2025-03-06@22:06:15 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6

«জলমহ ল ল ট»:

    বিএনপি নেতাদের অংশীদার করেও জলমহাল রক্ষা করতে পারছেন না দিরাই-শাল্লার আওয়ামী লীগ ঘরানার ইজারাদাররা। গত ছয় দিনে সুনামগঞ্জের এই দুই উপজেলার ১১ বিলে লুটপাট হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালেও হালুয়া খাটুয়া ও দিরাই চাতল বিল লুট করেছে কয়েক হাজার মানুষ। এসব বিল থেকে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে বলে দাবি জলমহাল ইজারাদারের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিরাইয়ের কামান বিলে মাছ লুটপাটের মধ্য দিয়ে জলমহাল লুটের উৎসব শুরু হয় দিরাই-শাল্লা উপজেলায়। কাগজপত্রে এই বিলের ইজারাদার চরনারচর বিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতির নামে ইজারা থাকলেও এই জলমহালের মালিক হিসেবে পরিচিত দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয় কুমার বৈষ্ণব। সম্প্রতি কামান বিলের জলমহালের মাছ আহরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল...
    সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জলমহাল মাছ লুটের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ উপজেলায় আটটি জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে জলমহালে নেমে মাছ ধরে নিয়ে গেছেন। মাছ লুটের ঘটনায় দিরাই উপজেলার গোফরাঘাট জলমহালের ইজারাদারের পক্ষে গোফরাঘাট আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি লংকেশ্বর দাস বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি গ্রেপ্তার আটজনসহ দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করেছেন। দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ও তাড়ল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই মামলার আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সরমঙ্গল ইউনিয়নের কল্যাণী গ্রামের জীবন রায় (৪৫), চন্দ্রপুর গ্রামের এরশাদ মিয়া (৩২) ও হুমায়ুন (২০), বাউসী গ্রামের...
    সুনামগঞ্জে আরও দুটি জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে এসব জলমহালে মাছ ধরতে নেমে পড়েন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানুষকে বোঝালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এর আগে গত পাঁচ দিনে জেলার দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় আরও ছয়টি জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটে।গতকাল মঙ্গলবার দিরাই উপজেলার বেতইর জলমহালের কুচুয়া ও সেখামপুর বিলে মাছ লুটের ঘটনা ঘটতে পারে, এমন খবর আগেই পেয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজিব সরকার সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা গিয়ে দেখেন,বিলে মাছ ধরতে  মানুষজন জড়ো হচ্ছেন। এ সময় তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ঘণ্টা দুয়েক মানুষকে সামলে রাখতে পারলেও পরে আর সম্ভব...
    হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর একটি জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করেছে।  রোববার বিকালে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বন্দে আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ধরেশ্বরী নদীর পাশে কাইঞ্জা বিলটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পায় হারিছ মিয়া। তবে তৎকালীন স্থানীয় সাংসদ আবু জাহির প্রভাব খাটিয়ে একই উপজেলার মুড়াকড়ি ইউনিয়নের কৃষ্ণা দাসকে অবৈধভাবে বিলটি দখলে দেয়। পরে হারিছ মিয়া উচ্চ আদালতে মামলা করেন। কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর বিলটি অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন কৃষ্ণ দাস। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আ. লীগ সরকারের পতনের পর...
    সাম্প্রতিক খবরে প্রকাশ, হবিগঞ্জের লাখাইয়ে জলমহালের দখল নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই নেতার লোকজনের মধ্যে রাতের আঁধারে টর্চ জ্বালিয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিক আহত (সমকাল, ৯ জানুয়ারি ২০২৪)। আপাতদৃষ্টিতে খবরটিকে ‘চাঞ্চল্যকর’ মনে হতে পারে; কিন্তু জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষ, খুনোখুনিও বিরল নয়।  কাগজে-কলমে যদিও ‘প্রকৃত’ জেলেদের জলমহাল ইজারা দেওয়ার কথা রয়েছে; এ জন্য যদিও ‘মৎস্যজীবী সমিতি’ গঠন এবং নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়েছে; বাস্তবে জলমহালের নিয়ন্ত্রণ রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কাছেই থাকে। প্রকৃত জেলেরা সেখানে বড়জোর ‘শ্রমিক’ মাত্র। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারার টাকা পরিশোধ করেন। পরে ওই সব মৎস্যজীবীকে ব্যবহার করে মাছ ধরে বা চাষ করে থাকেন।  এ ধরনের ‘অনিয়ম’ রোধে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব আবেদনপত্র অনলাইনে গৃহীত হবে। অথচ এটি বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার...
    যশোর চৌগাছায় ভূমিদস্যূদের অবৈধ দখল থেকে ৪৩ বিঘার একটি জলমহাল উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।  জলমহালটির শ্রেণি (ধানি জমি) পরিবর্তন করে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছিলেন তারা। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহানের নেতৃত্বে এই জলমহাল অবৈধ দখলমুক্ত করে লাল পতাকা এবং সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়।  স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্র জানায়, চৌগাছা মৌজায় ২৭টি আলাদা দাগে ১৪ দশমিক ১০০ একর জমি জলমহাল হিসেবে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এটি দখলে রেখে মাছ চাষ করা হতো। ভূমি অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সহায়তায় জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ধানি জমি হিসেবে নিজেদের নামে রেকর্ড করে ভূমিদস্যুরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভূমি অফিস রেকর্ড সংশোধন করে জলমহালে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিসকেস করেন। এরপর...
۱