পটুয়াখালীর দুমকীতে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপরে পড়ে দুই জন আহত, শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও সহস্রাধিক গাছ উপরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।  

সোমবার দুপুরে উপজেলার রাজাখালী ও চরবয়ড়া এলাকার উপর দিয়ে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। 

জানা যায়, সোমবার দুপুর দুইটার দিকে ঝড় শুরু হলে দুমকী বগা বাউফল মহাসড়কে রাজাখালী ফার্মগেট এলাকার পশ্চিম পাশে গাছের নিচে একটি মাহিন্দ্রা যাত্রীসহ আশ্রয় নেয়। ঝড়ের তাণ্ডবে একটি বড় রেইনট্রি গাছ উপরে পড়ে যাত্রী সহ মাহিন্দ্রা গাড়িটিকে চাপা দেয়। এতে বাউফলগামি একজন যাত্রীসহ ড্রাইভার হানিফ হাওলাদার (৩৫) আটকা পড়ে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে তিন কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। তিন ঘণ্টা পরে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছটি সরিয়ে ফেললে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

জাকির হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝড় আহত

এছাড়াও পড়ুন:

১১ আসামিকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে বিস্ফোরকসহ হত্যাচেষ্টা আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন– প্রেমনন্দন দাস বুজা, রণব দাস, বিধান দাস, বিকাশ দাস, নর্মিত দাস, রাজ কাপুর, সামির দাস, শিব কুমার দাস, ওম দাস, অজয় দাস ও দেবী চরণ। এ মামলার বাদী নিহত আলিফের ভাই খানে আলম। গত ২৬ জানুয়ারি তারা গ্রেপ্তার হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর এপিপি মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আলিফ হত্যার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। 

পরদিন তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিন ঘণ্টা তাঁকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তাঁর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই সময়ের সংঘাতের ঘটনায় নিহত আলিফের ভাই একটি মামলা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ