Prothomalo:
2025-04-25@08:30:53 GMT

পোশাকের চাহিদা কমে যেতে পারে

Published: 4th, April 2025 GMT

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক বলবৎ থাকলে তৈরি পোশাকের কিছু ক্রয়াদেশ ভারত ও পাকিস্তানে চলে যাবে। শুল্ক কম থাকায় এ দেশগুলোয় হেভি জার্সি, ডেনিম প্যান্ট, হোম টেক্সটাইলের মতো ক্রয়াদেশ চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে। এতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে। অন্যান্য দেশেও পাল্টা শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে যেতে পারে। সেটি হলে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ কমবে। প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক পর্যালোচনা করা। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচুর পরিমাণে তুলা আমদানি করি। প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক কটন কাউন্সিলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর–কষাকষি করতে পারি। আমরা তাদের বলতে পারি, তোমাদের তুলা আমরা ব্যবহার করব। এর বিপরীতে তোমরা শুল্ক কমাও। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে গুদাম স্থাপনের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। যাতে তারা দ্রুত বাংলাদেশের কারখানাগুলোকে তুলা সরবরাহ করতে পারে।

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তৈরি পোশাকের দাম কমাতে আমাদের ওপর চাপ দেবে। পোশাকের রপ্তানি মূল্য কমে গেলে সে ক্ষেত্রে এ খাতের শিল্পমালিকদের রপ্তানি প্রণোদনা হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কোনো বাধা নেই। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া হিসেবে এরই মধ্যে পোশাক রপ্তানিসহ বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ধরে রাখতে হলে নগদ সহায়তা বাড়াতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, রপ্তানির সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানও জড়িত। এ কারণে খাতটি যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে সরকারকে তাদের কর্মকৌশল ঠিক করে এ নিয়ে দর–কষাকষি শুরু করতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তাই দেশটি পাল্টা শুল্ক আরোপের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।

আনোয়ার–উল–আলম চৌধুরী

সভাপতি, বাংলাদেশ চেম্বার

সাবেক সভাপতি, বিজিএমইএ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মে দিবসে মঞ্চে ‘মার্ক্স ইন সোহো’ 

আগামী ১ মে  আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস এবং ৫মে কার্ল মার্ক্স এর ২০৮তম জয়ন্তী উদযাপনকল্পে নাট্য সংগঠন বটতলা এবং যাত্রিক-এর  যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’ নিয়ে  আবার মঞ্চে আসছে।  টানা তিন দিন তিনটি প্রদর্শনী থাকছে এই আয়োজনে। 

প্রখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন রচিত, জাভেদ হুসেন অনুদিত এবং নায়লা আজাদ নির্দেশিত এই নাটকটি প্রথম মঞ্চে আসে ২০২১ সালের অক্টোবরে।

মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছর পরে কার্ল মার্ক্স কি সত্যি সোহোতে বা পৃথিবীতে ফিরেছেন? ফেরার প্রয়োজনীয়তাও কি আছে? এই যে পৃথিবীতে বাস করছি আমরা যেখানে নানা বৈষম্য বিদ্যমান, শ্রমিক তাঁর ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত, তাঁর জীবন যেখানে মূল্যহীন, যেখানে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা এবং ভেতরে ভেতরে চিৎকার- রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা হঠাৎ হঠাৎ বাইরে বেরিয়ে আসা দু-একটি চিৎকারেরও টুটি চেপে ধরা- এমন অস্থির সময়ে মানুষের মুক্তি কোথায়? গোটা বিশ্ব যেখানে পুঁজিবাদের দাস, সেখানে কার্ল মার্ক্স কি ফিরছেন এসব থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে নাকি তাঁর নামে চালু বদনামগুলো পরিস্কার করতে? এসবই জানা যাবে নাটকের নানা স্তরে, বোঝা যাবে শুধু একজন দার্শনিক নন, এক ব্যক্তি কার্ল মার্ক্সকেও।

দুনিয়ার অন্যতম জরুরি দার্শনিক কার্ল মার্ক্স, যিনি উনবিংশ শতাব্দী থেকে আজও মানুষের সমাজের ইতিহাস ও রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছেন তাকে নিয়ে নাটক মার্ক্স ইন সোহো বা সোহোতে মার্ক্স! হাওয়ার্ড জিন তাঁর সোহোতে মার্ক্স নাটকে দুনিয়া কাঁপানো চিন্তক মানুষটির দৈনন্দিন প্রেম বা খেদের ভেতর দিয়ে সত্যিকারের একজন মানবিক স্বাপ্নিক দ্রষ্টার ছবি এঁকেছেন। এর পেছনে জিনের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু মার্ক্স নন, বরং মার্ক্সের চিন্তা বা বিশ্লেষণ। দেড়শো বছর পেরিয়ে এসেও কী অসামান্য  প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি সেসব চিন্তা সেটা দেখানোই জিনের উদ্দেশ্য। নাটকটি নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বটতলার সাথে যুক্ত হয় যাত্রিক।

 বটতলা এবং যাত্রিক-এর এই যৌথতা জিনের দেখা মানবিক মার্ক্সকে এবং তাঁর অসামান্য বিস্ফোরক  বিপ্লবী চিন্তাকে আরও  বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে এটুকুই প্রত্যাশা।   
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ