চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি বসতঘরে আগুনে পুড়ে আবুল হোসেন (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামের দাঁড়ালিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৃদ্ধ আবুল হোসেনের কাঁচা বসতঘরটিতে আগুন লাগে।

ঘরের দুটি কক্ষের একটিতে তাঁর স্ত্রী এবং অন্যটিতে তিনি ছিলেন। আগুন লাগার পর স্ত্রী ঘর থেকে দৌড়ে বের হতে পারলেও ঘরের ভেতর আগুনে পুড়ে আবুল হোসেনের মৃত্যু হয়। আগুন লাগার ২০ মিনিটের মধ্যেই ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আবুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, আগুন যখন লাগে তখন একটি কক্ষে আবুল হোসেন ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুমের মধ্যেই আগুনে পুড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘরটিতে আবুল হোসেনের আরও দুই ছেলে থাকেন। তবে দুর্ঘটনার সময় দুজন বাড়িতে ছিলেন না।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মছিন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেন তাঁরা। এরপর লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতিকুর রহমান বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বসতঘর থেকে শতাধিক সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি বাড়ির বসতঘর থেকে কালাচ সাপের শতাধিক বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের জাহানাজ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বসতঘর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

মোখলেছুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার সকালে বসতঘরের পাশে কয়েকটি সাপের বাচ্চা চলাচল করতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি সেগুলো মেরে ফেলেন। সাপের বাচ্চা চলাচলে তাঁর সন্দেহ থাকায় আজ দুইটার দিকে একই গ্রামের সাপুড়ে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনেন। রফিকুল এসে ঘরের এক কোনা থেকে শতাধিক কালাচ সাপের বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করেন। পরে সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলা হয় ও ডিমগুলো নষ্ট করা হয়।

রফিকুল ইসলাম বলেন, কালাচ সাপ সাধারণত কাঁচা ঘরবাড়িতে কিংবা লেপ-তোশকের মধ্যে থাকে। এই সাপ কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাপ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাপ দেখলে প্রাণিসম্পদ অফিসে কিংবা তাঁদের খবর দিলে তা না মেরে ধরার পর বনে বা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নদীতে ড্রেজার, বিলীনের ঝুঁকিতে কৃষিজমি-রাস্তাঘাট
  • টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, ঘুমন্ত নারীর মৃত্যু
  • বিদ্যালয়ের কক্ষে ১৬ বাসিন্দাকে বেঁধে রেখে ডাকাতি
  • সাতক্ষীরায় বসতঘর থেকে শতাধিক সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার