2025-04-19@00:18:12 GMT
إجمالي نتائج البحث: 290

«র নববর ষ»:

(اخبار جدید در صفحه یک)
    বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ বরণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি।  সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা নগরভবন প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা, পান্তা-ইলিশ উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ডিএনসি। পুরো আয়োজনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের বার্তা ফুটে ওঠে। সোমবার নববর্ষ বরণে ডিএনসিসির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আরো পড়ুন: সেনাপ্রধানের ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন ‘নতুন আলোয়’ ঐক্যের ডাকে এলো নববর্ষ ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী প্রধান অতিথি হিসেবে বৈশাখী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।   নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সকাল ৮টায় নগর ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে গোলাপ শাহ মাজার প্রদক্ষিণ করে আবার নগর ভবনে এসে শেষ হয়।  জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে...
    বাঙালির কাছে পহেলা বৈশাখ মানেই স্মৃতিবিধুরতা। সাজ-পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা, হালখাতা— সবকিছুতেই বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। যদিও সময়ের সঙ্গে এসবের অনেক কিছু বদলে গেছে। নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে স্মৃতিকথা লিখেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।   ছোটবেলায় মা বলতেন, ‘নতুন বছরে তুমি যা করবে, সারাবছর সেরকমই চলবে।’ তাই কাজ দিয়ে শুরু করাটাই আমার মনে হয়, সবথেকে ভালো। আর কাজ মানেই আমার কাছে ‘হ্যাপি প্লেস’। এবারের পহেলা বৈশাখে আমার ‘রক্তবীজ টু’-এর শুটিং রয়েছে। সেটেও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষে খাওয়াদাওয়া আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পহেলা বৈশাখ বলে নয়, আমি বরাবরই খাদ্যরসিক। কিন্তু যেদিন থেকে নিরামিষাশী হয়ে গিয়েছি, সেদিন থেকে অবশ্য খুব একটা খাওয়া হয় না। অগত্যা মিষ্টিটাই এখন আমার কাছে সবথেকে প্রিয়। নতুন বছরের শুরুটা হোক মিষ্টি...
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে এবার নতুন পরিবেশে হয়েছে বর্ষবরণ। কেমন ছিল এবারের আয়োজন? বিস্তারিত দেখুন সুকান্ত বিশ্বাসের তোলা ছবি নিয়ে এবারের ফটোফিচারে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বেরিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়’ মানুষেল ঢল নামে আরো পড়ুন: পুরোদমে চলছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি, জিম্বাবুয়ে আসছে মঙ্গলবার বাংলাদেশে তিনটি বড় হাসপাতাল করতে চায় চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়’ নানা আয়োজন  সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় আনন্দ শোভাযাত্রাটি শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’  ছায়ানটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা আনন্দ শোভাযাত্রায় চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। এতে শহীদ মুগ্ধের পানি বিতরণের স্মৃতি হিসেবে পানির বোতল দিয়ে লেখা হয়েছে,...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশনার আয়োজন করে। সেখানে সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন। সোমবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময়ন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আরো পড়ুন: রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান নাটোরে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ২  দেশজুড়ে নববর্ষ উদযাপন হচ্ছে। পয়লা বৈশাখে ঐক্য, সম্প্রীতির বার্তা এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বার্তা উচ্চারিত হচ্ছে উৎসব উদযাপনের আয়োজনগুলোতে। পয়লা বৈশাখে ঢাকার জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনায় নববর্ষ উদযাপন চলছে। জাতীয় মন্দিরে নববর্ষের অনুষ্ঠান মঞ্চে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।  এ সময় দেশবাসীর প্রতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও...
    বঙ্গীয় নববর্ষের স্বাতন্ত্র্য কোথায়? ছদ্মনামা লেখক এ বি এম ইংরেজি ১৯৬৭ সালে ‘পাকিস্তান অবজারভার’-এর পয়লা বৈশাখ ক্রোড়পত্রে লিখেছেন, ‘ঈদের উদ্‌যাপন হয় পুরো মুসলিম জাহানে,’ খ্রিষ্টান নিউ ইয়ার-এর প্রথা তো এ দেশে ব্রিটিশদের আমদানি; ‘বছরে শুধু একটা দিনই আমাদের গ্রামগুলো বিশেষ বঙ্গীয় রং আর উৎসবের চিহ্নে সেজে ওঠে।’ বাংলা নববর্ষ যেহেতু বিশেষভাবে দেশজ, অন্য কোনো উৎসবের সঙ্গে এর তুলনা হতে পারে না।পাকিস্তান যুগের সংবাদপত্রে বঙ্গীয় নতুন সন উদ্‌যাপনের যে ভাষ্য ধরা পড়েছে, সেগুলোর ওপর ভর করে এই লেখায় আমার কাজ তিনটি। প্রথমত, এটা ব্যাখ্যা করা যে ঠিক কোন অর্থে বাংলা বর্ষপঞ্জির মহল বা তালুক হচ্ছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ত, কীভাবে বর্ষপঞ্জির প্রথম দিন উদ্‌যাপনের প্রথা আধুনিক অর্থে ‘ঐতিহ্য’ হয়ে উঠল। এবং সর্বশেষে নববর্ষের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্কের প্রশ্নটিকে কীভাবে ফায়সালা করা হয়েছিল। বাংলা সন...
    চট্টগ্রামে বাংলা নববর্ষ বরণের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিআরবিতে হচ্ছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানও। তবে গতবারের তুলনায় এবারে শোভাযাত্রায় উপস্থিতি ছিল কম। সিআরবিতেও নেই মানুষের ঢল। বর্ষবরণের আগের রাতে ডিসি হিলে মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় অনেকে আতঙ্কিত। আবার গরমের কারণেও অনেকে বের হবে দুপুরের পরে। সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ ডিসি হিলে বৈশাখের অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করেছে। তারপরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগর জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ঢোলক বাদ্য, বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশ এবং ঘোড়া ও মাছের প্রতিকৃতি নিয়ে নগরের চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সোমবার শতাধিক নারী-পুরুষ সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ষবরণ র‍্যালি বের করে। চট্টেশ্বরী মোড় হয়ে আলমাস মোড়, কাজীর দেউড়ি মোড়, এস এস খালেদ রোড, প্রেস ক্লাব ঘুরে সার্সন রোড হয়ে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয় এই র‍্যালি। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি...
    পুরোনো বছরের বিদায়ের আগে চৈত্রের শেষ খরতাপেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজির হয়েছিলেন সংগীতের অনুরাগীরা। বাঙালি, মারমা, ত্রিপুরা, চাকমা, খাসিয়া, গারোসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দর্শকেরা গলা মিলিয়েছেন, নেচেছেন। সংগীতের মুহূর্তগুলোতে উপভোগ করেছেন। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গতকাল ‘চৈত্রসংক্রান্তি ব্যান্ড শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শেষে বিকেলে মঞ্চে আসে জনপ্রিয় ব্যান্ড দলছুট। মুহুর্মুহু করতালিতে দলছুটকে অভিবাদন জানান দর্শকেরা।জনপ্রিয় গান ‘দিন বাড়ি যায়’ দিয়ে পরিবেশনা শুরু করে দলছুট। শেষ বিকেলটাকে রাঙিয়ে তোলে ব্যান্ডটি। সুরের মোহ ছড়িয়ে পড়ে, জড়িয়ে পড়েন শ্রোতারা। গানটির রেশ ফুরানোর আগেই ধরে ‘পরী’। গানটিও দলছুটের শ্রোতাদের মুখস্থ। সুরটাও চিরচেনা। এরপর ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’ ও ‘গাড়ি চলে না, চলে না’ দিয়ে পরিবেশনা শেষ করে ব্যান্ডটি।হালে ওপেন এয়ার (খোলা আকাশের নিচে) কনসার্টের চল হারাতে বসেছে। কনসার্ট এখন চার...
    বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে নববর্ষ পালন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সংস্কৃতি এ দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হতো।আজ সোমবার রাজধানীর পরীবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রিজভী। নববর্ষ উপলক্ষে এ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সতীর্থ স্বজন।সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আগে পয়লা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। এমনকি দাড়ি-টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হতো। তাই এখন গত ১৬ বছর ধরে আমাদের ভোটাধিকারের যে লড়াই, সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করা নিয়ে কোনো টালবাহানা করা যাবে না।’রিজভী বলেন, পয়লা বৈশাখে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ...
    ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণ উপলক্ষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়। কুলা-চালুন, শখের হাঁড়ি, কলসি ও তালপাখা হাতে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে নির্মিত ফটোফ্রেমের সামনে ছবি উঠিয়ে আনন্দ উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এ সময় বৈশাখের ঐতিহ্যকে ধারণ করে সবার মাঝে দই, চিড়া, মুড়ি, রসগোল্লা, সাজ-বাতাসা, গজা, নকুলদানা ও দানা মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উৎসবের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে আলপনা অঙ্কন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আরিফুজ্জামান রাজীবসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও...
    প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, দেশে এবার স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। হাজার বছরের এই ঐতিহ্যকে একটি পরিবার, একটি বিশেষ গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল। বহু বছর পর এবার প্রাণের উৎসব হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা নানাভাবে অপচেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার তৎপর আছে। আজ সোমবার সকালে চুনারুঘাটে সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক ও চুনারুঘাট সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি সালেহ উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, গত ১৬-১৭ বছর অবরুদ্ধ পরিবেশে নববর্ষ এসেছে, আবার চলে গেছে। কিন্তু বছরগুলো আমাদের জন্য নতুন কিছু আনতে পারেনি। যারা পরাজিত হয়েছে, তারা অঢেল টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। ফলে এখনকার মুক্ত পরিবেশ ঝুঁকির...
    সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। নোবিপ্রবিতেও সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই এবং এক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স। এসব নিয়ে নোবিপ্রবির পরিবেশ বিঘ্ন করার চেষ্টা যারাই করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।” সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে নববর্ষের শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আরো পড়ুন: নতুন চুক্তি করতে তুরস্ক সফরে নোবিপ্রবি উপাচার্য গাজায় নির্যাতিতদের পক্ষে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “আশা করি এই নববর্ষ আমাদেরকে নতুন উদ্যোমে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।  বিশ্ববিদ্যালয়েকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। এক্ষেত্রে...
    নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করছেন বাঙালিরা। অতীত ভুলে নতুনের আবাহনে মেতে উঠেছেন। ফলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও দিনটি নিজেদের মতো করে উদযাপন করছেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত-অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন তারা। অভিনেত্রী জয়া আহসান বেশ কটি ছবি শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যায়, শাড়ির সঙ্গে স্লিভলেস ব্লাউজে পরেছেন। চুলে গোঁজা রক্তজবা। হাতে লাল-সবুজ রঙের চুড়ি। হাতে হাতপাখা। মুখে লেগে আছে হাসি। এসব ছবির ক্যাপশনে জয়া আহসান লেখেন, “শুভ নববর্ষ ১৪৩২।” গত বছর পুত্র পূণ্যকে নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেন পরীমণি। তার বেশ কিছু মুহূর্ত ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন। সেই পুরোনো পোস্ট শেয়ার করে পরীমণি লেখেন, “কারো জীবনের আনন্দের কারণ না হও। কিন্তু অশান্তির কারণ হইয়ো না। বুকের দীর্ঘশ্বাস বলে কিছু থাকে—।” অন্য একটি...
    পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন ও বাংলা ১৪৩২ বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে পৃথক পৃথক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দল-মত ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  বর্ষবরণ সফল করতে বিভাগীয় নগরী ময়মনসিংহে সকাল ৮ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এদিকে নববর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া প্রাঙ্গণ থেকে আরেকটি বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা দুটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী...
    খোলা চুল, চোখে রোদচশমা, পরনে লালচে শাড়ির সঙ্গে স্প্যাগেটি হাতার ব্লাউজ। এমন রূপে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তীকে। নিজের সামাজিক মাধ্যমের জন্য একটি ভিডিও শুট করতে তার এমন আয়োজন। সেই ভিডিওতে জুড়ে দিলেন গান- ‘বৈশাখের বিকেল বেলায়, তোমায় নিয়ে বকুলতলায়’। এমন সেজে কার সঙ্গে বকুলতলায় যাবেন উষসী? প্রশ্ন করতেই অভিনেত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, “আমি কার সঙ্গে যাব! এমন ছেলে কোথায়, যাঁর রসবোধ ভাল অথবা ফিটনেস নিয়ে সচেতন! চারদিকে তো কোনও ভাল ছেলেই দেখতে পাচ্ছি না।” অভিনেত্রীর কথায়, ‘বকুলতলায় যাওয়ার লোক নেই। বরং ন্যাড়া মাথায় বেলতলায় গিয়ে ভুক্তভোগী হওয়ার লোক চারপাশে বেশি। বেলতলায় বার বার যাওয়ার মতো লোক বহু রয়েছে। কিন্তু বকুলতলায় গিয়ে প্রেম করব, এমন লোক কোথায়!” নববর্ষের এই সাজে পুরনোদিনের সঙ্গে আধুনিকতা বজায় রেখেছেন উষসী। আবার শাড়ি পরে ঘোড়ায়...
    ছবি: সোয়েল রানা
    উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য...
    বাংলা বছরের প্রথম দিনকে স্বাগত জানাতে রঙ-বেরঙের পোশাকে সেজেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাঙালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার অন্যতম দিনটিকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বইছে উৎসবের আমেজ। জাতি-গোত্র-বর্ণ সব ভেদাভেদ ভুলে সকলে একযোগে দিনটি উদযাপন করছেন। বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচছেন শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে ছিল মুখোশ, লোকজ ও প্রতিবাদের বিভিন্ন মোটিফ। এমন বর্ণিল আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট আলাদাভাবে শোভাযাত্রা বের করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা সকাল ৯টায় বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা কিছু জটিলতার কারণে সম্ভব হয়নি। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এবারের শোভাযাত্রায় চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে গ্রামীণ ও লোকজ সংস্কৃতি এবং ফিলিস্তিন ইস্যুর বিভিন্ন...
    উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য...
    বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে কিছুদিন ধরে সুরেলা আয়োজনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে শিল্পী, গীতিকবি, সুরকার ও সংগীতায়োজকদের। সেই সুবাদে বৈশাখী আয়োজন হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে তারকা থেকে শুরু করে তরুণ শিল্পীদের নানারকম গান। শিল্পী আসিফ আকবর আরও একবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গেয়েছেন নতুন একটি দ্বৈত গান। ‘ভীষণরকম ভালোবাসি’ শিরোনামে গানটিতে আসিফের সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন নন্দিত শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। গানের কথা লিখেছেন আহমেদ রিজভী। মনোয়ার হোসেন টুটুলের সুরে গানের সংগীতায়োজন করেছেন সজীব দাস। গানটি প্রকাশ করেছে সাউন্ডটেক। বহু বছর পর ফোক ফিউশন গানের আলোচিত শিল্পী আনুশেহ আলাদিনের নতুন গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন শ্রোতারা। শিল্পী ও সংগীতায়োজক বাপ্পী মাশেকুর রহমানকে নিয়ে গাওয়া তাঁর নতুন গানটির শিরোনাম ‘দুনিয়া সুন্দর’। জি-সিরিজ থেকে প্রকাশিত এই গানের কথা লেখার পাশাপাশি সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন...
    ২ / ৭জয়া বলেন, ‘নববর্ষ উদ্‌যাপন তো প্রায় ৪-৫ দিন ধরে চলছে। গতকাল যেমন আমি নিজেই রান্না করেছিলাম। মেনুতে ছিল ইলিশ মাছের লেজভর্তা, লাল চালের পান্তা, ইলিশ মাছ, নারকেলভর্তা, শুঁটকিভর্তা, আম-ডাল। আর হাতে তৈরি রসগোল্লা।’ অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে
    ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজিত ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানানো হয়েছে। পহেলা বৈশাখ (সোমবার, ১৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে এ শোভাযাত্রায় এক টুকরা তরমুজের মোটিফ প্রদর্শন করে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তরমুজ ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতিরোধ ও অধ্যাবসায়ের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এই মোটিফের পাশে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা যায় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এবারের শোভাযাত্রায়...
    কুমিল্লায় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার পহেলা বৈশাখের সকাল ৮টায় জাতীয় সংগীত এবং ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। এরপর নগরীর কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার জামতলা থেকে শুরু হয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি গিয়ে শেষ হয়। এ শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আনন্দ শোভাযাত্রায় মোগল আমলের রাজকীয় সাজ, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়া, পালকি, কনুই জাল, নবদম্পতি সাজ, ঘুড়ি, মাছ ধরার পলো ও নানা রঙের বেলুন শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তোলে।  শোভাযাত্রা শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন...
    এবারের বাংলা নববর্ষকে বরণের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।  তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি। তাই আমরা শুধু ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ এটিকে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে।” সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “পহেলা বৈশাখ শুধু বাঙালিরই নয়, বাংলাদেশে বাস করা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী চাকমা, মারমা, গারোসহ সবার উৎসব। এবার থেকে আমরা এ উৎসবকে জাতীয়ভাবে পালন করা শুরু করলাম। পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য ও মেলবন্ধনের বড় একটি ধাপ।” তিনি বলেন, “দেশের সব জনগোষ্ঠী, সব ঐতিহ্য- সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি...
    উৎসবমুখর পরিবেশে সারা দেশে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। এ উৎসবকে ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানান।  ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূলসহ পুরো ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলি গলিতেও গোয়েন্দা নজরদারি করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।” এদিকে, প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে সারা দেশে র‌্যাবের সব সদস্য নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কাজ করছেন।  সকালে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক...
    চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। ৪০ বছরের ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকাল ৬টায় শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে ঢাকের বাজনার তালে নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়।পরে মুকুল ফৌজ, আবৃত্তি পর্ষদ ও ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, মুকুল ফৌজের সংগঠক (প্রধান দরদী বোন) রাশেদা হাসনু আরা ও ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বক্তব্য দেন।এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল আটটায় স্থানীয় চাঁদমারী মাঠে (ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করা হয়। সোয়া আটটায় সেখান থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক...
    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের সিনেমা ‘জংলি’। গতকাল রাতে রাজধানীর একটি মাল্টিপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী। যেখানে ‘জংলি’র শিল্পী-কলাকুশলীরা ছাড়াও হাজির ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বিশেষ প্রদর্শনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ‘জংলি’র অভিনেত্রী শবনম বুবলী।সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শবনম বুবলী ভক্ত-দর্শকদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) পয়লা বৈশাখ, সবাইকে শুভ নববর্ষ। পয়লা বৈশাখের আনন্দ আরও দ্বিগুণ-তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন।’শবনম বুবলী
    আজ পহেলা বৈশাখ। শুরু বঙ্গাব্দ ১৪৩২। স্বাগত বাংলা নববর্ষ। বাঙালির উৎসবের দিন আজ। আনন্দ, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের দিন। বাংলা সনকে বরণে রাজধানীজুড়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে শুরু হয় বৈশাখবন্দনা, নতুন বছরকে বরণ করার আয়োজন।  বিশেষ এই দিনে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও। বৈশাখ উদযাপনে উঠেছেন মেতে, নানা আয়োজনে বরণ করে নিচ্ছেন বাংলা নতুন বছরকে। কেউ কেউ সকালে বের হয়ে পড়েছেন, কেউ বা ঘরে বসেই টেলিভিশনে দেখছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে উঠেছে তাদের নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার মুহূর্তগুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক গুচ্ছ ছবি শেয়ার করে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩২।’  গেল বছরে ছেলে পুণ্যর সঙ্গে শেয়ার করা কিছু ছবি পুনরায় শেয়ার দিয়ে পরীমনি বৈশাখে দিয়েছেন নতুন বার্তা। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে...
    নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে পালন করা হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে সকাল ৭টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে নববর্ষ পালনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ‘এসো হে বৈশাখ’ গান গেয়ে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়। শিশু একাডেমির আয়োজনে নানা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ শেষে সকাল ৯টায় বের করা হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। এছাড়াও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন বাংলা...
    ভোরের আলো সবে এসে স্পর্শ বুলিয়ে দিয়েছে রমনার নিবিড় সবুজ পাতায় পাতায়। তারও আগে ঘুমের জড়তা কাটিয়ে উৎসবের সাজে সেজে দলে দলে নারী-পুরুষ এসে সমবেত হয়েছেন বটমূল চত্বরে। বটমূলের মঞ্চে সারি দিয়ে বসেছেন ছায়ানটের সংগীত ও যন্ত্রশিল্পীরা। উষার আলো ফুটতেই সুপ্রিয়া দাস ছড়িয়ে দিলেন প্রভাতের ভৈরবী রাগালাপ। তাঁর কণ্ঠের সুরে সুরে আজ সোমবার সূচনা হলো বাংলা ১৪৩২ সনকে স্বাগত জানিয়ে ছায়ানটের বাণী ও সুরের প্রভাতি আয়োজন।ছায়ানটের এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। দেশ, মানুষ, প্রকৃতিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আঁধার পেরিয়ে আলোর পানে যাত্রার আহ্বান ছিল আজকের আয়োজনে। এবার ৫৮ তম বারের মতো রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের এই আয়োজন। তারা শুরু করেছিল ১৯৬৭ সালে। তখন চলছিল আইয়ুব খানের কঠিন সামরিক শাসন। পূর্ব পাকিস্তানে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জারি করা...
    কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে জমজমাট বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের প্রথম দিন সকাল থেকেই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ও ইনানী পয়েন্টে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ। রঙ-বেরঙের পোশাক, মুখে হাসি আর হাতে পান্তা-ইলিশের থালা—সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট। সৈকতে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে এবং বৈশাখী মেলা বসেছে। লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্মুক্ত মঞ্চ করা হয়েছে। সবার প্রত্যাশা, নতুন বছর মানুষের জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ, দুর্নীতি ও হয়রানি। সকাল ১০টার পর থেকে সৈকতে ভিড় বাড়তে থাকে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নানা বয়সের মানুষ যোগ দেন বৈশাখী উৎসবে। ঢাকার বাসাবো থেকে আসা পর্যটক রণধীর দিব্য বলেছেন, সমুদ্র...
    বর্ষবরণ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সমাজের এমন একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা তার পরিচিতিকে নির্মাণ করে এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে। বাঙালির বর্ষবরণ এমন একটি উদ্‌যাপন। আমাদের এই উদ্‌যাপন নিছক নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া নয়। এর সঙ্গে পুরোনো বর্ষকে বিদায় ও আরও কিছু সামাজিক প্রথার উদ্‌যাপন হয়ে থাকে। এর মধ্যে চৈত্রসংক্রান্তি ও হালখাতার কথা উল্লেখযোগ্য। শহর কিংবা এর বাইরে গ্রামীণ পরিসরে বৈশাখী মেলার আয়োজন আমাদের অনেক দিনের ঐতিহ্য। একটা সময় বছরের শেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ ধরনের খাবারের আয়োজন করা হতো। প্রস্তুতি চলত নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর। বর্ষবরণ হিসেবে পয়লা বৈশাখের উদ্‌যাপন সর্বজনীন একটি উদ্‌যাপন হিসেবে আমাদের সমাজে চলে আসছে। সর্বজনীন হলেও একেক সমাজের মানুষের মাঝে এর প্রকাশ ও ধারণ করবার বিষয়টি ভিন্ন। আমাদের সমাজে বছরের প্রথম দিন ভালোমন্দ খাবারের...
    ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ স্লোগানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নওগাঁয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় শহরের এটিম মাঠ থেকে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী সেখানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণ মেলার। শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়া, পালকি, মাটির তৈরি বাসনসহ বিভিন্ন বর্ণের বেলুন ফেস্টুন, মাথাল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তোলে।  এ সময় পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে...
    ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ স্লোগানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নওগাঁয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় শহরের এটিম মাঠ থেকে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী সেখানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণ মেলার। শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়া, পালকি, মাটির তৈরি বাসনসহ বিভিন্ন বর্ণের বেলুন ফেস্টুন, মাথাল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তোলে।  এ সময় পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে...
    উৎসবমুখর পরিবেশে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করতে দিনব্যাপী নানা আযোজন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার চত্বরে স্বাধীনতা মঞ্চে সংগীত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় নববর্ষের অনুষ্ঠানমালার। সংস্থাটির আয়োজনে মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, ফলাহারসহ ছিল নানা আয়োজন। সকাল ৮টায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। আনন্দ শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় অম্বিকা ময়দানে নববর্ষের মিলনমেলায় সমবেত হয়। ফরিদপুরের সকল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের কর্মীদের নিয়ে সেখানে অংশ নেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও শহরের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন আনন্দ শোভাযাত্রায়। অম্বিকা ময়দানের বর্ষবরণ মঞ্চে জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের...
    বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে শুরু হয়ে জারুল তলায় এসে এ শোভাযাত্রা শেষ হয়। নববর্ষ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত ব্যান্ড দল ‘সরলা’ এর পরিবেশনা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, বলি খেলা, বউচি খেলা এবং  কাবাডি খেলা। আরো পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে চবিতে বিক্ষোভ দেশের প্রথম জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিস ‘দেয়াঙ কেল্লা’ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। তবে এ উৎসব ঘিরে যাতে কোনো সাংস্কৃতিক বিকৃতি না ঘটে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আজকের বৈশাখের দিনে...
    পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। এ দিন বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ অতীত ভুলে নতুনের আবাহনে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় নতুন বছর। ফলে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সেই উৎসবে একাত্ম হয়েছেন রূপালি ভুবনের তারকারাও। পহেলা বৈশাখ নিয়ে নিজের ভাবনা ও স্মৃতিকথা জানিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। এ অভিনেত্রী বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমার কাছে সত্যিই আনন্দের একটা দিন। ছোট থেকেই এই দিনটা আমরা উদযাপন করি। ছোটবেলার নববর্ষ উদযাপন নিয়ে নানা স্মৃতি রয়েছে। এই দিন উপলক্ষে ঈদের মতো আমরা নতুন জামা কিনতাম। আমরা ভোলা এবং কুমিল্লাতে ছিলাম, ওখানে মেলা হতো, সেই মেলায় যেতাম। নববর্ষ বলতে এমনই নানা সুন্দর স্মৃতি রয়েছে।” ছোটবেলার বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, “ছোটবেলার পহেলা বৈশাখ মানেই...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয়েছে বর্ণাঢ্য ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯টায় চারুকলার সামনে থেকে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য এই কর্মসূচি। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে ফের চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।  শোভাযাত্রার শুরুতে মারমা, ম্রো, চাকমা, খুমি ত্রিপুরা, পাঙখুয়া, রাখাইন, মনিপুরী, খাসিয়া, চা জনগোষ্ঠীসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নিয়েছে। এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি বদলে নতুন নাম হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড....
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)। বি‌শ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাভাষীদেরও শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন তিনি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যোমে সামনে এগিয়ে চলতে অনুপ্রেরণা যোগায়। ব্যর্থতার সকল গ্লানি মুছে দিতেই প্রতি বছর নতুন আঙ্গিকে ফিরে আসে পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালির মহাঐক্যের দিন। এমন উৎসবমুখর দিন ধর্ম, বর্ণ, জাত বা গোত্রের সীমারেখা ভেঙে একসাথে একই পথে চলতে আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। জিএম কাদের অরো বলেন, মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে কর বা রাজস্ব আদায়ের জন্য বাংলা সন গণনা শুরু হয়। কিন্তু, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতি লালন ও বিকাশের অসাধারণ অধ্যায় হয়ে ওঠে আমাদের প্রিয় নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান...
    চট্টগ্রামের সিআরবির শিরীষতলায় আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে নববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সকাল থেকে নাচ, গান, আবৃত্তি ও কথামালায় চলছে দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। তবে এবার লোকসমাগম একেবারেই কম। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নগরের ডিসি হিলের বর্ষবরণ মঞ্চে ভাঙচুরের পর ভয় ও আতঙ্কে লোকজন কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।নববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদ রোববার থেকে শিরীষতলায় দুই দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গতকাল বিকেলে শুরু হয় বর্ষবিদায়ের অনুষ্ঠান। রাতে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। তবে অনুষ্ঠান চলাকালেই আধা কিলোমিটার দূরত্বে থাকা ডিসি হিলে নববর্ষের অনুষ্ঠানের জন্য নির্মাণ করা মঞ্চ ভাঙচুরের খবর আসে। এ অবস্থায় ডিসি হিলে সোমবারের নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান বাতিল করেন আয়োজকেরা।তবে আজ সকাল থেকে সিআরবিতে বর্ষবরণ শুরু হয়। ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের সমবেত বেহালাবাদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এরপর...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বা পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি এ কথা বলেন।নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজকে সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ, নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন, আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য...
    বাংলা বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রায় এবার বাংলাদেশের ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তারা নিজ নিজ সংস্কৃতির প্রতীক বহন ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে শোভাযাত্রাকে আরো বর্ণিল করে তুলেছেন। শুধু বাংলাদেশিরা নন, শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে নেচে-গেয়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন একঝাঁক বিদেশি শিক্ষার্থী ও পর্যটকও। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। এটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। শোভাযাত্রায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও জাতিগত সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। শোভাযাত্রায় সাতটি বড়, সাতটি মাঝারি ও সাতটি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি মোটিফ রয়েছে।...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বেরিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় আনন্দ শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। অন্যবারের তুলনায় এবারের আয়োজনে ভিন্নতা দেখা গেছে। আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ দেখা গেছে। এছাড়া, চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। এতে শহীদ মুগ্ধের পানি বিতরণের স্মৃতি হিসেবে পানির বোতল দিয়ে লেখা হয়েছে, 'পানি লাগবে, পানি'। এছাড়া, শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং দেশি-বিদেশি অতিথিরা। রয়েছে ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ। বড় মোটিফগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, টাইপোগ্রাফিতে ৩৬ জুলাই, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল ইত্যাদি। বিশেষভাবে এবারের শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি...
    আজ ১ বৈশাখ, বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন। অতীতের গ্লানি-দুঃখ-জরা মুছে ফেলে নতুন বছর সবার জন্য আনন্দ ও মঙ্গলের বার্তা নিয়ে আসবে, এটাই প্রত্যাশিত।বাংলা নববর্ষ বাঙালির জাতীয় উৎসব, প্রাণের উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ বাংলা নববর্ষ বরণ করতে অধীর অপেক্ষায় আছে। মেলা, উৎসব, শোভাযাত্রা, সংগীতানুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১ বৈশাখ উদ্‌যাপন করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইউনেসকোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় যোগ হয়েছে নববর্ষের শোভাযাত্রা। এটা নিশ্চয়ই আনন্দের খবর। পাকিস্তান আমলে বৈরী পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট রমনার বটমূলে ঐতিহ্যবাহী সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষবরণ শুরু করে। এবার তাদের প্রতিপাদ্য, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। ১৯৬৭ সালে ছায়ানট বর্ষবরণের যে ধারা শুরু করেছিল, সেটাই এখন ছড়িয়ে পড়েছে পাড়ায়, মহল্লায়, গ্রামে–গঞ্জে সর্বত্র। আমরা স্মরণ করতে পারি, সম্রাট আকবরের সময় খাজনা আদায়ের...
    দেশের মানুষ সর্বজনের শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ধর্ম-জাতি-বিত্তের বিভাজন ভাঙবে। গড়বে উদার সম্প্রীতির সহিষ্ণু সমাজ। এমন আলোকিত দেশ ও সমাজের স্বপ্ন দেখেন বলে উল্লেখ করেছেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। তিনি বলেন, সবাই ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, মুক্তচিন্তার নির্ভয় প্রকাশ, আবহমান সংস্কৃতির নির্বিঘ্ন যাত্রা হৃদয়ে ধারণ করলে মুক্তির আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুগম হবেই। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন সারওয়ার আলী। আজ ভোর সোয়া ছয়টায় রমনা বটমূলে শিল্পী সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগালাপের মাধ্যমে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় সকাল সাড়ে আটটার দিকে। অনুষ্ঠান শেষ করার আগে ‘নববর্ষের কথন’ বিষয়ে বক্তব্য দেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। তিনি বলেন, মুক্তির অন্বেষায়, দীর্ঘ বন্ধুর পথপরিক্রমায় অর্ধশতবর্ষ পূর্বে, বিপুল...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হয় ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে ফের চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।  শোভাযাত্রার শুরুতে মারমা, ম্রো, চাকমা, খুমি ত্রিপুরা, পাঙখুয়া, রাখাইন, মনিপুরী, খাসিয়া, চা জনগোষ্ঠীসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নিয়েছে। এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি বদলে নতুন নাম হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। বাংলা...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হয় ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে ফের চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি বদলে নতুন নাম হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।    বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি...
    চট্টগ্রামে প্রথম বাংলা বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয় ১৯৭৩ সালে নগরের সার্সন রোডের ইস্পাহানি পাহাড়ে। পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীন প্রথম এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন। তিন বছর এখানেই ছোট পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়। ১৯৭৮ সাল থেকে নন্দনকাননের ডিসি হিলে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়। কিন্তু এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপট। বর্ষবরণের আগের দিন গতকাল রোববার মিছিল নিয়ে এসে একদল লোক অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর করে চলে যায়। ফলে আয়োজকেরা অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অথচ ৪৭ বছরে চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের মেলায় রূপ নিয়েছে ডিসি হিলের বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। চট্টগ্রামের আগে ষাটের দশক থেকে ঢাকায় নববর্ষ বরণ শুরু হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারা দেশে বিস্তারিত হতে প্রেরণা...
    বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আনন্দ নিয়ে ঘরে ফেরা হবে না সাধারণ মানুষের। বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়েই হোঁচট খেতে হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকেই সয়াবিন তেলের বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।  এর আগে ভোজ্যতেল দাম বড়ানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কয়েক দফা সভা হয়। তবে, সে সময় দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তারা। সরকার এবং ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দফায় দফায় দর কষাকষির পর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্ধিত নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার...
    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজকে সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ, নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন, আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।” বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজকে সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ, নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন, আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’ বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে...
    আজ পহেলা বৈশাখ। শুরু বঙ্গাব্দ ১৪৩২। স্বাগত বাংলা নববর্ষ। বাঙালির উৎসবের দিন আজ। আনন্দ, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের দিন। বাংলা সনকে বরণে রাজধানীজুড়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে শুরু হয় বৈশাখবন্দনা, নতুন বছরকে বরণ করার আয়োজন। বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানানো হয় এবার পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠানে। ছায়ানটের ৫৮তম এ আয়োজন ভোর সোয়া ৬টায় বৈশাখের ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে ভৈরবীর রাগালাপ দিয়ে শুরু হবে। এবারে অনুষ্ঠানের মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।  ছায়ানটের এবার অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসার গান ও আত্মবোধনের জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এতে থাকবে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও তিনটি পাঠ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে (সকাল...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। এতে বলা হয়, শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু নীলক্ষেত ও...
    যখন বৈশাখের সকালটা কুয়াশা সরিয়ে রঙের খেলা শুরু করে, তখনই যেন এ অঞ্চলের বাংলাভাষী মানুষের প্রাণ জেগে ওঠে। ঢোলের শব্দে, পান্তা-ইলিশের গন্ধে, লাল-সাদা শাড়ির ছটায় বাংলা নববর্ষ হয়ে ওঠে এক উজ্জ্বল, আনন্দঘন, বর্ণিল দিন।   কিন্তু এই উল্লাস-আনন্দ কি কেবল অভিজাত সৌরভে মোড়ানো? নাকি এর পেছনে আছে দীর্ঘ এক সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা—রাজনীতি, প্রতিরোধ আর আত্মপরিচয়ের সন্ধান?বাংলা নববর্ষের সূচনা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। কেউ বলেন, মোগল সম্রাট আকবর রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে হিজরি ও সৌর বর্ষের মিলনে ‘ফসলি সন’ চালু করেছিলেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট আকবর তৎকালীন খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে উপদেষ্টা ফতেউল্লা সিরাজীকে নতুন পঞ্জিকা তৈরি করার দায়িত্ব দেন। ফতেউল্লা সিরাজী ছিলেন সম্রাট আকবরের দরবারের একজন বিদ্বান আলিম ও প্রশাসনিক উপদেষ্টা। বাংলা সনের সংস্কারের দায়িত্ব পেয়ে তিনি স্থানীয় সৌর সন ও...
    ‘তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,/ বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥ ... এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ কালের গর্ভে হারাল পুরোনো বছরের সব পঙ্কিলতা, সব পাপ-তাপ ধুয়ে-মুছে নতুন দিনের উজ্জ্বল আভায় হাসবে স্বদেশভূমি, বর্ণিল সুখচ্ছটায় ভাসবে মানবজীবন– এই প্রত্যাশা নিয়েই শুরু বঙ্গাব্দ ১৪৩২। স্বাগত বাংলা নববর্ষ।  আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা সংস্কৃতির সবচেয়ে প্রাণবন্ত, হৃদয়ছোঁয়া ও সর্বজনীন উৎসব। বছরের প্রথম সূর্যের আলোয় বাঙালির হৃদয়ে জেগে ওঠে আশার গান। এই দিনে পুরোনো গ্লানি ঝেড়ে শুরু হয় নতুন পথচলা। বাংলা নববর্ষ শুধু একটি দিন নয়; এটি বাঙালির জীবনে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ঐক্য ও প্রাণের মিলনমেলা। এবারের পহেলা বৈশাখের আবহ অন্যবারের চেয়ে একটু আলাদা। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এটাই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন। নতুন চেতনায় বর্ষবরণ আয়োজনের প্রচেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন...
    রৌদ্রকরোজ্জ্বল বৈশাখী দিন ফিরে এল আবার। সুরে-বাণীতে, সাজসজ্জায়, আহারে-বিহারে, আনন্দ-উল্লাসে আজ সোমবার বাংলার নতুন বছর ১৪৩২ বরণ করে নেবে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে দেশের সব মানুষ। পুরোনো ব্যর্থতা ঝেরে ফেলে সবার কল্যাণ কামনায় উদ্‌যাপিত হবে নববর্ষের উৎসব। নববর্ষকে আবাহন জানিয়ে বহুকণ্ঠে ধ্বনিত হবে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো...।’বাংলা নববর্ষের চেয়ে বড় কোনো সর্বজনীন উৎসব দেশে আর নেই। এ কারণে মানুষে মানুষে মহাপ্রাণের মিলন ঘটানোর বর্ষবরণের এই উৎসব গভীর তাৎপর্যময় হয়ে আছে আমাদের জীবনে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এবার নতুন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য তাই ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।মূল প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয়ভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে নববর্ষ উদ্‌যাপনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। উৎসব অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিদের নিজ...
    পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ কে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন।এবারের শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থেকে ‘নববর্ষ শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে। শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো’। এর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ শিল্প প্রদর্শনী ও প্রকাশনা উৎসবসহ থাকছে নানা নতুন আয়োজন।রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ঘুরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। নিজেদের দক্ষতা ফুটিয়ে তুলে রংবেরঙের পুতুল, ফুল, টেরাকোটা শিল্প, মাছ, চরকি, অরিগ্যামি পাখি, লোকজ পাখি ও বিভিন্ন আকারের পাখির অবয়ব প্রস্তুত করেন তাঁরা।  দেখা যায় রংতুলি দিয়ে নানা রকম ছবি আঁকছেন তাঁরা, কেউবা গভীর মনোযোগ দিয়ে...
    পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ কিংবা আদর্শবাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদ, যে প্রতিবাদ আমাদের এগিয়ে দিয়েছিল, সেই উদ্যোগ ও উদ্যমকে পরবর্তী সময়ে বিকৃত করে ফেলা হয়। এই বিকৃতকরণের ফলে জনগণের একটি অংশে এমন ধারণা জন্মে, এই নববর্ষ উদযাপন এক ধরনের ‘হিন্দুয়ানি’, মুসলমানদের এভাবে উৎসব করা উচিত নয় অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বাংলাদেশের সর্বাগ্রগণ্য বুদ্ধিজীবীদের একজন, একই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ মননশীল সাহিত্যিকদের অন্যতম। সম্প্রতি নববর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ আলাপে সমকালকে সময় দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সমকালের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক হামিম কামাল সমকাল : প্রতিবছর বৈশাখ এলে কিছু মানুষের মধ্যে নববর্ষ উদযাপনের প্রতি এক ধরনের বিরূপ মনোভাব চোখে পড়ে। পক্ষে-বিপক্ষে তর্কবিতর্ক হতে দেখা যায়। এমন একটি সর্বজনীন উৎসবের প্রশ্নে কখন আমরা এমন বিভাজিত হয়ে গেলাম বলে আপনি মনে করেন? আবুল কাসেম ফজলুল হক : পাকিস্তান সরকার পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ তৈরির...
    আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে রাজনীতির মতো দেশের সংস্কৃতিতেও একটি দলের আধিপত্য ছিল। এখন বিভিন্ন জায়গায় সরকারি অর্থ খরচ করে সাংস্কৃতিক উৎসব করা হলেও সেগুলো প্রাণ পাচ্ছে না আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের রাজনীতি ও সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন  সমকালের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সমকালের সহকারী সম্পাদক এহ্সান মাহমুদ সমকাল : বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। বাংলাদেশের উৎসব হিসেবে পহেলা বৈশাখকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : শুভেচ্ছা। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনে এক উজ্জ্বল আনন্দময় উৎসব। এ উৎসব সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হয় নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আয়োজন। নতুন বছর মানে অতীতের সব ব্যর্থতা, জরাজীর্ণতা পেছনে ফেলে নতুন উদ্দীপনা ও উৎসাহে সুন্দর-সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মাণে এগিয়ে...
    রাস্তাঘাটে নারীকে টিজ করা, কটূক্তি করা, এসব ক্ষেত্রে এখনও আমরা কোনো জোরালো অবস্থান দেখতে পাই না রাশেদা কে চৌধুরী। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক। ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নববর্ষে নারীর অংশগ্রহণ, নারীশিক্ষার বাস্তব অবস্থা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সমকালের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক শাহেরীন আরাফাত সমকাল: নববর্ষের শুভেচ্ছা। বর্ষবরণের আয়োজনকে কীভাবে দেখছেন? রাশেদা কে চৌধুরী: নববর্ষের শুভেচ্ছা। পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সব বাঙালি নববর্ষ হিসেবে পালন করে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের সর্বজনীন উৎসব। সেই সঙ্গে এ আয়োজন আমাদের অসাম্প্রদায়িক ও চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য। গ্রামবাংলায় আগে থেকেই বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হতো। এখন দেশের প্রায় সব জায়গাতেই এ আয়োজন হয়। সেখানে থাকে ঐতিহ্যবাহী পণ্য...
    বাংলা নববর্ষে এ দেশের সব সম্প্রদায়, গোষ্ঠী ও জাতির উত্তরাধিকার। আমরা শহরে ইদানীং সাম্প্রদায়িকতা ঘেঁষা নানান বিরুদ্ধ আলাপ করি বৈশাখ ঘিরে। যার ছোঁয়া এখন গ্রামেগঞ্জেও লেগেছে বাংলাদেশের প্রথিতযশা ভাস্কর ও চিত্রশিল্পীদের অন্যতম হামিদুজ্জামান খান। শিল্পে অবদানের জন্য ২০০৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। সম্প্রতি নববর্ষ উপলক্ষে সমকালের সঙ্গে এক আলাপে নিজ শৈশব, শিল্প-সংস্কৃতি ও সংস্কৃতিকে ঘিরে নিজ রাজনীতিভাবনা তুলে ধরেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সমকালের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক হামিম কামাল সমকাল : কেমন আছেন স্যার? নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকে। হামিদুজ্জামান খান : ভালো আছি, ধন্যবাদ! আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।  সমকাল : নববর্ষ, বৈশাখী মেলাকে ঘিরে ছোটবেলার কোন স্মৃতি সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে? হামিদুজ্জামান খান : আমার জন্ম কিশোরগঞ্জে, সেখানেই বর্ণিল শৈশব। শৈশবের রূপ ও রঙের অনেকখানি ধরা আছে আমার যাপিত বৈশাখী মেলাগুলোয়। দুটো মেলা হতো। বাড়ি...
    পরিবর্তনের আহ্বানে নতুন আলোর পথে ঐক্যের ডাক নিয়ে এলো বাঙলা নববর্ষ। আজ সোমবার পয়লা বৈশাখ। সুর-গীত, শোভাযাত্রা আর বহুত্বের আনন্দ আয়োজনে বৈশাখের প্রথম প্রভাতে নতুন বর্ষকে বরণে প্রস্তুত গোটা বাংলাদেশ। বাজবে ঢাকা, বাজবে বাদ্য-বাঁশি, কণ্ঠ উঠবে শিল্পীর, রঙিন পোশাক পরবে বাঙালি, উৎসব হবে দেশজুড়ে। ‘এসো হে বৈশাখ’ অনুরণন তুলবে লাল-সবুজে হৃদয় মোড়া বাংলাদেশে। চৈত্রসংক্রান্তির মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরের বিদায় ঘটিয়ে জরাজীর্ণতা ভুলে নতুন সূর্যোদয় নিয়ে আসবে নবঘন দিন; আজ পয়লা বৈশাখ, বাংলা বর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম আলো ছড়িয়ে পড়বে এই দেশে, আমাদের বাংলাদেশে। নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বর্ণিল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে সরকারি, বেসরকারি এবং প্রাতিষ্ঠাকিন, সামাজিক ও পারিবারিক পরিসরে। সুন্দরের আহ্বানে মাঠে-ময়দানে, সাজানো ছাউনিতে, অডিটোরিয়ামে, সরকারি-বেসরকারি ভবন ও প্রাঙ্গণে, রাজপথে, ফুটপাতে, পার্কে, খোলা আকাশের...
    সালটা সম্ভবত ১৯৬৬। আমি তখন ৮। বাবা সদ্য দেশে ফিরেছেন, ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি শেষ করে। আমাদের জয় করতে ছুটির দিনে পুরোনো গিটারে ধরেন– ‘আগে জানলে, আগে জানলে তোর ভাঙ্গা নৌকায় চড়তাম না... আর দূরের পাড়ি ধরতাম না।’  শুক্রবারে নিয়ে এলেন নতুন এক খেলা। ‘ঘুম থেকে ওঠো সব, আসছে পহেলা বৈশাখ’। আমাদের তো অনেক নববর্ষের কার্ড বানাতে হবে। আমাদের আজিমপুর কলোনির ২৬/এ বাসায় যেন উত্তেজনার বন্যা বইছে। পেইন্ট বক্স থেকে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ ইত্যাদি রং ঈগলুর ছোট ছোট কাপে গোলালেন। নিয়ে এসো তোমাদের ফেলে দেওয়া পুরোনো দাঁতের ব্রাশ। কাগজ কেটে লিখলেন শুভ নববর্ষ। তারপর যার যার খাতার পাতা দুই ভাঁজ করে ওপরে সেই ‘শুভ নববর্ষ’ লেখাটি সেঁটে দিয়ে শেখালেন, কী করে ব্রাশ রঙে চুবিয়ে তর্জনীর টান দিয়ে রঙের ফোয়ারা...
    বাংলা নববর্ষ বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসব। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে একই ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলা নববর্ষ। এই উৎসব নিয়ে একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে, বাংলা নববর্ষ একটা হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি। অনুরূপভাবে পাকিস্তান আমলে বাংলা ভাষাকে হিন্দুদের ভাষা বলা হয়েছিল। পাকিস্তানি শাসকরা বলেছিল– বাংলা যথেষ্ট মুসলমানি ভাষা নয়। ফলে বাংলা ভাষাকে মুসলিম বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কবি নজরুল ইসলামের রণসংগীতের ‘নব নবীনের গাহিয়া গান, সজীব করিব মহা শ্মশান’ অংশের শ্মশানকে গোরস্তান পড়তে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জনতা এমন ধোঁকাবাজি কথায় কান দেয়নি। পূর্ববঙ্গের মানুষ প্রশ্ন করেছে– ভাষার কি কোনো ধর্ম হয়? কিংবা কোনো একটা ভাষায় পূজা অর্চনা করলে সে ভাষা কি অপবিত্র হয়? আরবের পৌত্তলিকদের ভাষা ছিল আরবি। তাতে যদি আরবি মুসলমানদের ভাষা হতে পারে, বাংলা কেন বাঙালি মুসলমানের ভাষা হবে না?...
    বাঙালি নববর্ষ অন্য রকমের, মধ্যরাতের নয়, অতিপ্রত্যুষের; সূর্য ওঠার আগের। একুশে ফেব্রুয়ারিও তা-ই ছিল, সে দিনটিরও সূচনা হতো প্রভাতফেরি দিয়ে; মধ্যরাতে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন শুরু হয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর। বাঙালিপনার দিক থেকে বিচার করলে রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন শুরু করাটা অপ্রত্যাশিত বটে। উদযাপনের এই নতুন পদ্ধতি থেকে বোঝা গেছে স্বাধীনতার পর স্বাধীন দেশের গতি কোন দিকে হবে– পূর্বমুখী নাকি পশ্চিমমুখী। পূর্বে সকাল, পশ্চিমে মধ্যরাত। মধ্যরাতে একুশের উদযাপন যে কেমন ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ করে মেয়েদের পক্ষে, সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু পহেলা বৈশাখকে নিশ্চয়ই রাতের ব্যাপারে করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইটকে যেমনভাবে করা হয়ে থাকে। থার্টি ফার্স্ট নাইটের সঙ্গে পহেলা বৈশাখের এই ব্যবধানটা একেবারেই মৌলিক। সকালকে আমরা সকালেই চাই, গভীর রাতের অন্ধকারে নয়। উদযাপনের পদ্ধতিতেও পার্থক্য রয়েছে। পহেলা...
    বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ। সাড়া বছরে চাহিদা না থাকলেও পহেলা বৈশাখে চাহিদা বেড়ে যায় মৃৎশিল্পীদের। বছরের অন্য সময়ে মৃৎশিল্পের কদর না থাকলেও পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মাটির তৈজসপত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলনা তৈরি করেন মৃৎশিল্পীরা। বৈশাখ রাঙাতে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় মৃৎশিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাটি নরম করে তৈরি করছেন মাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র। কেউ কাদা নরম করছেন, কেউ মাটির তৈজসপত্র তৈরি করছেন। নিপুন হাতে তৈরি করছেন হাড়ি-পাতিল, শিশুদের খেলনা। নববর্ষে বাহারি সব খেলনা তৈরি করছেন। সেই খেলনা মেলায় নিয়ে যাবেন মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পী বিষ্ণু পাল বলেন, “বাপ-দাদার পেশা ছাড়াতেও পারি না। আর ছেড়ে দিলে কী করব? লেখাপড়া করি নাই যে চাকরি করব। মাটির জিনিসের চাহিদা...
    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘তারুণ্য ও উদ্যোক্তা মেলা এবং দেশীয় সংস্কৃতি উৎসব-২০২৫’। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী এই উৎসব উদযাপন করা হবে। ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য দেশাত্মবোধকগান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুলগীতি, আধুনিকগান, লোকসংগীত, নাটক, আবৃত্তি, রম্য বিতর্ক, লাঠি খেলা, যেমন খুশি তেমন সাজো ইত্যাদি আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবটি উদযাপিত হবে। এছাড়া তরুণদের উদ্যোক্তা হতে উদ্বুদ্ধ করতে তারুণ্য ও উদ্যোক্তা উৎসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা বাস্তববায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘তারুণ্য ও উদ্যোক্তা মেলা’র আয়োজন করেছে যবিপ্রবি প্রশাসন। এ বিষয়ে উৎসবের দায়িত্বে থাকা যবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ...
    বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত সব অনুষ্ঠান যথারীতি আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।  রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। জেলা প্রশাসন জানায়, চট্টগ্রামে বাংলা নববর্ষ উদযাপন বন্ধ শিরোনামে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হচ্ছে মর্মে জানা গেছে, যা সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পূর্ব নির্ধারিত সব সরকারি কর্মসূচি (শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরষ্কার বিতরণী ইত্যাদি) যথাসময়ে ও যথাস্থানে (শিল্পকলা একাডেমি) অনুষ্ঠিত হবে।  আরো পড়ুন: চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর, আটক ৬ রাঙামাটিতে ঘরে ঘরে পাঁজন আপ্যায়ন...
    পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গ্রাম-বাংলার হারানো ঐতিহ্য নিয়ে একক স্ক্রলচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান (হীরা সোবাহান)। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২ ফুট প্রস্থের এই শিল্পকর্মটি প্রদর্শিত হবে। দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন অ্যাকাডেমিক ভবনের ৩০৪ নম্বর কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। আরো পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীদের বিজু উৎসব উদযাপন ৫ বিভাগে অনুষ্ঠিত হলো রাবির ভর্তি পরীক্ষা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান বলেন, “আমরা চারুশিল্পীরা রঙ ও তুলির ছোঁয়ায় ক্যানভাস রাঙিয়ে তুলি। যেখানে...
    বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সারা বিশ্বে এক উজ্জ্বলতর ভিন্নমাত্রা লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও মিলনের অমিয় বাণী মিশে আছে আমাদের লোকজ ঐতিহ্যের মধ্যে। এ দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, সম্প্রদায়সহ সব নাগরিকের সমান অগ্রগতি, বিকাশ, নিরাপত্তা ও সংবিধান বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’আজ রোববার এক বাণীতে এ কথা বলেন তারেক রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বাণী দিয়েছেন তিনি।বাণীতে তারেক রহমান বলেছেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলবাসীসহ বাংলাভাষীরা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য জাতিসত্তা। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদই এই ভূখণ্ডে সব জনগোষ্ঠীকে অভিন্ন সত্তা দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলবাসী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিবাদন...
    বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পান্তা ইলিশের একটি রেওয়াজ আছে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এলে বাজারে ইলিশের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার বাজারে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক কেজি বা একটু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং  ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুইটি রানী রাইজিংবিডিকে বলেন, “পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খেলে নববর্ষ উদযাপন...
    বাঙালির অন্যতম উৎসব বাংলা নববর্ষের আগমনে সারা দেশজুড়ে বইছে আনন্দের হাওয়া। পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার আনন্দে উদ্দীপ্ত পুরো জাতি। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি সরকারি তিতুমীর কলেজও। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি শেষে আবারো চিরচেনা পরিবেশে ফিরেছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রান্ত। চলছে আগামীকালের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পূর্ব প্রস্তুতি। ক্যাম্পাসে ফিরে শিক্ষার্থীরা রংতুলি হাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আলপনা আঁকায়। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা গেছে, বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তা, অডিটোরিয়াম চত্বর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও বিভাগের প্রাঙ্গণ জুড়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে নানা রঙের মনোমুগ্ধকর আলপনা। যেন কলেজ প্রাঙ্গণ তার অতীতের সব গ্লানি ঝেড়ে ফেলে ফিরে পেয়েছে এক নতুন প্রাণচাঞ্চল্য। এসব আয়োজন বাংলা নববর্ষের আমেজকে আরো দ্বিগুণ করে...
    পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে রংতুলির আচড়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ। বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ এর বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রা ঘিরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। ইতোমধ্যে মুখোশসহ বিভিন্ন উপকরণের কাজ প্রায় শেষ। শোভাযাত্রার মোটিফ ফ্যাসিবাদের রাক্ষুসে মুখচ্ছবি পুড়িয়ে দেওয়ার পর নতুন করে ককশিট দিয়ে মোটিফ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তবে এটি নির্ধারিত সময়ের আগের নির্মাণ শেষ হবে কি না কিংবা শিল্পমান কেমন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। জুলাই বিপ্লবের পর প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান। আরো পড়ুন: ৩২ এর প্রজ্ঞাপন বাতিল না করলে ২৭ এপ্রিল সমাবেশ ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম খুঁজতে তদন্ত কমিটি ...
    পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসবের দিন, আনন্দের দিন, সম্প্রীতির দিন, সৌহার্দ্যের দিন। বাংলা ১৪৩২ সনকে বরণে রাজধানীজুড়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে শুরু হবে বৈশাখবন্দনা, নতুন বছরকে বরণ করার আয়োজন। বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানানো হবে এবার পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠানে। ছায়ানটের ৫৮তম এ আয়োজন ভোর সোয়া ৬টায় বৈশাখের ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে ভৈরবীর রাগালাপ দিয়ে শুরু হবে। এবারে অনুষ্ঠানের মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।  ছায়ানটের এবার অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসার গান ও আত্মবোধনের জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। এতে থাকবে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও ৩টি পাঠ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে (সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে) অনুষ্ঠান শুরু...
    রাজধানীর আলোকি কনভেনশন হলে চলছে ‘রিশকা ফেস্ট-১৪৩২’। উদ্যোক্তা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান রিশকা কানেক্টস। পহেলা বৈশাখ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমাজের বর্ষবরণ ‘বৈসাবি উৎসব’ উদযাপনে এমন আয়োজন। ক্রিয়েটিভ সহযোগী ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান দেশাল। তরুণদের সামনে বাঙালির নববর্ষ উদযাপনের বর্ণিল আয়োজনে দেশীয় শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া। তরুণ উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে আয়োজিত ভিন্ন ধারার উৎসবে থাকছে দেশীয় শিল্প ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় প্রদর্শনী ও উপস্থাপনা। উদ্যোক্তার স্টলের সংখ্যা ৬৬টি। দেশীয় ঐতিহ্যের বিভিন্ন হস্ত ও কারুশিল্পের স্টল ছাড়াও রয়েছে দেমি খাবারের স্টল। নববর্ষকে ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপনে মেলায় স্থান পেয়েছে দেশের বিভিন্ন চিত্রশিল্প হতে শুরু করে চলচ্চিত্র। বৈসাবি উৎসবের অংশ হিসেবে রয়েছে পাহাড়ি গান ও নৃত্য। উৎসব আয়োজনে থাকছে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, চারটি ব্যান্ডের সলো কনসার্ট ও প্রাচ্যনাটের উদ্যোগে নাটক, মাইমাট...
    চট্টগ্রামের ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে গিয়ে মঞ্চ এবং আশপাশের চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করে। এ সময় তারা শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়।সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন পরিষদের ব্যানারে এখানে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। এবার অনুষ্ঠানটি ৪৭ বছরে পা রাখতে চলেছে। ভাঙচুরের পর ডিসি হিলে এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিষদ। প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে পরিষদের অভিযোগ।ভাঙচুরের আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে ২০টি সংগঠনের একটি তালিকা দেওয়া হয় আয়োজকদের। ফ্যাসিস্টের দোসর অভিযোগ এনে ওই সংগঠনগুলোকে মঞ্চে তুলতে নিষেধ করে দেয়...
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। এ সময় তিনি বলেন, ঘুড়ি উৎসব উদযাপন আবহমান গ্রামীণ বাংলার একটি ঐহিত্য। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের অংশগ্রহণে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।  শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন, চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুরে উড়ানো বিষয়টা অনেক ভালো লাগে। যখন বাসায় ছিলাম চৈত্র মাসে ঘুড়ি উড়াতাম। এই প্রথম দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই। মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর শেখ মাজেদুল হক বলেন, বেরোবিতে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি সেই শৈশবে...
    বাংলা নববর্ষ ঘিরে দিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। রাজধানীর কাওলায় অবস্থিত সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানানো হবে। আয়োজকরা জানান, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব নাসরীন জাহান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।   বেবিচক জানায়, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। এতে থাকবে লোকজ বাদ্যযন্ত্র ও সাংস্কৃতিক উপকরণ।  অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের স্টল। যেখানে প্রদর্শিত হবে বাঙালির লোকজ খাবার, হস্তশিল্প, খেলনা ও গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা। এছাড়া অনুষ্ঠানের শেষে থাকবে মনোজ্ঞ...
    ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ অভিযোগ তুলে প্রায় ২০টি সাংস্কৃতিক সংগঠনকে ডিসি হিলের পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মঞ্চে তুলতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসন থেকে সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন পরিষদের সংগঠকদের কাছে এই তালিকা পাঠানো হয়। পরে ফোন করে তালিকাভুক্ত সংগঠনগুলোকে আগামীকাল সোমবারের অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ার জন্য বলা হয়।এর আগে সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে সম্মিলিত বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন মঞ্চ নামে একটি সংগঠন মানববন্ধন করে। ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার চিহ্নিত দোসরদের নেতৃত্বে বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন আয়োজনের প্রতিবাদে’ এই মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মূলত জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস), বিএনপির সহযোগী সংগঠন মিলে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া স্মারকলিপিতে এই সংগঠনগুলোকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।মানববন্ধনের বিষয়ে জাসাস চট্টগ্রামের সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ (শিপন)...
    সাতক্ষীরায় প্রতিবছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকেও ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখ সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন কালেক্টরেট পার্কে জাতীয় সঙ্গীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশন করা হবে। সকাল সোয়া ৭টায় পুরুষরা সাদা ফতুয়া, গ্রামীণ চেকের লুঙ্গি ও লাল গামছা এবং নারীরা লালশাড়ি ও বৈশাখি শাড়ি পরিহিত অবস্থায় আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। আনন্দ শোভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শেষ...
    বিদায় ধ্বনি বেজে উঠছে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের। দুয়ারে কড়া নাড়ছে নতুন বাংলা বছর। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দেশবাসী বরণ করে নেবে বঙ্গাব্দ ১৪৩২। বাঙালির সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে বিভিন্ন প্রস্তুতি।   নববর্ষ উদযাপন বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষ অনুষঙ্গ হয়েছে। দিনটি উদযাপনের জন্য সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন-সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সারা দেশে তাই উৎসবের আমেজে চলছে বাঙালির প্রাণের উৎসবের প্রস্তুতি। এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পাল্টে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে। বাঙালির সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে, নতুন বছর বরণে রাজধানীতে হবে শোভাযাত্রা। এতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন মোটিফ থাকবে। বৈশাখ উদযাপনকে রঙিন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে জমে উঠেছে বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি। পহেলা বৈশাখ উৎসবের...
    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘বিগত ১৬ বছরে যে বাংলা নববর্ষগুলো ছিল, এই নববর্ষে শুধু দলীয় প্রভাব নয়; বরং বিদেশি রাষ্ট্রেরও প্রভাব আমরা দেখেছি। তাদের মতো করে দলের যেমন ছিল, বিদেশি রাষ্ট্রের এজেন্সির ওই রকম করে কনসেপ্ট তৈরি করে এই নববর্ষগুলোর বিভিন্ন ধরনের সেগমেন্ট তৈরি করা হতো, বিভিন্ন ধরনের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হতো।’আজ রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড নায়েকপাড়া এলাকায় আন্দোলনে নিহত সাগর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথাগুলো বলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ঢাকার মেরুল বাড্ডা থানার সামনে মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিতে মারা যান সাগর রহমান। আজ তাঁর কবর জিয়ারত শেষে সাগরের মা–বাবাসহ স্বজনদের খোঁজখবর নেন তিনি।সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, এই যে...
    নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের একাংশ। তারা আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে শোভাযাত্রা আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে আয়োজন করার নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন তারা। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। শিক্ষার্থীরা দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির সমাধান চাওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বানও জানান। আরো পড়ুন: ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি মার্চ ফর গাজা: মজলুমদের পাশে থাকার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের সংবাদ সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী...
    নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বর্তমান ও প্রাক্তন একদল শিক্ষার্থী। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ ব্যাখ্যার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।আজ রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে তাঁদের এ অবস্থান তুলে ধরেন। শোভাযাত্রা আয়োজন ঘিরে যে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার দুর্বলতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। পাশাপাশি এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদেরকে শোভাযাত্রা আয়োজনের দায়িত্ব না দেওয়ার সমালোচনা করেছেন তাঁরা।এ সময় শিক্ষার্থীরা এই শোভাযাত্রা ঘিরে দ্বন্দ্বমুখর পরিস্থিতির সমাধান চাওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।সংবাদ সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহরা নাজিফা বলেন, ‘এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা এবার “বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা”...
    বাঙালির অন্যতম উৎসব বাংলা নববর্ষ। আর এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ পান্তা-ইলিশ। এ উৎসব ঘিরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। দেশের বৃহৎ পটুয়াখালীর পাইকারি মাছ বাজার মহিপুর ও আলীপুরে ইলিশের দাম চড়া। এতে পাইকারি ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে সমুদ্রে মাছের অকাল থাকায় ইলিশের দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা। মহিপুর ও আলীপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এই দুই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফাইস্যা, ছুড়ি, পোয়া, মটকা চিংড়ি, টোনা, তাপসী, কোরাল, চাপলি, পবদা ও টাইগার চিংড়ি, স্বল্প সংখ্যক বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থাকলেও বাজার প্রায় ইলিশ শূন্য। যেখানে প্রতিনিয়ত টন টন ইলিশ বিক্রি হয়, সেখানে হাতেগোনা কয়েকটি আড়তে ইলিশ মাছ দেখা গেল। তাও মাঝারি ও ছোট সাইজের ইলিশ। এ বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে...
    বিগত ১৬ বছর দেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে দলীয় প্রভাবের পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‍“বিগত বছরের নববর্ষগুলোতে খুব স্বাভাবিকভাবেই শুধু দলীয় নয়, বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব আমরা দেখেছি। বিভিন্ন ধরনের কনসেপ্ট তৈরি করে নববর্ষগুলোতে অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হতো।” রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের নায়েক পাড়ায় অভ্যুত্থানে শহীদ সাগর ইসলামের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। আরো পড়ুন: নববর্ষের দিন টিএসসি-শাহবাগ মেট্রো স্টেশন ‘সাময়িক বন্ধ থাকবে’ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ সারজিস আলম বলেন, “ক্ষমতার জায়গা থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া কখনোই সাসটেইনেবল (টেকসই) নয়। এটি কখনো আমরা প্রত্যাশাও করি না। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন...
    বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যেখান-সেখান দিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এসব কথা বলেছেন। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনা বটমূলে ডিএমপির নিরাপত্তা–পরিকল্পনা ও মহড়া আজ রোববার দুপুরে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাজ্জাত আলী। ডিএমপির কমিশনার বলেন, বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনের শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমি, টিএসসি হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার পুরো রুট নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। পাশ থেকে, বিকল্প পথে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করা যাবে না। শোভাযাত্রার সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশে চারুকলার বিপরীতে যে গেট আছে, সেটি বন্ধ থাকবে। সে সময় কেউ এই গেট দিয়ে রাস্তায়ও যেতে পারবে না।শোভাযাত্রায় যাঁরা অংশ নিতে চান, তাঁদের সুবিধার্থে...
    ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ আগুনে পোড়ানোর তদন্ত খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে। সোমবার সকালে শোভাযাত্রা শুরুর আগেই জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করতে সম্ভব হব, ইনশাআল্লাহ।  রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, খুব শিগগির গ্রেপ্তারের খবর আপনাদের দিতে পারব আশা করি। আগামীকাল (সোমবার) আনন্দ শোভাযাত্রা শুরুর আগেই আগুনের ঘটনার মামলার ভালো খবর দেওয়া হবে।  নববর্ষের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকায় ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া রয়েছেন র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রমনার বটমূলে প্রবেশের জন্য তিনটা গেট এবং বের হওয়ার জন্য থাকবে দুইটা গেট। বিকাল পাঁচটার পর...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে এখনও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।  রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, “আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।  দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।” আজ রমনার বটমূলে নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। কমিশনার বলেন, “চারুকলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। খুব সন্নিকটে পৌঁছে গেছি। আশা করছি, আগামীকালের মধ্যে একটি সুখবর দিতে পারবো। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।” তিনি বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা,...
    ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ আগুনে পোড়ানোর তদন্ত খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে। সোমবার সকালে শোভাযাত্রা শুরুর আগেই জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করতে সম্ভব হব, ইনশাআল্লাহ।  রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, খুব শিগগির গ্রেপ্তারের খবর আপনাদের দিতে পারব আশা করি। আগামীকাল (সোমবার) আনন্দ শোভাযাত্রা শুরুর আগেই আগুনের ঘটনার মামলার ভালো খবর দেওয়া হবে।  নববর্ষের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকায় ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া রয়েছেন র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রমনার বটমূলে প্রবেশের জন্য তিনটা গেট এবং বের হওয়ার জন্য থাকবে দুইটা গেট। বিকাল পাঁচটার পর...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। এতে বলা হয়, শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু নীলক্ষেত ও পলাশী...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ কর্মসূচি। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। এতে আরও বলা হয়, শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু নীলক্ষেত...
    আগামীকাল পয়লা বৈশাখ। চারুকলা অনুষদের আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবারও বের হবে শোভাযাত্রা। তবে শোভাযাত্রায় পরা যাবে না কোনো ধরনের মুখোশ এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সঙ্গে নিতে হবে পরিচয়পত্র।  সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা' শুরু হবে।  রবিবার(১৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সব জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে। বিজ্ঞপ্তির বর্ণনায় বলা হয়, সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব। এমনকি নববর্ষ উপলক্ষে কেউ যেন অপপ্রচার চালাতে না পারে সেজন্য সাইবার ওয়ার্ল্ডেও মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশে ২২৪টি পিকআপ টহল, ১২২টি মোটরসাইকেল টহলসহ সর্বমোট ৩৪৬টি টহল ও সাদা পোশাকে ৪১৩ জন সহ সর্বমোট ২ হাজার ৪৪৯ জন র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও তিনি জানান। র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠী, অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কুচক্রী মহল যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি...
    বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান।আজ রোববার ঢাকার রমনা বটমূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে র‍্যাবের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।র‍্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, জেলা-উপজেলা ও গ্রামপর্যায়ে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাই সব জায়গায় র‍্যাবের নিরাপত্তাবলয় বিস্তৃত করা হবে। যাতে সুন্দরভাবে সব জায়গায় এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়।নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক  শহিদুর রহমান আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মাথায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন এসেছিল। পূজা হবে কি না, সেটা...
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে র‌্যাবের ব্যাটালিয়নগুলোসহ সারাদেশে ২২৪টি পিকআপ টহল, ১২২টি মোটরসাইকেল টহলসহ ৩৪৬টি টহল ও সাদা পোশাকে ৪১৩ জনসহ মোট ২ হাজার ৪৪৯ জন র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসা মহিলাদের উত্ত্যক্ত, ইভটিজিং, যৌন হয়রানি রোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।  এতে বলা হয়েছে, নববর্ষের অনুষ্ঠানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠী, অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী মহল যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান,...
    নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। রোববার রমনার বটমূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে র‍্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন। এদিন সকালে র‍্যাব প্রধান রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।  র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সারা দেশে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান করে মানুষ। সব জায়গায় র‍্যাবের নিরাপত্তা বলয় বিস্তৃত করা হবে।  এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব ডিজি বলেন, চারুকলায় আগুন দেওয়ার ঘটনা সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের কোনও গাফিলতি থাকলে সেটাও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির’ মোটিফ পড়ানোর পর আবার নতুন করে তা বানানো হচ্ছে।  রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা 'ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি' বানানোর কাজ করছেন।  এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে আনন্দ শোভাযাত্রার অগ্রগতি পরিদর্শনকালে পুনরায় এই মোটিফ তৈরির কথা জানান (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।  উপাচার্য বলেন, “আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে বাঁধা এসেছে। এ ধরনের কাজে কিছু বাঁধা আসেই, ষড়যন্ত্র থাকবেই। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। এতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানাই। তবে চারুকলা প্রাঙ্গণে ফের মোটিফটি তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম চারুকলায় আনা হয়েছে এবং শিল্পীরা যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিকৃতি...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান—   এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির...