হুমকি না থাকলেও বর্ষবরণে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
Published: 14th, April 2025 GMT
উৎসবমুখর পরিবেশে সারা দেশে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। এ উৎসবকে ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূলসহ পুরো ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলি গলিতেও গোয়েন্দা নজরদারি করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
এদিকে, প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে সারা দেশে র্যাবের সব সদস্য নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কাজ করছেন।
সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, র্যাব সারা দেশে ২২৪টি পিকআপ টহল, ১২২টি মোটরসাইকেল টহলসহ সর্বমোট ৩৪৬টি টহল ও সাদা পোশাকে ৪১৩ জন সহ সর্বমোট ২৪৪৯ জন র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোন উগ্রবাদী গোষ্ঠী, অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কুচক্রী মহল যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে কোনো ধরণের নাশকতার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।”
ভার্চুয়াল জগতে নববর্ষকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের গুজব, উস্কানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি জানান।
ঢাকা/এমআর/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নববর ষ নজরদ র দ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
কার্যালয়ের ভেতর আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা, বাইরে খুনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
নোয়াখালীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক বাবর হোসেনের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ‘মধ্যম করিমপুর এলাকার সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে বাবর হোসেন খুনের বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্বজনেরা।
জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের বাইরে যখন এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, তখন কার্যালয়ের ভেতরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক চলছিল। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লা আল ফারুকের। তিনি বলেন, কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি অবগত। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ পর্যন্ত জেলায় কোনো অপরাধীই অশনাক্ত থাকেনি। এ ঘটনার রহস্যও পুলিশ উদ্ঘাটন করবে।
নিহত বাবর হোসেন নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। গত বুধবার রাত ৯টার পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হন তিনি। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের কোম্পানীঘাট এলাকার স্লুইস গেট–সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পেছনে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল, গলায় কালো দাগ দেখা গেছে। পরিবারের ধারণা, কেউ শ্বাসরোধে বাবরকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহত বাবরের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
কর্মসূচিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত বাবর হোসেনের বোনেরা