চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। ৪০ বছরের ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকাল ৬টায় শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে ঢাকের বাজনার তালে নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

পরে মুকুল ফৌজ, আবৃত্তি পর্ষদ ও ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, মুকুল ফৌজের সংগঠক (প্রধান দরদী বোন) রাশেদা হাসনু আরা ও ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল আটটায় স্থানীয় চাঁদমারী মাঠে (ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করা হয়। সোয়া আটটায় সেখান থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা বর্ণিল সাজে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নতুন মুক্তমঞ্চ চত্বরে তিন দিনের বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের চাঁদমারী মাঠ থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ সকালে নববর্ষের শোভাযাত্রা বের করা হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নববর ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন বছরকে বরণ করে নিল পিরোজপুর বিশ্ববিদ্যালয়

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে (১৪৩২ বঙ্গাব্দ) বরণ করে নিয়েছে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিবিপ্রবি)। 

বর্ষবরণ উপলক্ষে সোমরাব (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন। 

ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, “এ দিনটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার দিন। আজ একটি নতুন দিনের, নতুন বছরের আগমন। এদিন আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখি, নতুন করে পথচলার প্রতিজ্ঞা করি। পুরনো দিনের সকল গ্লানি, মলিনতা ধুয়ে যাক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

তিনি বলেন, “নতুন বছর বয়ে আনুক সবার জন্য অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। আসুন আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে একটি উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করি- নতুন বছরে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণ থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের সিও অফিস মোড় প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তারা নাচ, গান, আবৃত্তি, একক অভিনয়সহ বিভিন্ন পরিবেশনায় দিনভর সবাইকে মাতিয়ে রাখেন।

ঢাকা/তাওহিদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফ্যাসিবাদ ভুলে বেরোবি শিক্ষার্থীদের মুখে বাঙালির নবজাগরণ
  • নতুন বছরকে বরণ করে নিল পিরোজপুর বিশ্ববিদ্যালয়
  • ফ্যাসিবাদ মুক্ত বর্ষবরণ: যা ভাবছেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
  • মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ড্রোন শো ও কনসার্টে যা থাকছে
  • বর্ণিল আয়োজনে রাবিতে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন শিক্ষার্থীরা
  • কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ
  • এবারের আনন্দ শোভাযাত্রার কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নেই: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
  • মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা...
  • সাতক্ষীরায় নববর্ষ উদযাপনের প্রস্ততি, পুলিশের নানা উদ্যোগ