চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পবিত্র কাবার আদলে নির্মিত একটি ঘর ভেঙে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের কর্ণফুলী চা বাগান-সংলগ্ন সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গায় তৈরি ঘরটি শনিবার রাতে ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় ওই ঘর নির্মাণকারী আয়শা আকতারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের নিজ ঘরের পেছনে ১০ থেকে ১২ দিন আগে কাবার মতো দেখতে ছোট্ট একটি পাকাঘর তৈরি করেন আয়শা। শুক্রবার ওই ঘরে কাবার আদলে রং করার পর তা দেখে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাত ৯টার দিকে ঘরটি ভেঙে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে আয়শাকে থানায় নিয়ে যায়।

ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ বলেন, উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ঘরটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ওই নারীকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত মৌলভীবাজার

ঈদের লম্বা ছুটি আর শুকনা মৌসুম থাকায় মৌলভীবাজারে এবার লাখো পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে দৃষ্টি নন্দন নানা পর্যটন স্পট। রয়েছে পর্যটকদের থাকা খাওয়ার জন্য ভালোমানের হোটেল মোটেল ও রির্সোট। হোটেল-রিসোর্ট মালিকরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। চলছে সাজসজ্জার কাজ।

এদিকে পর্যটক নিরাপদে চলাচলে প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সবুজের সমারোহ, চা বাগান, হাওর টিলার এই জনপদে চমৎকার প্রাকৃতিক পর্যটন স্পট-গুলো নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের প্রতীক।

হামহাম জলপ্রপাত, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, প্রাণ প্রকৃতি আর জীববৈচিত্র্যের আধার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ অর্ধশত পর্যটনকেন্দ্রে বছর জুড়ে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। তবে প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে আসেন সবুজের রাজ্যে অগনিত ভ্রমণ পিপাসু।

এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আগেভাগেই বেশিরভাগ হোটেল রিসোর্ট বুকিং সম্পন্ন হয়ে গেছে। পর্যটকদের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে হোটেল রিসোর্টগুলোতে নতুন সাজসজ্জার পাশাপাশি থাকছে বিশেষ অফার ও সেবার ব্যবস্থা। 

একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এবারের ঈদে ভালো ব্যবসা হবে তাদের। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম আহমেদের সাথে। 

তিনি বলেন, “ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতে মানুষজনের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। আমরা তাদের বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংঘের সদস্য সচিব কাজী সামছুল হক বলেন, “এবারের ঈদে লম্বা ছুটি রয়েছে। মনে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘোরাফেরার বড় সুযোগ। আর এই সুযোগ তারা হাতছাড়া করবেন না। আশা করি পর্যটকের ঢল নামবে মৌলভীবাজারে। ইতোমধ্যে আমাদের কটেজ-গুলো বুকিং প্রায় শেষ। বাকীগুলো কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।”

শ্রীমঙ্গল রাধানগর পর্যটন কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব মো. তারেকুর রহমান পাপ্পু বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে আমরা পর্যটকদের সাচ্ছ্যন্দবোধে ঘুরাফেরা করার জন্য সবধরনের সেবা প্রদান ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। আমাদের এলাকার কোন বদনাম যেন না হয়, সে ব্যবস্থা করব।”

চান্দের গাড়ির চালক তনিজিস মিয়া বলেন, “রমজানে আমাদের মান্দা যাচ্ছে। ঈদে আশা করি রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক আসবেন। এতে আমাদের আয় রোজগার ভালো হবে।”

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “পর্যটকদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণের জন্য প্রসাশন তৎপর রয়েছে। এবার ঈদ মৌসুমে পর্যটন খাত যেমন চাঙ্গা হবে, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতেও আসবে গতি।”

ট্যুরিস্ট পুলিশ ইনচার্য কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রসাশক ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সমন্বয় করে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করব।”

জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তার টহল জোরদার করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে যেন আগত পর্যটকদের কোন সমস্যা না হয়। এখানে পাঁচতারা মানের কয়েকটি হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট আছে। আমাদের সার্বক্ষণিক নজরদারী থাকবে।”

ঢাকা/আজিজ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ