2025-02-06@06:52:35 GMT
إجمالي نتائج البحث: 11

«নলক প»:

    ভরা মৌসুমে চালের বাজারে আগুন নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। বইয়ে পড়া নানা তত্ত্ব আর তথ্যের গুরুগম্ভীর আলোচনা যখন জমে উঠেছে, তখন পাশ থেকে আলী বাকের বললেন, ‘আসলে আমন ফেল—এটাই সত্যি, আমাগেরও কিনি খাওয়া লাগবি।’আমরা বলছিলাম সিন্ডিকেটের কথা তো চাঁদাবাজির কথা, মজুতদার আর মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্যের কথা; আর সরকারের ব্যর্থতার কথা আছেই। সরকারের ব্যর্থতার বয়ান ছাড়া এখন কোনো আলোচনা জমে না।মালয়েশিয়াফেরত আলী বাকের এখন মন–দিল দিয়ে চাষবাস করেন। বিদেশ যাওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল বকর আলী। সেখান থেকে ঘোল খেয়ে ফেরত আসার পর এখন আলী বাকের। সে অন্য কাহিনি। মালয়েশিয়ার চক্করে জমিজিরাত হারিয়ে আলী বাকের এখন ‘কন্টাক্ট চাষি’।ভাগ চাষি বা বর্গা চাষি বলে এখন আর কিছু নেই। ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতিতে বছরের জন্য জমি ভাড়া নিয়ে ফসল ফলাতে হয়। আলী বাকের...
    তরল পদার্থে ভরা বোতল দুটি পাশাপাশি রাখা। রং প্রায় একই; কিন্তু তরল দুটি ভিন্ন। বোতল দুটির ঢাকনা সরিয়ে নাকের কাছে নিতেই একটিতে পেট্রলের গন্ধ পাওয়া গেল। অপরটিতে কোনো গন্ধ নেই। গন্ধহীন বোতলটিতে আসলে খাওয়ার পানি রাখা। পটুয়াখালীর কলাপাড়াবাসী বেঁচে আছেন পেট্রলের মতো হলদেটে এই পানি খেয়ে।জানা গেল, এই অদ্ভুত রঙের পানি ওঠে গভীর নলকূপ থেকে। যুগের পর যুগ খাওয়া, রান্না, গোসলসহ গৃহস্থালির সব কাজে নিয়মিত এই পানি ব্যবহার করছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মানুষ। পানির এই রঙের সঙ্গে তাঁরা এমনভাবে অভ্যস্ত, যেন পানির এটাই আসল রং। মোস্তাক মিয়া নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা তো বলেই বসলেন, কলাপাড়ার গভীর নলকূপের পানির মতো মিঠাপানি তিনি আর কোথাও খাননি। তবে কলাপাড়ায় প্রথম যাওয়া যে কেউ এই ‘সুস্বাদু’ পানি দেখেই আঁতকে উঠবেন। মুখে দিতে বা ব্যবহার...
    শাজাহানপুরে গভীর নলকূপের অপারেটর আবু সুফিয়ান সুমনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হলে অপারেটর নিয়োগে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে সেচ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেড়শ বিঘা জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  বিএমডিএ বগুড়া রিজিয়নের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগের পেয়ে খোট্টাপাড়ায় নলকূপের অপারেটর নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  ২০১৫ সালে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) জালশুকা, খোট্টাপাড়া, জুসখোলা গ্রামে গভীর নলকূপ স্থাপন করে। বেশ কয়েক বছর ধরে এ এলাকার আওতায় নলকূপের অপারেটরের দায়িত্বে ছিলেন খোট্টাপাড়া গ্রামের আবু সুফিয়ান সুমন।  অভিযোগ রয়েছে আবু সুফিয়ান সুমন বিএমডিএর নীতিমালা উপেক্ষা করে জমিতে সেচ দেওয়া শুরু করেন। বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো মৌসুমে চার আনা এবং আমন মৌসুমে দুই আনা ধান নেন। এতে...
    চাল উৎপাদনের সবচেয়ে বড় মৌসুমে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছেন কৃষক। বোরো থেকে আসে দেশের ৬০ শতাংশ চালের জোগান। এ ধান চাষে নেমেই কৃষক মেলাতে পারছেন না উৎপাদন খরচের হিসাব। সার-সেচসহ কৃষির সব উপকরণে টানতে হচ্ছে বাড়তি খরচের বোঝা। এ কারণে মৌসুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে কৃষকের ঘরে ঘরে। উৎপাদিত ধান বেচে খরচ তুলতে না পারার ঘোরে আছেন তারা। রাজনৈতিক ডামাডোলে কৃষকের কষ্টের রোদন সরকারের কানে পৌঁছে না। দুঃসময়ে দেশের মানুষকে যারা ফসলের জোগান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন, সেই কৃষকের কথা ভাবছে না কেউ। ফলে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচের চোটে ধান আবাদ টিকিয়ে রাখা দরিদ্র কৃষকের কাছে দুঃসাধ্য ঠেকছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বোরো মৌসুমে কৃষিতে বাড়তি মনোযোগ না দিলে কৃষি অর্থনীতিতে দেখা দিতে পারে দুই ধরনের সংকট। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের ন্যায্য দাম...
    ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসা মহারশি নদী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এই নদীর এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে দুটি সেতু। একটি ঝিনাইগাতী বাজারে, অপরটি নলকুড়া ইউনিয়নের রাবারড্যাম এলাকায়। সেতু দুটির মাঝখানে রয়েছে ১৫টি গ্রাম। কোনো সেতুই তাদের কোনো উপকারে আসছে না। ফলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন একটি সেতুর দাবি করে এলেও আমলে নিচ্ছে না কেউ। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, নীতিমালা অনুযায়ী একটি সেতু থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে আরেকটি সেতু নির্মাণের অনুমতি নেই। ফলে এলজিইডি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠালেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। জানা গেছে, নলকুড়া ভারুয়া, জামতলা, কুসাইকুড়া, গজারিকুড়া ডাকাবর রামেরকুড়া, নুনখোলা, শালচুড়া, ডেফলাই, ফাকরাবাদ, বনকালি, মরিয়মনগর, জারুলতলাসহ ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষকে প্রতিদিন ঝিনাইগাতী সদরে আসতে...
    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীর নোয়াকান্দি মৌজায় একটি গভীর নলকূপ বসায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ডিজেলে চলা এই নলকূপ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ওই এলাকার ৩০০ বিঘা জমিতে সেচের চাহিদা মিটিয়ে আসছিল। বছর পাঁচেক আগে সেটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়। বসানো হয় ট্রান্সফরমার। অল্পদিন পরই কোনো এক রাতে চুরি যায় সেই ট্রান্সফরমার। এর পর থেকেই বন্ধ হয়ে আছে নলকূপটি।  কৃষকরা জানিয়েছেন, নলকূপ বন্ধ হওয়ার পর এলাকায় দুটি অগভীর নলকূপ বসানো হয়। এতে মাত্র ৫০ বিঘার মতো জমি আবাদ করা যাচ্ছে। বাকি ২৫০ বিঘা জমিই পড়ে থাকছে অনাবাদি। এক সময় ৩০০ বিঘা জমিতে অন্তত ৩০০ টন ধান উৎপাদিত হতো। এলাকাবাসী এখন ২৫০ টন ধান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মঙ্গলবার কটিয়াদী পৌরসভার বীর নোয়াকান্দি গিয়ে দেখা যায়, গভীর নলকূপের পাম্প হাউসটি বন্ধ। এর দেয়ালে...
    দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ ঘর। এসব ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জমি ও বাড়ি আছে এমন লোকজনও বরাদ্দ পেয়েছেন। যে কারণে আশ্রয়ণের অনেক ঘর শুরু থেকেই তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। আবার যারা বসবাস করছেন, তাদের অনেকের নামে বরাদ্দ নেই। রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মের ব্যবস্থা না থাকার কারণেও চলে গেছেন অনেকে। চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নান্দাইল উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাড়ে অবস্থিত। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত এ প্রকল্পে রয়েছে ৭৩টি ঘর। প্রতিটি ঘর তৈরিতে ব্যয় ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এসব ঘরে গৃহহীন, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী ও অসহায় পরিবারের বসবাস করার কথা। ২০২২ সালের ২১ জুলাই প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়। ওইদিন প্রকল্পের আঙিনায় জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘরের দলিল...
    ‘আশপাশে কাজ করে খাওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করার মতো প্রতিষ্ঠানও নেই। বাড়ি-জমিওয়ালারা অনিয়ম করে ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন। তাদের অনেকে এখানে থাকছেন না।’ কথাগুলো ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী তাহের মোড়লের (৭০)। অন্য বাসিন্দা আছির উদ্দিনের ভাষ্য, তাঁর নামে কোনো ঘর নেই। বিউটি নামে একজনের নামে বরাদ্দ ঘরে থাকেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যারা থাহে না, তারা ঘর পাইছে। আমি থাহি, আমার নামে ঘর নাই।’ এ ধরনের নানা সংকটে চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানা গেছে। বাসিন্দারা বলছেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও কাজের ব্যবস্থা না থাকায় প্রকল্পটিতে এখন অনেকে বসবাস করছেন না। বরাদ্দে অনিয়মের কারণে অনেক ঘর শুরু থেকেই  তালাবদ্ধ রয়েছে। যারা থাকছেন, তাদের অনেকের নামে বরাদ্দ নেই। উপজেলার চর...
    পাম্প স্টেশন আছে, অথচ বিকল মোটর। আবার কোথাও মোটর আছে, কিন্তু পাইপ ও ফিল্টার নষ্ট। এমন চিত্র কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকার ১২টি পাম্প স্টেশনের। দীর্ঘদিন ধরে  এসব গভীর নলকূপ বিকল হয়ে থাকায় বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ। পানি না পেয়ে নাকাল হতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তাদের অভিযোগ, পানি না মিললেও নিয়মিত পানির বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। পানির সংকট  নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও প্রতিকার মিলছে না। তবে এ সংকটের জন্য কুসিক কর্তৃপক্ষ দায় চাপাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের ওপর। অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, পাম্প স্টেশন হস্তান্তরের পর মেরামত ও দেখভালের দায়িত্ব কুসিকের।  নগরীতে জনসংখ্যা ৮ লক্ষাধিক। এখানে নিম্ন আয়ের নাগরিকদের অনেকেরই ভরসা কুসিকের সরবরাহকৃত পানি। ২৬০ কিলোমিটার পাইপলাইনে আবাসিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে পানির...
    বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) দুই দপ্তরে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিএমডিএর সেচ শাখার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান ও ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) শহীদুর রহমানের দপ্তরে অভিযান চালান দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের দলটির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। অভিযানে ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন এবং উপ-সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান। তারা জাহাঙ্গীর আলম খানের দপ্তরে বিএমডিএর গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র দেখেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলায় বিএমডিএর ১৬ হাজারের বেশি গভীর নলকূপ রয়েছে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর সব অপারেটরের নিয়োগ বাতিল করা হয়। এরপর নতুন অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসব নলকূপের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ...
    শরীয়তপুর জেলার প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এসব নলকূপের পানি পরীক্ষা করে আর্সেনিকের এই অসহনীয় মাত্রা পেয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।  এসব নলকূপের পানি খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসব নলকূপে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে দিয়েছে।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা প্রতি লিটারে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম হলেও শরীয়তপুরের এই নলকূপগুলোর পানিতে প্রতি লিটারে শূন্য দশমিক ১ মিলিগ্রাম আর্সেনিকের মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৬০ দশকে প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম। এরপর ১৯৯৩ সালে তা দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রামে কমিয়ে আনা হয়; কিন্তু বাংলাদেশ ১৯৬৩ সালের সেই মাত্রা আর পরিবর্তন করেনি। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান প্রথম...
۱