Samakal:
2025-03-22@02:47:46 GMT

স্বাধীনতার কথা...

Published: 21st, March 2025 GMT

স্বাধীনতার কথা...

আসছে ২৬ মার্চ। আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসটা একাত্তর সালের আগে ছিলো না। থাকবে কেমন করে? তখন আমরা স্বাধীনভাবে চলতেই পারতাম না। তারও আগে আমরা আমাদের এই বাংলা ভাষায় কথা বলতে গেলেও বাধা আসতো। আমাদের যারা কথা বলতে দিতে চাইতো না, যারা আমাদের ইচ্ছে মতো চলতে-ফিরতে দিতো না তারা কিন্তু আমাদের দেশের কেউ ছিলো না। 
উড়ে এসে জুড়ে বসা
অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো তারা পাকিস্তান থেকে এমনটা শুরু করেছিলো আমাদের সঙ্গে। তারা আরও বলে কী! বাংলাদেশটাকে পাকিস্তান বানিয়ে রাখবে। আচ্ছা, তোমাদের ঘরটা যদি কেউ এসে জোর করে নিয়ে যেতে চায়, তখন কী করবে তোমরা? নিশ্চয়ই ঘরটার জন্য খুব মন খারাপ করবে। আর ঘরটা যারা নিয়ে যেতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বড়রা মানে তোমাদের বাবা-ভাইয়ারা ঘুরে দাঁড়াবে। 
লেজ গুটিয়ে পলায়ন
ঠিক তেমনি আমাদের এই বাংলাদেশটাকে যারা নিজেদের করে নিতে চেয়েছিলো, তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে একেবারে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলো আমাদের বাবা-ভাইয়াসহ বড়রা। দেশটাকে ধরে রাখতে অনেকেই যুদ্ধে গেলো। তারা প্রায় ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করেছিলো শত্রুদের সঙ্গে। আমাদের দেশটাকে যারা নিয়ে যেতে চেয়েছিলো সেই পাকিস্তানিরা এক সময় লেজ গুটিয়ে পালালো। 
অপেক্ষা.

..
এদিকে আমাদের দেশটার তো অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। অনেক যোদ্ধা বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাদের মায়েরা-বাবারা, পুঁচকে বাবুরা মন খারাপ করে যোদ্ধাদের জন্য বসে রইলো। বসে রইলো তো রইলোই, যোদ্ধারা আর ফিরে এলো না!
যেভাবে এলো লাল-সবুজ
বলি, ফিরবে কেমন করে? তারা তো আমাদের লাল সূর্যটার ভেতর ঢুকে গেলো! আর তাদের জন্য মন খারাপ করে বসে থাকা বাবা-মা আর পুঁচকেরা সূর্যের চারদিকের সবুজ হয়ে গেলো। এই লাল আর সবুজ মিলে হয়ে গেলো আমাদের পতাকা। একাত্তর সালে এই পতাকাটা আকাশে পত পত করে উড়তে শুরু করলো।
দেশটা ফিরে পেয়ে গেলাম
পতাকা উড়তে শুরু করা মানেই তো স্বাধীনতা। মানে আমরা আমাদের দেশটা ফিরে পেয়ে গেলাম। আর বীর যোদ্ধাদের জন্য স্মৃতিসৌধ বানিয়ে নিলাম। তাতে ফুল দিতে শুরু করলাম। স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বীর যোদ্ধাদের বীরত্বের কথা ভাবতে থাকি। 
এলো স্বাধীনতা
এমন করেই স্বাধীনতা এলো আর এমন করেই এলো স্মৃতিসৌধটা। 
তো আর দুই দিন পরেই আসছে স্বাধীনতা দিবস। এই  দিবসটায় নিশ্চয়ই বেশ মজা করেই কাটাবে তোমরা! n

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র দ শ স ব ধ নত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সহপাঠীকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার কিশোর, কী আছে ‘অ্যাডোলসেন্স’–এ

সহপাঠীকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হয় ১৩ বছরের কিশোর জেমি মিলার। কিন্তু সে কি সত্যিই খুন করেছে? জেমির পরিবার, এক গোয়েন্দা আর থেরাপিস্ট মারিয়া হন্যে হয়ে সত্যের খোঁজ করে। এ-ই হলো অ্যাডোলসেন্স-এর গল্প।

১৩ মার্চ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে চার পর্বের এই ব্রিটিশ মিনি সিরিজ। মুক্তির পর থেকেই ক্রাইম ড্রামাটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন সমালোচকেরা। কেবল গল্প, চরিত্র বা অভিনয় নয়; অ্যাডোলসেন্স-এর কারিগরি দিক নিয়েও কথা হচ্ছে। কারণ, এক টেকে ধারণ করা হয়েছে সিরিজটির প্রথম পর্ব।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান সিরিজটিকে ৫-এ ৫ রেটিং দিয়ে বলেছে, এটি প্রায় নিখুঁত কাজ। আবেগ, সত্য আর পারিবারিক বন্ধন মিলিয়ে এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা কাজ।

সিরিজের দৃশ্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ