‘উৎসবের উচ্ছ্বাসে আজ মেতেছে সারা দেশ’
Published: 14th, April 2025 GMT
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
সেখানে তিনি লেখেন, “এই ভুখণ্ডে নতুন বছর আসে কেবল বাঙালির জন্য, এই উৎসব তাই কেবল বাঙালির প্রাণের উৎসব’- এই বছর থেকে এই ক্ষুদ্রতা থেকে আমাদের মুক্তি ঘটবে এই প্রত্যয়ে অগণিত প্রাণের এই শোভাযাত্রা। চাকমা, মারমা, গারো, বাঙালিসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর উৎসবের উচ্ছ্বাসে আজ মেতেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সারা দেশ। বাংলাদেশের প্রাণের উৎসবে সবাইকে শুভেচ্ছা।”
এদিকে, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতে যুক্ত হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রাটি এবার আয়োজিত হয়েছে নতুন নামে। আগে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নামে এই শোভাযাত্রা হলেও এবার এটিকে বলা হচ্ছে 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'। তবে নাম পরিবর্তন কারণে ভাটা পরেনি এই শোভাযাত্রার আমেজে।
ঢাকা/মামুন/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারাবন্দিদের অন্যরকম বর্ষবরণ
চার দেয়ালের ভেতরে বন্দিরা বর্ষবরণের আনন্দ থেকে যাতে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য বর্ষবরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছিল রাঙামাটি জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে কারাগারের ভেতরে পাহাড়ি নৃত্যে গান গেয়ে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব পালন করেন তারা।
এরপর তাদের পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ এবং পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী পিঠা খেতে দেওয়া হয়। এ সময় জেল সুপার মো. দিদারুল আলম, জেলার মো. সাইমুর উপস্থিত ছিলেন।
কারাবন্দিদের দুপুরে পোলাও, মুরগীর মাংস, ডাল, সালাদ, পান, সুপারি, মিষ্টি পরিবেশন করা হয়। রাতেও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
আরো পড়ুন:
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
টিএসসিতে ‘ভালো কাজের হালখাতায়’ মনের যত কথা
রাঙামাটি জেল সুপার মো. দিদারুল আলম জানান, পরিবার থেকে দুরে থাকা বন্দিরা যাতে বর্ষবরণের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে এই আনন্দ আয়োজন করা হয়েছে। যেহেতু বর্ষবরণ পাহাড়ের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী উৎসব, তাই কারাগারে বন্দি বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী গানে নেচে এই উৎসব উদযাপন করে।
ঢাকা/শংকর/বকুল