বন্দরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একটি বসত ঘর পুড়ে গিয়ে কমপক্ষে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৩ টার দিকে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পার্শ্ববর্তী এলাকার  লোকজন তাদের বসত ঘরে আগুন দিয়েছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কামতাল এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে আবুল কালামের টিনসেট ভাড়াটিয়া বসত ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।  

আশেপাশের লোকজন আসার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ঘরে থাকা মূল্যবান  আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়।

ভুক্তভোগী আবুল কালাম পেশায় একজন সংবাদকর্মী। পেশাগত কাজ শেষে রাতে পাশের ঘরে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে ফোন আসে তার বসত ঘর আগুন লেগেছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরে কোনো ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া ছিলনা।

তিনি আরে বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে এলাকার কিছু লোকের সাথে শত্রুতার জেড় ধরে আগুন লাগিয়েছে । আগুন দেয়ার ঘটনায় তার সব শেষ হয়ে গেছে।

তার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী সাংবাদিকতা পেশার দায়িত্ব পালন শেষে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।  বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যায় ঘরের তালা বন্ধ করে ভাড়াটিয়ারা নাইট ডিউটিতে  চলে যান। রাত ৩ টার দিকে আশেপাশের লোকজন চেচামেচি করে তাদের ঘরে আগুনে লাগছে।

দ্রুত ঘর থেকে বাহির হয়ে দেখেন মুহূর্তের পুরো ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিছুই বাহির করতে পারিনি। তার ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তূতি চলছে।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, কয়েলের আগুন থেকে টিনসেট ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম  বলেন, এ ঘটনায় থানায়  অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ ই হয় ল কজন ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ