2025-04-21@22:41:59 GMT
إجمالي نتائج البحث: 745

«আনন দ ম ল»:

(اخبار جدید در صفحه یک)
    ছবি: সাদ্দাম হোসেন
    আজ পহেলা বৈশাখ। শুরু বঙ্গাব্দ ১৪৩২। স্বাগত বাংলা নববর্ষ। বাঙালির উৎসবের দিন আজ। আনন্দ, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের দিন। বাংলা সনকে বরণে রাজধানীজুড়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে শুরু হয় বৈশাখবন্দনা, নতুন বছরকে বরণ করার আয়োজন।  বিশেষ এই দিনে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও। বৈশাখ উদযাপনে উঠেছেন মেতে, নানা আয়োজনে বরণ করে নিচ্ছেন বাংলা নতুন বছরকে। কেউ কেউ সকালে বের হয়ে পড়েছেন, কেউ বা ঘরে বসেই টেলিভিশনে দেখছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে উঠেছে তাদের নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার মুহূর্তগুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক গুচ্ছ ছবি শেয়ার করে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩২।’  গেল বছরে ছেলে পুণ্যর সঙ্গে শেয়ার করা কিছু ছবি পুনরায় শেয়ার দিয়ে পরীমনি বৈশাখে দিয়েছেন নতুন বার্তা। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে...
    কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে জমজমাট বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের প্রথম দিন সকাল থেকেই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ও ইনানী পয়েন্টে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ। রঙ-বেরঙের পোশাক, মুখে হাসি আর হাতে পান্তা-ইলিশের থালা—সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট। সৈকতে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে এবং বৈশাখী মেলা বসেছে। লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্মুক্ত মঞ্চ করা হয়েছে। সবার প্রত্যাশা, নতুন বছর মানুষের জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ, দুর্নীতি ও হয়রানি। সকাল ১০টার পর থেকে সৈকতে ভিড় বাড়তে থাকে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নানা বয়সের মানুষ যোগ দেন বৈশাখী উৎসবে। ঢাকার বাসাবো থেকে আসা পর্যটক রণধীর দিব্য বলেছেন, সমুদ্র...
    নেচে-গেয়ে হাজারো মানুষ অংশ নিল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য়। এবারের পয়লা বৈশাখের এই বর্ণিল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে আজ সোমবার সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় সকাল সাড়ে ১০টায়।শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ
    ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ স্লোগানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নওগাঁয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় শহরের এটিম মাঠ থেকে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী সেখানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণ মেলার। শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়া, পালকি, মাটির তৈরি বাসনসহ বিভিন্ন বর্ণের বেলুন ফেস্টুন, মাথাল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তোলে।  এ সময় পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে...
    ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ স্লোগানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নওগাঁয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় শহরের এটিম মাঠ থেকে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী সেখানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণ মেলার। শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়া, পালকি, মাটির তৈরি বাসনসহ বিভিন্ন বর্ণের বেলুন ফেস্টুন, মাথাল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তোলে।  এ সময় পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে...
    উৎসবমুখর পরিবেশে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করতে দিনব্যাপী নানা আযোজন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার চত্বরে স্বাধীনতা মঞ্চে সংগীত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় নববর্ষের অনুষ্ঠানমালার। সংস্থাটির আয়োজনে মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, ফলাহারসহ ছিল নানা আয়োজন। সকাল ৮টায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। আনন্দ শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় অম্বিকা ময়দানে নববর্ষের মিলনমেলায় সমবেত হয়। ফরিদপুরের সকল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের কর্মীদের নিয়ে সেখানে অংশ নেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও শহরের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন আনন্দ শোভাযাত্রায়। অম্বিকা ময়দানের বর্ষবরণ মঞ্চে জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের...
    নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে পালিত হয়েছে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। এবার ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতি মোটিফটি সবার সামনে রাখা হয়েছে। শোভাযাত্রার শুরুতে স্বজাতীয় নাচে গানে অংশ নিয়েছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী। এ ছাড়া রঙ বেরঙের পোশাকে আপামর জনতা, বিদেশি নাগরিকদেরও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর এটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে সাড়ে ১০টায় পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়। শেষে মোটিফগুলো সবার দেখার জন্য চারুকলায় রাখা হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রাকে শুধু বাঙালির নয়, বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ফারুকী বলেন, এটাকে আমরা অনেকদিন বাঙালির প্রাণের উৎসব বানিয়ে রেখেছি। এটা শুধু...
    পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। এ দিন বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ অতীত ভুলে নতুনের আবাহনে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় নতুন বছর। ফলে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সেই উৎসবে একাত্ম হয়েছেন রূপালি ভুবনের তারকারাও। পহেলা বৈশাখ নিয়ে নিজের ভাবনা ও স্মৃতিকথা জানিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। এ অভিনেত্রী বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমার কাছে সত্যিই আনন্দের একটা দিন। ছোট থেকেই এই দিনটা আমরা উদযাপন করি। ছোটবেলার নববর্ষ উদযাপন নিয়ে নানা স্মৃতি রয়েছে। এই দিন উপলক্ষে ঈদের মতো আমরা নতুন জামা কিনতাম। আমরা ভোলা এবং কুমিল্লাতে ছিলাম, ওখানে মেলা হতো, সেই মেলায় যেতাম। নববর্ষ বলতে এমনই নানা সুন্দর স্মৃতি রয়েছে।” ছোটবেলার বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, “ছোটবেলার পহেলা বৈশাখ মানেই...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয়েছে বর্ণাঢ্য ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯টায় চারুকলার সামনে থেকে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য এই কর্মসূচি। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে ফের চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।  শোভাযাত্রার শুরুতে মারমা, ম্রো, চাকমা, খুমি ত্রিপুরা, পাঙখুয়া, রাখাইন, মনিপুরী, খাসিয়া, চা জনগোষ্ঠীসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নিয়েছে। এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি বদলে নতুন নাম হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড....
    এবারের বৈশাখ এক নতুন তাৎপর্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছে আমাদের জাতীয় জীবনে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত জঞ্জাল থেকে মুক্তির আনন্দে উদ্ভাসিত এবারের নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি, বঞ্চনা, গ্লানির অবসানে এক নতুন আশার স্বপ্ন নিয়ে পয়লা বৈশাখের নতুন সূর্য উদিত হচ্ছে। ‘বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক...এসো হে বৈশাখ।’অতীতে ব্যবসায়িক বা অর্থনৈতিক কারণেই পয়লা বৈশাখের গুরুত্ব ছিল। খাজনা পরিশোধ, ব্যবসায়ীদের হালখাতা নবায়ন ইত্যাদি ছিল মূল বিষয়। এই সেদিনও পয়লা বৈশাখে বিভিন্ন দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে পুরোনো খদ্দেরদের নিমন্ত্রণ করা হতো, মিষ্টিমুখ করানো হতো। এখন এ রেওয়াজ আছে কি না, জানি না। যদিও সম্রাট আকবর খাজনা প্রদানের সুবিধার্থে পয়লা বৈশাখের সূচনা করেন, কালক্রমে তা পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে মিশে গিয়ে আনন্দ ও উৎসবে পরিণত হয়। বাঙালি উৎসবপ্রিয়, যে জন্য কথায় বলে, ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’—যেকোনো উপলক্ষকে উৎসবে...
    সিলেটে বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়েছে। আজ সোমবার পহেলা বৈশাখের সকাল থেকে শুরু হয়েছে আনন্দ শুভযাত্রাসহ বিভিন্ন লোকজ অনুষ্ঠান। তবে আজ সকালে বের হওয়া জেলা প্রশাসনের আনন্দ শোভাযাত্রায় নামমাত্র গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধারণ করতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্লু স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। সেখানে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসনের শোভাযাত্রায় সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ লাইন স্কুল, টেকনিকাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, স্কাউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নিজ নিজ ব্যানারে অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় উল্লেখযোগ্য কাউকে চোখে পড়েনি। সকাল সাড়ে দশটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শোভাযাত্রা করে। পরে লোকজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুরমা নদীর তীরে সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি অনুষ্ঠানের আয়োজন...
    সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, এবারের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয়। তবে ঐতিহাসিকভাবে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ এটিকে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে। এবার আমরা শুধু ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি। আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, দেশের সকল জনগোষ্ঠী, সকল ঐতিহ্য- সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য সবকিছুর মিশ্রণ এখানে দেখবেন। তবে টিপিক্যাল রাজনীতির কিছু এখানে নেই। ১৯৮৯ সালে চারুকলায় আনন্দ শোভাযাত্রা নামে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল। পরে ১৯৯৬ সালে এটিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা নাম দেওয়া হয়। এবার কর্তৃপক্ষ এটিকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা নাম দিয়েছে। এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চারুকলার একদল শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে...
    নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে পালিত হয়েছে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। এবার ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতি মোটিফটি সবার সামনে রাখা হয়েছে। শোভাযাত্রার শুরুতে স্বজাতীয় নাচে গানে অংশ নিয়েছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী। এ ছাড়া রঙ বেরঙের পোশাকে আপামর জনতা, বিদেশি নাগরিকদেরও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর এটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে সাড়ে ১০টায় পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়। শেষে মোটিফগুলো সবার দেখার জন্য চারুকলায় রাখা হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রাকে শুধু বাঙালির নয়, বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ফারুকী বলেন, এটাকে আমরা অনেকদিন বাঙালির প্রাণের উৎসব বানিয়ে রেখেছি। এটা শুধু...
    ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পহেলা বৈশাখের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হওয়া ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শেষ হয়েছে।  সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হয়। এটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে চারুকলা প্রাঙ্গণ। সকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ওই এলাকা।  বিশাল আকারের প্ল্যাকার্ড এবং অন্য শিল্পকর্মগুলো শোভাযাত্রার জন্য সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়। ইলিশ, হাতি, ঘোড়া, বাঘ, তরমুজ, ‘পানি লাগবে পানি’ প্রতিকৃতি ও ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ছিল শোভাযাত্রায়। সবার পোশাকে ছিল উৎসবের রং। এবারের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে ২৮টি ক্ষুদ্র...
    দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।  সেখানে তিনি লেখেন, “এই ভুখণ্ডে নতুন বছর আসে কেবল বাঙালির জন্য, এই উৎসব তাই কেবল বাঙালির প্রাণের উৎসব’- এই বছর থেকে এই ক্ষুদ্রতা থেকে আমাদের মুক্তি ঘটবে এই প্রত্যয়ে অগণিত প্রাণের এই শোভাযাত্রা। চাকমা, মারমা, গারো, বাঙালিসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর উৎসবের উচ্ছ্বাসে আজ মেতেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সারা দেশ। বাংলাদেশের প্রাণের উৎসবে সবাইকে শুভেচ্ছা।” এদিকে, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতে যুক্ত হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রাটি এবার আয়োজিত হয়েছে নতুন নামে। আগে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নামে এই শোভাযাত্রা হলেও এবার এটিকে বলা হচ্ছে 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'। তবে নাম...
    বাংলা বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রায় এবার বাংলাদেশের ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তারা নিজ নিজ সংস্কৃতির প্রতীক বহন ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে শোভাযাত্রাকে আরো বর্ণিল করে তুলেছেন। শুধু বাংলাদেশিরা নন, শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে নেচে-গেয়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন একঝাঁক বিদেশি শিক্ষার্থী ও পর্যটকও। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। এটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। শোভাযাত্রায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও জাতিগত সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। শোভাযাত্রায় সাতটি বড়, সাতটি মাঝারি ও সাতটি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি মোটিফ রয়েছে।...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বেরিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় আনন্দ শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। অন্যবারের তুলনায় এবারের আয়োজনে ভিন্নতা দেখা গেছে। আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ দেখা গেছে। এছাড়া, চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। এতে শহীদ মুগ্ধের পানি বিতরণের স্মৃতি হিসেবে পানির বোতল দিয়ে লেখা হয়েছে, 'পানি লাগবে, পানি'। এছাড়া, শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং দেশি-বিদেশি অতিথিরা। রয়েছে ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ। বড় মোটিফগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, টাইপোগ্রাফিতে ৩৬ জুলাই, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল ইত্যাদি। বিশেষভাবে এবারের শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি...
    ক্ষণে ক্ষণে ডেকে চলছে বিজু পেক্কো (বিজু পাখি)। বন-পাহাড়ে ফুটেছে বিজু ফুল। পাখির কলতান আর রঙিন ফুলের সৌরভ—এতেই উৎসবের আনন্দধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ে পাহাড়ে। এই জনপদে এখন চলছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর বর্ষবরণ উদ্‌যাপন। ধর্মীয় রীতি ও প্রথা পালনের পাশাপাশি আনন্দ-উদ্‌যাপনেও আয়োজনের কোনো কমতি নেই। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর এই উৎসব এখন ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ের ‘বৈসাবি’ হয়েছে আগের চেয়ে আরও বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য। উৎসবে যুক্ত হয়েছে নানা আয়োজন। সময়ের পাটাতনে দাঁড়িয়ে তাই প্রশ্ন জাগে, তাহলে ৩৫ থেকে ৪০ বছর আগে কেমন ছিল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর বর্ষবরণ ও বিদায় উদ্‌যাপন? তখন কীভাবে উদ্‌যাপন করা হতো মারমাদের সাংগ্রাইং, ম্রোদের সাংক্রান, ত্রিপুরাদের বৈসু, চাকমাদের বিজুসহ অন্য জাতিগোষ্ঠীগুলোর এই উৎসব। তখনকার বর্ষবরণের আয়োজন জানার আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে অনেকের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কী কী পরিবর্তন...
    আজ ১ বৈশাখ, বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন। অতীতের গ্লানি-দুঃখ-জরা মুছে ফেলে নতুন বছর সবার জন্য আনন্দ ও মঙ্গলের বার্তা নিয়ে আসবে, এটাই প্রত্যাশিত।বাংলা নববর্ষ বাঙালির জাতীয় উৎসব, প্রাণের উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ বাংলা নববর্ষ বরণ করতে অধীর অপেক্ষায় আছে। মেলা, উৎসব, শোভাযাত্রা, সংগীতানুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১ বৈশাখ উদ্‌যাপন করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইউনেসকোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় যোগ হয়েছে নববর্ষের শোভাযাত্রা। এটা নিশ্চয়ই আনন্দের খবর। পাকিস্তান আমলে বৈরী পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট রমনার বটমূলে ঐতিহ্যবাহী সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষবরণ শুরু করে। এবার তাদের প্রতিপাদ্য, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। ১৯৬৭ সালে ছায়ানট বর্ষবরণের যে ধারা শুরু করেছিল, সেটাই এখন ছড়িয়ে পড়েছে পাড়ায়, মহল্লায়, গ্রামে–গঞ্জে সর্বত্র। আমরা স্মরণ করতে পারি, সম্রাট আকবরের সময় খাজনা আদায়ের...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হয় ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে ফের চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।  শোভাযাত্রার শুরুতে মারমা, ম্রো, চাকমা, খুমি ত্রিপুরা, পাঙখুয়া, রাখাইন, মনিপুরী, খাসিয়া, চা জনগোষ্ঠীসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নিয়েছে। এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি বদলে নতুন নাম হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। বাংলা...
    ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পহেলা বৈশাখের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়। যা শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।  শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছল নারীদের মাথায় শোভা পায় নানান রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি। আগুনে পোড়া ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ নতুন করে বানিয়ে আনা হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়। এছাড়া, শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হয় ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে ফের চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি বদলে নতুন নাম হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।    বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি...
    ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।পয়লা বৈশাখের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হওয়া এই শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।আগেই বলা হয়েছিল, এবারের শোভাযাত্রায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের অতিথিরা অংশ নিচ্ছেন। শোভাযাত্রায় রয়েছে সাতটি বড় মোটিফ, সাতটি মাঝারি মোটিফ ও সাতটি ছোট মোটিফ।গত শনিবার ভোরে চারুকলা অনুষদের ভেতরে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ২০ ফুট উচ্চতার ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ নামে মোটিফটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তার পাশেই রাখা ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফের একটি ডানা...
    ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে। এবার শোভাযাত্রায় ছোট, বড়, মাঝারি মিলে ২১টি মোটিফ রয়েছে। এ ছাড়া ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করছে শোভাযাত্রায়। আজ সোমবার সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। মোটিফগুলোর শুরুতে থাকছে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, এরপরে যথাক্রমে বাকি ছয়টি প্রধান মোটিফ- বাঘ, মাছ, পুতুল, পালকি, পানি লাগবে, ৩৬ জুলাই, তরমুজের পালি রাখা হয়েছে। মোটিফের পরে রাখা হয়েছে পটচিত্রগুলো। পটচিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটচিত্র আকবর, পটচিত্র বেহুলা, গাজীর পট, পটচিত্র বনবিবি, পটচিত্র বাংলাদেশ ইত্যাদি। এ ছাড়াও রয়েছে মাঝারি ও ছোট মোটিফ। জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে মারমা, ম্রো, চাকমা, খুমি ত্রিপুরা, পাঙখুয়া, রাখাইন, মনিপুরী, খাসিয়া, চা জনগোষ্ঠীসহ অনেকে। শোভাযাত্রার নিরাপত্তা দিচ্ছে র‌্যাব, পুলিশের সোয়াট টিম, পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটের সদস্যরা। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের...
    ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে। এবার শোভাযাত্রায় ছোট, বড়, মাঝারি মিলে ২১টি মোটিফ রয়েছে। এ ছাড়া ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করছে শোভাযাত্রায়।  আজ সোমবার সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। মোটিফগুলোর শুরুতে থাকছে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, এরপরে যথাক্রমে বাকি ছয়টি প্রধান মোটিফ- বাঘ, মাছ, পুতুল, পালকি, পানি লাগবে, ৩৬ জুলাই, তরমুজের পালি রাখা হয়েছে।   মোটিফের পরে রাখা হয়েছে পটচিত্রগুলো। পটচিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটচিত্র আকবর, পটচিত্র বেহুলা, গাজীর পট, পটচিত্র বনবিবি, পটচিত্র বাংলাদেশ ইত্যাদি। এ ছাড়াও রয়েছে মাঝারি ও ছোট মোটিফ।  জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে মারমা, ম্রো, চাকমা, খুমি ত্রিপুরা, পাঙখুয়া, রাখাইন, মনিপুরী, খাসিয়া, চা জনগোষ্ঠীসহ অনেকে।  শোভাযাত্রার নিরাপত্তা দিচ্ছে র‌্যাব, পুলিশের সোয়াট টিম, পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটের সদস্যরা।...
    বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আনন্দ নিয়ে ঘরে ফেরা হবে না সাধারণ মানুষের। বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়েই হোঁচট খেতে হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকেই সয়াবিন তেলের বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।  এর আগে ভোজ্যতেল দাম বড়ানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কয়েক দফা সভা হয়। তবে, সে সময় দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তারা। সরকার এবং ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দফায় দফায় দর কষাকষির পর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্ধিত নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার...
    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজকে সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ, নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন, আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।” বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজকে সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ, নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন, আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’ বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজকে সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ, নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন, আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’ বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। এতে বলা হয়, শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু নীলক্ষেত ও...
    যখন বৈশাখের সকালটা কুয়াশা সরিয়ে রঙের খেলা শুরু করে, তখনই যেন এ অঞ্চলের বাংলাভাষী মানুষের প্রাণ জেগে ওঠে। ঢোলের শব্দে, পান্তা-ইলিশের গন্ধে, লাল-সাদা শাড়ির ছটায় বাংলা নববর্ষ হয়ে ওঠে এক উজ্জ্বল, আনন্দঘন, বর্ণিল দিন।   কিন্তু এই উল্লাস-আনন্দ কি কেবল অভিজাত সৌরভে মোড়ানো? নাকি এর পেছনে আছে দীর্ঘ এক সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা—রাজনীতি, প্রতিরোধ আর আত্মপরিচয়ের সন্ধান?বাংলা নববর্ষের সূচনা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। কেউ বলেন, মোগল সম্রাট আকবর রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে হিজরি ও সৌর বর্ষের মিলনে ‘ফসলি সন’ চালু করেছিলেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট আকবর তৎকালীন খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে উপদেষ্টা ফতেউল্লা সিরাজীকে নতুন পঞ্জিকা তৈরি করার দায়িত্ব দেন। ফতেউল্লা সিরাজী ছিলেন সম্রাট আকবরের দরবারের একজন বিদ্বান আলিম ও প্রশাসনিক উপদেষ্টা। বাংলা সনের সংস্কারের দায়িত্ব পেয়ে তিনি স্থানীয় সৌর সন ও...
    ‘তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥ ... এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ কালের গর্ভে হারাল পুরোনো বছরের সব পঙ্কিলতা, সব পাপ-তাপ ধুয়ে-মুছে নতুন দিনের উজ্জ্বল আভায় হাসবে স্বদেশভূমি, বর্ণিল সুখচ্ছটায় ভাসবে মানবজীবন– এই প্রত্যাশা নিয়েই শুরু বঙ্গাব্দ ১৪৩২। স্বাগত বাংলা নববর্ষ।  আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা সংস্কৃতির সবচেয়ে প্রাণবন্ত, হৃদয়ছোঁয়া ও সর্বজনীন উৎসব। বছরের প্রথম সূর্যের আলোয় বাঙালির হৃদয়ে জেগে ওঠে আশার গান। এই দিনে পুরোনো গ্লানি ঝেড়ে শুরু হয় নতুন পথচলা। বাংলা নববর্ষ শুধু একটি দিন নয়; এটি বাঙালির জীবনে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ঐক্য ও প্রাণের মিলনমেলা। এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন...
    রৌদ্রকরোজ্জ্বল বৈশাখী দিন ফিরে এল আবার। সুরে-বাণীতে, সাজসজ্জায়, আহারে-বিহারে, আনন্দ-উল্লাসে আজ সোমবার বাংলার নতুন বছর ১৪৩২ বরণ করে নেবে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে দেশের সব মানুষ। পুরোনো ব্যর্থতা ঝেরে ফেলে সবার কল্যাণ কামনায় উদ্‌যাপিত হবে নববর্ষের উৎসব। নববর্ষকে আবাহন জানিয়ে বহুকণ্ঠে ধ্বনিত হবে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো...।’বাংলা নববর্ষের চেয়ে বড় কোনো সর্বজনীন উৎসব দেশে আর নেই। এ কারণে মানুষে মানুষে মহাপ্রাণের মিলন ঘটানোর বর্ষবরণের এই উৎসব গভীর তাৎপর্যময় হয়ে আছে আমাদের জীবনে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এবার নতুন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য তাই ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।মূল প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয়ভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে নববর্ষ উদ্‌যাপনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। উৎসব অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিদের নিজ...
    গতকাল রোববার ছিল ৩০ চৈত্র। বাংলা ১৪৩১ সনের শেষ দিন। বছরের শেষ দিনকে বিদায় জানাতে এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘চৈত্রসংক্রান্তি’ উৎসব। বর্ষবিদায়ে ছিল গান, নাচ, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন।আজ সোমবার পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ সনের প্রথম দিন। বাংলা পুরোনো বছরের বিদায় এবং নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও চৈত্রসংক্রান্তির মধ্য দিয়ে চারুকলা অনুষদের তিন দিনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে মুখোশ, কাগজের ঘূর্ণি, রঙিন কাগজ, তালপাতা, বাঁশসহ নানা গ্রামীণ উপকরণ দিয়ে বকুলতলা সাজানো হয়। পূর্বনির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বকুলতলায় চৈত্রসংক্রান্তি অনুষ্ঠান শুরু হয়।চারুকলার শিক্ষার্থী আরিবা, সিন্দিত, শর্মীর সমবেত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো/ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক’ গান দিয়ে শুরু...
    পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিবিপ্রবি) নানা আয়োজন এবং বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৪র্থ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে।  রোববার বেলা ১১টায় প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।  অনুষ্ঠানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিন, পিবিপ্রবির সিন্ডিকেট সদস্য ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  অতিথিদের নিয়ে বেলুন উড়িয়ে ও কেক কেটে ৪র্থ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন পিবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম। পরে উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে একটি আনন্দ র‍্যালি শহরের সিও অফিস মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়। পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা, সমতা...
    রোববার ছিল ৩০ চৈত্র। বাংলা ১৪৩১ সনের শেষ দিন। বছরের শেষ দিনকে বিদায় জানাতে এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘চৈত্রসংক্রান্তি’ উৎসব। বর্ষবিদায়ে ছিল গান, নাচ, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন।সোমবার পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ সনের প্রথম দিন। বাংলা পুরোনো বছরের বিদায় এবং নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও চৈত্রসংক্রান্তির মধ্য দিয়ে চারুকলা অনুষদের তিন দিনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে মুখোশ, কাগজের ঘূর্ণি, রঙিন কাগজ, তালপাতা, বাঁশসহ নানা গ্রামীণ উপকরণ দিয়ে বকুলতলা সাজানো হয়। পূর্বনির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বকুলতলায় চৈত্রসংক্রান্তি অনুষ্ঠান শুরু হয়।চারুকলার শিক্ষার্থী আরিবা, সিন্দিত, শর্মীর সমবেত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক’ গান দিয়ে শুরু হয় এ আয়োজন।এরপর...
    সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে আজ সোমবার শুরু হচ্ছে পক্ষব্যাপী বৈশাখী মেলা। সোনারতরী লোকজ মঞ্চে সকাল সাড়ে ১০টায় এর উদ্বোধন হবে। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি হওয়ায় একই সঙ্গে এখানে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবও উদযাপিত হবে। এদিকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের নানা সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তেঘরিয়া বিটি মাঠের মূল অংশের বাইরে বৈশাখী মেলা আয়োজনের জন্য উপজেলা বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এক দিনের এই আয়োজনের জন্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে ১৭টি শর্ত। সোনারগাঁয়ের কারুশিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইলিয়া সুমনা। এতে কারুশিল্পীদের হাতের  তৈরি জামদানি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠ খোদাইশিল্প, পটচিত্র, শোলা শিল্প,  বাঁশ-বেতশিল্প ও আদিবাসী কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন ও বিপণনের সুযোগ থাকছে।  এ ছাড়াও মেলামঞ্চে প্রতিদিন...
    পরিবর্তনের আহ্বানে নতুন আলোর পথে ঐক্যের ডাক নিয়ে এলো বাঙলা নববর্ষ। আজ সোমবার পয়লা বৈশাখ। সুর-গীত, শোভাযাত্রা আর বহুত্বের আনন্দ আয়োজনে বৈশাখের প্রথম প্রভাতে নতুন বর্ষকে বরণে প্রস্তুত গোটা বাংলাদেশ। বাজবে ঢাকা, বাজবে বাদ্য-বাঁশি, কণ্ঠ উঠবে শিল্পীর, রঙিন পোশাক পরবে বাঙালি, উৎসব হবে দেশজুড়ে। ‘এসো হে বৈশাখ’ অনুরণন তুলবে লাল-সবুজে হৃদয় মোড়া বাংলাদেশে। চৈত্রসংক্রান্তির মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরের বিদায় ঘটিয়ে জরাজীর্ণতা ভুলে নতুন সূর্যোদয় নিয়ে আসবে নবঘন দিন; আজ পয়লা বৈশাখ, বাংলা বর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম আলো ছড়িয়ে পড়বে এই দেশে, আমাদের বাংলাদেশে। নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বর্ণিল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে সরকারি, বেসরকারি এবং প্রাতিষ্ঠাকিন, সামাজিক ও পারিবারিক পরিসরে। সুন্দরের আহ্বানে মাঠে-ময়দানে, সাজানো ছাউনিতে, অডিটোরিয়ামে, সরকারি-বেসরকারি ভবন ও প্রাঙ্গণে, রাজপথে, ফুটপাতে, পার্কে, খোলা আকাশের...
    সালটা সম্ভবত ১৯৬৬। আমি তখন ৮। বাবা সদ্য দেশে ফিরেছেন, ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি শেষ করে। আমাদের জয় করতে ছুটির দিনে পুরোনো গিটারে ধরেন– ‘আগে জানলে, আগে জানলে তোর ভাঙ্গা নৌকায় চড়তাম না... আর দূরের পাড়ি ধরতাম না।’  শুক্রবারে নিয়ে এলেন নতুন এক খেলা। ‘ঘুম থেকে ওঠো সব, আসছে পহেলা বৈশাখ’। আমাদের তো অনেক নববর্ষের কার্ড বানাতে হবে। আমাদের আজিমপুর কলোনির ২৬/এ বাসায় যেন উত্তেজনার বন্যা বইছে। পেইন্ট বক্স থেকে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ ইত্যাদি রং ঈগলুর ছোট ছোট কাপে গোলালেন। নিয়ে এসো তোমাদের ফেলে দেওয়া পুরোনো দাঁতের ব্রাশ। কাগজ কেটে লিখলেন শুভ নববর্ষ। তারপর যার যার খাতার পাতা দুই ভাঁজ করে ওপরে সেই ‘শুভ নববর্ষ’ লেখাটি সেঁটে দিয়ে শেখালেন, কী করে ব্রাশ রঙে চুবিয়ে তর্জনীর টান দিয়ে রঙের ফোয়ারা...
    হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটার এবং এর সংলগ্ন এলাকায় আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম। রোববার সন্ধ্যায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য বৈশাখী মেলার সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।  বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার জন্য ও বাঙালি জাতির প্রাণের এই উৎসবকে রাজধানীবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ বছর নানাবিধ আয়োজন করেছে রাজউক। পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্রেইন থিওরি নামক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় রাজউক এর তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয়েছে ২ দিন ব্যাপী এই চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণ উৎসব। রাজউক চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এবং এই আয়োজনকে উৎসব মুখর করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। বর্ষবরণের এই...
    বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টায় শুরু হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পুড়ে যাওয়ার পর সেটি আবার নতুন করে বানাচ্ছেন চারুকলার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।গতকাল শনিবার রাতেই থার্মোকল বা শোলা দিয়ে নতুন করে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানানোর কাজ শুরু হয়। আজ রোববার রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। রাতের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হতে পারে। নতুন করে তৈরি করা এই ‘মোটিফের’ উচ্চতা হতে যাচ্ছে ১৬ ফুট।আজ সন্ধ্যায় চারুকলা ঘুরে দেখা যায়, শোভাযাত্রার জন্য তরমুজের ফালি, বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা ও পালকির মোটিফ প্রস্তুত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন,...
    চৈত্রের শেষ বিকেল। সূর্যটা হেলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। ফিকে হতে শুরু করেছে দিনের আলো। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের নীলাভ আকাশে তখন শত রঙিন ঘুড়ির মেলা। কোনোটা সাদা, কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি। রঙের বৈচিত্র্যের সঙ্গে সঙ্গে ঘুড়ির আকার ও নামেও আছে বৈচিত্র্য। শত শত নারী-পুরুষ, শিশুরা রঙিন ঘুড়ির নেশায় মত্ত।ঘুড়ি নিয়ে কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা ওড়াতে ব্যস্ত। আবার কারও কারও ঘুড়ি না ওড়ায় হতাশ, তবে আকাশে ওড়াতে চেষ্টার শেষ নেই। অন্যদিকে চলছে মোরগ লড়াই, দড়ি টানাটানি খেলা। মাঠের একপাশে নাগরদোলায় চলছে উল্লাস। ছবি, সেলফি আর আড্ডায় খেলার মাঠটি যেন রঙে রঙিন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসবে রোববার বিকেলে এভাবেই মেতে উঠেছিলেন সবাই। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নন, সেই আনন্দে শরিক হয়েছিলেন খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আনন্দ আর প্রাণের এমন...
    বাঙালির অন্যতম উৎসব বাংলা নববর্ষের আগমনে সারা দেশজুড়ে বইছে আনন্দের হাওয়া। পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার আনন্দে উদ্দীপ্ত পুরো জাতি। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি সরকারি তিতুমীর কলেজও। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি শেষে আবারো চিরচেনা পরিবেশে ফিরেছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রান্ত। চলছে আগামীকালের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পূর্ব প্রস্তুতি। ক্যাম্পাসে ফিরে শিক্ষার্থীরা রংতুলি হাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আলপনা আঁকায়। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা গেছে, বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তা, অডিটোরিয়াম চত্বর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও বিভাগের প্রাঙ্গণ জুড়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে নানা রঙের মনোমুগ্ধকর আলপনা। যেন কলেজ প্রাঙ্গণ তার অতীতের সব গ্লানি ঝেড়ে ফেলে ফিরে পেয়েছে এক নতুন প্রাণচাঞ্চল্য। এসব আয়োজন বাংলা নববর্ষের আমেজকে আরো দ্বিগুণ করে...
    পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে রংতুলির আচড়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ। বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ এর বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রা ঘিরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। ইতোমধ্যে মুখোশসহ বিভিন্ন উপকরণের কাজ প্রায় শেষ। শোভাযাত্রার মোটিফ ফ্যাসিবাদের রাক্ষুসে মুখচ্ছবি পুড়িয়ে দেওয়ার পর নতুন করে ককশিট দিয়ে মোটিফ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তবে এটি নির্ধারিত সময়ের আগের নির্মাণ শেষ হবে কি না কিংবা শিল্পমান কেমন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। জুলাই বিপ্লবের পর প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান। আরো পড়ুন: ৩২ এর প্রজ্ঞাপন বাতিল না করলে ২৭ এপ্রিল সমাবেশ ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম খুঁজতে তদন্ত কমিটি ...
    পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসবের দিন, আনন্দের দিন, সম্প্রীতির দিন, সৌহার্দ্যের দিন। বাংলা ১৪৩২ সনকে বরণে রাজধানীজুড়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে শুরু হবে বৈশাখবন্দনা, নতুন বছরকে বরণ করার আয়োজন। বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানানো হবে এবার পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠানে। ছায়ানটের ৫৮তম এ আয়োজন ভোর সোয়া ৬টায় বৈশাখের ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে ভৈরবীর রাগালাপ দিয়ে শুরু হবে। এবারে অনুষ্ঠানের মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।  ছায়ানটের এবার অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসার গান ও আত্মবোধনের জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এতে থাকবে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও ৩টি পাঠ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে (সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে) অনুষ্ঠান শুরু...
    পয়লা বৈশাখ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উৎসব। যুগ যুগ ধরেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য আনন্দ উদ্‌যাপনে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের মানুষ। নতুন বছরে লাল–সাদা শাড়ি বা পাঞ্জাবি পরা, ইলিশ–পান্তা খাওয়া, রমনায় ‘এসো হে বৈশাখ…’ গানের সঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া দেশের ঐতিহ্যের অংশ। এ রকম বিশেষ উৎসবের দিনগুলোতে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে উপহার পেতে কে না পছন্দ করেন? মা–বাবার জন্য, স্ত্রী বা স্বামী বা সন্তানকে বিশেষ দিনে বিশেষ কিছু উপহার দিলে তাঁদের খুশি উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেয়।সাধারণত এসব ক্ষেত্রে নতুন কাপড়, জামা–জুতাই উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। কিন্তু যাঁরা একটু ভিন্ন কিছু পছন্দ করেন, তাঁদের খুশি করতে কী উপহার দেওয়া যায়? কেমন হয় যদি আমরা বৈশাখের খুশিতে প্রিয়জনকে ব্র্যান্ডের ঘড়ি দিই উপহার হিসেবে? ব্র্যান্ডের ঘড়ি এমন একটি জিনিস, যা যেকোনো...
    সাতক্ষীরায় প্রতিবছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকেও ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখ সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন কালেক্টরেট পার্কে জাতীয় সঙ্গীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশন করা হবে। সকাল সোয়া ৭টায় পুরুষরা সাদা ফতুয়া, গ্রামীণ চেকের লুঙ্গি ও লাল গামছা এবং নারীরা লালশাড়ি ও বৈশাখি শাড়ি পরিহিত অবস্থায় আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। আনন্দ শোভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শেষ...
    বিদায় ধ্বনি বেজে উঠছে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের। দুয়ারে কড়া নাড়ছে নতুন বাংলা বছর। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দেশবাসী বরণ করে নেবে বঙ্গাব্দ ১৪৩২। বাঙালির সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে বিভিন্ন প্রস্তুতি।   নববর্ষ উদযাপন বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষ অনুষঙ্গ হয়েছে। দিনটি উদযাপনের জন্য সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন-সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সারা দেশে তাই উৎসবের আমেজে চলছে বাঙালির প্রাণের উৎসবের প্রস্তুতি। এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পাল্টে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে। বাঙালির সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে, নতুন বছর বরণে রাজধানীতে হবে শোভাযাত্রা। এতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন মোটিফ থাকবে। বৈশাখ উদযাপনকে রঙিন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে জমে উঠেছে বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি। পহেলা বৈশাখ উৎসবের...
    নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের একাংশ। তারা আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে শোভাযাত্রা আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে আয়োজন করার নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন তারা। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। শিক্ষার্থীরা দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির সমাধান চাওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বানও জানান। আরো পড়ুন: ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি মার্চ ফর গাজা: মজলুমদের পাশে থাকার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের সংবাদ সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী...
    নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বর্তমান ও প্রাক্তন একদল শিক্ষার্থী। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ ব্যাখ্যার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।আজ রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে তাঁদের এ অবস্থান তুলে ধরেন। শোভাযাত্রা আয়োজন ঘিরে যে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার দুর্বলতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। পাশাপাশি এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদেরকে শোভাযাত্রা আয়োজনের দায়িত্ব না দেওয়ার সমালোচনা করেছেন তাঁরা।এ সময় শিক্ষার্থীরা এই শোভাযাত্রা ঘিরে দ্বন্দ্বমুখর পরিস্থিতির সমাধান চাওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।সংবাদ সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহরা নাজিফা বলেন, ‘এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা এবার “বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা”...
    ছোট ছোট শিশুদের হাতে রঙিন বেলুন, বাঁশি আর রকমারি খাবার। দুলছে নাগরদোলা। সেখানে রঙিন পোশাকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীর ভিড়। তৈরি হচ্ছে জিলাপি, সন্দেশ ও নানা পিঠাপুলি। জমজমাট এই দৃশ্য শতবর্ষী একটি চৈতালি মেলার। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের সাতআনী বাজারে শনিবার দিনভর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।শনিবার বিকেলে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বাজারের ভেতরে খোলা জায়গায় বসেছে চৈতালি মেলা। কী নেই সেখানে! মুড়িমুড়কির দোকান থেকে শুরু করে শরবত, পেঁয়াজু, বাদাম, জিলাপি, পিঠাপুলি, হালিম, চটপটি ও চানাচুর ভাজার পসরা সাজানো। বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে মাটির তৈজসপত্র, প্লাস্টিকের খেলনাসহ নানা পণ্য। বড় নৌকার আদলে বানানো নাগরদোলা চালানো হচ্ছে ডিজেল ইঞ্জিনে। সেটিতে চড়তে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন বয়সী লোকজন। পাশেই বিশাল আকারের উঁচু স্লিপার। সেখানে উৎফুল্ল শিশুরা যে যার মতো পিছলে নিচে নামছে। পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ...
    ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসু’র মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে রবিবার (১৩ এপ্রিল) থেকে। চাকমাদের উৎসবের দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিজু’ আজ। ঘরে ঘরে নানা প্রকার সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার পাজন দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করছেন তারা। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসেবর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে। ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসুর প্রথমদিনকে বলা হয় হারিবৈসু। এদিন ভোরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঘুম থেকে উঠে ঘর পরিষ্কার করেন। গোসল করে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং গয়না পরিধান করে নদী, ছড়া ও খালে গিয়ে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন তারা। আরো পড়ুন: বর্ষবরণে থাকছে ‘অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা’ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বাহারি রঙের ফুল কলাপাতায় সাজিয়ে মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালিয়ে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন ত্রিপুরা...
    মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ করার যৌক্তিক কারণ জানানোর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের চারুকলা অনুষদের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।  সোমবার ঢাবির চারুকলা অনুষদে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে জাহারা নাজিফা নামে একজন বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা হবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের মতামত ছাড়া এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা বাদ দেওয়ার একটি যৌক্তিক কারণ আমাদের দেখান। ১৯৮৯ সাল থেকে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে। এখানে এভাবে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছি।’ ভবিষ্যতে এ ধরনের জটিলতা এড়াতে নীতিমালা করার দাবি...
    ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ আগুনে পোড়ানোর তদন্ত খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে। সোমবার সকালে শোভাযাত্রা শুরুর আগেই জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করতে সম্ভব হব, ইনশাআল্লাহ।  রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, খুব শিগগির গ্রেপ্তারের খবর আপনাদের দিতে পারব আশা করি। আগামীকাল (সোমবার) আনন্দ শোভাযাত্রা শুরুর আগেই আগুনের ঘটনার মামলার ভালো খবর দেওয়া হবে।  নববর্ষের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকায় ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া রয়েছেন র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রমনার বটমূলে প্রবেশের জন্য তিনটা গেট এবং বের হওয়ার জন্য থাকবে দুইটা গেট। বিকাল পাঁচটার পর...
    ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ আগুনে পোড়ানোর তদন্ত খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে। সোমবার সকালে শোভাযাত্রা শুরুর আগেই জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করতে সম্ভব হব, ইনশাআল্লাহ।  রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, খুব শিগগির গ্রেপ্তারের খবর আপনাদের দিতে পারব আশা করি। আগামীকাল (সোমবার) আনন্দ শোভাযাত্রা শুরুর আগেই আগুনের ঘটনার মামলার ভালো খবর দেওয়া হবে।  নববর্ষের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকায় ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া রয়েছেন র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রমনার বটমূলে প্রবেশের জন্য তিনটা গেট এবং বের হওয়ার জন্য থাকবে দুইটা গেট। বিকাল পাঁচটার পর...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। এতে বলা হয়, শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু নীলক্ষেত ও পলাশী...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। এতে আরও বলা হয়, শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু নীলক্ষেত...
    আগামীকাল পয়লা বৈশাখ। চারুকলা অনুষদের আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবারও বের হবে শোভাযাত্রা। তবে শোভাযাত্রায় পরা যাবে না কোনো ধরনের মুখোশ এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সঙ্গে নিতে হবে পরিচয়পত্র।  সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা' শুরু হবে।  রবিবার(১৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সব জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। বিজ্ঞপ্তির বর্ণনায় বলা হয়, সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল...
    নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির’ মোটিফ পড়ানোর পর আবার নতুন করে তা বানানো হচ্ছে।  রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা 'ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি' বানানোর কাজ করছেন।  এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে আনন্দ শোভাযাত্রার অগ্রগতি পরিদর্শনকালে পুনরায় এই মোটিফ তৈরির কথা জানান (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।  উপাচার্য বলেন, “আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে বাঁধা এসেছে। এ ধরনের কাজে কিছু বাঁধা আসেই, ষড়যন্ত্র থাকবেই। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। এতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানাই। তবে চারুকলা প্রাঙ্গণে ফের মোটিফটি তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম চারুকলায় আনা হয়েছে এবং শিল্পীরা যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিকৃতি...
    বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অন্যতম প্রাণবন্ত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর ‘সাংগ্রাই’ উৎসব শুরু হয়েছে।  রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।  উৎসব উদ্বোধন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। তিনি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে শুভ সূচনা করেন।  বান্দরবানে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খিয়াং, খুমি, বমসহ ১১টি জাতিগোষ্ঠী এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে হাতে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে, গানের সুর ও তালের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শোভাযাত্রাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই উৎসবটি প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী নিজ নিজ নামে...
    ঘুড়ি উৎসব, লাঠিখেলা, সাপখেলা, নাগরদোলা, পুতুলনাচ—এমন নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাজানো হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। গ্রামীণ ঐহিত্য আর খুলনার আঞ্চলিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আয়োজিত ওই উৎসব হচ্ছে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর। ২০১৯ সালে সর্বশেষ এমন পরিপূর্ণ আয়োজন করতে পেরেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এবার নিরাপত্তার কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ভিন্নধর্মী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে। ১৩ এপ্রিল (বাংলা ৩০ চৈত্র) উদ্‌যাপন করা হয় চৈত্রসংক্রান্তি আর পরের দিনে বাংলা বর্ষবরণ। রকমারি গ্রামীণ খেলাধুলা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে দিন দুটি উদ্‌যাপন করা হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া কোভিড এবং পরে পয়লা বৈশাখের সময় রোজা,...
    এক যুগ পর পান্তা-ইলিশে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করতে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের পাঁচ হাজার বন্দী। শুধু পান্তা-ইলিশই নয়, সঙ্গে পাবেন পান-সুপারি। বৈশাখের আনন্দ আয়োজনের ষোলকলা পূরণ করতে বাদ যাবে না মিষ্টিও। বৈশাখ ঘিরে কারাগারের ভেতর বন্দীদের বিনোদন দিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। কারাবন্দী শিল্পীদের পাশাপাশি বাইরের সঙ্গীত শিল্পীর পরিবেশনার পরিকল্পনা রয়েছে কারা কর্তাদের। এরই মধ্যে পহেলা বৈশাখ উৎযাপনের বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।  এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন সমকালকে বলেন, কারাবন্দী সকল কয়েদি ও হাজতিকে পহেলা বৈশাখের দিন পান্তা-ইলিশ খাওয়ার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উৎযাপনের সকল প্রস্তুতি চলছে। কারাগারে ঠিকাদারের মাধ্যমে ইলিশ মাছ সংগ্রহ করা হচ্ছে। কারাগারের ভেতর বন্দীদের বিনোদনের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। বন্দীদের নিজস্ব একটি শিল্পী দল আছে- তারা গান গাইবেন। বাইরে থেকেও শিল্পী আনার...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান—   এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানিয়েছে।ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শোভাযাত্রার মোটিফ পোড়ানোর ঘটনা প্রমাণ করে, এত বড় একটি আয়োজনকে কেন্দ্র করে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বর্ষবরণের আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় এবং জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।আরও পড়ুনচারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ১৫ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিবছর চারুকলার নির্দিষ্ট ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে...
    প্রতি বৎসরের ন্যায় এইবারও রাজধানীতে বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হইতে যাইতেছে। উপরন্তু, অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীতে এইবারের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করিয়া এক ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ আয়োজনের প্রস্তুতি লইতেছে। বিশেষত ইহাতে বাঙালির পাশাপাশি পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের বিশেষ উপস্থিতি ঘটাইবার চেষ্টা চলিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই সর্বমহল উক্ত সরকারি প্রয়াসের প্রশংসা করিতেছে। তবে দুঃখজনকভাবে, এইবারের বাংলা বর্ষবরণও যেন বিতর্ক এড়াইতে পারিতেছে না। বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়াছে পহেলা বৈশাখের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আয়োজিত শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন ঘিরিয়া। শনিবার প্রকাশিত সমকালের সংবাদ অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত অনুষদের ডিনের ঘোষণা অনুসারে মঙ্গল শোভাযাত্রার নূতন নাম হইতেছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হইতে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান– সর্বত্র ইহা লইয়া চলিতেছে আলোচনা-সমালোচনা। শুধু উহা নহে, প্রতিবেদন অনুসারে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি হিসাবে নানা আকারের মুখোশ, মাটির সরায় রঙের আঁচড়...
    বৈশাখকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সর্বজনীন এই উৎসবকে রাঙাতে নতুন বিনিয়োগ এসেছে চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক মার্কেটে। বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতিকে ধারণ করে পোশাক বিক্রি করছেন দোকানিরা। অন্যদিকে বৈশাখকে উৎসবে পরিণত করতে নবরূপে সাজছে ডিসি হিল ও সিআরবির শিরীষতলা। সেখানে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ডিসি হিলে গতবার ৪২টি সংগঠন অংশ নিলেও এবার নিচ্ছে ৫৩টি সংগঠন। সিআরবির সিরীষতলায়ও এবার বেড়েছে অংশগ্রহণকারী সংগঠনের সংখ্যা। গতবার ৩৯টি সংগঠন অংশ নিলেও এবার সেখানে দেখা যাবে ৫৬টি সংগঠনকে। প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাদশা মিয়া সড়কে থাকা চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটও। তারা বের করবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। চারুকলার আঙিনাজুড়ে তাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শিক্ষার্থীদের নানা রঙের উপকরণ। এই আঙিনা মুখর করে রেখেছেন এখন শিক্ষার্থীরা।  কাঠের ফ্রেমে কেউ বসাচ্ছেন মুখোশ। কেউবা বাঘের অবয়ব ফুটিয়ে তুলছেন রংতুলিতে। পহেলা বৈশাখের সকালে চারুকলা...
    পাহাড়ে শুরু হয়েছে বৈশাখের প্রধান সামাজিক উৎসব। এতে আছে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রাই, পাতা উৎসব। গতকাল শনিবার থেকে তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান নিয়ে তিন পার্বত্য জেলা এখন উৎসবের জনপদ। উৎসবের প্রথম দিন শনিবার ছিল ফুল বিজু। বাংলা বর্ষের শেষ দু’দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালন করে থাকে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়। এদিকে উৎসব ঘিরে তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা মেলার আয়োজন করেছে। উৎসব ঘিরে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরের বাজারগুলো সরগরম। পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ১৩ ভাষাভাষী ১৪টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হচ্ছে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রাই ও পাতা। এসব উৎসবকে চাকমা সম্প্রদায় বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা...
    পহেলা বৈশাখে পাড়ার ছেলেমেয়েরা একত্র হয়ে নববর্ষ বরণ করবে। নিজেদের হাতে রান্না করা নানা পদের খাবার আয়োজনেরও পরিকল্পনা ছিল। সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে আনন্দ-উৎসবের প্রস্তুতি ছিল তাদের। বর্ষবরণের এ আয়োজন হওয়ার কথা ছিল কেয়া সর্দারের বাড়িতে। পহেলা বৈশাখ বাড়িতে বন্ধুরা আসবে বলে খেজুর গাছের কাঁচা পাতা কেটে এনে রান্নাঘর পরিষ্কার করছিল কেয়া। এক পর্যায়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়ে সে। তারপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এতে বৈশাখ আর বন্ধুরা আসার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেল কেয়া (১২)। তাঁর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে সহপাঠী, বন্ধু ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গত শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার সোলাপাড়া পশ্চিম তালপাড়ায় রামচন্দ্র রায়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কেয়া সর্দার মহল্লার রামচন্দ্র সর্দারের মেয়ে। সে সোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী...
    দারুণ দারুণ চমকের সঙ্গে হারল্যান স্টোর নিয়ে এলো নববর্ষের সেরা ক্যাম্পেইন ‘বৈশাখী ঝড়’ অফার। ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনে দেশব্যাপী সব হারল্যান স্টোরে মাত্র ১ হাজার টাকার কেনাকাটায় ভোক্তারা পাচ্ছেন ফ্ল্যাট ১০% ছাড় এবং দেড় হাজার টাকার শপিংয়ে ফ্ল্যাট ১৫% ছাড়।  নির্দিষ্ট হারল্যান জোনে মাত্র ২ হাজার টাকার শপিংয়ে মিলছে স্পিন হুইলে অংশগ্রহণ করে অসংখ্য আকর্ষণীয় পুরস্কার জেতার সুযোগ। মাত্র ৩ হাজার টাকার কেনাকাটায় থাকছে একটি এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। অথেনটিক লাক্সারি স্কিন কেয়ার ও কালার কসমেটিকস পণ্য কিনে নববর্ষের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলতে দেশজুড়ে দেড় শতাধিক হারল্যান স্টোর আউটলেটে, নির্দিষ্ট হারল্যান জোনে গ্রাহকদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় ডিস্কাউন্টসহ হাজার হাজার উপহার সমাহার। হারল্যানের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, “এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয়...
    ‘বাতাস ওঠে, বৃষ্টি নামে/ আকাশ-জোড়া মেঘলা খামে...’। দিনটা চৈত্রের হলেও সকালটা এ রকমই ছিল বৃষ্টিভেজা, মেঘলা মেঘলা। ঝিরিঝিরি, দমকা হাওয়া বইছে। মেঘলা খামের মতো মেঘ ভাসছে আকাশে। হঠাৎ করে হালকা ফোঁটায়, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে আসছে। অনেক দিনের তৃষ্ণার্ত মাটি, বুক পেতে টেনে নিয়েছে বৃষ্টির জল। গাছের পাতায় পাতায় তখন বৃষ্টির গান। পাতারা অবিরল বৃষ্টিতে ধুলাবালু মুছে দীর্ঘদিনের অতৃপ্ত স্নান সেরে সবুজ হয়ে উঠছে, লাবণ্য ফুটছে গাছে গাছে।শীতের দীর্ঘ সময় গেছে। তারপর এসেছে ফাল্গুন–চৈত্র মাস। বসন্তজুড়ে পাতা ঝরে পড়েছে। গাছে গাছে পাতারা খয়েরি রং ধরেছে, ধূসর হয়েছে। তত দিনে চৈত্রের গরম ছড়িয়ে গেছে প্রকৃতিতে, বাতাসে। ধীরে ধীরে মানুষ, প্রকৃতি সবাই বৃষ্টিকাতর হয়ে পড়েছে। টানা খরা ফসলের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। মৌসুমি বিভিন্ন জাতের ফসলের ফুল, কুঁড়ি ঝরে পড়ছে। শুকিয়ে মরছে...
    ফুল বিজু উৎসবে রমনার লেকে ফুল ভাসিয়ে পার্বত্যবাসীর মঙ্গল কামনা করে পার্বত্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “আমাদের অনাগত দিনগুলো যেন ভালোভাবে আসে। আমাদের সকলের মাঝে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি, এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ যাতে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, পাহাড়ি-বাঙালি যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঝে মিলেমিশে থাকে এবং তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।” শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স থেকে রমনা পার্ক লেকে র‌্যালিসহ ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ফুল বিঝু উৎসব পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। পার্বত্য জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’ বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে...
    চা–বাগানের শ্রমিক কলোনির সামনে ফুটবল মাঠের মাঝখানে নানা রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দর্শকসারি। মাঠের একপাশে উঁচু মঞ্চে উঠলেন অতিথিরা। তাঁদের বক্তব্যের পর মঞ্চ থেকে শুকনো রং ছিটিয়ে শুরু হয় ফাগুয়া উৎসব। এরপর একে একে মঞ্চে ওঠেন চা জনগোষ্ঠী শিল্পীরা। নানা গানে ও নৃত্যে তুলে ধরেন তাঁদের জীবনকাহিনি।শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা–বাগানের মাঠে এমন দৃশ্য দেখা যায়। জেলা প্রশাসন ও ফাগুয়া উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত উৎসবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসলাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও ফাগুয়া উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রীতম দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে অনুষদের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। এতে অনুষদের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। আজ শনিবার রাতে এ মানববন্ধন হয়। এ সময় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ১৪৩২–এর আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম শেখ ও সদস্যসচিব অধ্যাপক কাওসার হাসান টগর উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুনচারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ১২ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক কাওসার হাসান বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ গোষ্ঠীর সরাসরি হস্তক্ষেপে গভীর রাতে নির্মিতব্য প্রতীকী ফ্যাসিবাদী মুখাবয়বে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাশে থাকা শান্তির প্রতীক কবুতরের মোটিফটিও পুড়ে যায়। আমরা চারুশিল্পীরা এতে দমে যাইনি; বরং দ্বিগুণ উৎসাহে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা আয়োজনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’পয়লা বৈশাখ সকাল আটটায় আনন্দ শোভাযাত্রায় উৎসাহ–উদ্দীপনার...
    পহেলা বৈশাখে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য নির্মাণাধীন ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্রদল। শনিবার (১২ এপ্রিল) পৃথক বিবৃতিতে সংগঠন দুইটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শোভাযাত্রার মোটিফ পোড়ানোর ঘটনা প্রমাণ করে, এতবড় একটি আয়োজনকে কেন্দ্র করে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বর্ষ বরণের আয়োজনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো সক্রিয় এবং জোরদার করতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই। আরো পড়ুন: মার্চ ফর গাজা:...
    জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া শাখার নেতাকর্মীরা এক ঈদ পুনর্মিলনীতে অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতায় তিনি বলেন, সবাই বলছেন এবারের ঈদ ছিল স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের আনন্দময় ঈদ। কিন্তু আমার ঈদটা আনন্দের যায়নি, কারণ এবার এতজন সন্তানহারা মা, স্বামীহারা স্ত্রী, বাবাহীন সন্তান বিষন্ন ইফতার-সাহরির রমজান পার করে ঈদের সম্মুখীন হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সদস্য সুলতান মারুফ তালহা ঈদ পুনর্মিলনীতে সভাপতিত্ব করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া শাখার সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা রেজাউল করিম রিন্টু, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেল, বাগোয়ান কেসিপিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম,...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি রাক্ষুসে স্বৈরাচারের মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।   ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মুখে কালো মাস্ক পরা একজনকে আগুন দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল প্রাং। তিনি জানান, ওই ব্যক্তির পরনে ছিল জিন্স, মুখে কালো মাস্ক। তিনি ঠান্ডা মাথায় মোটিফটিতে আগুন দেন। তবে তার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।   আরো পড়ুন: ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতিতে আগুনহুমকি পেয়েও নিরাপত্তা জোরদার করেনি ঢাবি প্রশাসন ঢাবিতে পরিচ্ছন্ন সবুজ ক্যাম্পাসের প্রস্তুতি সভা বর্ষবরণে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’তে আজ ভোর পৌনে ৫টার সময় আগুন দেওয়া হয়। এতে প্রতিকৃতিটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। মোটিফটির পাশে থাকা পায়রার প্রতিকৃতিও...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়া ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গেছে। মোটিফ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে মুখে মুখোশ লাগানো কালো জামা পরিহিত অজ্ঞাত যুবককে প্রাচীর টপকে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন দিতে দেখা গেছে। এ সময় মোটিফের আশপাশে নিরাপত্তারক্ষী, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য অথবা পুলিশের কেউ উপস্থিত ছিল না। শনিবার ভোর চারটা ৪৪ মিনিট থেকে ৪টা ৫০ মিনিটের মধ্যে আগুন লাগিয়ে বের হয়ে যায় অপরিচিত সেই যুবক। সিসিটিভি ফুটেজ এবং সরেজমিন ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে। আনন্দ শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত দুই সপ্তাহ থেকে চারটি মোটিফ তৈরির কাজ চলছিল চারুকলা জয়নুল গ্যালারি সংলগ্ন মাঠে। একটি প্যান্ডেলে পাশাপাশি চারটি মোটিফ তৈরি করছিলেন শিল্পীরা। এরমধ্যে শেখ হাসিনার ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’র মোটিফটিকে লক্ষ্য করেই আগুন দেওয়া হয়। সেই...
    ভণিতানববর্ষ উৎসবকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকে। এই উৎসবটি মারমাদের কাছে ‘সাংগ্রাইং’, চাকমাদের কাছে ‘বিজু’ এবং ত্রিপুরাদের কাছে ‘বৈসু’ নামে পরিচিত। আবার ম্রো জনগোষ্ঠীর কাছে এটি ‘চাংক্রান’, চাক জনগোষ্ঠীর কাছে ‘সাংগ্রাইং’, খুমী জনগোষ্ঠীর কাছে ‘সাংক্রাইং’, খেয়াং জনগোষ্ঠীর কাছে ‘সাংরান’ এবং তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর কাছে ‘বিষু’ নামে পরিচিত। আবার বাংলা পঞ্জিকায় এই সময়টিকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘মহা বিষুব সংক্রান্তি’ হিসেবে। আমরা ধরে নিতে পারি, আদিবাসীদের উপরোক্ত বিভিন্ন শব্দাবলির উৎপত্তি ঘটেছে এই ‘বিষুব সংক্রান্তি’ শব্দদ্বয় থেকে।নববর্ষ উৎসবের পরিব্যাপ্তি ও বিশ্বজনীনতাপার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই উৎসব উদযাপনের রেওয়াজ রয়েছে। বাংলাদেশের বাঙালি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ‘চৈত্র পরব’ বা ‘বিয়ু পরব’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের রাখাইন জনগোষ্ঠীর কাছে এটি পরিচিত ‘সাংগ্রাইং’ হিসেবে। কমলগঞ্জের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের কাছে এটি ‘বিষু’...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে আগুন লেগে ‘আনন্দ শোভাযাত্রার’ একাধিক মোটিফ পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়েছে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ ঘটনা পরিকল্পিত বলেও উল্লেখ করেন তারা।  একইসঙ্গে অবিলম্বে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় সংগঠনটি।   শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষ‌রিত এক বিবৃতিতে এ দা‌বি জানা‌নো হয়।  বিবৃ‌তি‌তে নেতৃবৃন্দ ব‌লেন, বাঙালি জাতির ঐতিহ্যের স্মরক পয়লা বৈশাখ। এ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের আর মাত্র দুইদিন বাকি। আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য ফ্যাসিস্টদের প্রতিকৃতি তৈরিসহ অন্যান্য প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ দিকে তখন শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর রাতে চারুকলা অনুষদের চার...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ উপলক্ষে বানানো আলোচিত মোটিফ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ষবরণে ‘আনন্দ শোভাযাত্রায়’ প্রদর্শনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ থেকে নির্মিত দানবীয় ফ্যাসিস্টের প্রতীকী মোটিফ পোড়ানোর ঘটনা তদন্তের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল এবং সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী। কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন...
    দেশের প্রথম প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন প্রতিবারের মত এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নির্মাণ করেছে বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন। নাটকীয়ভাবে এর প্রতিটি আইটেম উপস্থাপন করা হয়। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন। পহেলা বৈশাখ হচ্ছে লোকজের সঙ্গে নাগরিক জীবনের একটি সেতুবন্ধ। ব্যস্ত নগর কিংবা গ্রামীণ জীবন যেটাই বলা হোক না কেন, এই নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। বৈশাখী পাঁচফোড়নের এই পর্বে দেখা যাবে পহেলা বৈশাখের দিনে এক দম্পতি পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের বিভিন্ন কথোপকথনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোটিং।এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি বিজরী বরকতউল্লাহ ও ইন্তেখাব...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে একটি পোস্ট করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘হাসিনার দোসররা গতকাল ভোর রাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেনো আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘কালকে রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে...
    দেশের সমৃদ্ধি, পার্বত্য চট্টগ্রামের সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে নদীতে ফুল নিবেদনের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার থেকে তিনদিনব্যাপী পাহাড়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু-বিষু-বিহু সাংক্রাইন, সাংক্রান, পাতা’র আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। ভোরে শিশু ও নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে গঙ্গা মা’র উদ্দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে পানিতে কলাপাতায় ফুল নিবেদন করেন।  শনিবার প্রথম দিন ফুল বিজুর দিনে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু-বিষু-বিহু সাংক্রাইন, সাংক্রান, পাতা- উদযাপন কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সকাল ৭টায় রাজ বন বিহার পূর্বঘাটে পানিতে ফুল নিবেদন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার। এ সময় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একটি নৃত্য পরিবেশন করা হয়। পরে শোভাযাত্রাসহ ঘাটে গিয়ে  পানিতে ফুল নিবেদন করা হয়। এ সময় শিশুসহ...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফ কে বা কারা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এ জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ নামের মোটিফ দুটিতে আগুন দেওয়া হয় বলে ধারণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ। এ ঘটনায় সকালে চারুকলা অনুষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফ বানান। অন্যান্য মোটিফের সঙ্গে প্রতীকী দানবীয়...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।  আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে একটি পোস্ট করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘হাসিনার দোসররা গতকাল ভোর রাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেনো আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘কালকে রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফ কে বা কারা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এ জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ নামের মোটিফ দুটিতে আগুন দেওয়া হয় বলে ধারণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ। এ ঘটনায় সকালে চারুকলা অনুষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফ বানান। অন্যান্য মোটিফের সঙ্গে প্রতীকী দানবীয়...
    কদমপুর গ্রামে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মেলা বসে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে মেলায়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মেলা বসেছে। জারার শখ বৈশাখী মেলায় যাওয়া। সে কখনো বৈশাখী মেলায় যায়নি। তাই সে আগে থেকে বায়না ধরলো যে মেলায় যাবে। জারার বাবা নিয়ে যেতে রাজি হলেন। জারা খুশিতে হাততালি দিলো। সে তার রুমে গিয়ে ক্যালেন্ডারে দেখলো; আর মাত্র দুই দিন বাকি। অপেক্ষার পালা যেন জারার শেষই হতে চায় না।  যখন অপেক্ষার পালা শেষ হয় জারা যেন আনন্দে আত্মহারা! সে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে তৈরি হয়ে নেয়, মেলায় যাবে বলে। বাবা মেয়েকে দেখে চিনতে পারলেন না। অবাক হয়ে বলেন, এটা কী আমার জারা? জারা বলে, বাবা মজা করোনা তো। আমি তোমারই জারা। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও বাবা। বাবা তৈরি হলেন।...
    খোরশেদ আলম নয়ন  প্রিয় বৈশাখ শুকনো পাতায় ছাওয়া-আমাদের ঘর এই গড়ে-এই ভাঙে-বৈশাখী ঝড় মেঘনার কালো জল ঢেউ ওঠে কূলে ঘাটে বাঁধা ডিঙি নাও কেঁপে ওঠে দুলে। আমের বনের ছায়ে-জাগে কোলাহল হঠাৎ বৃষ্টি এসে এক হাঁটু জল বৈশাখে ছিলো ঝড়-বোশেখ মেলা ছিলো আরো দুরন্ত কিশোর বেলা। দিদির আঁচলে ঘেরা-নিবিড় মায়া ছিলো মেঘনার তীর-বটের ছায়া, ভাটির দেশের নাও-মাটির পুতুল বারোয়ারি মেলা জুড়ে-কাগজের ফুল। হাতের রঙিন চুড়ি-পায়ের নূপুর ‘বউ কথা কও’ ডাকা উদাস দুপুর বোশেখ দিনের সেই-স্বপ্নমধুর- মেলায় কেনা বাঁশি-খুঁজে আজো সুর। নাগরদোলায় দোলা-স্বপ্নিল দিন ছিলো চির মধুময় স্মৃতি অমলিন। সবুজ প্রান্ত ছুঁয়ে যতো দূর যাই শ্যামল এ বাংলার রূপ খুঁজে পাই। পুরাতন গ্লানি মুছে-নতুনের ডাক নিয়ে আসে বার বার প্রিয় বৈশাখ।     উৎপলকান্তি বড়ুয়া  বোশেখের পয়লা রাত শেষে ভোর হলো জেগে...
    ‘চড়কের উৎসব, গাজনের গান।/সেই সঙ্গে বর্ষ হইল অবসান।’ চৈত্রের শেষ, বৈশাখের শুরু। বিবিধ উৎসবের রঙে বর্ণময় বর্ষবিদায়ী দিন। চৈতালি ফসলের ঘ্রাণে মেতে ওঠা গ্রামে লাগে পুরাতনী পার্বণের ধুম। গাজন, চড়ক, নীল উৎসব, খেজুর ভাঙা, তালতলার শিরনি আরও নানা আয়োজন। মাসজুড়ে চলে শিব-গৌরী নৃত্য, গাজনের বাদ্য, ঘোড়দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, লাঠিখেলা আর বাহারি মেলা। সনাতনী পাড়াগুলোয় শিব শিব রব। ‘সংক্রান্তি’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো সূর্য বা গ্রহাদির এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে গমন বা সঞ্চার। চৈত্রসংক্রান্তি হলো চৈত্র মাসের শেষ দিন। এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও, কালের পরিক্রমায় বাঙালি উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিন পুরোনো বছরের আবর্জনা ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়। ঘরদোর, আসবাবের পাশাপাশি গ্রামের কাঁচামাটির ঘরগুলো এঁটেল মাটিতে লেপে পরিপাটি করা হয়। গৃহবধূর হাতের আলতো পরশে হরিদ্রাভ হয়ে ওঠে মাটির আঙিনা।...
    চার দশক আগের কথা। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল (বাংলা ১৩৯২ সালের প্রথম দিন) ভোরে যশোর শহরে বের হয় বর্ণিল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীর পক্ষে তখন অনুমান করা সম্ভব ছিল না, পরের বছরগুলোয় এটা কীভাবে দ্রুত জেলার সীমানা ডিঙিয়ে যাবে এবং বাংলা বর্ষবরণের এক প্রধান ঐতিহ্যের জন্ম দেবে। বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন জাতিসংঘের ইউনেস্কো স্বীকৃত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এর সূচনা চারুপীঠ যশোরে। ওই শোভাযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে নিজ জেলায় ফেরা মাহবুব জামাল শামীম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু শিল্পী হীরণ্ময় চন্দসহ কয়েকজন।  গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ঘোষণা করা হয়। সেই সময় শোভাযাত্রার অন্যতম উদ্যোক্তা শামীম তাঁর প্রিয় প্রাঙ্গণ যশোর পৌর পার্কে অবস্থিত...
    দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের ব্যান্ডসংগীতে অবদান রাখছে ব্যান্ড দল ‘চিরকুট’। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও সুনাম ছড়িয়েছে চিরকুট। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির কাছে চিরকুটের গান ও দলপ্রধান শারমিন সুলতানা সুমির কণ্ঠ মানেই অন্য রকম আবেগ। বেশকিছু অ্যালবাম ও গান দলটি প্রকাশ করেছে। আট বছর পর এবার চতুর্থ অ্যালবাম নিয়ে আসছে চিরকুট। এখন এক গানের চল। এমন সময় অ্যালবাম প্রকাশ সাহসী উদ্যোগ।  অ্যালবামের ঘোষণা ও নাম আগেই এসেছিল। এবার জানা গেল চলতি মাসের শেষদিকে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে তাদের নতুন এ অ্যালবাম। তবে অ্যালবামের নাম ‘পেন্ডুলাম’ থাকছে না। শিগগিরই আসছে নামের ষোষনা।  সবশেষ ‘চিরকুট’ তাদের তৃতীয় অ্যালবাম বের করেছিল ২০১৭ সালে। অ্যালবামের নাম ছিল ‘উধাও’। যেখানে ‘টিভি’, ‘নিয়ম বুঝি না’, ‘উধাও’, ‘তারুণ্য’, ‘কেউ জোনাক জ্বালো’, ‘কাঁটাতার’সহ মোট ছয়টি গান ছিল। জানা...
    বাংলা বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’ আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে এটি আনন্দ শোভাযাত্রা হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়। প্রায় ২৮ বছর পর এটি পুরনো নামে ফিরল।  এদিকে ইঙ্গিত করে উপাচার্য বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দুটো মেসেজ (বার্তা) আছে। একটি হচ্ছে- একটি নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান। রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের...
    বাংলা বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’ আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সালে এটি আনন্দ শোভাযাত্রা হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়। প্রায় ২৮ বছর পর এটি পুরনো নামে ফিরল।  এদিকে ইঙ্গিত করে উপাচার্য বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দুটো মেসেজ (বার্তা) আছে। একটি হচ্ছে- একটি নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান। রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের...
    ‘ঈদের আনন্দ নিয়ে সকালে নামাজ পড়তে গেলাম। ফিরে এসে দেখি পুরো বাড়ি জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে। বাঁধ ভেঙে পুরো গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পুরো গ্রামবাসীর ঈদের আনন্দ নিমেষেই শেষ।’ আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘ইয়ুথ ক্লাইমেট স্ট্রাইক’শীর্ষক এক কর্মসূচিতে এভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে উপকূলবর্তী মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেছেন সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের এস এম শাহিন।সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনার সংশোধন, জলবায়ু সুবিচার, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অগ্রাধিকার ও জলবায়ু অর্থায়নে উন্নত দেশের প্রতিশ্রুতি রক্ষার দাবিতে বিশ্বব্যাপী এই কর্মসূচির মূল আয়োজক স্কুলশিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’। এই সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশে এই কর্মসূচি পালন করে জলবায়ুকর্মীদের সংগঠন ‘ইয়ুথ নেট’।এস এম শাহিন বলেন, ‘উন্নত বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে উঠেছে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়ে...
    নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম বদল প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেছেন, এটিকে তাঁরা নাম পরিবর্তন বলতে চান না। তাঁরা বলছেন, নাম পুনরুদ্ধার। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম বদল বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন আজহারুল ইসলাম।পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদ্‌যাপনের বিভিন্ন দিক জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আগে নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।চারুকলা অনুষদের ডিন বলেন, ১৯৮৯ সালে যখন তাঁরা শিক্ষার্থী ছিলেন, তখন এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। পরবর্তীতে এটি মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে পরিবর্তন হয়। ইতিহাসে দেখা যাবে, ১৯৮৯ সালে যে আয়োজনটি হয়েছিল, সেটির স্বতঃস্ফূর্ততা কতটুকু ছিল। আর পরবর্তীতে মঙ্গল শোভাযাত্রার সময়ে কী...
    বর্ষবরণের আয়োজন নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও সংলগ্ন শাহবাগ মেট্রো স্টেশন পয়লা বৈশাখের দিন সাময়িক বন্ধ থাকবে। পহেলা বৈশাখ ও বর্ষবরণের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, নববর্ষের দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টিএসসি ও শাহবাগ মেট্রো স্টেশন সাময়িক বন্ধ থাকবে। আরো পড়ুন: বর্ষবরণে থাকছে ‘অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা’ বৈশাখী মেলা সামনে রেখে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের প্রথম বর্ষবরণের যাবতীয় আয়োজনে থাকছে অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার বার্তা; সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের কালপর্ব শেষে বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চার...
    গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের প্রথম বর্ষবরণের যাবতীয় আয়োজনে থাকছে অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার বার্তা; সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের কালপর্ব শেষে বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চার মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত এক বৈশাখ এবার দেখা যাবে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান আয়োজকরা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও নববর্ষ বরণ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ভাবনার কথা তুলে ধরেন চারুকলার ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, “আমরা একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে বৈশাখ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” আরো পড়ুন: ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ কিরিবাতি থেকে বাংলাদেশ, পঁচিশের বর্ণিল বরণ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে,...