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ পতন হয়েছে।

শুক্রবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরপতন হয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রতি ইউরোর বিপরীতে এখন ১ দশমিক ১৩ ডলার পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতেও ডলারের দরপতন হয়েছে। দরপতনের হার শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ। দরপতন হয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতেও; সেদিন পাউন্ডের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।

মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক শূন্য ১-এ নেমে আসে। এর মধ্য দিয়ে গত এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতন হয়েছে।

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজারব্যবস্থায় ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নামে। যদিও পরবর্তীকালে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

অস্থিতিশীলতার সময় বিনিয়োগকারীরা সাধারণত ডলার কেনেন। সোনার মতো ডলারও নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। ফলে এ সময় ডলারের বিনিময় হার বাড়ে। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি ট্রেজারি বন্ডও ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে ডলারের চাহিদা কমে যাচ্ছে। এর অর্থ হলো, মানুষ মার্কিন অর্থনীতিতে আস্থা রাখতে পারছেন না।

মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফরি ডি স্যাক্স মার্কিন সাংবাদিক গ্লেন ডিজেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পৃথিবী বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে, ঠিক তেমনি একাধিক মুদ্রাকেন্দ্রিক ব্যবস্থার দিকেও এগোচ্ছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ডলারের শক্তি আরও কমবে। এবার ট্রাম্পের এই শুল্ক যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতির আরও দ্রুত অবনতি হবে বলেই তিনি মনে করেন। কেননা মার্কিন অর্থনীতি ও রাজনীতির ওপর মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বাজারে অবশ্য গত কয়েক মাস ধরে ডলারের দর স্থিতিশীল। প্রতি ডলার এখন ১২২ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ