2025-01-31@13:37:59 GMT
إجمالي نتائج البحث: 9

«ঘরব ড়»:

    টিনশেডের ভাঙা ঘরগুলোর নানা অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মাটিতে। বাসিন্দাদের কেউ ত্রিপল টানিয়ে আছেন; কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পাশের রাইস মিলের বারান্দায়; কেউ ভাঙা বেড়ার ঘরেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এ দৃশ্য কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারায়।  সোমবার বিনা নোটিশে প্রশাসনের কর্মকর্তারা তিনটি ঘর পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেন। বাকি দুটির চালা ছাড়া বাকি সব খুলে ফেলা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে যান কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদিত্য পাল।  ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে ওই পরিবারের সদস্যদের দুর্ভোগ দেখা যায়। এ সময় তাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে স্বজন ও প্রতিবেশীদের। স্থানীয় কিছু উৎসুক জনতাও সেখানে ভিড় করেন। এ সময় বিলাপ করতে করতে দিনমজুর আবু  সাইদের স্ত্রী সালমা খাতুন বলেন, ‘সোমবার দুপুরে হুট করে প্রতিবেশী রাজিবুনের ছেলে রাজিব হোসেন প্রশাসনের লোকজন...
    কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে খাস জমিতে গড়ে তোলা পাঁচ ভাইয়ের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার জন্য গেলে উত্তেজিত জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে যান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদিত্য পাল। পরে জনতা বাদীপক্ষের আধাপাকা টিনশেড ঘর ভাঙচুরের পর লুটপাট চালিয়েছে।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তরুণ মোড়-তারাপুর সড়কের বাটিকামারা এলাকায় সরকারের এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১০ শতাংশ খাস জমি আছে। এর ৫ শতাংশ জমিতে প্রায় ৩০ বছর আগে ওই গ্রামের দিনমজুর ইসমাইল শেখ বসবাস শুরু করেন। বাকি ৫ শতাংশে প্রায় পাঁচ বছর পর বসবাস শুরু করেন মৃত আছাম উদ্দিনের স্ত্রী বুলু খাতুন। ওই নারী আওয়ামী লীগের এক সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িতে কাজ করতেন।...
    উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার ৪০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার। প্রায় ৪৫ বছর ধরে তারা উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের গুড়ইল মৌজার একটি অর্পিত সম্পত্তিতে বসবাস করছেন। এই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বলে অভিযোগ করেছেন তারা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করতে গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে পাড়ার রিপন মুর্মু নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ নিয়ে রিপন মুর্মু তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। তানোর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। আমি জমিজমার বিষয়টা দেখি না। তারপরেও অভিযোগ যখন হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আরো পড়ুন: বিজিবিকে মেরে মহিষ ছিনিয়ে নিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা  বিএনপি নেতার বাড়িতে মিলল...
    যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের এক সপ্তাহ পার হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এখনও যে চারটি দাবানল ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তার মধ্যে দুটি অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য। ছোট আরও দুটি দাবানল সক্রিয় আছে। এগুলো নেভাতে কাজ করছেন অগ্নিনির্বাপককর্মীরা। পাশাপাশি আকাশ থেকে পানি ও রাসায়নিক নিক্ষেপ করে আগুন নেভানোর কাজও চলছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আনা হয়েছে কর্মীদের। অনেকে অবসর ভেঙে আগুন নেভাতে মাঠে নেমেছেন। প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকো সহায়তায় কর্মী পাঠিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝোড়ো বাতাস। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বাতাসে দাবানলের গতি আরও বাড়তে পারে, ছড়াতে পারে নতুন এলাকায়। এরই মধ্যে ১০ হাজারের বেশি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।    আবহাওয়া পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি জানায়, ‘সান্তা আনা’ নামে পরিচিত ভয়ানক ওই বাতাসের গতি ৭০ মাইল ছাড়িয়ে...
    যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের কারণে লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হন। এখন তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে উদ্গ্রীব। কিন্তু গত রোববার কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে, এখনই ফেরা যাবে না। ফেরার জন্য অন্ততপক্ষে চার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত প্যালিসেইডস ও ইটন এলাকায় ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছেন অনেক বাসিন্দা। তাঁরা বিভিন্ন তল্লাশিকেন্দ্রে (চেকপয়েন্ট) ভিড় করছেন।দাবানল এগিয়ে আসার জরুরি সতর্কতা পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে নিজ নিজ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন অনেকে। এ জন্য তাঁরা সঙ্গে করে কাপড়চোপড় বা ওষুধ নেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পাননি। তাই তাঁরা এখন বাড়ি ফিরতে মরিয়া।আবার এমন লোকজনও আছেন, যাঁরা এলাকায় ফিরে দেখতে চাইছেন, তাঁদের বাড়িঘর টিকে আছে কি না।লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্টনি ম্যারোনি রোববার বলেছেন, চলতি সপ্তাহের আবহাওয়ার...
    লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে সাধারণ মানুষের মতো অনেক তারকাও ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। দাবানল যখন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তারকারা তখন ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। দাবানল ছড়িয়ে পড়ার গতি কিছুটা কমে আসায় ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে আরও অনেক ঘটনা।জেনিফার গার্নার। এএফপি
    লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে সাধারণ মানুষের মতো ঘরবাড়ি হারিয়েছেন অনেক তারকাও। দাবানল যখন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তারকারা ঘরবাড়ি ছেলে চলে যেতে বাধ্য হন। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে আরও অনেক ঘটনা। লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী জেনিফার গার্নার। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এমএসএনবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেত্রী। বন্ধুর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। জেনিফার গার্নার বলেন, ‘আমি এক বন্ধুকে হারিয়েছি, ও সময়মতো বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি।’২৫ বছর ধরে প্যাসিফিক প্যালিসেইডসের বাসিন্দা গার্নার। তবে এবারের অবস্থার সঙ্গে কিছুই মেলাতে পারছেন না তিনি। গার্নার বলেন, ‘বন্ধুদের জন্য আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। আমারই অন্তত ১০০ বন্ধুর বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’এদিকে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।...
    যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দাবানলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।পাহাড়ি প্যাসিফিক প্যালিসেইডস এলাকায় জেমি লি কার্টিস এবং বিলি ক্রিস্টালের মতো হলিউড তারকাদের বাড়ি। দাবানলে তাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, প্যাসিফিক প্যালিসেইডসের পিয়েডরা মোরাডা ড্রাইভ এলাকার একটি বাড়ির পেছনে ঝোড়ো বাতাসময় ওই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে।ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের সূত্রপাত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটি কারণ হলো বজ্রপাত। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার আগুনের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি বলে মনে করছেন তদন্তকারী।ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের শুরু হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির পূর্ব দিক থেকে। সেখানকার প্যালিসেইডস এলাকা বা ইটনের দাবানল কবলিত এলাকার আশপাশে বজ্রপাত হয়েছে বলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওই সব এলাকায় দাবানলে...
    টানা চার দিন ধরে দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। শত চেষ্টার পরও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না আগুন। পুড়ে ছারখার হচ্ছে এলাকার পর এলাকা। আগুনে এখন পর্যন্ত দেড় শ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মানুষের প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। এই পরিস্থিতির মধ্যে লুটপাটও চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। লুটপাট ঠেকাতে একটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।লস অ্যাঞ্জেলেসে আগুনের সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাঁচটি স্থানে দাবানল সক্রিয়ভাবে জ্বলছিল। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের পশ্চিম দিকে সান্তা মনিকা ও মালিবু এলাকার মাঝে এবং পূর্ব দিকে পাসাডেনা এলাকার কাছের দাবানল দুটি সবচেয়ে বেশি ধ্বংসের কারণ হয়েছে। এই দুই দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৩৪ হাজার একর জায়গার গাছপালা, ঘরবাড়িসহ সবকিছু।স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে, আগুনে এখন পর্যন্ত...
۱