2025-04-07@09:29:26 GMT
إجمالي نتائج البحث: 15
«জলমহ ল র»:
বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সালিশ বিচারে উপস্থিত ব্যক্তিদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের এই সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। রোববার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের স্নানঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা ফয়জুর রহমান ও কৃষক লীগ নেতা মোশাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা কালা মিয়ার ছেলে জাবেদ আলীকে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। হামলাকারীদের ভয়ে জাবেদ আলী ঠিকমতো চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা চান মিয়া ও সোহেল মিয়াসহ ১৫-২০ জন লোক সালিশের জন্য জাবেদ আলীর বাড়িতে যান। এ সময় মোশাহিদ মিয়া ও তাঁর লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।...
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে বোরো ধান উৎপাদিত হলেও উজানের পাহাড়ি ঢল এবং অসময়ের অতিবৃষ্টিতে কৃষক প্রায়ই ফসল হারানোর শঙ্কায় থাকেন। এ সময় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় হাওরগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বৃষ্টিপাতের অতিরিক্ত প্রবণতা হাওরের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে গেছে এবং দীর্ঘ সময় পানিতে ডুবে থাকায় পরবর্তী মৌসুমের জন্য জমি প্রস্তুত করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ কৃষক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং খাদ্য সংকটে ভোগেন। এভাবেই হাওরের কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো দারিদ্র্যের চক্রে আবদ্ধ থাকে। হাওর অঞ্চলের কৃষকদের সারাবছরের স্বপ্ন ও জীবিকা বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। সন্তানের লেখাপড়া ও বিয়ে, স্ত্রীর চিকিৎসা– সবকিছুর ভরসা এই ফসল থেকে পাওয়া আয়। কিন্তু আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ে গেলে সব স্বপ্ন...
সুনামগঞ্জের জলমহালে ‘পলো বাওয়া’ উৎসবের নামে যেটা ঘটেছে, সেটা যেমন একদিকে মানুষের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের প্রাথমিক নিষ্ক্রিয়তারও প্রতিফলন। যেভাবে হাজার হাজার মানুষ পলো, লাঠিসোঁটা ও টেঁটা নিয়ে একের পর এক জলমহালে নেমে মাছ ধরেছেন, সেটাকে নৈরাজ্য না বলে উপায় নেই। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, এই নৈরাজ্যে তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন একজন।সুনামগঞ্জের ক্ষেত্রে একটা প্রথা দেখা যায় যে হাওর এলাকার জলমহালগুলোতে মাছ ধরা শেষ হয়ে গেলে ইজারাদারদের পক্ষ থেকে আশপাশের লোকজনকে মাছ ধরার সুযোগ দেওয়া হয়। এবার ইজারাদারেরা মাছ ধরার আগেই হাজার হাজার মানুষ মাছ ধরে নিয়ে গেছেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটা থামাতে শুরুতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি।স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে প্রথম আলো জানাচ্ছে, জলমহাল ইজারা দেওয়ার যে নীতিমালা রয়েছে,...
সাধারণত হাওর এলাকার জলমহালগুলোয় মাছ ধরা শেষ হলে ইজারাদারের পক্ষ থেকে আশপাশের গ্রামের লোকজনকে এক দিন পলো দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার ইজারাদারদের আগেই সুনামগঞ্জের বিভিন্ন জলমহালে মানুষজন ‘পলো বাওয়া’ উৎসবের নামে মাছ লুট করে নিয়ে গেছেন। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুরুতে অনেকটা অসহায় ছিল।জেলায় উৎসবের আমেজে জলমহালে এভাবে মাছ লুটের ঘটনা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যেভাবে হাজার হাজার মানুষ নেমে মাছ লুট করে নিয়ে গেছেন, এর আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। শুরুর দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানুষজনকে আটকাতে পারেনি। পরে মামলা ও গ্রেপ্তার এবং কঠোর হওয়ায় গত শনিবার থেকে আর কোনো জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেনি। এটি ভবিষ্যতের জন্য জলমহাল ব্যবসায়ীদের চিন্তার বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারণে ইজারা কার্যক্রমে নেতিবাচক...
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার দুইদিন পর ধনু নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলার আটপাড়া উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (৪৮), মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুকন মিয়া (৪৫) ও কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (৩২)। আরো পড়ুন: ট্যাপ থেকে বের হচ্ছিল রক্তযুক্ত পানি, ট্যাংকে পাওয়া গেল লাশ ঘরে বৌ-শ্যালিকার লাশ, যুবক লাপাত্তা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ শিকারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালিয়াজুরি উপজেলার বিভিন্ন জলমহালে পলো দিয়ে...
নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গ্রামবাসীর ধাওয়ায় ধনু নদে নিখোঁজ তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে নদের রসুলপুর এলাকা থেকে স্থানীয় থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহগুলো উদ্ধার করেন।মরদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আটপাড়া উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের শহিদ মিয়া (৪৫), মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের রুকন মিয়া (৪২) ও কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি গ্রামের হৃদয় মিয়া (৩২)। এ ঘটনায় নিখোঁজ মদনের গোবিন্দপুর গ্রামের ইয়াসিন মিয়ার (২১) সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে মাছশিকারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালিয়াজুরি উপজেলার বিভিন্ন জলমহালে পলো দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন। শনিবার সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সহস্রাধিক মাছশিকারি পলো ও লাঠিসোঁটা নিয়ে একটি জলমহালের মাছ শিকার করতে যান। মাছশিকারিরা ধনু নদের রসুলপুর ঘাটে...
সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লার জলমহাল লুট ঠেকাতে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রাম ও আনোয়ারপুরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ফাইন্দা বিল জলমহালে অবৈধভাবে মাছ ধরার প্রচেষ্টাকালে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। পুলিশ জানায়, ওই বিলটিতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়-সাত হাজার মানুষ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পলো, বেড় জাল, কোচা, বড় হাতর, উড়াল জাল ও ঝাপ জালসহ জলমহালের পাড়ে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) যৌথ বাহিনী ও দিরাই থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত জনতাকে বুঝিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠান। এই জলমহালটির মোট আয়তন ১৯২ একর এবং সেখানে থেকে প্রতি বছর ৩৫-৪০ লাখ টাকার মাছ আহরণ...
এবার সুনামগঞ্জের শল্লা উপজেলার সতোয়া জলমহালের মাছ লুটের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে হাজার হাজার মানুষ জলমহালের মাছ ধরতে জড়ো হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে জলমহালের আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ মাছ ধরার পলো, জালসহ নানা উপকরণ নিয়ে জড়ো হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেয়। এতে কয়েক হাজার জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশ ও জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মাছ ধরতে আসা জনতা জলমহাল ইজারাদারদের দুইটি ছাউনি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,...
বিএনপি নেতাদের অংশীদার করেও জলমহাল রক্ষা করতে পারছেন না দিরাই-শাল্লার আওয়ামী লীগ ঘরানার ইজারাদাররা। গত ছয় দিনে সুনামগঞ্জের এই দুই উপজেলার ১১ বিলে লুটপাট হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালেও হালুয়া খাটুয়া ও দিরাই চাতল বিল লুট করেছে কয়েক হাজার মানুষ। এসব বিল থেকে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মাছ লুট হয়েছে বলে দাবি জলমহাল ইজারাদারের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিরাইয়ের কামান বিলে মাছ লুটপাটের মধ্য দিয়ে জলমহাল লুটের উৎসব শুরু হয় দিরাই-শাল্লা উপজেলায়। কাগজপত্রে এই বিলের ইজারাদার চরনারচর বিএম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতির নামে ইজারা থাকলেও এই জলমহালের মালিক হিসেবে পরিচিত দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয় কুমার বৈষ্ণব। সম্প্রতি কামান বিলের জলমহালের মাছ আহরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল...
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জলমহাল মাছ লুটের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ উপজেলায় আটটি জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে জলমহালে নেমে মাছ ধরে নিয়ে গেছেন। মাছ লুটের ঘটনায় দিরাই উপজেলার গোফরাঘাট জলমহালের ইজারাদারের পক্ষে গোফরাঘাট আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি লংকেশ্বর দাস বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি গ্রেপ্তার আটজনসহ দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করেছেন। দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ও তাড়ল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই মামলার আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সরমঙ্গল ইউনিয়নের কল্যাণী গ্রামের জীবন রায় (৪৫), চন্দ্রপুর গ্রামের এরশাদ মিয়া (৩২) ও হুমায়ুন (২০), বাউসী গ্রামের...
সুনামগঞ্জে আরও দুটি জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে এসব জলমহালে মাছ ধরতে নেমে পড়েন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানুষকে বোঝালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এর আগে গত পাঁচ দিনে জেলার দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় আরও ছয়টি জলমহালে মাছ লুটের ঘটনা ঘটে।গতকাল মঙ্গলবার দিরাই উপজেলার বেতইর জলমহালের কুচুয়া ও সেখামপুর বিলে মাছ লুটের ঘটনা ঘটতে পারে, এমন খবর আগেই পেয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজিব সরকার সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা গিয়ে দেখেন,বিলে মাছ ধরতে মানুষজন জড়ো হচ্ছেন। এ সময় তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ঘণ্টা দুয়েক মানুষকে সামলে রাখতে পারলেও পরে আর সম্ভব...
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর একটি জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করেছে। রোববার বিকালে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বন্দে আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ধরেশ্বরী নদীর পাশে কাইঞ্জা বিলটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পায় হারিছ মিয়া। তবে তৎকালীন স্থানীয় সাংসদ আবু জাহির প্রভাব খাটিয়ে একই উপজেলার মুড়াকড়ি ইউনিয়নের কৃষ্ণা দাসকে অবৈধভাবে বিলটি দখলে দেয়। পরে হারিছ মিয়া উচ্চ আদালতে মামলা করেন। কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর বিলটি অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন কৃষ্ণ দাস। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আ. লীগ সরকারের পতনের পর...
সাম্প্রতিক খবরে প্রকাশ, হবিগঞ্জের লাখাইয়ে জলমহালের দখল নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই নেতার লোকজনের মধ্যে রাতের আঁধারে টর্চ জ্বালিয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিক আহত (সমকাল, ৯ জানুয়ারি ২০২৪)। আপাতদৃষ্টিতে খবরটিকে ‘চাঞ্চল্যকর’ মনে হতে পারে; কিন্তু জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষ, খুনোখুনিও বিরল নয়। কাগজে-কলমে যদিও ‘প্রকৃত’ জেলেদের জলমহাল ইজারা দেওয়ার কথা রয়েছে; এ জন্য যদিও ‘মৎস্যজীবী সমিতি’ গঠন এবং নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়েছে; বাস্তবে জলমহালের নিয়ন্ত্রণ রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কাছেই থাকে। প্রকৃত জেলেরা সেখানে বড়জোর ‘শ্রমিক’ মাত্র। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারার টাকা পরিশোধ করেন। পরে ওই সব মৎস্যজীবীকে ব্যবহার করে মাছ ধরে বা চাষ করে থাকেন। এ ধরনের ‘অনিয়ম’ রোধে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব আবেদনপত্র অনলাইনে গৃহীত হবে। অথচ এটি বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার...
যশোর চৌগাছায় ভূমিদস্যূদের অবৈধ দখল থেকে ৪৩ বিঘার একটি জলমহাল উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জলমহালটির শ্রেণি (ধানি জমি) পরিবর্তন করে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছিলেন তারা। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহানের নেতৃত্বে এই জলমহাল অবৈধ দখলমুক্ত করে লাল পতাকা এবং সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্র জানায়, চৌগাছা মৌজায় ২৭টি আলাদা দাগে ১৪ দশমিক ১০০ একর জমি জলমহাল হিসেবে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এটি দখলে রেখে মাছ চাষ করা হতো। ভূমি অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সহায়তায় জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ধানি জমি হিসেবে নিজেদের নামে রেকর্ড করে ভূমিদস্যুরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভূমি অফিস রেকর্ড সংশোধন করে জলমহালে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিসকেস করেন। এরপর...