অষ্টগ্রাম উপজেলায় পানির সংকট বর্তমানে একটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিশেষ করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়ায় এই সংকট দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে।
কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন কৃষিকাজের মাধ্যমে। ফলে পানির অভাব শুধু কৃষি নয়, বরং এখানকার সামগ্রিক জনজীবনেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সেচের জন্য বহু এলাকায় গভীর নলকূপের ব্যবহার থাকলেও নলকূপের পানি উত্তোলন এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু এলাকায় গভীর নলকূপে সামান্য পানি থাকলেও সাধারণ পাম্প দিয়ে সেই পানি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। এতে কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। অনেক জায়গায় অগভীর নলকূপ ও টিউবওয়েল থেকে এখন আর পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে ৮০ শতাংশ টিউবওয়েলে কোনো পানি নেই। মানুষের দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজে সংকট দেখা দিচ্ছে, সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে সুপেয় পানির সংকটে।
এই সংকট শুধু কৃষকের সমস্যা নয়; এটি এখন পুরো অঞ্চলের মানুষের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির সংকট নিরসনের রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং পদ্ধতির প্রচলন এবং আধুনিক পানি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশাসনের সহায়তায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের পরিমাপ এবং পানির পুনর্ভরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব। এ সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি , যাতে এখানকার মানুষ একটি সুস্থ, নিরাপদ ও স্বস্তির জীবন যাপন করতে পারে।
নুসরাত জাহান
অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নলক প
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় দুই মাসে ২১৩ শ্রমিকের মৃত্যু
চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়াও নির্মাণ খাতে ৭ জন ও পোশাক খাতে ৩ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এই দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে আহত হয়েছেন ১৭০ জন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত তিনটি খাতের বাইরে অন্যান্য খাতে ২১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ৭০ জন পরিবহন খাতের, ১৮ জন নির্মাণ খাতের এবং ১২ জন পোশাক খাতের। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্যান্য খাতের ৭০ জন শ্রমিক। জাতীয় দৈনিকগুলোয় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিলস এ জরিপ পরিচালনা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মৃতি দিবস পালিত হয়। যেখানে কর্মক্ষেত্রে নিহত, পঙ্গু, আহত বা অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশেও গতকাল দিবসটি পালিত হয়েছে।