2025-02-01@20:34:06 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6
«জ দ ঘরট»:
বরগুনা শহরে স্থাপিত দেশের একমাত্র নৌকা জাদুঘর ভেঙে ফেলেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এটি জেলা প্রশাসনের অধীন স্থাপনা হলেও গতকাল শনিবার বিএনপি কর্মীরা উচ্ছেদের নামে ভাঙচুর শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক নীরব থেকেছেন। নদীবহুল এলাকার ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলতে স্থাপিত এই জাদুঘর ভেঙে ফেলায় পর্যটনপ্রেমীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। জেলা প্রশাসন কার্যালয় সংলগ্ন পুরোনো গ্রন্থাগার চত্বরে ২০২০ সালে স্টিল দিয়ে নৌকার আদলে অবকাঠামো করে জাদুঘরটি করা হয়। নাম দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আন্দোলনকারীরা সেটির ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের লোকজন স্টিল কেটে নৌকা অবকাঠামো অপসারণ শুরু করেন। স্থাপনার দুই পাশ কেটে নৌকার কাঠামো অপসারণ করা হয়। নদীবহুল এলাকার ঐতিহ্য নৌকাকে নতুন প্রজন্মের...
বরগুনা পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে জাদুঘরটি ভাঙচুর করেন তারা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাদুঘরটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেন নেতাকর্মীরা। জাদুঘরটি ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুরাদ খান, বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন সোহাগ এবং বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মুরাদুজ্জামান টিপন। আরো পড়ুন: ১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বরগুনা পৌর পুরানো গ্রন্থাগারের ঝূঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল নৌকা জাদুঘর। বরগুনা জেলা প্রশাসনের নাজির তানসেন জানান, নদী মাতৃক দেশের এক সময়ের একমাত্র বাহন নৌকাকে...
প্যারিসের বিশ্বখ্যাত ল্যুভর জাদুঘরের সংস্কার কাজ এবং নতুন নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা চিত্রকর্ম মোনালিসা নতুন একটি প্রদর্শনী স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। মঙ্গলবার ল্যুভর জাদুঘরে মোনালিসার সামনে দাঁড়িয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ তার নতুন রেনেসাঁ প্রকল্পের রূপরেখা ঘোষণার সময় এসব কথা বলেন। ২০৩১ সালে নতুন প্রদর্শনী স্থান খুলে দেওয়া হবে এবং মোনালিসাকে দেখতে হলে দর্শনার্থীদের আলাদা করে টিকিট কাটতে হবে। খবর: বিবিসি এই প্রকল্পে কাচের তৈরি পিরামিড আকৃতির ল্যুভর জাদুঘরে প্রবেশের জন্য দ্বিতীয় একটি ঢোকার পথ তৈরি করা হবে। জাদুঘরে আসা দর্শনার্থীদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ল্যুভর জাদুঘরের দ্বিতীয় প্রবেশ দ্বারের নকশা চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া জাদুঘরে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্যেও পরিবর্তন হবে। আগামী বছর জানুয়ারি থেকে ইউরোপীয়...
কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্বামীর ভিটা হারিয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে গোমতীর চরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সহায়-সম্বল হীন এক বিধবা নারী। প্রচণ্ড শীত আর জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় প্রায় দেড় মাস ধরে সেখানে বিনিদ্র রাত কাটছে তাদের। সরেজমিনে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়ন এর চানপুর গ্রামের গোমতী নদীর চরে গিয়ে দেখা যায়, রাবেয়া বেগমের স্বামী আবুল কালাম দীর্ঘদিন যাবৎ দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। স্বামীর ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে গিয়ে এক এক করে সব কিছু বিক্রি করতে হয় রাবেয়াকে। তবুও কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। স্বামীকে বাঁচাতে তাই শেষ সম্বল ও মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র ভিটেটাও বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। রাবেয়ার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গত বছর জানুয়ারিতে মারা যান আবুল কালাম। স্বামীর মৃত্যুর পর কপর্দকহীন রাবেয়া যেন অথৈ সাগরে এসে পড়েন। এরই মাঝে প্রায় দেড়...
বন্দরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একটি বসত ঘর পুড়ে গিয়ে কমপক্ষে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৩ টার দিকে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন তাদের বসত ঘরে আগুন দিয়েছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কামতাল এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে আবুল কালামের টিনসেট ভাড়াটিয়া বসত ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আশেপাশের লোকজন আসার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়। ভুক্তভোগী আবুল কালাম পেশায় একজন সংবাদকর্মী। পেশাগত কাজ শেষে রাতে পাশের...
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পৌষ (মকর) সংক্রান্তির রয়েছে নানা আনুষ্ঠানিকতা। এর অন্যতম স্মারক হলো মেরামেরির ঘর পোড়ানো। প্রাচীন লোক ঐতিহ্যর এই সংস্কৃতি আর আগের মত দেখা যায় না। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো অনেকে ধর্মীয় এই আনুষ্ঠানিকতাকে মনে ধারণ করে পালন করেন। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক অনেক কিছুই আজ বিলুপ্তপ্রায়। পৌষ সংক্রান্তির শীত উত্তাপের স্বাক্ষর ‘মেরামেরি’ হারিয়ে যেতে বসেছে। এটি আমাদের আবহমান বাংলার এক লোক সংস্কৃতি। তবে ঐতিহ্যের অনেক কিছুই কালের গর্ভে হারালেও এখনো টিকে আছে কিঞ্চিত পরিমাণে। মেরামেরির অস্থায়ী এই ঘরটি খড়কুটো দিয়ে তৈরী করা হয় সংক্রান্তির রাতে। পরদিন ভোর বেলা স্নান করে ঘরে আগুন জালিয়ে ছোট বড় সবাই মিলেমিশে গানবাজনার সাথে আমোদপ্রমোদ করেন। এখানে সাধ্যমত খাবারদাবার করেন তারা। আগুনের চারপাশ ঘিরে পৌষ সংক্রানিতর পিঠাপুলি খাওয়া মেরামেরির রীতি। ...