Samakal:
2025-04-13@02:10:16 GMT

বৈশাখ ঘিরে সরগরম বাণিজ্যপাড়া

Published: 12th, April 2025 GMT

বৈশাখ ঘিরে সরগরম বাণিজ্যপাড়া

বৈশাখকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সর্বজনীন এই উৎসবকে রাঙাতে নতুন বিনিয়োগ এসেছে চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক মার্কেটে। বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতিকে ধারণ করে পোশাক বিক্রি করছেন দোকানিরা। অন্যদিকে বৈশাখকে উৎসবে পরিণত করতে নবরূপে সাজছে ডিসি হিল ও সিআরবির শিরীষতলা। সেখানে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ডিসি হিলে গতবার ৪২টি সংগঠন অংশ নিলেও এবার নিচ্ছে ৫৩টি সংগঠন। সিআরবির সিরীষতলায়ও এবার বেড়েছে অংশগ্রহণকারী সংগঠনের সংখ্যা। গতবার ৩৯টি সংগঠন অংশ নিলেও এবার সেখানে দেখা যাবে ৫৬টি সংগঠনকে।
প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাদশা মিয়া সড়কে থাকা চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটও। তারা বের করবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। চারুকলার আঙিনাজুড়ে তাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শিক্ষার্থীদের নানা রঙের উপকরণ। এই আঙিনা মুখর করে রেখেছেন এখন শিক্ষার্থীরা।  কাঠের ফ্রেমে কেউ বসাচ্ছেন মুখোশ। কেউবা বাঘের অবয়ব ফুটিয়ে তুলছেন রংতুলিতে। পহেলা বৈশাখের সকালে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হবে শোভাযাত্রা। আর চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে এবার বের হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। প্রতিবছর এটি মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে বের হলেও এবার পরিবর্তন করা হয়েছে এই নাম।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আয়াজ মাহমুদ বলেন, সকাল ৮টায় শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। এখানে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসিসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। আগে এ শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা হলেও সরকারের সিদ্ধান্তে এবার আনন্দ শোভাযাত্রা নামকরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিআরবি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংস্কৃতিকর্মী ফারুক তাহের বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি ঐতিহ্য। এটার নাম পরিবর্তন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ইউনেস্কো স্বীকৃত একটি ঐতিহ্যের নাম পরিবর্তন না করাই কাঙ্ক্ষিত ছিল। তার পর মঙ্গল শোভাযাত্রা হোক আর আনন্দ শোভাযাত্রা হোক–মানুষ এতে স্বতঃফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন– এটি ভালো দিক। চট্টগ্রামে আমরা দুই দিনের বর্ষবরণ ও বিদায়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করছি। সিআরবিতে গত বছরের তুলনায় এবার সাংস্কৃতিক সংগঠনের আগ্রহ বেড়েছে। গত বছর ৩৯টি সংগঠনের পরিবেশনা থাকলেও এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬টি সংগঠন পরিবেশনা উপস্থাপন করবে।
ডিসি হিলে নববর্ষ উদযাপন পরিষদের অন্যতম সংগঠক প্রণব চৌধুরী বলেন, ডিসি হিলে আয়োজন এই প্রথমবারের মতো সংক্ষিপ্তভাবে হতে যাচ্ছে। এটি আমাদের সংস্কৃতিকর্মীদের মনে পীড়া দিচ্ছে। তবুও সাধারণ মানুষকে সুন্দর আয়োজন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গতবার ৪২টি থাকলেও এবারে তা বেড়ে ৫৩টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈশাখ ঘিরে সরগরম মার্কেট
ঈদের পর এসে গেছে বৈশাখ। তাই ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের মার্কেটগুলো। বৈশাখকে সামনে রেখে আকর্ষণীয় পোশাকের সমাহার ঘটিয়েছেন বিভিন্ন বিপণি কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা। নগরীর নিউমার্কেট, মিমি সুপারমার্কেট, বালি আর্কেড, চক সুপারমার্কেট, স্বজন সুপারমার্কেট, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট, লাকি প্লাজা, আখতারুজ্জামান সেন্টার, ইউনুস্কো সেন্টার, আফমি প্লাজা, সেন্ট্রাল প্লাজা, বে-শপিং সেন্টার, ষোলশহর শপিং কমপ্লেক্সে সহস্রাধিক দোকান এনেছে অত্যাধুনিক পোশাক। বাংলাদেশের বুটিকের পাশাপাশি পাকিস্তান, ভারতীয় ও আফগানিস্তানের পোশাক তোলা হয়েছে দোকানে। পাঞ্জাবিতে বিভিন্ন ধরনের নকশা, লেস ও সিক্যুয়েন্সের কাজ করেছেন ডিজাইনাররা।
চট্টগ্রাম ডিজাইনার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও রওশন বুটিক হাউসের মালিক রওশন আরা চৌধুরী বলেন, বছরজুড়ে আমাদের লক্ষ্য থাকে পহেলা বৈশাখ আর ঈদ। এ দুটি কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় পরিকল্পনাটাও সেভাবে সাজান ডিজাইনাররা। বাড়াই তারা বিনিয়োগও। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফ্যাশন হাউস শৈল্পিকের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম ইলিয়াস বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে বৈশাখের পোশাকে ডিজাইন করেছি আমরা। আমাদের ৫৪টি শোরুম রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঈদ ও বৈশাখকে ঘিরে এগুলোতে প্রায় ১৫ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করেছি আমরা।’ 
সতর্ক আছে প্রশাসন
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছে সিএমপি। সম্প্রতি নগরের দামপাড়া সিএমপি সদরদপ্তরে নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়ার কথা জানানো হয়। এতে পুলিশের নিয়মিত সদস্যের পাশাপাশি বিশেষায়িত প্রশিক্ষিত ইউনিট সোয়াট, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, ডিবিসহ বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। অনুষ্ঠান ঘিরে সতর্কতা ও  নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরেন সিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্‌) মো.

রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
নগরের সিআরবি শিরীষতলায় বর্ষ বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে নববর্ষ উদযাপন পরিষদ। এবারও তারা দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। পরিষদের উৎসব কমিটির আহবায়ক হাসান মারুফ রুমি সমকালকে বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে সমন্বয় বৈঠকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে বর্ষ বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করছি।’
নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, উপপুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া ও উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) মো. মাহবুব আলম খান এবং সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ, নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ডিজিএফআই, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে মঙ্গল শব্দ বাদ দিয়ে আনন্দ শব্দ ব্যবহারের দাবি করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা এ দাবি জানান। এতে মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার বলে উল্লেখ করেন হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান। এর পর মঙ্গল শব্দ বাদ দিয়ে এবার আনন্দ শোভাযাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্টরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আনন দ শ ভ য ত র শ ল পকল এক ড ম ড জ ইন ইউন ট স গঠন স আরব স এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষ উপলক্ষে গুলশানে থাকছে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান

গুলশান সোসাইটির উদ্যোগে এবং ‘অলিগলি বর্ষবরণ বন্ধুগণ’–এর আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উৎসব ‘অলিগলি হালখাতা’। এবার উৎসব হবে দুই দিনব্যাপী; এর মধ্যে ১৩ এপ্রিল হবে চৈত্রসংক্রান্তি এবং এর পরদিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল বাংলা বর্ষের প্রথম দিন হবে বর্ষবরণ উৎসব। এবারের আয়োজনে চারু কারু প্রদর্শনী, পালা গান, আলপনা, নৃত্য অনুষ্ঠান এবং গল্প–আলাপসহ নানা আয়োজন থাকবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন আয়োজকেরা। গুলশান সোসাইটির উদ্যোগে এবং ‘অলিগলি বর্ষবরণ বন্ধুগণ’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, মহাসচিব সৈয়দ আহসান হাবীব, সদস্য শ্রাবন্তী দত্তসহ কমিটির অন্য সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের দুই দিনব্যাপী বর্ষবরণ ১৪৩২ ‘অলিগলি হালখাতা’ অনুষ্ঠিত হবে গুলশানের বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কে। আয়োজনের প্রথম দিন থাকবে চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজন। এদিন বিকেল ৪টা থেকে চারু কারু প্রদর্শনী, রাত ৮টায় ইসলাম উদ্দিন পালাকারের পালা গান, রাত ৯টায় আলপনা আলাপ, রাত ১০টায় পার্কের সামনে থেকে গুলশান–২ মোড় পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে আলপনা অঙ্কন করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা এতে অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলা নতুন বছরের দিন, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের দিনব্যাপী উৎসব শুরু হবে সকাল থেকেই। এদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে থাকবে রেচেল প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর দলের বর্ষবরণ নৃত্য। এরপর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ এবং গুলশান সোসাইটি ও অলিগলি-বর্ষবরণ বন্ধুরা। এরপর সকাল ১০টায় ব্যান্ডদল জলের গানের পরিবেশনায় থাকবে ‘গানালাপ’।

এবারের বর্ষবরণ উৎসবে আরও থাকবে চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘আর্ট ক্যাম্প’। এতে থাকবেন চিত্রশিল্পী ফরিদা জামান, কনকচাঁপা চাকমা, শিশির ভট্টাচার্য, জামাল আহমেদ, মোহাম্মদ ইউনুস, আহম্মেদ শামসুদ্দোহা, শেখ আফজাল, মোহাম্মদ ইকবাল, বীরেন সোম, আনিসুজ্জামান, বিশ্বজিৎ গোস্বামী। এ আয়োজনও হবে সকাল ১০টায়। এরপর সকাল ১১টায় ‘সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক ‘ভাবালাপ’–এর প্রথম পর্বে কথা বলবেন সাংবাদিক নূরুল কবীর, সংস্কৃতিজন সারা যাকের, নাট্য ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন এবং অধ্যাপক প্রশান্ত ত্রিপুরা। এ পর্বে সঞ্চালনা করবেন সাঈদ ফিরদৌস।

এরপর বেলা ১২টায় শুরু হবে ‘ভরদুপুরের গল্পসল্প’। ‘ভাবালাপ’–এর দ্বিতীয় পর্বে ‘জনপরিসরে নারীর উপস্থিতি’ নিয়ে আলাপ করবেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার শুক্লা সিরাজ, শিক্ষক মিথিলা মাহফুজ, আদিবাসী অ্যাকটিভিস্ট ডালিয়া চাকমা। বিকেল ৪টায় পাড়ার বাচ্চাদের সমবেত নৃত্যে অংশ নেবে গুলশান-বনানী-বারিধারা-উত্তরা অঞ্চলের শিশু–কিশোরেরা। ‘সব সখি মিলি গাই মঙ্গলগান’–শীর্ষক আয়োজনটি শুরু হবে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে; এলকেজি স্টুডিওর পরিচালনায় এতে গাইবেন সভ্যতা, সুমেল, আনান, জয়িতা, নাভিন, লাবিক।

দিনব্যাপী আয়োজনে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সমগীত গানের দলের পরিবেশনা, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে বাপ্পা মজুমদার ও দলছুটের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে আয়োজনের।

আয়োজকেরা বলছেন, একটি প্রগতিশীল সমাজ গড়তে প্রয়োজন শিল্প-সংস্কৃতি-শিল্পীর নিরাপদ মর্যাদাপূর্ণ কদর, শুধু ভালোবাসা তার জন্য যথেষ্ট নয়। এমন একটা সংস্কৃতি গড়ে তোলা তাঁদের এই উদ্যোগের অন্যতম উদ্দেশ্য। যখন সমাজে নানামুখী বিদ্বেষ-ঘৃণা-ভয়-উগ্রতা, নারীর প্রতি সহিংসতা দেখা যায়, এ সময় সেই সংকট অতিক্রম করতে উদারনৈতিক মানবতাবাদী ধারার সংস্কৃতিই হতে পারে পাথেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুনের প্রতিবাদে চারুকলার সামনে মানববন্ধন
  • গুলশানে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনব্যাপী ‘অলিগলি হালখাতা’
  • পাহাড়ে বর্ষবরণ: উৎপত্তি, মিথ এবং বিভিন্ন দেশের উৎসবের সঙ্গে যোগসূত্র
  • নববর্ষ উপলক্ষে গুলশানে থাকছে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান
  • নববর্ষের দিন টিএসসি-শাহবাগ মেট্রো স্টেশন ‘সাময়িক বন্ধ থাকবে’
  • বর্ষবরণে থাকছে ‘অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা’
  • ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
  • আলোয় আলোয় মুক্তির বারতা দেবে ছায়ানট
  • চট্টগ্রামের ডিসি হিলে নববর্ষ উদযাপনের অনুমতি মিলেছে