পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের সিনেমা ‘জংলি’। গতকাল রাতে রাজধানীর একটি মাল্টিপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী। যেখানে ‘জংলি’র শিল্পী-কলাকুশলীরা ছাড়াও হাজির ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বিশেষ প্রদর্শনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ‘জংলি’র অভিনেত্রী শবনম বুবলী।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শবনম বুবলী ভক্ত-দর্শকদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) পয়লা বৈশাখ, সবাইকে শুভ নববর্ষ। পয়লা বৈশাখের আনন্দ আরও দ্বিগুণ-তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন।’

শবনম বুবলী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ড্রোন প্রদর্শনীতে ফুটে উঠল শোষণের খাঁচা ভেঙে জুলাই অভ্যুত্থান

ড্রোন শোর মাধ্যমে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ ড্রোন শো প্রদর্শন করা হয়।

প্রায় ১৫ মিনিটের এই প্রদর্শনীতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়ানো, মুগ্ধর পানি বিতরণ, বিপ্লবে-সংগ্রামে নারীর ভূমিকা, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি, বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্ব ও দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।

সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হওয়া এই ড্রোন প্রদর্শনীর শুরুতেই ছিল খাঁচার ভেতর থেকে উড়াল দেওয়া পাখির প্রদর্শনী। শোষণ-শাসনের খাঁচা ছেড়ে যে পাখি উড়াল দেয়, আসে নতুন বাংলাদেশ। যা ৩৬ জুলাই নামে পরিচিতি পেয়েছে।

এর পরেই প্রদর্শনীতে দেখানো হয় অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদকে। দুই হাত প্রসারিত করে বুক চিতিয়ে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়া সেই দৃশ্য ড্রোনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। পরে প্রদর্শন করা হয় উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের তৃষ্ণা মেটাতে পানির কেস হাতে ছুটে পানি লাগবে, পানি—বলে পানি বিলানো শহীদ মীর মুদ্ধকে।

এরপরে পর্যায়ক্রমে বিপ্লবে-সংগ্রামে নারীর অংশগ্রহণ, সাধারণ মানুষের প্রতীক হয়ে ওঠা রিকশাচালক, জাতীয় ফুল শাপলা, ১৯৭১ থেকে ২০২৪, জুলাই বিপ্লব, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা, শান্তির দূত, চীন-বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব এবং সব শেষে সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

ড্রোন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কারিগরি সহায়তা করেছে ঢাকায় চীন দূতাবাস। দুই হাজার ৬০০ ড্রোনের মাধ্যমে প্রদর্শনীতে মোট ১২টি মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়।

ড্রোন প্রদর্শনীর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নববর্ষের কনসার্ট শুরু হয়। কনসার্ট ও ড্রোন প্রদর্শনীকে ঘিরে দুপুর থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানুষের ঢল ছিল।

বিকেলের কনসার্ট ও ড্রোন-শোতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তোলারাম কলেজে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের বাংলা বর্ষপঞ্জি বিতরণ 
  • সন্তানকে পেয়ে আনন্দাশ্রু বাধ মানছে না তুষার-শান্তা দম্পতির
  • আনন্দের বন্যা বইছে জুলেখার পরিবারে
  • কারও মতামত আমাকে নাড়াতে পারে না, আমি জানি, কে আমি: বাঁধন
  • নতুন বছরে ঘর আলো করে এলো প্রভা
  • বাংলা একাডেমিতে চলছে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
  • নববর্ষকে রাঙাতে হাডুডু খেললেন মানিকগঞ্জের প্রবীণরা
  • সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ছাত্রদলের বৈশাখী উপহার
  • ড্রোন প্রদর্শনীতে ফুটে উঠল শোষণের খাঁচা ভেঙে জুলাই অভ্যুত্থান