Samakal:
2025-02-05@09:46:03 GMT

ধান আবাদের সুসময়ে চাষির দুঃসময়

Published: 2nd, February 2025 GMT

ধান আবাদের সুসময়ে চাষির দুঃসময়

চাল উৎপাদনের সবচেয়ে বড় মৌসুমে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছেন কৃষক। বোরো থেকে আসে দেশের ৬০ শতাংশ চালের জোগান। এ ধান চাষে নেমেই কৃষক মেলাতে পারছেন না উৎপাদন খরচের হিসাব। সার-সেচসহ কৃষির সব উপকরণে টানতে হচ্ছে বাড়তি খরচের বোঝা। এ কারণে মৌসুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে কৃষকের ঘরে ঘরে। উৎপাদিত ধান বেচে খরচ তুলতে না পারার ঘোরে আছেন তারা। রাজনৈতিক ডামাডোলে কৃষকের কষ্টের রোদন সরকারের কানে পৌঁছে না। দুঃসময়ে দেশের মানুষকে যারা ফসলের জোগান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন, সেই কৃষকের কথা ভাবছে না কেউ। ফলে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচের চোটে ধান আবাদ টিকিয়ে রাখা দরিদ্র কৃষকের কাছে দুঃসাধ্য ঠেকছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বোরো মৌসুমে কৃষিতে বাড়তি মনোযোগ না দিলে কৃষি অর্থনীতিতে দেখা দিতে পারে দুই ধরনের সংকট। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে এক ধরনের চাপ তৈরি হতে পারে। আবার বাজারে চালের দাম বাড়লে দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের খরচ বাড়বে। কারণ, ‘দিন আনে দিন খায়’ মানুষের আয়ের বড় অংশ খরচ হয় চালের পেছনে, যা মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দেবে।

বোরো ধান চাষে যে পরিমাণ সার প্রয়োজন হয়, এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রয়োগ হয় ডিসেম্বর থেকে মার্চে। সারের এই বাড়তি চাহিদাকে মওকা হিসেবে নেয় কিছু অসৎ ডিলার। কৃষকরা বলছেন, ডিলাররা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। অন্যদিকে ডিলারদের দাবি, সারের সরবরাহ আগের চেয়ে কম থাকায় তারা বিক্রি করছেন বেশি দামে।
এ ছাড়া বোরো আবাদ পুরোটাই সেচনির্ভর। বছরজুড়ে ধান উৎপাদনে যে সেচের প্রয়োজন হয়, এর ৯৩ শতাংশই লাগে বোরো মৌসুমে। সেচ প্রকল্পের অব্যবস্থাপনা ও খাল-বিল এখন পানিশূন্য থাকায় সময়মতো চারা রোপণ করতে পারছেন না কৃষক। 

সারের দামে দিগ্‌ভ্রান্ত কৃষক
উৎপাদন খরচ কমানো, উৎপাদন সহজীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্রেতার খাবার কেনার সক্ষমতার লক্ষ্যে সারে ভর্তুকি দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি), ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সারের দাম কেজিপ্রতি ছয় টাকা বাড়িয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। বছর না পেরোতেই পরে সব সারের দাম আরও পাঁচ টাকা বাড়ে। এই অর্থবছরে মোট ৫৯ লাখ টন সার প্রয়োজন হবে বলে সরকারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এক বছর আগের চেয়ে তা ৩ শতাংশ বেশি। রাসায়নিক সার প্রধানত শুষ্ক মৌসুমের বোরো ধান চাষে ব্যবহার করা হয়। এই ধান মে মাসে কাটা হয়। এখন কৃষক চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি, এমওপিসহ প্রতি কেজি রাসায়নিক সার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে চাষিদের কাছ থেকে তিন থেকে চার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির নির্ধারিত মূল্য ২৭ টাকা, ডিএপি ২১ টাকা ও এমওপি ২০ টাকা। তবে বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৯-৩৩ টাকা, টিএসপি ৩০-৩৫ টাকা, ডিএপি ২৫-৩৫ টাকা ও এমওপি ২৫-৩০ টাকায় কৃষককে কিনতে হচ্ছে। 

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরক্লার্কের ছয় বিঘায় বোরো চাষ করা কৃষক আবদুর রহমান এলাকার ডিলারের কাছ থেকে সার কিনতে পারেননি। সেই ডিলারের কাছে যতটুকু সার ছিল, তা আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি ১ হাজার ৫৫০ টাকা ও ৫০ কেজির এক বস্তা ডিএপি ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনেছেন। আবদুর রহমান বলেন, ‘বিক্রেতারা সার বিক্রির পর রসিদ দিতে অস্বীকার করেন। সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের বাড়তি খরচের কারণে আমাদের মতো কৃষকরা ধান চাষে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে, আমরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’

একই অভিজ্ঞতা বাগেরহাটের মোংলার চাষি রণজিৎ চন্দ্র দাশেরও। তিনি জানান, দুই বস্তা টিএসপির জন্য তাঁকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা গুনতে হয়েছে। অথচ সরকারি দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা। তাঁর মতে, সাধারণত বেশি চাহিদা ও সীমিত সরবরাহের কারণে সারের দাম বেড়েছে। বিকল্প না থাকায় বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। 

ফেনীর ফুলগাজীর কৃষক গোলাম মাওলা স্থানীয় বাজার থেকে সার কেনেন। এই সপ্তাহে তিনি ইউরিয়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, এমওপি ২৫ টাকা, টিএসপি ও ডিএপি ৩৫ টাকা দরে কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘সারের ক্যাশমেমো দেয় না বিক্রেতারা। সরকারি দামে সার কিনতে পারি না। কেজিতে ৫-১০ টাকা বেশি দিতে হয়।’ রাজশাহীর দুর্গাপুরের কৃষক রাশেদুল্লাহ বলেন, ‘সার কিনতে গেলে বলা হয়, সার নাই। কিন্তু দাম বেশি দিলে তখন দেয়। তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে।’

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) গুদাম থেকে সার বের হয়ে ডিলার ও সাব-ডিলারদের কাছে যায়। তাদের কাছে থাকা সারের তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

১৬ জানুয়ারির হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়ার মজুত রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ে মজুত ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টন। তবে গত বছরের চেয়ে টিএসপির মজুত ২১ শতাংশ, ডিএপি ৩৪ শতাংশ ও এমওপির মজুত ১৯ শতাংশ কম রয়েছে। বর্তমানে টিএসপি ৪৫ হাজার টন, ডিএপি ৮৩ হাজার টন ও এমওপির মজুত রয়েছে ৬০ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ে টিএসপি ৫৭ হাজার টন, ডিএপি ১ লাখ ২৬ হাজার টন এবং এমওপির মজুত ছিল ৭৪ হাজার টন।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসে দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৭ লাখ ৫৫ হাজার ২৮১ টন। এর বিপরীতে গুদামে মজুত আছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার টন। আর পরিবহনাধীন আছে প্রায় তিন লাখ টনের কিছু বেশি। সব মিলিয়ে ইউরিয়া সার আছে প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার টন। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে ইউরিয়া। একইভাবে এমওপি সারের মজুতও আছে যথেষ্ট। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬২ টন। গুদামে মজুত আছে ৬৮ হাজার ৩২৮ টন। আর পরিবহনাধীন রয়েছে আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৭৮ টন। একইভাবে টিএসপি সারের ঘাটতি রয়েছে চাহিদার প্রায় অর্ধেক। চাহিদা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৯ টন। গুদাম ও পরিবহনাধীন দেশে আছে প্রায় ৯৫ হাজার টন।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কৃষকের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা দিতে বাধ্য হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ডিলার ও পরিবহন খরচের জন্য কম কমিশন। ডিলাররা কমিশন ও পরিবহন খরচ বাবদ মাত্র দুই টাকা পান। ২০০৮ সালে কমিশন গঠনের পর সরকারকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তা বাড়ানো হয়নি।

এ ব্যাপারে সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই আমরা সার সংকটের কথা বলছি। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা পাত্তাই দিচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সার আমদানির ব্যবস্থা করা উচিত। কারণ, বোরো খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌসুম। এটিকে সংকটে ফেলা উচিত হবে না। তাহলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। গত সরকারের শেষ ছয় মাসে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে না পারায় সার আমদানিতে সমস্যা হয়েছিল। এর প্রভাব এখনও রয়েছে। 

তবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারের কোনো সংকট হবে না জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া বলেন, সার সংকট বা বেশি দামের বিষয়টি নতুন নয়। তবে এখন দেশে সার নেই– এ কথা কেউ বলতে পারবে না। দামের কিছুটা তারতম্য হচ্ছে, সেটিও ঠিক করা হচ্ছে। কৃষকের স্বার্থ সর্বোচ্চ সুরক্ষা করা হবে। এখন পর্যন্ত যে মজুত আছে, তা দিয়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরভাবে চলে যাবে। সার পাইপলাইনে আছে। এটি নিয়মিত আসছে। আমাদের নিয়মিত তদারক কার্যক্রম চলছে। কোথাও কারসাজির তথ্য পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশ থেকে সারের সংকট চিরতরে দূর করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য পরিত্যক্ত পাট কারখানাগুলোতে সারের মজুতাগার হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ মজুত সক্ষমতা বাড়াতে নতুন নির্মাণের পাশাপাশি সম্ভাব্য বিকল্প মজুতাগারেও সার রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজার থেকে স্বল্প দামে সার কিনে মজুত রাখা সম্ভব হবে। এতে বছরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।

সেচেও ধাক্কা 
কৃষি-সংশ্লিষ্টরা জানান, বোরো ধানের আবাদ পুরোটাই সেচনির্ভর। জমির প্রকারভেদে ১৫-৩০ বার সেচ লাগে। ৩৭ হাজার গভীর নলকূপ, ১৩ লাখ অগভীর নলকূপ থেকে আসে এই সেচের জোগান। তবে মৌসুমের শুরুতেই সেচ সংকটে পড়েছেন বোরো চাষিরা। 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এই প্রথম বোরো চাষের জন্য পানি সংকটাপন্ন এলাকায় সেচঘণ্টা নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর আট উপজেলায় বোরো মাঠে পানি দেওয়ার জন্য এবার ৯৮০ ঘণ্টার বেশি কোনো গভীর নলকূপ চালানো যাবে না। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এই নিয়মে সেচ দিতে হবে। আর সারাবছরে ১ হাজার ৯৬০ ঘণ্টার বেশি গভীর নলকূপ চালানো যাবে না। এতদিন নলকূপ থেকে প্রয়োজনমতো জমিতে সেচ দেওয়া গিয়েছিল। বিএমডিএর এই সিদ্ধান্তে বোরো চাষে সেচ সংকটের শঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাদের হিসাবে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গভীর নলকূপের পানিতে এক-তৃতীয়াংশ বোরো মাঠেও সেচ দেওয়া যাবে না।

পৌষের শুরুতে বোরো আবাদের কথা থাকলেও লক্ষ্মীপুরে অনেক এলাকায় সেচের অভাবে মাঘ মাসেও চারা রোপণ করতে পারেননি কৃষক। ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু এলাকায় সেচের ব্যবস্থা করা হলেও সার-কীটনাশকসহ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গণিপুর গ্রামের কৃষক আবুল বাসার জানান, সার-কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন তারা। ৫০ শতক জমিতে বোরো আবাদ করতে বর্তমানে খরচ হবে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। সে হিসাবে মণপ্রতি দুই হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হলে বাজারে বিক্রি করতে হয় ১ হাজার ৪০০ টাকা। এতে এমনিতেই লোকসান গুনতে হয় তাদের। এর ওপর শ্যালো মেশিনে পানি তুলে বোরো আবাদ করলে লোকসান আরও বাড়বে। তাই বাধ্য হয়ে এবার অনেক কৃষক বোরো আবাদ না করে জমি খালি রেখেছেন। 

তিস্তায় পর্যাপ্ত পানিপ্রবাহ না থাকায় সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেক আবাদি জমিতে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। এই শঙ্কা নিয়েই গত ১৫ জানুয়ারি রংপুর ও দিনাজপুরের প্রধান সেচ খালে পানি ছাড়া হয়। কৃষকের শঙ্কা, এবারও তিস্তার পানি দিয়ে শতভাগ সেচ দেওয়া সম্ভব হবে না। অনেক জমিতে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সেচ দিতে হবে।

কৃষিতে বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার তাগিদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডল বলেন, বোরো মৌসুমে সারের সংকট হলে কৃষি উৎপাদনে বড় ধাক্কা লাগবে। এ সময় মজুত সংকটে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে– এটি খুবই দুঃখজনক। এবারের সার সংকটের একটি কারণ হলো, আগের বছরের চেয়ে আলু ও পেঁয়াজের চাষ বেড়েছে। এসব ফসলে বেশি সার লাগে, যা মজুতের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, সরকারের উচিত পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে চাহিদা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে একটি পূর্বাভাস শাখা চালু করা। ইচ্ছামতো কেউ যাতে সার ব্যবহার না করে, সে বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, রাসায়নিক সার উৎপাদনে বিপুল বিনিয়োগে বড় শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হলেও জৈব সার উৎপাদন ও বিপণনের তেমন কাঠামো নেই। বিচ্ছিন্ন কিছু কোম্পানি জৈব সার উৎপাদনে যুক্ত হলেও তাদের সক্ষমতা সীমিত। এ ধরনের সক্ষমতা বাড়াতে দরকার সরকারের নীতি-সমর্থন। 

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষির দিকে সরকারের তেমন মনোযোগ নেই। ফলে বহুসংখ্যক প্রতিষ্ঠানসংবলিত বিশালায়তন কৃষি মন্ত্রণালয় সংকটে ভুগছে। আর সে সুযোগে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি সেখানে ক্রমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে বাড়ছে দায়িত্বহীনতা, গাফিলতি ও অদক্ষতাও। সহসা এসব কমিয়ে আনতে না পারলে দেশে খাদ্য উৎপাদনে বড় ধাক্কা লাগতে পারে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ জ র টন সরক র র ব যবস থ পর য য় র জন য বছর র ন খরচ ট এসপ উৎপ দ খরচ র খরচ ব ইউর য়

এছাড়াও পড়ুন:

একশনএইড নেবে নারী কর্মী, বেতন ৭৪ হাজার

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজারে একটি প্রকল্পে অফিসার—সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট পদে শুধু নারী কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: অফিসার—সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: সাইকোলজি, নৃ–বিজ্ঞান, জেন্ডার স্টাডিজ বা সমাজবিজ্ঞানের অনুষদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। কোনো সংস্থায় এমএইচপিএসএস, জিবিভি, জিবিভি কেস ম্যানেজমেন্ট/সাইকোসোশ্যাল সাপোর্টে অন্তত দুই থেকে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ প্রদানে দক্ষ হতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। আইএসসিজি, জিবিভি এসএস গাইডলাইন ও কেস ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টের কাজ জানতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

কর্মস্থল: উখিয়া, কক্সবাজার

বেতন: মাসিক মোট বেতন ৭৪,৩৫৬ টাকা। এর সঙ্গে মেডিকেল-সুবিধা, গ্রুপ লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং মুঠোফোন ও ইন্টারনেট বিল দেওয়া হবে।

আরও পড়ুননেসকোতে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৫ হাজার৪ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে একশনএইড বাংলাদেশের ওয়েবসাইটের এ লিংকে রেজিস্ট্রার বা লগইন করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগ, আবেদনপ্রক্রিয়া ও পদসংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জেনে নিতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।

আরও পড়ুনআরপিসিএল-নরিনকোতে চাকরি, মূল বেতন ৯১ হাজারসহ আছে নানা ভাতা২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ