মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি খুব শিগগির ওষুধ আমদানির ওপর ‘বড়’ শুল্ক ঘোষণা করবেন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ওষুধ উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল কমিটির এক নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, “আমরা খুব শিগগির ওষুধের ওপর একটি বড় শুল্ক ঘোষণা করতে যাচ্ছি।

আরো পড়ুন:

বৃহস্পতিবার তুরস্কে আবারো বৈঠকে বসছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র

গাজাবাসীদের স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব

তিনি বলেন, “আমরা যখন এটি করব, তখন তারা (ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো) দ্রুত আমাদের দেশে ফিরে আসবে। কারণ আমরা বড় বাজার। সবার চেয়ে আমাদের যে সুবিধা রয়েছে, তা হলো আমরা বড় বাজার।”

তিনি ওষুধ কোম্পানিগুলোর কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, “যখন তারা এটা শুনবে, তারা চীন ছেড়ে যাবে, তারা অন্য জায়গা ছেড়ে যাবে, কারণ তাদের বিক্রি করতে হবে- তাদের বেশিরভাগ পণ্য এখানে বিক্রি হয়।”

প্রেসেডেন্ট ট্রাম্প পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অন্যায্য বাণিজ্য চর্চার মাধ্যমে চীনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধা নিতে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এটি আর তার নেতৃত্বে হবে না।

ট্রাম্প চীন বিরুদ্ধে মার্কিন পণ্যে ‘অযৌক্তিক’ শুল্ক আরোপের অভিযোগও করেছেন। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে অনেক দেশ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে লাভবান হয়েছে। অথচ তার পদক্ষেপ এখন অন্যায্য সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে।

ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের কারণে অনেক দেশ ধনী হয়েছে। আপনি জানেন, এখন যখন আমরা শুল্ক আরোপ করছি, তখন তাদের কাছে বিষয়টি ‘ভয়াবহ’ লাগছে। ট্রাম্প যা করছেন, তা তাদের খুবই ভয়াবহ মনে হচ্ছে। অথচ এমনটি করেই তারা ধনী হয়েছে। কেবল চীন নয়, অনেক দেশ। আপনি ভিয়েতনামের দিকে তাকান, আপনি অনেকের দিকে তাকান - আমি এখনই ৫০টির নাম বলতে পারি।”

ট্রাম্প উল্লেখ করেন, চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে। তিনি আরো যোগ করেন, বেইজিং একটি নতুন চুক্তিতে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে।

ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি তারা কোনো এক সময়ে একটি চুক্তি করবে। চীন এটি করবে। তারা একটি চুক্তি করতে চায়। তারা সত্যিই তা করবে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ল ক আর প ট র ম প বল র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় জোরালোভাবে সামরিক অভিযান বাড়ানোর ঘোষণা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশির ভাগ অংশে শিগগিরই ‘জোরালোভাবে’ সামরিক অভিযান বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ। 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজা উপত্যকার দক্ষিণে একটি ‘নিরাপত্তা অঞ্চলের’ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটা রাফা ও খান ইউনিস শহরকে পৃথক করেছে।

এরই মধ্যে খান ইউনিস ও আশপাশের এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে আকাশপথে হামলার কড়া জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যদিও হামাস কোনো হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

টানা দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় হামাসের ওপর আবারও হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পর থেকে তারা গাজায় আরও বড় এলাকা দখল করেছে। হাজারো গাজাবাসীকে নতুন করে বাস্তুচ্যুত করেছে।

শনিবার কার্তজ বলেন, রাফা ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী সাবেক ইহুদি বসতি ‘মোরাগ এক্সিস’ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর মধ্য দিয়ে গাজার খান ইউনিস থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গাজা উপত্যকার প্রায় এক–পঞ্চমাংশ ভূমিজুড়ে রয়েছে রাফা।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, শিগগির গাজার আরও বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হামলা জোরদার করবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এসব এলাকার যুদ্ধক্ষেত্রগুলো থেকে মানুষদের সরিয়ে নিতে হবে। হামাসকে নির্মূল করা, জিম্মিদের মুক্ত করে আনা এবং যুদ্ধের অবসানের এটাই শেষ মুহূর্ত।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। জিম্মি করে গাজায় আনা হয় ২৫১ জনকে। ইসরায়েলের সরকারি তথ্য এটা।

এর জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী, যা এখনো চলছে। নির্বিচার হামলায় উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে গড় ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর নিহত হয়েছে ১ হাজার ৫৬৩ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ