চলতি মাসেই আসছে চিরকুটের নতুন অ্যালবাম
Published: 11th, April 2025 GMT
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের ব্যান্ডসংগীতে অবদান রাখছে ব্যান্ড দল ‘চিরকুট’। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও সুনাম ছড়িয়েছে চিরকুট। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির কাছে চিরকুটের গান ও দলপ্রধান শারমিন সুলতানা সুমির কণ্ঠ মানেই অন্য রকম আবেগ। বেশকিছু অ্যালবাম ও গান দলটি প্রকাশ করেছে। আট বছর পর এবার চতুর্থ অ্যালবাম নিয়ে আসছে চিরকুট। এখন এক গানের চল। এমন সময় অ্যালবাম প্রকাশ সাহসী উদ্যোগ।
অ্যালবামের ঘোষণা ও নাম আগেই এসেছিল। এবার জানা গেল চলতি মাসের শেষদিকে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে তাদের নতুন এ অ্যালবাম। তবে অ্যালবামের নাম ‘পেন্ডুলাম’ থাকছে না। শিগগিরই আসছে নামের ষোষনা।
সবশেষ ‘চিরকুট’ তাদের তৃতীয় অ্যালবাম বের করেছিল ২০১৭ সালে। অ্যালবামের নাম ছিল ‘উধাও’। যেখানে ‘টিভি’, ‘নিয়ম বুঝি না’, ‘উধাও’, ‘তারুণ্য’, ‘কেউ জোনাক জ্বালো’, ‘কাঁটাতার’সহ মোট ছয়টি গান ছিল। জানা গেছে, অ্যালবামে থাকবে ১০টি গান। অ্যালবাম সম্পর্কে আগে সুমী বলেছিলেন, ‘অনেক যত্ন নিয়ে আমরা চতুর্থ অ্যালবামটি তৈরি করছি। দীর্ঘ বিরতির পর শ্রোতাদের জন্য অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছি বিষয়টি মনে হলে আনন্দ পাচ্ছি।
নিজেদের চতুর্থ অ্যালবামের গানগুলো নিয়ে এ শিল্পী আরও বলেন, ‘চিরকুট আমাদের কাছে শুধু ব্যান্ড নয়, একটি পরিবার। এখন রাতদিন করে আমরা সবাই কাজ করছি। আমাদের সব পরিশ্রম শুধু ভক্তদের জন্য। তারা আমাদের কাছে সব। আশা করছি, নতুন অ্যালবামের প্রতিটি গান হৃদয় জুড়িয়ে দেবে। প্রায় গানে সমসাময়িক বিষয় তুলে আনার চেষ্টা ছিল; যা বিগত দিনে চিরকুটের গানে খুঁজে পেয়েছেন ভক্তরা। তাদের কথা মাথায় রেখে আমাদের চতুর্থ অ্যালবামের কাজ করেছি।’
সুমী গত ১০ এপ্রিল সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘ভালোবাসা আর আবেগ দিয়ে আমাদের সকল প্রেরণার উৎস দেশ-বিদেশে অগণিত শ্রোতাদের জন্য তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ মৌলিক সম্পূর্ণ নতুন ১০টি গানের এ এ্যালবাম। মোট ২০টি গান তৈরি হয়েছিল। এর মধ্য থেকে ১০ টি বেঁছে ১০টি গান নির্বাচন করেছি। আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখিনি। এ্যালবামের নামও চূড়ান্ত হয়েছে। আশা রাখি জানাবো আগামী সপ্তাহে। নতুন মুখ, নতুন গান; বাংলা নতুন বছরের প্রাক্কালে শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত আমরা। নিজেদের ভাষায়, চিন্তায়, নিজেদের সৃষ্টির এ শীতল ছায়া ভ্রমন তৈরি করতে পারার আনন্দ অপার্থিব।
২০১০ সালে নিজেদের প্রথম অ্যালবাম ‘চিরকুটনামা’ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে চিরকুট। এরপর তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘যাদুর শহর’ প্রকাশ হয় ২০১৩ সালে। নিজেদের গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেও প্রশংসা কুড়িয়েছে দলটি। সে তালিকায় আছে ‘ডুব’ সিনেমার ‘আহা জীবন’, ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার ‘না জানি দুনিয়া’, ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার ‘এ শহরের কাকটাও জেনে গেছে’ প্রভৃতি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব য ন ড দল আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে নতুন শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং আরো কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে ‘পারস্পরিক’ শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এর মধ্য চীন থেকে আমদানি করা এসব পণ্যেও নতুন শুল্ক কার্যকর হবে না। চীন থেকে পণ্য আমদানিতে সম্প্রতি ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বেশিরভাগ দেশের ওপর ট্রাম্প যে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, সেই শুল্ক এবং চীনের ওপর আরোপিত উচ্চ হারের ‘পারস্পরিক’ শুল্কের আওতার বাইরে থাকবে এসব পণ্য।
আরো পড়ুন:
পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক আলোচনা
পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দূতের ৪ ঘণ্টা বৈঠক
এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করছিল যে, পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। কারণ অনেক ডিভাইসই চীনে তৈরি হয়।
চীনের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কে এটাই প্রথম বড় ধরনের ছাড়। একজন বাণিজ্য বিশ্লেষক একে 'পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া পরিস্থিতি' বলে উল্লেখ করেছেন।
শনিবার রাতে মিয়ামি সফরের সময় ট্রাম্প বলেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে তিনি ছাড়ের বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানাবেন।
এই ছাড়ের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর, সোলার সেল, মেমোরি কার্ডসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং উপাদানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের প্রযুক্তি গবেষণার বৈশ্বিক প্রধান ড্যান আইভস এক্স পোস্টে বলেছেন, “প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য শুল্ক ছাড় হচ্ছে স্বপ্নের মতো। চীনা শুল্কের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন, চিপ বাদ দেওয়া একটি গেইম-চেঞ্জার পরিস্থিতি।”
অ্যাপল, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানি এবং বিশাল প্রযুক্তি খাত এই সপ্তাহান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চীন থেকে কারখানা যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে আরো সময় দিতে এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর নির্ভর করে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি যেমন: সেমিকন্ডাক্টর, চিপ, স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ উৎপাদন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এসব কোম্পানি এখন দ্রুত তাদের উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।”
যুক্তরাষ্ট্র আইফোনের অন্যতম প্রধান বাজার। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অ্যাপলের মোট স্মার্টফোন বিক্রির অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য অ্যাপলের যেসব আইফোন তৈরি করা হয়, সেগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ প্রস্তুত করা হয় চীনে। বাকি ২০ শতাংশ তৈরি করা হয় ভারতে।
স্যামসাং-এর মতো অ্যাপলও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের উপর নির্ভরতা কমাতে নিজেদের সরবরাহে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। এদিকে চীনের পর ভারত ও ভিয়েতনাম ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ম্যানুফ্যাকচারিং কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।
শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর অ্যাপল ভারতে তৈরি ডিভাইসের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/ফিরোজ