Samakal:
2025-04-13@05:28:16 GMT

বৈশাখী মেলা ও জারার আনন্দ

Published: 11th, April 2025 GMT

বৈশাখী মেলা ও জারার আনন্দ

কদমপুর গ্রামে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মেলা বসে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে মেলায়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মেলা বসেছে। জারার শখ বৈশাখী মেলায় যাওয়া। সে কখনো বৈশাখী মেলায় যায়নি। তাই সে আগে থেকে বায়না ধরলো যে মেলায় যাবে। জারার বাবা নিয়ে যেতে রাজি হলেন। জারা খুশিতে হাততালি দিলো। সে তার রুমে গিয়ে ক্যালেন্ডারে দেখলো; আর মাত্র দুই দিন বাকি। অপেক্ষার পালা যেন জারার শেষই হতে চায় না।  যখন অপেক্ষার পালা শেষ হয় জারা যেন আনন্দে আত্মহারা! সে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে তৈরি হয়ে নেয়, মেলায় যাবে বলে। বাবা মেয়েকে দেখে চিনতে পারলেন না। অবাক হয়ে বলেন, এটা কী আমার জারা? জারা বলে, বাবা মজা করোনা তো। আমি তোমারই জারা। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও বাবা। বাবা তৈরি হলেন। জারাদের বাড়ি থেকে কদমপুর গ্রাম বেশি দূরে নয়। হেঁটে যেতে সময় লাগে কুড়ি মিনিটের মতো। তারা হেঁটে রওনা দিলো মেলার উদ্দেশে। যেতে যেতে অনেক মানুষের সাথে দেখা হলো, যারা তাদের মতো মেলায় যাচ্ছে। মেলায়  গিয়ে পৌঁছালো সকাল আটটা বিশ মিনিটে। মেলায় প্রবেশ করে জারা আবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো হস্তশিল্পের দিকে। বাবা বলেন, কিছু খেয়ে নেওয়া দরকার। জারা তাতে রাজি হলো। সামনের দিকে এগোতেই তারা খাবারের স্টল দেখতে পেলো। স্টলে গিয়ে পান্তা ইলিশ পেট পুরে খেলো। তারপর মেলায় ঘুরে জারা মাটির পুতুল, হাতপাখা, মিষ্টি, সন্দেশসহ কতো কী নিলো। মেলায় জারার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে নাগরদোলায় চড়ে। সবশেষে বাবার হাত ধরে রাজ্যের আনন্দ নিয়ে বাড়ির পথ ধরে জারা। 

n বয়স : ২+৩+৩+৪+৪ বছর; একাদশ শ্রেণি, কালীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাঁদপুর 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ খ উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

বৈশাখী মেলা ও জারার আনন্দ

কদমপুর গ্রামে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মেলা বসে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে মেলায়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মেলা বসেছে। জারার শখ বৈশাখী মেলায় যাওয়া। সে কখনো বৈশাখী মেলায় যায়নি। তাই সে আগে থেকে বায়না ধরলো যে মেলায় যাবে। জারার বাবা নিয়ে যেতে রাজি হলেন। জারা খুশিতে হাততালি দিলো। সে তার রুমে গিয়ে ক্যালেন্ডারে দেখলো; আর মাত্র দুই দিন বাকি। অপেক্ষার পালা যেন জারার শেষই হতে চায় না।  যখন অপেক্ষার পালা শেষ হয় জারা যেন আনন্দে আত্মহারা! সে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে তৈরি হয়ে নেয়, মেলায় যাবে বলে। বাবা মেয়েকে দেখে চিনতে পারলেন না। অবাক হয়ে বলেন, এটা কী আমার জারা? জারা বলে, বাবা মজা করোনা তো। আমি তোমারই জারা। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও বাবা। বাবা তৈরি হলেন। জারাদের বাড়ি থেকে কদমপুর গ্রাম বেশি দূরে নয়। হেঁটে যেতে সময় লাগে কুড়ি মিনিটের মতো। তারা হেঁটে রওনা দিলো মেলার উদ্দেশে। যেতে যেতে অনেক মানুষের সাথে দেখা হলো, যারা তাদের মতো মেলায় যাচ্ছে। মেলায়  গিয়ে পৌঁছালো সকাল আটটা বিশ মিনিটে। মেলায় প্রবেশ করে জারা আবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো হস্তশিল্পের দিকে। বাবা বলেন, কিছু খেয়ে নেওয়া দরকার। জারা তাতে রাজি হলো। সামনের দিকে এগোতেই তারা খাবারের স্টল দেখতে পেলো। স্টলে গিয়ে পান্তা ইলিশ পেট পুরে খেলো। তারপর মেলায় ঘুরে জারা মাটির পুতুল, হাতপাখা, মিষ্টি, সন্দেশসহ কতো কী নিলো। মেলায় জারার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে নাগরদোলায় চড়ে। সবশেষে বাবার হাত ধরে রাজ্যের আনন্দ নিয়ে বাড়ির পথ ধরে জারা। 

n বয়স : ২+৩+৩+৪+৪ বছর; একাদশ শ্রেণি, কালীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাঁদপুর 

সম্পর্কিত নিবন্ধ