আবার বানানো হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’, সকাল ৯টায় আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু
Published: 13th, April 2025 GMT
বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টায় শুরু হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পুড়ে যাওয়ার পর সেটি আবার নতুন করে বানাচ্ছেন চারুকলার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শনিবার রাতেই থার্মোকল বা শোলা দিয়ে নতুন করে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানানোর কাজ শুরু হয়। আজ রোববার রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। রাতের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হতে পারে। নতুন করে তৈরি করা এই ‘মোটিফের’ উচ্চতা হতে যাচ্ছে ১৬ ফুট।
আজ সন্ধ্যায় চারুকলা ঘুরে দেখা যায়, শোভাযাত্রার জন্য তরমুজের ফালি, বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা ও পালকির মোটিফ প্রস্তুত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুন্দর কাজ হচ্ছে। আশা করা যায়, আমরা মোটিফ তৈরির কাজ শেষ করতে পারব।’
এর আগে গতকাল শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি পোড়া অবস্থায় দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ধারণা, ভোরে সেগুলো আগুনে পুড়ে যায়। এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছিলেন, ‘আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে বাধা এসেছে। এ ধরনের কাজে কিছু বাধা আসেই, ষড়যন্ত্র থাকবেই।’
চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বানানো হয়েছে বাঘ ও ৩৬ জুলাই মোটিফ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ র কল
এছাড়াও পড়ুন:
হামজার সব গল্পে এখন শুধু বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ
২০ দিন আগে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলে গেছেন হামজা চৌধুরী। শেফিল্ড ইউনাইটেড নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করা এই তারকার মনের বড় অংশজুড়ে এখন একটাই নাম বাংলাদেশ! বাবার সঙ্গে কথা হলেই বাংলাদেশ নিয়ে গল্প জুড়ে দেন। এমনকি পরিবারের সদস্যরা এক হলেও বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কথা হয়। ইংল্যান্ড থেকে আজ প্রথম আলোকে এমনটাই জানিয়েছেন হামজার বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী।
গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজার। তার আগে ১৭ মার্চ সিলেটে পা রাখার পর বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটের নিজ বাড়ি পর্যন্ত উষ্ণ অভ্যর্থনা পান হামজা।
সে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কথা বলেছে। আসলে বাংলাদেশে গিয়ে এত মানুষের ভালোবাসা পেয়ে সে খুবই আনন্দিত। এখন কথা হলেই ও বাংলাদেশ নিয়ে বলে।মোর্শেদ চৌধুরী, হামজা চৌধুরীর বাবাবাবার সঙ্গে হামজা চৌধুরী