বেশ কিছু চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ১০৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হতে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্যারোলিন লেভিত। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ওয়াশিংটনে বুধবার (আজ) শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনা পণ্যের ওপর বাড়তি এ আমদানি শুল্ক কার্যকর হয়ে যাবে।”

গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের ওপর আরোপ করা হয় ৩৪ শতাংশ শুল্ক। এর আগে দেশটির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। 

আরো পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস-পিটার হাস সাক্ষাৎ 

মার্কিন সহায়তা বন্ধ লাখ লাখ মানুষের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড’: জাতিসংঘ

এর জবাবে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় চীন। আগামীকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা।

চীন সরকারের এই পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত সোমবার তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “মঙ্গলবারের মধ্যে চীন যদি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহার না করে, তাহলে চীনা পণ্যেরও ওপর আরো অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।” অর্থাৎ চীনা পণ্যের ওপর সর্বমোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।

কিন্তু ট্রাম্পের হুমকি আমলে নেয়নি চীন এবং শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহারও করেনি। ফলে আজ বুধবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্ক।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে বেইজিং। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেন, “চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক বাড়ানোর মার্কিন হুমকি একটি ভুলের ওপর আরেকটি ভুল। এর মধ্য দিয়ে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণা করার স্বভাব প্রকাশ পেয়েছে। চীন কখনোই এটা মেনে নেবে না।”

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহৎ আমদানিকারক দেশ ছিল চীন। দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করেছিল ৪৩৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। অপরদিকে চীনে তারা রপ্তানি করেছিল ১৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। দুই দেশের মধ্যকার এই বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে অভ্যন্তরীণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রভাবে অনেক মানুষ চাকরি হারাতে পারেন বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল ক ক র যকর আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ততক্ষণে আমি বুঝতে পেরেছি, জিম্মি জমে গেছে

ছবি : প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ