যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে ৩১ জন নিহত
Published: 16th, March 2025 GMT
শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্য। টর্নেডোর আঘাতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩১ জন। এর মধ্যে, দেশটির মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন ১২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের বরাতে রবিবার (১৬ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত এবং শনিবার ভোরে ২৬টি টর্নেডো আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, টর্নেডোর আঘাতে গাড়ি উল্টে এবং ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। টর্নেডোর ফলে মিশিগান, মিসৌরি এবং ইলিনয়সহ পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, টর্নেডোর পরে আলাবামা এবং আরকানসাসের কিছু অংশসহ মধ্য মিসিসিপি, পূর্ব লুইসিয়ানা এবং পশ্চিম টেনেসিতে আকস্মিক বন্যা এবং সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, আকস্মিক এই বন্যা মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
ঢাকা/নাসিম
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীসহ হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা হকের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে গোপালগঞ্জ–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর চারটি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। আরেক মামলায় হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসানুল হক ইনুর উপার্জিত অর্থ দিয়ে তাঁর স্ত্রী সম্পদশালী হয়েছেন।
গত বছরের ২৬ আগস্ট হাসানুল হক ইনুকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে কমিশন নিতেন শেখ সেলিম
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার টেন্ডার কাজ পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দিয়ে সেখান থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
গত বছরের ২০ আগস্ট ফজলুল করিম সেলিম (শেখ সেলিম) ও তাঁর পরিবারের ৯১টি ব্যাংক হিসাব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব তলব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।