‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পহেলা বৈশাখের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়। যা শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।
শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছল নারীদের মাথায় শোভা পায় নানান রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি।
আগুনে পোড়া ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ নতুন করে বানিয়ে আনা হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়। এছাড়া, শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে রয়েছে বড় আকৃতির ইলিশ মাছ, কাঠের বাঘ, ঘোড়া, পাখি, পালকি, মুগ্ধর পানির বোতল, ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তরমুজের ফালি, সুলতানি ও মুঘল আমলের মুখোশ, রঙিন চরকি, তালপেতার সেপাই, পটচিত্র।
অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর এবারই প্রথম পহেলা বৈশাখ উদযাপন যাচ্ছে দেশে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইউনেস্কোর অপরিমেয় বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া বর্ষবরণের 'মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদলে এবার রাখা হয়েছে বর্ষবরণের ‘আনন্দ শোভযাত্রা’।
এদিকে, শনিবার ভোরে চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে মাস্ক পরা এক যুবককে আগুন দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। পারে দু’দিনের মধ্যে আবারও ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত শাসক শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি তৈরি করেন শিল্পীরা।
মোটিফ পোড়ার পেছনে ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দোসরদের’ হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ঢাকা/সুকান্ত/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আনন দ শ ভ চ র কল
এছাড়াও পড়ুন:
ছবিতে রমনার বটমূলের বর্ষবরণ
২ / ৯নববর্ষকে আবাহন জানিয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো...’